আয়াতঃ 089.006
আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন,
Did you (O Muhammad (Peace be upon him)) not see (thought) how your Lord dealt with ’Ad (people)?
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
Alam tara kayfa faAAala rabbuka biAAadin
YUSUFALI: Seest thou not how thy Lord dealt with the ‘Ad (people),-
PICKTHAL: Dost thou not consider how thy Lord dealt with (the tribe of) A’ad,
SHAKIR: Have you not considered how your Lord dealt with Ad,
KHALIFA: Have you noted what your Lord did to `Aad?
৬। তুমি কি দেখো নাই, তোমার প্রভু কি ভাবে আ’দ [জাতির ] সাথে ব্যবহার করেছিলেন ৬১১৩, –
৬১১৩। আ’দ জাতির সম্পর্কে দেখুন [ ৭ : ৬৫ ] আয়াতের টিকা নং ১০৪০। বর্ণনা করা হয়েছে যে এই প্রাচীন জাতি উন্নত সভ্যতার অধিকারী ছিলো, কিন্তু বারে বারে আল্লাহ্র হুকুম সমূহ প্রত্যাখান করার ফলে তাদের ধ্বংস করে দেয়া হয়।
আয়াতঃ 089.007
যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং
Who were very tall like lofty pillars,
إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ
Irama thati alAAimadi
YUSUFALI: Of the (city of) Iram, with lofty pillars,
PICKTHAL: With many-columned Iram,
SHAKIR: (The people of) Aram, possessors of lofty buildings,
KHALIFA: Erum; the town with tall buildings.
৭। ইরাম গোত্রের প্রতি – যারা অধিকারী ছিলো সুউচ্চ প্রাসাদের, ৬১১৪ –
৬১১৪। এই আয়াতের প্রচলিত বাংলা অনুবাদে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজী অনুবাদ নিম্নরূপ : Of the [ City of ] Iram , with lofty pillars। ইরাম হচ্ছে আরবের দক্ষিণে অবস্থিত প্রাচীন আ’দদের রাজধানী। রাজধানীর স্থাপত্য শিল্পের জন্য আ’দ জাতিরা অত্যন্ত গর্বিত ছিলো। কোন কোন তফসীরকারের মতে ইরাম ছিলেন আ’দ জাতিদের পূর্বপুরুষদের একজন। এক মতে ইনি স্যাম ইবন নূহ্ এর পুত্র। জাতি হিসেবে এরা ছিলো অত্যন্ত দীর্ঘকায়।
আয়াতঃ 089.008
যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি
The like of which were not created in the land?
الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ
Allatee lam yukhlaq mithluha fee albiladi
YUSUFALI: The like of which were not produced in (all) the land?
PICKTHAL: The like of which was not created in the lands;
SHAKIR: The like of which were not created in the (other) cities;
KHALIFA: There was nothing like it anywhere.
৮। যার সমতুল্য, কোন দেশে নির্মিত হয় নাই ; ৬১১৫
৬১১৫। আরবের দক্ষিণের এই অঞ্চলগুলি [ Arabian Felix ] এক সময়ে সভ্যতা ও সমৃদ্ধিতে অতি উন্নত ছিলো যার ধ্বংসাবশেষ ও শিলালিপি এ কথার প্রমাণ করে। Muawiya এর সময়ে এই অঞ্চলের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থেকে কিছু মুল্যবান প্রস্তর আবিষ্কৃত হয়। বর্তমান কালে এখানে ব্রোঞ্জ নির্মিত সিংহের মাথা ও ব্রোঞ্জের কিছু টুকরা পাওয়া যায় যেগুলির উপরে সাবিঈনদের নাম মুদ্রিত আছে। এগুলি পাওয়া যায় নাজরানা প্রদেশে যার বর্ণনা আছে British Museum Quarterly [Vol xi , no. 4, sept. 1937 ] ।
আয়াতঃ 089.009
এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল।
And (with) Thamûd (people), who cut (hewed) out rocks in the valley (to make dwellings)?
وَثَمُودَ الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ
Wathamooda allatheena jaboo alssakhra bialwadi
YUSUFALI: And with the Thamud (people), who cut out (huge) rocks in the valley?-
PICKTHAL: And with (the tribe of) Thamud, who clove the rocks in the valley;
SHAKIR: And (with) Samood, who hewed out the rocks in the valley,
KHALIFA: Also Thamoud, who carved the rocks in their valley.
৯। এবং সামুদ [ জাতি ] ৬১১৬, যারা উপত্যকায় [বিশাল ] পাথর কেটেছিলো [ গৃহ নির্মাণের জন্য ] ?
৬১১৬। সামুদ জাতির জন্য দেখুন [ ৬: ৭৩ ] আয়াতের টিকা ১০৪৩। এদের সভ্যতায় মিশর, সিরিয়া এবং শেষ দিকে গ্রীস ও রোমান প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এরা সুন্দর মন্দির,কবর, এবং অট্টালিকা তৈরি করেছিলো পাথর কেটে। এদের মধ্যে ‘লাত’ দেবীর উপাসনা প্রাধান্য লাভ করে।
আয়াতঃ 089.010
এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের সাথে
And (with) Fir’aun (Pharaoh), who had pegs (who used to torture men by binding them to pegs)?
وَفِرْعَوْنَ ذِي الْأَوْتَادِ
WafirAAawna thee al-awtadi
YUSUFALI: And with Pharaoh, lord of stakes?
PICKTHAL: And with Pharaoh, firm of might,
SHAKIR: And (with) Firon, the lord of hosts,
KHALIFA: And Pharaoh who possessed might.
১০। এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের প্রতি ? ৬১১৭
৬১১৭। আরবী শব্দটির অনুবাদ হবে “কীলকের অধিপতি “। এ স্থলে ইহার ভাবার্থ করা হয়েছে। সৈনিকদের শিবির যা বড় বড় কীলক দ্বারা ভূমিতে স্থাপন করা হয়। “কীলকের অধিপতি সম্বন্ধে দেখুন সূরা [৩৮: ১২ ] আয়াত ও টিকা ৪১৬০। ফেরাউনের দম্ভ,অহংকার ও তার পতনের জন্য দেখুন [ ২০ : ৪৩, ৭৮ – ৭৯ ] আয়াত। আ’দ,সামুদ ও ফেরাউন এই তিনটি শক্তিশালী জাতি ও ব্যক্তির উদাহরণ এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই উদাহরণের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে যে, ব্যক্তি বা জাতি যত শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশালীই হোক না কেন, যদি তারা আল্লাহ্র আইনকে অস্বীকার করে এবং অন্যায়, অত্যাচার করে তবে তাদের পতন অবশ্যম্ভবী। আল্লাহ্র আইন হচ্ছে প্রকৃতির আইন। মানুষের প্রবৃত্তিকে স্রষ্টা যে ভাবে সৃষ্টি করেছেন যদি তার স্বাভাবিক বিকাশ ঘটে তবেই মানুষ ইহ জীবনে ও পরলোকে সুখ ও শান্তি লাভ করতে পারবে। প্রবৃত্তির এই স্বাভাবিক বিকাশকে নিশ্চিত করার জন্যই আল্লাহ্ তাঁর বিধান সমূহ অবতীর্ণ করেছেন, মানুষের কল্যাণের জন্য, মঙ্গলের জন্য। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ভর করে মানুষ কিভাবে আল্লাহ্ নির্দ্দেশিত পথে নিজেকে বিকশিত করতে পেরেছে। যদি তারা তা না পারে তবে তাদের ধবং স অনিবার্য। পৃথিবীর বুক থেকে তারা চিরতরে মুছে যাবে।