১৬। বিছানো থাকবে বহুমূল্য গালিচা।
১৭। তারা কি উট সকলের দিকে লক্ষ্য করে না, কিরূপে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে ? – ৬১০৩
৬১০৩। যারা পরকাল ও শেষ বিচারে বিশ্বাসী নয়, তাদের স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। দৈনন্দিক জীবনের খুব সাধারণ বস্তু সম্বন্ধে গভীর ভাবে চিন্তা করতে বলা হয়েছে ; তবেই তারা আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও সৃষ্টির প্রতি তার সদয় তত্বাবধানের সঠিক রূপটি অনুধাবনে সক্ষম হবে। প্রথমতঃ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে উটের প্রতি। মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রথম বিকাশ ঘটে মোশরেক আরবদের মাঝে। উটকে সে দেশে বলা হতো, ” মরুর জাহাজ” যা তাদের জীবনের জন্য এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু একমাত্র যানবাহন। এই বিশেষ দিকের প্রতি লক্ষ্য করেই উটের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। উটের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্রষ্টা তা সৃষ্টি করেছেন মরুবাসীর প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে। উট তার খাদ্য অন্ত্রের মাঝে পানি সংগ্রহ করে রাখতে পারে এবং মরুভূমিতে চলার সময়ে তার ৮/১০ দিন পানি পানের প্রয়োজন হয় না। মরুভূমির কাঁটা গাছ ও ঝোপ গুল্ম তার প্রধান খাদ্য। আবার উটের পায়ের পাতা এমন ভাবে গঠিত যে তা মরুভূমির বালির মাঝে চলার উপযোগী। উট মানুষ ও ভারী বোঝা বহনে সক্ষম। সুতারাং প্রাচীন কালে মরুবাসীরা উটের সাহায্যে ব্যবসা বাণিজ্য, ও যাতায়াত করতো। উটের মাংস ও দুধ তাদের ছিলো প্রধান খাদ্য। উটের চামড়া তারা বয়নশিল্পে ব্যবহার করতো। এভাবেই উটকে মরুবাসীদের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে। এরূপ অসংখ্য উদাহরণ প্রতিটি দেশেই পাওয়া যায়, যেখানের প্রাণীকূলকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সেই পরিবেশের উপযোগী করে।
আয়াতঃ 088.015
এবং সারি সারি গালিচা
And cushions set in rows,
وَنَمَارِقُ مَصْفُوفَةٌ
Wanamariqu masfoofatun
YUSUFALI: And cushions set in rows,
PICKTHAL: And cushions ranged
SHAKIR: And cushions set in a row,
KHALIFA: And pitchers in rows.
১৩। সেখানে থাকবে উন্নত [ মর্যদাসম্পন্ন ] সিংহাসন,
১৪। প্রস্তুত থাকবে পানপাত্র,
১৫। সারি সারি বালিশ,
১৬। বিছানো থাকবে বহুমূল্য গালিচা।
১৭। তারা কি উট সকলের দিকে লক্ষ্য করে না, কিরূপে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে ? – ৬১০৩
৬১০৩। যারা পরকাল ও শেষ বিচারে বিশ্বাসী নয়, তাদের স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। দৈনন্দিক জীবনের খুব সাধারণ বস্তু সম্বন্ধে গভীর ভাবে চিন্তা করতে বলা হয়েছে ; তবেই তারা আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও সৃষ্টির প্রতি তার সদয় তত্বাবধানের সঠিক রূপটি অনুধাবনে সক্ষম হবে। প্রথমতঃ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে উটের প্রতি। মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রথম বিকাশ ঘটে মোশরেক আরবদের মাঝে। উটকে সে দেশে বলা হতো, ” মরুর জাহাজ” যা তাদের জীবনের জন্য এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু একমাত্র যানবাহন। এই বিশেষ দিকের প্রতি লক্ষ্য করেই উটের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। উটের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্রষ্টা তা সৃষ্টি করেছেন মরুবাসীর প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে। উট তার খাদ্য অন্ত্রের মাঝে পানি সংগ্রহ করে রাখতে পারে এবং মরুভূমিতে চলার সময়ে তার ৮/১০ দিন পানি পানের প্রয়োজন হয় না। মরুভূমির কাঁটা গাছ ও ঝোপ গুল্ম তার প্রধান খাদ্য। আবার উটের পায়ের পাতা এমন ভাবে গঠিত যে তা মরুভূমির বালির মাঝে চলার উপযোগী। উট মানুষ ও ভারী বোঝা বহনে সক্ষম। সুতারাং প্রাচীন কালে মরুবাসীরা উটের সাহায্যে ব্যবসা বাণিজ্য, ও যাতায়াত করতো। উটের মাংস ও দুধ তাদের ছিলো প্রধান খাদ্য। উটের চামড়া তারা বয়নশিল্পে ব্যবহার করতো। এভাবেই উটকে মরুবাসীদের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে। এরূপ অসংখ্য উদাহরণ প্রতিটি দেশেই পাওয়া যায়, যেখানের প্রাণীকূলকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সেই পরিবেশের উপযোগী করে।
আয়াতঃ 088.016
এবং বিস্তৃত বিছানো কার্পেট।
And rich carpets (all) spread out.
وَزَرَابِيُّ مَبْثُوثَةٌ
Wazarabiyyu mabthoothatun
YUSUFALI: And rich carpets (all) spread out.
PICKTHAL: And silken carpets spread.
SHAKIR: And carpets spread out.
KHALIFA: And carpets throughout.
১৩। সেখানে থাকবে উন্নত [ মর্যদাসম্পন্ন ] সিংহাসন,
১৪। প্রস্তুত থাকবে পানপাত্র,
১৫। সারি সারি বালিশ,
১৬। বিছানো থাকবে বহুমূল্য গালিচা।
১৭। তারা কি উট সকলের দিকে লক্ষ্য করে না, কিরূপে তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে ? – ৬১০৩
৬১০৩। যারা পরকাল ও শেষ বিচারে বিশ্বাসী নয়, তাদের স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। দৈনন্দিক জীবনের খুব সাধারণ বস্তু সম্বন্ধে গভীর ভাবে চিন্তা করতে বলা হয়েছে ; তবেই তারা আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও সৃষ্টির প্রতি তার সদয় তত্বাবধানের সঠিক রূপটি অনুধাবনে সক্ষম হবে। প্রথমতঃ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে উটের প্রতি। মনে রাখতে হবে ইসলামের প্রথম বিকাশ ঘটে মোশরেক আরবদের মাঝে। উটকে সে দেশে বলা হতো, ” মরুর জাহাজ” যা তাদের জীবনের জন্য এক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বস্তু একমাত্র যানবাহন। এই বিশেষ দিকের প্রতি লক্ষ্য করেই উটের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। উটের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে স্রষ্টা তা সৃষ্টি করেছেন মরুবাসীর প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে। উট তার খাদ্য অন্ত্রের মাঝে পানি সংগ্রহ করে রাখতে পারে এবং মরুভূমিতে চলার সময়ে তার ৮/১০ দিন পানি পানের প্রয়োজন হয় না। মরুভূমির কাঁটা গাছ ও ঝোপ গুল্ম তার প্রধান খাদ্য। আবার উটের পায়ের পাতা এমন ভাবে গঠিত যে তা মরুভূমির বালির মাঝে চলার উপযোগী। উট মানুষ ও ভারী বোঝা বহনে সক্ষম। সুতারাং প্রাচীন কালে মরুবাসীরা উটের সাহায্যে ব্যবসা বাণিজ্য, ও যাতায়াত করতো। উটের মাংস ও দুধ তাদের ছিলো প্রধান খাদ্য। উটের চামড়া তারা বয়নশিল্পে ব্যবহার করতো। এভাবেই উটকে মরুবাসীদের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে। এরূপ অসংখ্য উদাহরণ প্রতিটি দেশেই পাওয়া যায়, যেখানের প্রাণীকূলকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন সেই পরিবেশের উপযোগী করে।