আয়াতঃ 086.013
নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা।
Verily! This (the Qur’ân) is the Word that separates (the truth from falsehood, and commands strict legal laws for mankind to cut the roots of evil).
إِنَّهُ لَقَوْلٌ فَصْلٌ
Innahu laqawlun faslun
YUSUFALI: Behold this is the Word that distinguishes (Good from Evil):
PICKTHAL: Lo! this (Qur’an) is a conclusive word,
SHAKIR: Most surely it is a decisive word,
KHALIFA: This is a serious narration.
১৩। দেখো, এই সেই বাণী [ কুর-আন ] যা পৃথক করে [ ভালোকে মন্দ থেকে ]। ৬০৭৬
১৪। এটা কোন তামাশার বিষয় নয়।
৬০৭৬। দেখুন উপরের দুটি টিকা। প্রত্যাদেশের সত্য হচ্ছে আধ্যাত্মিক জগতের জন্য আলো, যা আত্মিক অন্ধকারের কঠিন আবরণকে ভেদ করে বিচ্ছুরিত হতে সক্ষম এবং যা আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্যের প্রতি বা কেন্দ্র বিন্দুর প্রতি পরিচালিত করতে সক্ষম। আল্ -কুরাণ হচ্ছে সেই প্রত্যাদেশের সত্য বা আলো, যা ভালো ও মন্দের মধ্যে মীমাংসাকারী বা পার্থক্যকারী। এটা কোনও হাসি-খেলার বস্তু নয়, কোরাণ আমাদের জীবনের সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ ও সঠিক পথ বাতলে দেয়।
আয়াতঃ 086.014
এবং এটা উপহাস নয়।
And it is not a thing for amusement.
وَمَا هُوَ بِالْهَزْلِ
Wama huwa bialhazli
YUSUFALI: It is not a thing for amusement.
PICKTHAL: It is no pleasantry.
SHAKIR: And it is no joke.
KHALIFA: Not to be taken lightly.
১৩। দেখো, এই সেই বাণী [ কুর-আন ] যা পৃথক করে [ ভালোকে মন্দ থেকে ]। ৬০৭৬
১৪। এটা কোন তামাশার বিষয় নয়।
৬০৭৬। দেখুন উপরের দুটি টিকা। প্রত্যাদেশের সত্য হচ্ছে আধ্যাত্মিক জগতের জন্য আলো, যা আত্মিক অন্ধকারের কঠিন আবরণকে ভেদ করে বিচ্ছুরিত হতে সক্ষম এবং যা আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্যের প্রতি বা কেন্দ্র বিন্দুর প্রতি পরিচালিত করতে সক্ষম। আল্ -কুরাণ হচ্ছে সেই প্রত্যাদেশের সত্য বা আলো, যা ভালো ও মন্দের মধ্যে মীমাংসাকারী বা পার্থক্যকারী। এটা কোনও হাসি-খেলার বস্তু নয়, কোরাণ আমাদের জীবনের সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ ও সঠিক পথ বাতলে দেয়।
আয়াতঃ 086.015
তারা ভীষণ চক্রান্ত করে,
Verily, they are but plotting a plot (against you O Muhammad (Peace be upon him)).
إِنَّهُمْ يَكِيدُونَ كَيْدًا
Innahum yakeedoona kaydan
YUSUFALI: As for them, they are but plotting a scheme,
PICKTHAL: Lo! they plot a plot (against thee, O Muhammad)
SHAKIR: Surely they will make a scheme,
KHALIFA: They plot and scheme.
১৫। তারা তো ষড়যন্ত্রের দুরভিসন্ধি করছে, ৬০৭৭
৬০৭৭। আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও করুণা আধ্যাত্মিক জগতের সূচীভেদ্য অন্ধকারকে ভেদ করে আমাদের আধ্যাত্মিক জগতকে সত্যের আলো উপলব্ধিতে সাহায্য করে থাকে; ঠিক সেই ভাবে যে ভাবে কঠিন মাটির অন্ধকারকে ভেদ করে ক্ষুদ্র বীজ মুক্ত আলোতে মাথা তোলে। আল্লাহ্র এই করুণা ধারা সত্বেও পৃথিবীতে অনেক অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি আছে যারা অশুভ শক্তি দ্বারা চালিত হওয়ার ফলে, আল্লাহ্র মঙ্গলময় করুণাধারাকে ধ্বংস করতে প্রয়াসী। কিন্তু তাদের এই অশুভ পরিকল্পনা সফলতা লাভ করবে না,বরং আল্লাহ্র কল্যাণময় পরিকল্পনা সফলতা লাভ করবে। এরূপ ঘটনার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে মক্কার কোরাইশগণ যারা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছিলো ইসলামকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে।
আয়াতঃ 086.016
আর আমিও কৌশল করি।
And I (too) am planning a plan.
وَأَكِيدُ كَيْدًا
Waakeedu kaydan
YUSUFALI: And I am planning a scheme.
PICKTHAL: And I plot a plot (against them).
SHAKIR: And I (too) will make a scheme.
KHALIFA: But so do I.
১৬। আমিও পরিকল্পনা করছি ৬০৭৮।
৬০৭৮। দেখুন সূরা [ ৩ : ৫৪ ] আয়াত।
আয়াতঃ 086.017
অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে অবকাশ দিন, কিছু দিনের জন্যে।
So give a respite to the disbelievers. Deal you gently with them for a while.
فَمَهِّلِ الْكَافِرِينَ أَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًا
Famahhili alkafireena amhilhum ruwaydan
YUSUFALI: Therefore grant a delay to the Unbelievers: Give respite to them gently (for awhile).
PICKTHAL: So give a respite to the disbelievers. Deal thou gently with them for a while.
SHAKIR: So grant the unbelievers a respite: let them alone for a
KHALIFA: Just respite the disbelievers a short respite.
১৭। অতএব, অবিশ্বাসীদের জন্য বিলম্ব কর, এবং অবকাশ দাও [ কিছু কালের জন্য ]। ৬০৭৯
৬০৭৯। দুষ্কৃতিকারী ও কাফেরদের অবকাশ দিতে বলা হয়েছে। তাদের ‘অবকাশ’ দেওয়া হচ্ছে আল্লাহ্রই পরিকল্পনার অংশ। এর দ্বারা আল্লাহ্র পরিকল্পনা অকার্যকর হবে না। মনে রাখতে হবে কাফের ও মন্দদের সাহায্য সহযোগীতা করার অর্থ ‘অবকাশ’ দেওয়া নয়, অথবা ক্ষমতা থাকা সত্বেও দুষ্টের দমন না করাও অবকাশ দেওয়া নয়। তা হলে অবকাশ দেওয়ার বিকৃত অর্থ করা হবে। এই অবকাশ দেওয়ার অর্থ হবে যখন দুষ্ট ও মন্দের অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করার দৃশ্যতঃ কোনও উপায় থাকবে না তখন ধৈর্য্য ও বিনয় অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের অবকাশ দান করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই ধৈর্যহারা হলে চলবে না। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ রাসুলের (সা) জীবনী।