৮। নিশ্চয়ই [আল্লাহ্ ] তাকে পুণরায় [জীবিত ] করে আনতে সক্ষম ৬০৭২
৬০৭২। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ মানুষের মাঝে আধ্যাত্মিক ও পার্থিব জগতের অপূর্ব সমণ্বয় ঘটিয়েছেন। যিনি এত বড় স্রষ্টা, তিনি অবশ্যই মৃত্যুর পরে মানুষের পুণরুত্থান ঘটাতে সক্ষম। কেয়ামতের পরে নূতন পৃথিবীতে মানুষকে আবার তিনি ফিরিয়ে আনবেন।
আয়াতঃ 086.009
যেদিন গোপন বিষয়াদি পরীক্ষিত হবে,
The Day when all the secrets (deeds, prayers, fasting, etc.) will be examined (as to their truth).
يَوْمَ تُبْلَى السَّرَائِرُ
Yawma tubla alssara-iru
YUSUFALI: The Day that (all) things secret will be tested,
PICKTHAL: On the day when hidden thoughts shall be searched out.
SHAKIR: On the day when hidden things shall be made manifest,
KHALIFA: The day all secrets become known.
৯। সেদিন [ সকল ] গোপন বিষয় পরীক্ষা করা হবে।
১০। [ মানুষের ] কোন ক্ষমতা থাকবে না, এবং কোন সাহায্যকারীও থাকবে না ৬০৭৩।
৬০৭৩। কেয়ামতের পরে যে নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে, সে পৃথিবীর সব নিয়ম কানুন আমাদের এই চেনা পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। এই পার্থিব জীবনের সকল কাজ, কাজের নিয়ত বা উদ্দেশ্য, সকল চিন্তা ভাবনা বা কল্পনা, তা যত গোপনই রাখা হোক না কেন, তা প্রকাশিত করা হবে নূতন পৃথিবীতে এবং তা প্রকৃত সত্যের কষ্টি পাথরে ন্যায়ের আলোকে যাচাই করা হবে। কোন প্রতারণা বা সংস্কার বা রীতিনীতি বা পক্ষপাতিত্ব সেদিন কোনও কাজে আসবে না। সেই কঠিন পরীক্ষাতে পৃথিবীর মত অন্যায় সুযোগ সুবিধা লাভের ক্ষমতা বা সুযোগ থাকবে না বা কোন সাহায্য লাভেরও সুযোগ থাকবে না।
আয়াতঃ 086.010
সেদিন তার কোন শক্তি থাকবে না এবং সাহায্যকারীও থাকবে না।
Then will (man) have no power, nor any helper.
فَمَا لَهُ مِن قُوَّةٍ وَلَا نَاصِرٍ
Fama lahu min quwwatin wala nasirin
YUSUFALI: (Man) will have no power, and no helper.
PICKTHAL: Then will he have no might nor any helper.
SHAKIR: He shall have neither strength nor helper.
KHALIFA: He will have no power, nor a helper.
৯। সেদিন [ সকল ] গোপন বিষয় পরীক্ষা করা হবে।
১০। [ মানুষের ] কোন ক্ষমতা থাকবে না, এবং কোন সাহায্যকারীও থাকবে না ৬০৭৩।
৬০৭৩। কেয়ামতের পরে যে নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে, সে পৃথিবীর সব নিয়ম কানুন আমাদের এই চেনা পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। এই পার্থিব জীবনের সকল কাজ, কাজের নিয়ত বা উদ্দেশ্য, সকল চিন্তা ভাবনা বা কল্পনা, তা যত গোপনই রাখা হোক না কেন, তা প্রকাশিত করা হবে নূতন পৃথিবীতে এবং তা প্রকৃত সত্যের কষ্টি পাথরে ন্যায়ের আলোকে যাচাই করা হবে। কোন প্রতারণা বা সংস্কার বা রীতিনীতি বা পক্ষপাতিত্ব সেদিন কোনও কাজে আসবে না। সেই কঠিন পরীক্ষাতে পৃথিবীর মত অন্যায় সুযোগ সুবিধা লাভের ক্ষমতা বা সুযোগ থাকবে না বা কোন সাহায্য লাভেরও সুযোগ থাকবে না।
আয়াতঃ 086.011
শপথ চক্রশীল আকাশের
By the sky (having rain clouds) which gives rain, again and again.
وَالسَّمَاء ذَاتِ الرَّجْعِ
Waalssama-i thati alrrajAAi
YUSUFALI: By the Firmament which returns (in its round),
PICKTHAL: By the heaven which giveth the returning rain,
SHAKIR: I swear by the raingiving heavens,
KHALIFA: By the sky that returns (the water).
১১। শপথ [ সেই ] আকাশের [ যা ] বার বার আসে ৬০৭৪,
৬০৭৪। ঋতু ভেদে আকাশের রূপ যায় বদলে। বর্ষায় একরূপ শরতে অন্য। শীতে, গ্রীষ্মে ইত্যাদি বিভিন্ন ঋতুতে আকাশ বিভিন্নভাবে রং বদলায়। এই আয়াতে শপথ করা হয়েছে সেই আকাশের যা বৃষ্টির মেঘকে ধারণ করে। আকাশের বিভিন্ন রূপ সত্ত্বেও সপ্ত আকাশের কোনও পরিবর্তন ঘটে না। এই শপথের মাধমে সেই চির সত্যের প্রতি ইঙ্গিত দান করা হয়েছে যা চিরকাল অপরিবর্তনীয় থেকে যায়। সেই সত্য হচ্ছে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশের সত্য। বৃত্তের যেরূপ আবর্তন ঘটে শুধুমাত্র একটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে, ঠিক সেরূপ হচ্ছে প্রত্যাদেশের সত্য। যদিও যুগে যুগে পরিবেশের সাথে জীবনের সমন্বয় সাধনের জন্য এই সত্যের রুপকে বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু সত্যের প্রকৃত রূপ একই থেকে যায়। যেরূপ মেঘের আনাগোনা সত্ত্বেও আকাশের রূপ একই থেকে যায়।
আয়াতঃ 086.012
এবং বিদারনশীল পৃথিবীর
And the earth which splits (with the growth of trees and plants),
وَالْأَرْضِ ذَاتِ الصَّدْعِ
Waal-ardi thati alssadAAi
YUSUFALI: And by the Earth which opens out (for the gushing of springs or the sprouting of vegetation),-
PICKTHAL: And the earth which splitteth (with the growth of trees and plants)
SHAKIR: And the earth splitting (with plants);
KHALIFA: By the earth that cracks (to grow plants).
১২। পৃথিবীর শপথ, যা মুক্ত করে [ সবেগে নির্গত প্রস্রবণ ও অঙ্কুরিত উদ্ভিদ ] ৬০৭৫,
৬০৭৫। গ্রীষ্মের দাবদাহে মাটিকে মনে হয় পাথরের ন্যায় কঠিন। সেই মাটি যখন বৃষ্টির পানিতে সিক্ত হয়, তখন তা ভেদ করে উদ্ভিদের চারাগাছ মাথা তোলে এবং কঠিন ধরণীকে সবুজ করে তোলে। এই রূপক বর্ণনার মাধ্যমে সত্যের রূপকে তুলে ধরা হয়েছে। আধ্যাত্মিক জ্ঞান পৃথিবীর মানুষের নিকট ঐ দাবদাহে শুষ্ক মাটির ন্যায় কঠিন মনে হয়। কিন্তু বৃষ্টির ন্যায় প্রত্যাদেশের সত্য মানুষের আধ্যাত্মিক জগতের মাটিকে সিক্ত উর্বর করে তোলে। যার ফলে আমাদের অন্তর্নিহিত আত্মিক শক্তির উন্মেষ ঘটে এবং ” ফুলে ফলে” ভরে ওঠে।