২২। এবং [ হে মক্কাবাসীগণ ] তোমাদের সাথী উম্মাদ নয় ; ৫৯৯০
৫৯৯০। জিব্রাইল ফেরেশতা সম্বন্ধে আলোচনার পরে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে রাসুল (সা ) এর প্রতি। রাসুল তাদের মাঝে জন্মগ্রহণ করেন, প্রতিপালিত হন, এবং সত্যবাদী, সম্মানীয় এবং বিশ্বস্ত রূপে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। সুতারাং সেরূপ ব্যক্তি মিথ্যা দাবী করতে পারেন না, বা কোন অশুভ শক্তিদ্বারা আক্রান্ত হতেও পারেন না। এখানে ‘সাথী’ অর্থে হযরত মুহম্মদ (সা)। রাসুল তাঁর দ্বিব্য দৃষ্টিতে “স্পষ্ট দিগন্তে” জিব্রাইলকে দেখেছেন।
আয়াতঃ 081.023
তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন।
And indeed he (Muhammad (Peace be upon him)) saw him [Jibrael (Gabriel)] in the clear horizon (towards the east).
وَلَقَدْ رَآهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ
Walaqad raahu bialofuqi almubeeni
YUSUFALI: And without doubt he saw him in the clear horizon.
PICKTHAL: Surely he beheld Him on the clear horizon.
SHAKIR: And of a truth he saw himself on the clear horizon.
KHALIFA: He saw him at the high horizon.
২৩। নিঃসন্দেহে সে তাকে [ জিব্রাইলকে] দেখেছে সুস্পষ্ট দিগন্তরেখায়। ৫৯৯১
৫৯৯১। এই আয়াতের সাথে অনুরূপ সূরা [ ৫৩ : ১- ১৮ ] আয়াত সমুহ এবং এদের টিকা সমূহ পাঠ করুন। বিশেষ ভাবে টিকা নং ৫০৯২, যেখানে দুইটি সময়ের উল্লেখ আছে যখন দিব্য দৃষ্টিতে রাসুল (সা ) প্রত্যক্ষ করেছিলেন জিব্রাইল ফেরেশতাকে।
আয়াতঃ 081.024
তিনি অদৃশ্য বিষয় বলতে কৃপনতা করেন না।
And he (Muhammad (Peace be upon him)) withholds not a knowledge of the unseen.
وَمَا هُوَ عَلَى الْغَيْبِ بِضَنِينٍ
Wama huwa AAala alghaybi bidaneenin
YUSUFALI: Neither doth he withhold grudgingly a knowledge of the Unseen.
PICKTHAL: And he is not avid of the Unseen.
SHAKIR: Nor of the unseen is he a tenacious concealer.
KHALIFA: He is not holding back any news.
২৪। সে অদৃশ্যের জ্ঞান কৃপণের ন্যায় ধরে রাখে না। ৫৯৯২
৫৯৯২। জ্যোতিষ বা ভবিষ্যত বক্তারা যখন কোনও ভবিষ্যত বাণী করে বা কিছু বলে বিশেষতঃ তা হয় দ্বৈর্থবোধক এবং অস্পষ্ট। এই আয়াতে সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, রাসুল অদৃশ্যের জ্ঞান সম্বন্ধে কৃপণ ছিলেন না। অর্থাৎ এমন ভাবে তা প্রকাশ করতেন না যা মনে হবে অস্পষ্ট ও দ্বৈর্থবোধক। তাঁর প্রচার ছিলো সুস্পষ্ট এবং তাঁর প্রচারিত বাণী ছিলো পরিষ্কার, সত্যভাষণ যা আল্লাহ্র নিকট থেকে দৈব শক্তিবলে প্রাপ্ত।
আয়াতঃ 081.025
এটা বিতাড়িত শয়তানের উক্তি নয়।
And it (the Qur’ân) is not the word of the outcast Shaitân (Satan).
وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَانٍ رَجِيمٍ
Wama huwa biqawli shaytanin rajeemin
YUSUFALI: Nor is it the word of an evil spirit accursed.
PICKTHAL: Nor is this the utterance of a devil worthy to be stoned.
SHAKIR: Nor is it the word of the cursed Shaitan,
KHALIFA: It is not the talk of a rejected devil.
২৫। ইহা অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়। ৫৯৯৩
৫৯৯৩। “অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য ” শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে প্রবৃত্তির পাপ কামনা বাসনাকে, যা মানুষকে পাপের পথে পরিচালিত কর যেমনঃ হিংসা, দ্বেষ, লোভ,স্বার্থপরতা ইত্যাদি। অপরপক্ষে পবিত্র কোরাণের বাণী হচ্চে আল্লাহ্র মঙ্গলময় ইচ্ছার প্রকাশ বান্দার জন্য যা পালনে মানব জীবন হয় ধন্য ও সার্থক। জীবনের চলার পথকে পবিত্র রাখতে কোরাণ নির্দ্দেশ দান করে থাকে, যে পথ আল্লাহ্র নির্দ্দেশিত পথ। ‘‘Rajim’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে পাথর দ্বারা বিতারিত করা ; ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করা। দেখুন সূরা [ ১৫ : ১৭ ] আয়াত। হজ্জ্বের সময়ে তীর্থযাত্রীরা মীনার প্রান্তরে যে কঙ্কর নিক্ষেপ করে [ দেখুন সূরা ২ : ১৯৭ আয়াতের টিকা ২১৭], এই আনুষ্ঠানিকতা দ্বারা হজ্বযাত্রীরা এই মনোভাবই প্রকাশ করে থাকে যে, পাথর ছোড়া প্রতীকের মাধ্যমে তারা প্রবৃত্তির রীপু যা শয়তানের কুমন্ত্রণা তা প্রত্যাখান করলো।
আয়াতঃ 081.026
অতএব, তোমরা কোথায় যাচ্ছ?
Then where are you going?
فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ
Faayna tathhaboona
YUSUFALI: When whither go ye?
PICKTHAL: Whither then go ye?
SHAKIR: Whither then will you go?
KHALIFA: Now then, where will you go?
২৬। সুতারাং তোমরা কোথায় চলেছ ? ৫৯৯৪
৫৯৯৪। কোরাণের শিক্ষা কোন পৃথিবীর মানুষের শিক্ষা নয়, প্রকৃত পক্ষে এই পবিত্র গ্রন্থ জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ। এই প্রত্যাদেশের শিক্ষা কোন উম্মাদের প্রলাপ নয়, বরং তা হচ্ছে মানুষের আধ্যাত্মিক জীবনের শান্তির পথ প্রদর্শক। পার্থিব জীবনে যে পথ অনুসরণ দ্বারা আত্মিক সমৃদ্ধি লাভ করা যায়, পবিত্র কোরাণ আমাদের সেই পথের সন্ধান দান করে এবং যে পথে আমাদের আধ্যাত্মিক জগত ধ্বংস হবে, সে পথকে পরিহার করতে উপদেশ দেয়। এর পরেও মানুষ কেন ইতঃস্তত করে কোরাণের বাণীকে গ্রহণ করতে ? আল্লাহ্ মানুষকে কৃত পাপের জন্য অনুতাপ করতে বলেছেন এবং আল্লাহ্র করুণা লাভে উচ্চতর মহৎ জীবনের সন্ধান লাভ করতে আদেশ দিয়েছেন।