- সূরার নাম: সূরা নাযিয়াত
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা নাযিয়াত
আয়াতঃ 079.001
শপথ সেই ফেরেশতাগণের, যারা ডুব দিয়ে আত্মা উৎপাটন করে,
By those (angels) who pull out (the souls of the disbelievers and the wicked) with great violence;
وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا
WaalnnaziAAati gharqan
YUSUFALI: By the (angels) who tear out (the souls of the wicked) with violence;
PICKTHAL: By those who drag forth to destruction,
SHAKIR: I swear by the angels who violently pull out the souls of the wicked,
KHALIFA: The (angels who) snatch (the souls of the disbelievers) forcibly.
১। [ ফেরেশতাদের ] শপথ ৫৯১৬, যারা [ পাপীদের আত্মাকে ] নিমর্মভাবে উৎপাটন করে। ৫৯১৭
৫৯১৬। এই সূরার আরম্ভ পূর্ববর্তী সূরার [ ৭৭নং ] আরম্ভের সাথে তুলনা করা যায়। এই সূরাদ্বয়ের প্রারম্ভ অনুবাদ করা যে কোন অনুবাদকের জন্য এক দূরূহ কার্য। শপথের মাধ্যমে যে ভাবকে প্রকাশ করা হয়েছে তা মানুষের অভিজ্ঞতার বাইরে। সুতারাং তা অনুবাদের বা তফসীরের মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা এক অসাধ্য ব্যাপার।
আয়াত [ ১ -৫ ] পর্যন্ত ফেরেশতাগণের পাঁচটি বিশেষণ বর্ণিত হয়েছে। সূরার শুরুতে ফেরেশতাগণের কতিপয় গুণ ও অবস্থা বর্ণনা করে তাদের শপথ করা হয়েছে। শপথের জওয়াব বা সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে ৬ নং ও পরবর্তী আয়াত সমূহে।
৫৯১৭। এই পাঁচটি আয়াতগুলিতে যে পাঁচটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে সে সম্বন্ধে যথেষ্ট মতদ্বৈত আছে। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে এর দ্বারা সেই সব ফেরেশতাদের বুঝানো হয়েছে যারা মানুষের জন্য আল্লাহ্র দয়া, ক্ষমতা, ন্যায়পরায়ণতা, এবং কেয়ামতের বার্তা বহন করে আনেন। কেয়ামত হচ্ছে ধ্রুব সত্য যা অবশ্যই সংঘটিত হবে। ফেরেশতাগণ এখনও সারা বিশ্বের কাজকর্ম ও শৃঙ্খলা বিধানে নিয়োজিত, কেয়ামত দিবসেও যখন এই বস্তুনিষ্ঠ পৃথিবী অপসৃত হয়ে যাবে এবং অসাধারণ পরিস্থিতির উদ্ভব হবে, তখনও ফেরেশতারাই যাবতীয় কার্যনির্বাহ করবে। এ সর্ম্পকের কারণে সূরায় তাদের শপথ করা হয়েছে। ফেরেশতাদের যে পাঁচটি বিশেষণ বর্ণনা করা হয়েছে তার সাথে মৃত্যু ও দেহ থেকে আত্মা বের করার বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সূরার প্রথম আয়াতে প্রথমতঃ বলা হয়েছে পাপী ও কাফেরদের আত্মা সম্পর্কে। পাপী ও কাফেরদের আত্মা পার্থিব জীবন নিয়ে এত ব্যস্ত থাকবে যে তারা কিছুতেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে চাইবে না। আত্মা মৃত্যুর মাধ্যমে এই মরদেহ ত্যাগে থাকবে প্রচন্ড অনিচ্ছুক। কিন্তু তাদের সেই অনিচ্ছার কোনও মূল্যই দেয়া হবে না। তাদের আত্মাকে দেহের বাঁধন থেকে সমূলে উৎপাটন করা হবে পরলোকে নেয়ার জন্য। তবে কেন তারা পুণরুত্থান ও বিচার দিবসকে অস্বীকার করে ?
আয়াতঃ 079.002
শপথ তাদের, যারা আত্মার বাঁধন খুলে দেয় মৃদুভাবে;
By those (angels) who gently take out (the souls of the believers);
وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا
Waalnnashitati nashtan
YUSUFALI: By those who gently draw out (the souls of the blessed);
PICKTHAL: By the meteors rushing,
SHAKIR: And by those who gently draw out the souls of the blessed,
KHALIFA: And those who gently take (the souls of the believers) joyfully.
২। যারা [ পূণ্যাত্মাদের আত্মাকে ] মৃদুভাবে বন্ধনমুক্ত করে দেয় ৫৯১৮
৫৯১৮। দ্বিতীয়তঃ দুষ্ট ও পাপীদের আত্মার পরিণতির পটভূমিতে মুত্তাকীদের আত্মার অবস্থানকে বর্ণনা করা হয়েছে। মৃত্যুর সময়ে মুত্তাকীদের আত্মাকে খুব সহজে, শান্ত ও মৃদুভাবে পরলোকের জন্য দেহ থেকে বের করে নেয়া হবে। অবশ্য যারা মুত্তাকী তারা মৃত্যুর বহু পূর্বেই মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকেন। ফলে তারা পার্থিব জগতের মোহ থেকে আত্মাকে মুক্ত করে আল্লাহ্র করুণার কাছে আত্মসমর্পন করেন। প্রকৃত পক্ষে মৃত্যু তাদের জন্য আর্শীবাদ স্বরূপ। কারণ মৃত্যু তাদের আত্মাকে পৃথিবীর স্থুলতা থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম। যে মুক্তি ছিলো পার্থিব জীবনে তাদের জন্য একান্ত কাম্য। কারণ তাঁরা সর্বদা বিচার দিবসকে সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে এসেছেন পার্থিব জীবনে।
আয়াতঃ 079.003
শপথ তাদের, যারা সন্তরণ করে দ্রুতগতিতে,
And by those that swim along (i.e. angels or planets in their orbits, etc.).
وَالسَّابِحَاتِ سَبْحًا
Waalssabihati sabhan
YUSUFALI: And by those who glide along (on errands of mercy),
PICKTHAL: By the lone stars floating,
SHAKIR: And by those who float in space,
KHALIFA: And those floating everywhere.
৩। শপথ তাদের যারা [ হাওয়ায় ] সাঁতার কাটে ৫৯১৯
৪। এবং যারা দ্রুতবেগে অগ্রসর হয়,
৫। অতঃপর যারা [ তাদের প্রভুর আদেশে ] সকল কাজের তত্বাবধান করে,
৫৯১৯। আল্লাহ্র হুকুমে ফেরেশতাদের সর্বদা আল্লাহ্র করুণা, দয়া, ভালোবাসা ও ন্যায়বিচারের সংবাদ পৃথিবীতে দ্রুততম সময়ে সম্পাদন করে থাকেন। তাদের গতির এই দ্রুততাকেই এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে – “যারা হাওয়ায় সাতার কাটে।”
আয়াত [ ৩- ৫ ] এই তিনটি আয়াতে ফেরেশতাদের আরও তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে।
৩) তৃতীয়ত : Sabhan আভিধানিক অর্থ সন্তরণ করা। এখানে উদ্দেশ্য দ্রুতবেগে চলা। দেখুন সূরা [ ২১ : ৩৩ ] আয়াত যেখানে এই ক্রিয়াপদটি ব্যবহার করা হয়েছে নভোমন্ডলের গ্রহ-নক্ষত্রের সম্পর্কে যেখানে বলা হয়েছে, ” সবাই আপন আপন কক্ষ পথে সন্তরণ করে। ”
৪) ফেরেশতারা তাদের কাজের দ্রুততায় একে অপরকে অতিক্রম করে।
৫) এ ভাবেই তারা তাদের প্রতিপালকের আজ্ঞা নির্বাহ করে থাকে।
আয়াতঃ 079.004
শপথ তাদের, যারা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয় এবং
And by those that press forward as in a race (i.e. the angels or stars or the horses, etc.).
فَالسَّابِقَاتِ سَبْقًا
Faalssabiqati sabqan
YUSUFALI: Then press forward as in a race,
PICKTHAL: By the angels hastening,
SHAKIR: Then those who are foremost going ahead,
KHALIFA: Eagerly racing with one another –
৩। শপথ তাদের যারা [ হাওয়ায় ] সাঁতার কাটে ৫৯১৯
৪। এবং যারা দ্রুতবেগে অগ্রসর হয়,
৫। অতঃপর যারা [ তাদের প্রভুর আদেশে ] সকল কাজের তত্বাবধান করে,
৫৯১৯। আল্লাহ্র হুকুমে ফেরেশতাদের সর্বদা আল্লাহ্র করুণা, দয়া, ভালোবাসা ও ন্যায়বিচারের সংবাদ পৃথিবীতে দ্রুততম সময়ে সম্পাদন করে থাকেন। তাদের গতির এই দ্রুততাকেই এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে – “যারা হাওয়ায় সাতার কাটে।”
আয়াত [ ৩- ৫ ] এই তিনটি আয়াতে ফেরেশতাদের আরও তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে।
৩) তৃতীয়ত : Sabhan আভিধানিক অর্থ সন্তরণ করা। এখানে উদ্দেশ্য দ্রুতবেগে চলা। দেখুন সূরা [ ২১ : ৩৩ ] আয়াত যেখানে এই ক্রিয়াপদটি ব্যবহার করা হয়েছে নভোমন্ডলের গ্রহ-নক্ষত্রের সম্পর্কে যেখানে বলা হয়েছে, ” সবাই আপন আপন কক্ষ পথে সন্তরণ করে। ”
৪) ফেরেশতারা তাদের কাজের দ্রুততায় একে অপরকে অতিক্রম করে।
৫) এ ভাবেই তারা তাদের প্রতিপালকের আজ্ঞা নির্বাহ করে থাকে।
আয়াতঃ 079.005
শপথ তাদের, যারা সকল কর্মনির্বাহ করে, কেয়ামত অবশ্যই হবে।
And by those angels who arrange to do the Commands of their Lord, (so verily, you disbelievers will be called to account).
فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا
Faalmudabbirati amran
YUSUFALI: Then arrange to do (the Commands of their Lord),
PICKTHAL: And those who govern the event,
SHAKIR: Then those who regulate the affair.
KHALIFA: to carry out various commands.
৩। শপথ তাদের যারা [ হাওয়ায় ] সাঁতার কাটে ৫৯১৯
৪। এবং যারা দ্রুতবেগে অগ্রসর হয়,
৫। অতঃপর যারা [ তাদের প্রভুর আদেশে ] সকল কাজের তত্বাবধান করে,
৫৯১৯। আল্লাহ্র হুকুমে ফেরেশতাদের সর্বদা আল্লাহ্র করুণা, দয়া, ভালোবাসা ও ন্যায়বিচারের সংবাদ পৃথিবীতে দ্রুততম সময়ে সম্পাদন করে থাকেন। তাদের গতির এই দ্রুততাকেই এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে – “যারা হাওয়ায় সাতার কাটে।”
আয়াত [ ৩- ৫ ] এই তিনটি আয়াতে ফেরেশতাদের আরও তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে।
৩) তৃতীয়ত : Sabhan আভিধানিক অর্থ সন্তরণ করা। এখানে উদ্দেশ্য দ্রুতবেগে চলা। দেখুন সূরা [ ২১ : ৩৩ ] আয়াত যেখানে এই ক্রিয়াপদটি ব্যবহার করা হয়েছে নভোমন্ডলের গ্রহ-নক্ষত্রের সম্পর্কে যেখানে বলা হয়েছে, ” সবাই আপন আপন কক্ষ পথে সন্তরণ করে। ”
৪) ফেরেশতারা তাদের কাজের দ্রুততায় একে অপরকে অতিক্রম করে।
৫) এ ভাবেই তারা তাদের প্রতিপালকের আজ্ঞা নির্বাহ করে থাকে।
আয়াতঃ 079.006
যেদিন প্রকম্পিত করবে প্রকম্পিতকারী,
On the Day (when the first blowing of the Trumpet is blown), the earth and the mountains will shake violently (and everybody will die),
يَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَةُ
Yawma tarjufu alrrajifatu
YUSUFALI: One Day everything that can be in commotion will be in violent commotion,
PICKTHAL: On the day when the first trump resoundeth.
SHAKIR: The day on which the quaking one shall quake,
KHALIFA: The day the quake quakes.
৬। একদিন, যা কিছু প্রকম্পিত হতে পারে,তা প্রবল ভাবে প্রকম্পিত হবে ৫৯২০,
৫৯২০। ফেরেশতাদের অপূর্ব কার্যপ্রণালীর বৈশিষ্ট্য [ ১ – ৫ ] আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এবারে তাঁদের কাজের শেষ পরিণতি বা সিদ্ধান্তকে তুলে ধরা হয়েছে। এ কথা ধ্রুব সত্য যে, একদিন প্রচন্ড প্রকম্পনের মধ্য দিয়ে এই চেনা-জানা পৃথিবীর পরিসমাপ্তি ঘটবে। সে অনুভূতি হবে প্রচন্ড ভূমিকম্পের অনুভূতি যা পৃথিবীর রূপরেখাকে মুছে ফেলতে সক্ষম হবে। এই মুছে ফেলার প্রাথমিক পর্যায়ে পৃথিবী প্রচন্তভাবে কেঁপে উঠবে, সমস্ত কিছু ধ্বংস হওয়ার পরেও শুধুমাত্র সেই সর্বশক্তিমানের, স্বর্গীয় সত্ত্বা বিরাজ করবে। যার উল্লেখ সূরা [ ৫৫ : ২৭] আয়াতে এভাবে করা হয়েছে, ” কিন্তু চিরস্থায়ী হবে তোমার প্রভুর সত্ত্বা।”
আয়াতঃ 079.007
অতঃপর পশ্চাতে আসবে পশ্চাদগামী;
The second blowing of the Trumpet follows it (and everybody will be raised up),
تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ
TatbaAAuha alrradifatu
YUSUFALI: Followed by oft-repeated (commotions):
PICKTHAL: And the second followeth it,
SHAKIR: What must happen afterwards shall follow it.
KHALIFA: Followed by the second blow.
৭। উহাকে অনুসরণ করবে পরবর্তী সিংগাধ্বনি [বারে বারে কম্পন দ্বারা ] ৫৯২১
৫৯২১। দ্বিতীয় শিঙ্গাধ্বনি হবে নূতন পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বাভাষ। নূতন পৃথিবীর সৃষ্টির প্রাক্কালে পৃথিবী বারে বারে প্রচন্ড প্রকম্পনের সম্মুখীন হবে।
আয়াতঃ 079.008
সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-বিহবল হবে।
(Some) hearts that Day will shake with fear and anxiety.
قُلُوبٌ يَوْمَئِذٍ وَاجِفَةٌ
Quloobun yawma-ithin wajifatun
YUSUFALI: Hearts that Day will be in agitation;
PICKTHAL: On that day hearts beat painfully
SHAKIR: Hearts on that day shall palpitate,
KHALIFA: Certain minds will be terrified.
৮। সেদিন কত হৃদয় উদ্বিগ্ন হবে, ৫৯২২
৫৯২২। সন্ত্রস্ত বা আন্দোলিত হওয়া। মুত্তাকী ও পাপী সকলের হৃদয় সেদিন আন্দোলিত হতে থাকবে। যারা মুত্তাকী, তারা আশায় আন্দোলিত হবে তাদের প্রতিপালকের প্রতিজ্ঞা পূরণের সম্ভবনার সূত্রপাতে। আবার যারা পাপী ও যারা আল্লাহ্কে অস্বীকার করতো তাদের হৃদয় ভয়ে আন্দোলিত হতে থাকবে কারণ ন্যায় বিচারে তাদের কর্মের পরিণাম অনুধাবন করার মাধ্যমে।
আয়াতঃ 079.009
তাদের দৃষ্টি নত হবে।
Their eyes cast down.
أَبْصَارُهَا خَاشِعَةٌ
Absaruha khashiAAatun
YUSUFALI: Cast down will be (their owners’) eyes.
PICKTHAL: While eyes are downcast
SHAKIR: Their eyes cast down.
KHALIFA: Their eyes will be subdued.
৯। [তাদের ] চক্ষু নত হবে ৫৯২৩
৫৯২৩। সকল দৃষ্টিই সেদিন, ” ভীতি বিহ্বলতায় নত হবে।” যারা মুত্তাকী তাদের দৃষ্টি নত হবে বিনয়ে, আবেগে। আর যারা প্রত্যাখানকারী তাদের দৃষ্টি নত হবে লজ্জ্বা, দুঃখ ও অপমানের ভয়ে। কারণ পার্থিব জীবনের অবাধ্যতা, উদ্ধতপনার পরিণাম তারা বিশেষ ভাবে সেদিন অনুধাবন করবে।
আয়াতঃ 079.010
তারা বলেঃ আমরা কি উলটো পায়ে প্রত্যাবর্তিত হবই-
They say: ”Shall we indeed be returned to (our) former state of life?
يَقُولُونَ أَئِنَّا لَمَرْدُودُونَ فِي الْحَافِرَةِ
Yaqooloona a-inna lamardoodoona fee alhafirati
YUSUFALI: They say (now): “What! shall we indeed be returned to (our) former state?
PICKTHAL: (Now) they are saying: Shall we really be restored to our first state
SHAKIR: They say: Shall we indeed be restored to (our) first state?
KHALIFA: They will say, “We have been recreated from the grave!
১০। [ বর্তমানে ] তারা বলে, ” সে কি ! আমরা কি সত্যিই [ আমাদের ] পূর্বাবস্থায় ফিরে যাব ? ” ৫৯২৪
১১। ” সে কি ! যখন আমরা গলিত পচা হাড় হয়ে যাব [ তখনও ] ? ”
১২। তারা বলে, ” তাই-ই যদি হয়, তবে তো ইহা সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন। ”
৫৯২৪। পৃথিবীর জীবনে সত্য প্রত্যাখানকারীরা থাকে অবাধ্য, উদ্ধত এবং বিদ্রূপকারী। তাদেরই বিদ্রূপের ভাষা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মনোভাব এরূপ, ” হ্যাঁ, নিশ্চয়ই মৃত্যুই সকল কিছুর শেষ। যখন আমরা মুত্যুমুখে পতিত হব এবং কবরে নীত হব, সেখান থেকে কিভাবে আবার জীবিত অবস্থায় প্রত্যাবর্তিত হব ? ” তারা আরও বলে যে, ” যদি সত্যিই তাই ঘটে, তবে তো আমাদের প্রত্যাবর্তন হবে সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন। কারণ আমাদের অস্থি,চর্ম-মজ্জা সব কিছুই পচনশীল অবস্থায় থাকবে।” তারা এইরূপ উক্তি করে অবিশ্বাসের কারণে বিদ্রূপাত্মক ভাবে। তাদের বিদ্রূপে কোন কিছুরই পরিবর্তন ঘটবে না। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, শেষ বিচারে অবশ্যই সকলকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। সেদিন তারা প্রচন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং দোযখই হবে তাদের শেষ পরিণতি।
আয়াতঃ 079.011
গলিত অস্থি হয়ে যাওয়ার পরও?
”Even after we are crumbled bones?”
أَئِذَا كُنَّا عِظَامًا نَّخِرَةً
A-itha kunna AAithaman nakhiratan
YUSUFALI: “What! – when we shall have become rotten bones?”
PICKTHAL: Even after we are crumbled bones?
SHAKIR: What! when we are rotten bones?
KHALIFA: “How did this happen after we had turned into rotten bones?”
১০। [ বর্তমানে ] তারা বলে, ” সে কি ! আমরা কি সত্যিই [ আমাদের ] পূর্বাবস্থায় ফিরে যাব ? ” ৫৯২৪
১১। ” সে কি ! যখন আমরা গলিত পচা হাড় হয়ে যাব [ তখনও ] ? ”
১২। তারা বলে, ” তাই-ই যদি হয়, তবে তো ইহা সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন। ”
৫৯২৪। পৃথিবীর জীবনে সত্য প্রত্যাখানকারীরা থাকে অবাধ্য, উদ্ধত এবং বিদ্রূপকারী। তাদেরই বিদ্রূপের ভাষা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মনোভাব এরূপ, ” হ্যাঁ, নিশ্চয়ই মৃত্যুই সকল কিছুর শেষ। যখন আমরা মুত্যুমুখে পতিত হব এবং কবরে নীত হব, সেখান থেকে কিভাবে আবার জীবিত অবস্থায় প্রত্যাবর্তিত হব ? ” তারা আরও বলে যে, ” যদি সত্যিই তাই ঘটে, তবে তো আমাদের প্রত্যাবর্তন হবে সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন। কারণ আমাদের অস্থি,চর্ম-মজ্জা সব কিছুই পচনশীল অবস্থায় থাকবে।” তারা এইরূপ উক্তি করে অবিশ্বাসের কারণে বিদ্রূপাত্মক ভাবে। তাদের বিদ্রূপে কোন কিছুরই পরিবর্তন ঘটবে না। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, শেষ বিচারে অবশ্যই সকলকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। সেদিন তারা প্রচন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং দোযখই হবে তাদের শেষ পরিণতি।
আয়াতঃ 079.012
তবে তো এ প্রত্যাবর্তন সর্বনাশা হবে!
They say: ”It would in that case, be a return with loss!”
قَالُوا تِلْكَ إِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌ
Qaloo tilka ithan karratun khasiratun
YUSUFALI: They say: “It would, in that case, be a return with loss!”
PICKTHAL: They say: Then that would be a vain proceeding.
SHAKIR: They said: That then would be a return occasioning loss.
KHALIFA: They had said, “This is an impossible recurrence.”
১০। [ বর্তমানে ] তারা বলে, ” সে কি ! আমরা কি সত্যিই [ আমাদের ] পূর্বাবস্থায় ফিরে যাব ? ” ৫৯২৪
১১। ” সে কি ! যখন আমরা গলিত পচা হাড় হয়ে যাব [ তখনও ] ? ”
১২। তারা বলে, ” তাই-ই যদি হয়, তবে তো ইহা সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন। ”
৫৯২৪। পৃথিবীর জীবনে সত্য প্রত্যাখানকারীরা থাকে অবাধ্য, উদ্ধত এবং বিদ্রূপকারী। তাদেরই বিদ্রূপের ভাষা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মনোভাব এরূপ, ” হ্যাঁ, নিশ্চয়ই মৃত্যুই সকল কিছুর শেষ। যখন আমরা মুত্যুমুখে পতিত হব এবং কবরে নীত হব, সেখান থেকে কিভাবে আবার জীবিত অবস্থায় প্রত্যাবর্তিত হব ? ” তারা আরও বলে যে, ” যদি সত্যিই তাই ঘটে, তবে তো আমাদের প্রত্যাবর্তন হবে সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন। কারণ আমাদের অস্থি,চর্ম-মজ্জা সব কিছুই পচনশীল অবস্থায় থাকবে।” তারা এইরূপ উক্তি করে অবিশ্বাসের কারণে বিদ্রূপাত্মক ভাবে। তাদের বিদ্রূপে কোন কিছুরই পরিবর্তন ঘটবে না। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, শেষ বিচারে অবশ্যই সকলকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। সেদিন তারা প্রচন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং দোযখই হবে তাদের শেষ পরিণতি।
আয়াতঃ 079.013
অতএব, এটা তো কেবল এক মহা-নাদ,
But only, it will be a single Zajrah [shout (i.e., the second blowing of the Trumpet)]. (See Verse 37:19).
فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ
Fa-innama hiya zajratun wahidatun
YUSUFALI: But verily, it will be but a single (Compelling) Cry,
PICKTHAL: Surely it will need but one shout,
SHAKIR: But it shall be only a single cry,
KHALIFA: All it takes is one nudge.
১৩। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে,তা হবে একটি মাত্র আওয়াজ ৫৯২৫,
৫৯২৫। বিচার দিবস শুধুমাত্র একটি বিকট শব্দের অপেক্ষা মাত্র যার উল্লেখ আছে, সূরা [ ৩৭ : ১ ৯ ] এবং সূরা [ ৩৬ : ২৯, ৪৯ ] আয়াতে। এই বিকট শব্দ দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, হঠাৎ করেই পাপীদের ইহজীবনের লীলা খেলা শেষ করে দেয়া হবে এবং পরলোকের জীবনে নীত করা হবে যেখানে তাদের বিচার করা হবে। দেখুন সূরা [ ৩৬ : ৫৩ ] আয়াত যেখানে শেষ বিচারের নীত হওয়ার উল্লেখ আছে।
আয়াতঃ 079.014
তখনই তারা ময়দানে আবির্ভূত হবে।
When, behold, they find themselves over the earth alive after their death,
فَإِذَا هُم بِالسَّاهِرَةِ
Fa-itha hum bialssahirati
YUSUFALI: When, behold, they will be in the (full) awakening (to Judgment).
PICKTHAL: And lo! they will be awakened.
SHAKIR: When lo! they shall be wakeful.
KHALIFA: Whereupon they get up.
১৪। যখন তারা [ বিচারের ] জন্য থাকবে [ পূর্ণ ] সচেতনতায় ৫৯২৬
৫৯২৬। মৃত্যুর সময় থেকে পরবর্তী অবস্থাকে ব্যক্তির জন্য ছোট কেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করা যায়। দেখুন সূরা [ ৭৮ : ৪০ ] আয়াতের টিকা ৫৯১৪ ও সূরা [ ৭৫ : ২২ ] আয়াতের টিকা ৫৮২২ এবং সূরা [ ৭ : ৩৭] আয়াত। যখন প্রকৃত কেয়ামত সংঘটিত হবে তখন পুরানো চেনাজানা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে এবং সকলের পুনরুত্থান ঘটবে। মৃত্যু পরবর্তী ছোট কেয়ামত বা বিচারকে কবর আযাব বলা হয়।
আয়াতঃ 079.015
মূসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌছেছে কি?
Has there come to you the story of Mûsa (Moses)?
هَلْ أتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى
Hal ataka hadeethu moosa
YUSUFALI: Has the story of Moses reached thee?
PICKTHAL: Hath there come unto thee the history of Moses?
SHAKIR: Has not there come to you the story of Musa?
KHALIFA: Have you known about the history of Moses?
১৫। তোমার নিকট কি মুসার কাহিনী পৌঁছেছে ? ৫৯২৭
৫৯২৭। হযরত মুসার কাহিনী সূরা [ ২০ : ৯- ৭৬ ] আয়াতে বিশদ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই আয়াতে সংক্ষেপে যে উপদেশ দান করা হয়েছে তা নিম্নরূপ :
১) আল্লাহ্ সর্বোচ্চ প্রত্যাখানকারী, নিন্দাকারী, এমনকি ফেরাউনের ন্যায় প্রত্যাখানকারীর জন্যও আল্লাহ্র করুণা ও ক্ষমার দরজা অবারিত। হযরত মুসার মাধ্যমে ফেরাউনকে আল্লাহ্র করুণার বার্তা প্রেরণ করা হয়।
২) ফেরাউনের প্রত্যাখানের ফলে এই পৃথিবীতেই তার পতন ঘটে; ঠিক সেরূপ যারা আল্লাহ্র আইনকে প্রত্যাখান করে তাদেরও পতনও এই পৃথিবীতেই ঘটতে পারে।
৩) পাপীদের লাঞ্ছনার পরিপূর্ণতা লাভ করবে পরলোকের জীবনে, শেষ বিচারের পরে।
আয়াতঃ 079.016
যখন তার পালনকর্তা তাকে পবিত্র তুয়া উপ্যকায় আহবান করেছিলেন,
When his Lord called him in the sacred valley of Tûwa,
إِذْ نَادَاهُ رَبُّهُ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
Ith nadahu rabbuhu bialwadi almuqaddasi tuwan
YUSUFALI: Behold, thy Lord did call to him in the sacred valley of Tuwa:-
PICKTHAL: How his Lord called him in the holy vale of Tuwa,
SHAKIR: When his Lord called upon him in the holy valley, twice,
KHALIFA: His Lord called him at the holy valley of Tuwaa.
১৬। স্মরণ কর, তোমার প্রভু তাকে পবিত্র তুওয়া উপত্যকায় আহ্বান করেছিলেন, ৫৯২৮
৫৯২৮। দেখুন [ ২০ : ১২ ] আয়াত
আয়াতঃ 079.017
ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে।
Go to Fir’aun (Pharaoh), verily, he has transgressed all bounds (in crimes, sins, polytheism, disbelief, etc.).
اذْهَبْ إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى
Ithhab ila firAAawna innahu tagha
YUSUFALI: “Go thou to Pharaoh for he has indeed transgressed all bounds:
PICKTHAL: (Saying:) Go thou unto Pharaoh – Lo! he hath rebelled –
SHAKIR: Go to Firon, surely he has become inordinate.
KHALIFA: “Go to Pharaoh; he has transgressed.”
১৭। ” ফেরাউনের নিকট যাও, নিশ্চয়ই সে সকল সীমা অতিক্রম করেছে, ৫৯২৯।
৫৯২৯। দেখুন [ ২০ : ২৪ ] আয়াত
আয়াতঃ 079.018
অতঃপর বলঃ তোমার পবিত্র হওয়ার আগ্রহ আছে কি?
And say to him: ”Would you purify yourself (from the sin of disbelief by becoming a believer)”,
فَقُلْ هَل لَّكَ إِلَى أَن تَزَكَّى
Faqul hal laka ila an tazakka
YUSUFALI: “And say to him, ‘Wouldst thou that thou shouldst be purified (from sin)?-
PICKTHAL: And say (unto him): Hast thou (will) to grow (in grace)?
SHAKIR: Then say: Have you (a desire) to purify yourself:
KHALIFA: Tell him, “Would you not reform?
১৮। ” এবং তাকে বল, ‘তুমি কি [পাপ থেকে ] পরিশুদ্ধ হতে চাও ? –
১৯। ” আর আমি তোমাকে তোমার প্রতিপালকের দিকে পথ প্রদর্শন করি যাতে তুমি তাঁকে ভয় কর? ৫৯৩০ ”
৫৯৩০। এই বাক্যটি হযরত মুসাকে বলতে বলা হয়েছিলো ফেরাউনকে। পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী নৃপতি ক্ষমতা ও সম্পদের দম্ভে আচ্ছন্ন হয়ে আল্লাহকে ভুলে ছিলো। আল্লাহ্ তাকেও পথের নিদর্শন দেয়ার জন্য হযরত মুসাকে প্রেরণ করেন এবং তাঁর করুণা, রহমত অর্পন করেন।
আয়াতঃ 079.019
আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাকে ভয় কর।
And that I guide you to your Lord, so you should fear Him?
وَأَهْدِيَكَ إِلَى رَبِّكَ فَتَخْشَى
Waahdiyaka ila rabbika fatakhsha
YUSUFALI: “‘And that I guide thee to thy Lord, so thou shouldst fear Him?’”
PICKTHAL: Then I will guide thee to thy Lord and thou shalt fear (Him).
SHAKIR: And I will guide you to your Lord so that you should fear.
KHALIFA: “Let me guide you to your Lord, that you may turn reverent.”
১৮। ” এবং তাকে বল, ‘তুমি কি [পাপ থেকে ] পরিশুদ্ধ হতে চাও ? –
১৯। ” আর আমি তোমাকে তোমার প্রতিপালকের দিকে পথ প্রদর্শন করি যাতে তুমি তাঁকে ভয় কর? ৫৯৩০ ”
৫৯৩০। এই বাক্যটি হযরত মুসাকে বলতে বলা হয়েছিলো ফেরাউনকে। পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী নৃপতি ক্ষমতা ও সম্পদের দম্ভে আচ্ছন্ন হয়ে আল্লাহকে ভুলে ছিলো। আল্লাহ্ তাকেও পথের নিদর্শন দেয়ার জন্য হযরত মুসাকে প্রেরণ করেন এবং তাঁর করুণা, রহমত অর্পন করেন।
আয়াতঃ 079.020
অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল।
Then [Mûsa (Moses)] showed him the great sign (miracles).
فَأَرَاهُ الْآيَةَ الْكُبْرَى
Faarahu al-ayata alkubra
YUSUFALI: Then did (Moses) show him the Great Sign.
PICKTHAL: And he showed him the tremendous token.
SHAKIR: So he showed him the mighty sign.
KHALIFA: He then showed him the great miracle.
২০। অতঃপর সে [মুসা ] তাকে মহা নিদর্শন প্রদর্শন করলো ৫৯৩১।
৫৯৩১। মহা নিদর্শন দ্বারা কোন নিদর্শনকে বুঝানো হয়েছে ? কিছু সংখ্যক তফসীরকারের মতে তা হবে, ” উজ্জ্বল সাদা হাত ” দেখুন [ ২০ : ২২ – ২৩ ] আয়াতের টিকা ২৫৫০। আবার অনেকে বলেন এটা হবে হযরত মুসার লাঠি যা সাপে রূপান্তরিত হয়ে নড়া-চড়া করতো। দেখুন [২০ : ২০] আয়াতের টিকা ২৫৪৯। এগুলি ছিলো সূরা [ ২০: ২৩ ] আয়াতে উল্লেখিত নিদর্শন সমূহের অন্যতম। সূরা [ ১৭ : ১০১] আয়াতে হযরত মুসার নয়টি মোজেজার উল্লেখ আছে। এই নয়টি মোজেজার বিশদ বিবরণ আছে সূরা [ ৭ : ১৩৩ ] আয়াতের টিকাতে ১০৯১। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে নিদর্শন বা মোজেজা যাই-ই হোক না কেন, ফেরাউনের ন্যায় অবাধ্য উদ্ধত অহংকারীরা তা গ্রহণ করবে না যা বলা হয়েছে [ ৭: ১৩৩ ] আয়াতে এভাবে, ” তারপরেও তারা গর্ব করতে থাকলো। বস্তুতঃ তারা ছিলো অপরাধপ্রবণ।”
আয়াতঃ 079.021
কিন্তু সে মিথ্যারোপ করল এবং অমান্য করল।
But [Fir’aun (Pharaoh)] belied and disobeyed;
فَكَذَّبَ وَعَصَى
Fakaththaba waAAasa
YUSUFALI: But (Pharaoh) rejected it and disobeyed (guidance);
PICKTHAL: But he denied and disobeyed,
SHAKIR: But he rejected (the truth) and disobeyed.
KHALIFA: But he disbelieved and rebelled.
২১। কিন্তু ফেরাউন প্রত্যাখান করলো [পথ নির্দ্দেশ ] এবং অমান্য করলো ;
২২। উপরন্তু,সে পিছনে ফিরে গেলো, [আল্লাহ্র ] বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রামের জন্য
২৩। অতঃপর সে [ তার লোকজনকে ] সমবেত করেছিলো, এবং ঘোষণা করেছিলো,
২৪। এবং বলেছিলো, ” আমি তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভু।”
২৫। অতঃপর আল্লাহ্ তাকে পরকালে ও ইহকালে কঠিন শাস্তিতে পাকড়াও করলেন ৫৯৩২
৫৯৩২। দেখুন [ ২০ : ৭৮- ৭৯ ] আয়াত এবং [ ৭ : ১৩ ৫ – ১৩৭ ]।
আয়াতঃ 079.022
অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল।
Then he turned his back, striving hard (against Allâh).
ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَى
Thumma adbara yasAAa
YUSUFALI: Further, he turned his back, striving hard (against Allah).
PICKTHAL: Then turned he away in haste,
SHAKIR: Then he went back hastily.
KHALIFA: Then he turned away in a hurry.
২১। কিন্তু ফেরাউন প্রত্যাখান করলো [পথ নির্দ্দেশ ] এবং অমান্য করলো ;
২২। উপরন্তু,সে পিছনে ফিরে গেলো, [আল্লাহ্র ] বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রামের জন্য
২৩। অতঃপর সে [ তার লোকজনকে ] সমবেত করেছিলো, এবং ঘোষণা করেছিলো,
২৪। এবং বলেছিলো, ” আমি তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভু।”
২৫। অতঃপর আল্লাহ্ তাকে পরকালে ও ইহকালে কঠিন শাস্তিতে পাকড়াও করলেন ৫৯৩২
৫৯৩২। দেখুন [ ২০ : ৭৮- ৭৯ ] আয়াত এবং [ ৭ : ১৩ ৫ – ১৩৭ ]।
আয়াতঃ 079.023
সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল,
Then he gathered his people and cried aloud,
فَحَشَرَ فَنَادَى
Fahashara fanada
YUSUFALI: Then he collected (his men) and made a proclamation,
PICKTHAL: Then gathered he and summoned
SHAKIR: Then he gathered (men) and called out.
KHALIFA: He summoned and proclaimed.
২১। কিন্তু ফেরাউন প্রত্যাখান করলো [পথ নির্দ্দেশ ] এবং অমান্য করলো ;
২২। উপরন্তু,সে পিছনে ফিরে গেলো, [আল্লাহ্র ] বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রামের জন্য
২৩। অতঃপর সে [ তার লোকজনকে ] সমবেত করেছিলো, এবং ঘোষণা করেছিলো,
২৪। এবং বলেছিলো, ” আমি তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভু।”
২৫। অতঃপর আল্লাহ্ তাকে পরকালে ও ইহকালে কঠিন শাস্তিতে পাকড়াও করলেন ৫৯৩২
৫৯৩২। দেখুন [ ২০ : ৭৮- ৭৯ ] আয়াত এবং [ ৭ : ১৩ ৫ – ১৩৭ ]।
আয়াতঃ 079.024
এবং বললঃ আমিই তোমাদের সেরা পালনকর্তা।
Saying: ”I am your lord, most high”,
فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَى
Faqala ana rabbukumu al-aAAla
YUSUFALI: Saying, “I am your Lord, Most High”.
PICKTHAL: And proclaimed: “I (Pharaoh) am your Lord the Highest.”
SHAKIR: Then he said: I am your lord, the most high.
KHALIFA: He said, “I am your Lord; most high.”
২১। কিন্তু ফেরাউন প্রত্যাখান করলো [পথ নির্দ্দেশ ] এবং অমান্য করলো ;
২২। উপরন্তু,সে পিছনে ফিরে গেলো, [আল্লাহ্র ] বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রামের জন্য
২৩। অতঃপর সে [ তার লোকজনকে ] সমবেত করেছিলো, এবং ঘোষণা করেছিলো,
২৪। এবং বলেছিলো, ” আমি তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভু।”
২৫। অতঃপর আল্লাহ্ তাকে পরকালে ও ইহকালে কঠিন শাস্তিতে পাকড়াও করলেন ৫৯৩২
৫৯৩২। দেখুন [ ২০ : ৭৮- ৭৯ ] আয়াত এবং [ ৭ : ১৩ ৫ – ১৩৭ ]।
আয়াতঃ 079.025
অতঃপর আল্লাহ তাকে পরকালের ও ইহকালের শাস্তি দিলেন।
So Allâh, seized him with punishment for his last [i.e. his saying: ”I am your lord, most high”) (see Verse 79:24)] and first [(i.e. his saying, ”O chiefs! I know not that you have a god other than I” (see Verse 28:38)] transgression.
فَأَخَذَهُ اللَّهُ نَكَالَ الْآخِرَةِ وَالْأُولَى
Faakhathahu Allahu nakala al-akhirati waal-oola
YUSUFALI: But Allah did punish him, (and made an) example of him, – in the Hereafter, as in this life.
PICKTHAL: So Allah seized him (and made him) an example for the after (life) and for the former.
SHAKIR: So Allah seized him with the punishment of the hereafter and the former life.
KHALIFA: Consequently, GOD committed him to the retribution in the Hereafter, as well as in the first life.
২১। কিন্তু ফেরাউন প্রত্যাখান করলো [পথ নির্দ্দেশ ] এবং অমান্য করলো ;
২২। উপরন্তু,সে পিছনে ফিরে গেলো, [আল্লাহ্র ] বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রামের জন্য
২৩। অতঃপর সে [ তার লোকজনকে ] সমবেত করেছিলো, এবং ঘোষণা করেছিলো,
২৪। এবং বলেছিলো, ” আমি তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভু।”
২৫। অতঃপর আল্লাহ্ তাকে পরকালে ও ইহকালে কঠিন শাস্তিতে পাকড়াও করলেন ৫৯৩২
৫৯৩২। দেখুন [ ২০ : ৭৮- ৭৯ ] আয়াত এবং [ ৭ : ১৩ ৫ – ১৩৭ ]।
আয়াতঃ 079.026
যে ভয় করে তার জন্যে অবশ্যই এতে শিক্ষা রয়েছে।
Verily, in this is an instructive admonition for whosoever fears Allâh.
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَن يَخْشَى
Inna fee thalika laAAibratan liman yakhsha
YUSUFALI: Verily in this is an instructive warning for whosoever feareth (Allah).
PICKTHAL: Lo! herein is indeed a lesson for him who feareth.
SHAKIR: Most surely there is in this a lesson to him who fears.
KHALIFA: This is a lesson for the reverent.
২৬। অবশ্যই এতে রয়েছে শিক্ষণীয় সতর্কবাণী তার জন্য যে [আল্লাহকে ] ভয় করে ৫৯৩৩।
৫৯৩৩। দেখুন [ ২৪ : ৪৪ ]।
আয়াতঃ 079.027
তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন?
Are you more difficult to create, or is the heaven that He constructed?
أَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاء بَنَاهَا
Aantum ashaddu khalqan ami alssamao banaha
YUSUFALI: What! Are ye the more difficult to create or the heaven (above)? (Allah) hath constructed it:
PICKTHAL: Are ye the harder to create, or is the heaven that He built?
SHAKIR: Are you the harder to create or the heaven? He made it.
KHALIFA: Are you more difficult to create than the heaven? He constructed it.
রুকু – ২
২৭। কি ! তোমাদের সৃষ্টি করা বেশী কঠিন না [ উপরের ] আকাশ ? ৫৯৩৪ [আল্লাহ্ ] তা সৃষ্টি করেছেন।
৫৯৩৪। নগন্য মানুষ উদ্ধত অহংকারে তাঁর ক্ষুদ্রত্ব ভুলে যায়। অজ্ঞতা ও অবিমৃষ্যকারীতার জন্য সে ভুলে যায় যে, আল্লাহ্র নিকট সে ইহকালের কাজের জবাবদিহিদার জন্য আবদ্ধ। এই আয়াত সমূহে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্র সৃষ্টি বিশ্বব্রহ্মান্ডের বিশালত্বের সৃষ্টির তুলনায় মানুষ একটি ক্ষুদ্র বিন্দুর ন্যায় নগন্য। এই ক্ষুদ্র ও অসহায় মানুষ, সৃষ্টির সকল কিছুর উপরে যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পেরেছে, তা শুধুমাত্র আল্লাহ্র করুণাতেই সম্ভব হয়েছে। মানুষের বিভিন্ন মানসিক দক্ষতা সমূহ যেমন বুদ্ধিমত্তা,মেধা, সৃজনক্ষমতা প্রতিভা ইত্যাদি যার দ্বারা সে বিশ্বকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে, তা আল্লাহ্রই বিশেষ অনুগ্রহ, মানুষের জন্য। মানুষকে আল্লাহ্ সৃষ্টির সকল বস্তুর উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তার প্রতিনিধিত্ব দান করেছেন [২ : ৩০ – ৩৯ ]। পরবর্তী আয়াত সমূহ লক্ষ্য করুন। যেখানে সৃষ্টির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন আকাশ ও পৃথিবীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, এ সমস্তকেই মানুষের অধীন করে দেয়া হয়েছে।
আয়াতঃ 079.028
তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
He raised its height, and He has equally ordered it,
رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا
RafaAAa samkaha fasawwaha
YUSUFALI: On high hath He raised its canopy, and He hath given it order and perfection.
PICKTHAL: He raised the height thereof and ordered it;
SHAKIR: He raised high its height, then put it into a right good state.
KHALIFA: He raised its masses, and perfected it.
২৮। তিনি উহার ছাদকে সুউচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন ৫৯৩৫।
৫৯৩৫। দেখুন [ ২ : ২৯ ] আয়াত। বিশ্ব প্রকৃতি সৃষ্টির বর্ণনায় এই আয়াতে উম্মুক্ত অসীম নীল আকাশকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। নিঃসীম নীল আকাশের অসংখ্য তারকারাজি, গ্রহ-নক্ষত্র, পৃথিবী ও সূর্য -চন্দ্র প্রত্যেকেই স্রষ্টার প্রণীত আকাশের আইন মেনে চলে কেউ একচুল পরিমাণও স্বর্গীয় আইনের অমান্য করে না। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে নির্দ্দিষ্ট গতিতে পরস্পরের মাঝে সংঘর্ষ না ঘটিয়ে অবিরাম গতিতে নির্দ্দিষ্ট কক্ষপথকে অতিক্রম করে থাকে, যার ফলে পৃথিবীর আবহাওয়া ও তাপমন্ডলকে লক্ষ লক্ষ মাইল দূরে থেকে সূর্যের আলো প্রভাবিত করে থাকে। যার ফলে পৃথিবীতে ঋতুর পরিবর্তন ঘটে জোয়ার ভাটা হয় এবং পৃথিবী ফুল ও ফলে ভরে ওঠে। এ সবই নির্দ্দেশ করে সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পরিপূর্ণতার স্বাক্ষর। এ সব নিদর্শন দেখার পরেও কি কেউ বিশ্বস্রষ্টার ক্ষমতাকে অস্বীকার করতে পারে। অস্বীকার করতে পারে, ” সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ” – যা স্রষ্টা তাঁকে ‘ প্রতিনিধি ‘ হিসেবে দান করেছেন, তার জবাবদিহিতা ? সে কি অস্বীকার করতে পারে, ” শেষ বিচারের দিন” বা ভালোকে মন্দ থেকে আলাদা করার দিনকে?
আয়াতঃ 079.029
তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন।
Its night He covers with darkness, and its forenoon He brings out (with light).
وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَاهَا
Waaghtasha laylaha waakhraja duhaha
YUSUFALI: Its night doth He endow with darkness, and its splendour doth He bring out (with light).
PICKTHAL: And He made dark the night thereof, and He brought forth the morn thereof.
SHAKIR: And He made dark its night and brought out its light.
KHALIFA: He made its night dark, and brightened its morn.
২৯। এর রাত্রিকে তিনি অন্ধকারে বিভূষিত করেন এবং এর [ আলোকে ] প্রকাশ করেছেন দীপ্তিময় করে। ৫৯৩৬
৫৯৩৬। রাত্রি ও দিন প্রত্যেকেই স্ব স্ব বৈশিষ্ট্য মন্ডিত। রাত্রি ও দিনের প্রত্যেকেরই আছে নিজস্ব সৌন্দর্য এবং মানুষের জীবনে প্রতিটিরই প্রয়োজনীয়তা আছে। সে কারণে কোরাণে বহুবার রাত্রি ও দিনকে উপমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। রাত্রি হচ্ছে অন্ধকারের প্রতীক – তবু এই অন্ধকারচ্ছন্ন রাত্রি আলোকিত হয় চাঁদের আলোতে এবং রাত্রির পৃথিবীকে করে তোলে আলো আঁধারিত আচ্ছাদিত কমনীয় ও মোহনীয়। আবার চন্দ্রহীন অন্ধকার রাতের আকাশ তারার মেলাতে ঝলমল করে। রাতের আকাশের নক্ষত্রবীথির সৌন্দর্য যেরূপ মনোমুগ্ধকর, দিনের আকাশের সূর্যের আলোও সেরূপ উজ্জ্বল সৌন্দর্যমন্ডিত। মনে রাখতে হবে অসংখ্য তারকারাজির ন্যায় সূর্যও একটি তারকা বই আর কিছু নয়। এ ভাবেই স্রষ্টা রাত্রিকে আলোর বিভিন্ন মাত্রাতে আলোকিত করে থাকেন।
আয়াতঃ 079.030
পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।
And after that He spread the earth;
وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا
Waal-arda baAAda thalika dahaha
YUSUFALI: And the earth, moreover, hath He extended (to a wide expanse);
PICKTHAL: And after that He spread the earth,
SHAKIR: And the earth, He expanded it after that.
KHALIFA: He made the earth egg-shaped.
৩০। উপরন্তু, তিনি ভূমিকে করেছেন বিস্তৃত ৫৯৩৭
৫৯৩৭। দেখুন [ ৫১ : ১১ ] আয়াতের টিকা ৪৪৭৫।
আয়াতঃ 079.031
তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাম নির্গত করেছেন,
And brought forth therefrom its water and its pasture;
أَخْرَجَ مِنْهَا مَاءهَا وَمَرْعَاهَاc
Akhraja minha maaha wamarAAaha
YUSUFALI: He draweth out therefrom its moisture and its pasture;
PICKTHAL: And produced therefrom the water thereof and the pasture thereof,
SHAKIR: He brought forth from it its water and its pasturage.
KHALIFA: From it, He produced its own water and pasture.
৩১। তিনি তা থেকে বের করেন আর্দ্রতা ও এর তৃণভূমি ; ৫৯৩৮
৫৯৩৮। ভূগর্ভস্থ পানি যেমন, ঝরণা, কূপ, প্রস্রবণ, নদী ইত্যাদির পানি রূপে প্রবাহিত আবার উত্তর গোলার্ধে হিমাবহের যে পানি এবং নদীর স্রোতধারা, তার সৃষ্টি হয় ভূপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য অনুযায়ী। সুউচ্চ পর্বতসৃঙ্গে হিমাবহের সৃষ্টি হয়, এবং নদী প্রবাহিত হয় হিমাবহ গলিত পানির ধারা নিয়ে উচ্চ থেকে নিম্ন ভূমিতে। পৃথিবীকে জলসিঞ্চন দ্বারা শস্য শ্যামল করে রাখার জন্য স্রষ্টা ভূমিকে করেছেন উচ্চ ও নীচু। যেহেতু পানির গতি সর্বদা নিম্নাভিমূখী সে কারণে নদী উচ্চ স্থান থেকে নীচের দিকে প্রবাহিত হয়ে সমুদ্রে মিলিত হয়। আর এই নদীর কারণেই ভূপৃষ্ঠ হয় উর্বর এবং মানুষের যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। উর্বর শষ্য প্রান্তর মানুষকে দেয় খাদ্য শষ্য, ফল-মূল, শাক-শব্জি। গৃহপালিত পশুকে দেয় উপযোগী চারণভূমি। “পানি চক্রের ” মাধ্যমে স্রষ্টা এক অপূর্ব কৌশলে সমগ্র পৃথিবীর ভূমিকে জলসিঞ্চন করে থাকেন। দেখুন [২৫ : ৪৯] আয়াতের টিকা ৩১০৬ এবং [ ২৫ : ৫৩ ] আয়াতের টিকা ৩১১১।
আয়াতঃ 079.032
পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন,
And the mountains He has fixed firmly;
وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا
Waaljibala arsaha
YUSUFALI: And the mountains hath He firmly fixed;-
PICKTHAL: And He made fast the hills,
SHAKIR: And the mountains, He made them firm,
KHALIFA: He established the mountains.
৩২। এবং পর্বতসমূহকে করেছেন দৃঢ়ভাবে প্রোথিত ; ৫৯৩৯
৫৯৩৯। দেখুন [ ১৬ : ১৫ ] আয়াতের টিকা ২০৩৮। পর্বত হচ্ছে পৃথিবীর পানির আঁধার। এখান থেকে পানি ধীরে ধীরে পরিমাণমত নদী বাহিত হয়ে পৃথিবীকে সিঞ্চিত করে। এ ভাবেই “দৃঢ়ভাবে প্রোথিত” পর্বত মানুষ ও প্রাণীর জীবনের মূল নির্যাস পানির ধারক বাহক ও রক্ষকের ভূমিকা পালন করে। ভূঅভ্যন্তরস্থ চলমান শিলারাশিকে সঠিক ভাবে রাখার জন্য পর্বতকে সৃষ্টি করা হয়েছে যেনো ভূপৃষ্ঠ কম্পন থেকে রক্ষা পায়।
তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে।
(To be) a provision and benefit for you and your cattle.
مَتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
MataAAan lakum wali-anAAamikum
YUSUFALI: For use and convenience to you and your cattle.
PICKTHAL: A provision for you and for your cattle.
SHAKIR: A provision for you and for your cattle.
KHALIFA: All this to provide life support for you and your animals.
৩৩। তোমাদের এবং তোমাদের পশুসম্পদের ব্যবহার ও সুবিধার জন্য ৫৯৪০।
৫৯৪০। এই আয়াতটি পূর্ববর্তী আয়াত ৩০, ৩১, ও ৩২ নং এর ধারাবাহিকতা। এই বিশাল বিশ্বভূবনের সব কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের সুবিধার জন্য এবং মানুষের উপরে নির্ভরশীল প্রাণীকূলের জন্য। আল্লাহ্র দেয় অপূর্ব নেয়ামত সমূহ এবং এসব নেয়ামত ব্যবহার নির্ভর করে মানুষের বুদ্ধিমত্তা,জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উপরে ; যে জ্ঞান ও প্রজ্ঞাও আল্লাহ্র বিশেষ দান।
আয়াতঃ 079.033
তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে।
(To be) a provision and benefit for you and your cattle.
مَتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
MataAAan lakum wali-anAAamikum
YUSUFALI: For use and convenience to you and your cattle.
PICKTHAL: A provision for you and for your cattle.
SHAKIR: A provision for you and for your cattle.
KHALIFA: All this to provide life support for you and your animals.
৩৩। তোমাদের এবং তোমাদের পশুসম্পদের ব্যবহার ও সুবিধার জন্য ৫৯৪০।
৫৯৪০। এই আয়াতটি পূর্ববর্তী আয়াত ৩০, ৩১, ও ৩২ নং এর ধারাবাহিকতা। এই বিশাল বিশ্বভূবনের সব কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের সুবিধার জন্য এবং মানুষের উপরে নির্ভরশীল প্রাণীকূলের জন্য। আল্লাহ্র দেয় অপূর্ব নেয়ামত সমূহ এবং এসব নেয়ামত ব্যবহার নির্ভর করে মানুষের বুদ্ধিমত্তা,জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উপরে ; যে জ্ঞান ও প্রজ্ঞাও আল্লাহ্র বিশেষ দান।
আয়াতঃ 079.034
অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে।
But when there comes the greatest catastrophe (i.e. the Day of Recompense, etc.),
فَإِذَا جَاءتِ الطَّامَّةُ الْكُبْرَى
Fa-itha jaati alttammatu alkubra
YUSUFALI: Therefore, when there comes the great, overwhelming (Event),-
PICKTHAL: But when the great disaster cometh,
SHAKIR: But when the great predominating calamity comes;
KHALIFA: Then, when the great blow comes.
৩৪। সুতারাং যখন সেই ভীষণ বিপর্যস্তকারী [ ঘটনা ] আসবে, ৫৯৪১
৫৯৪১। বিচার দিবস, যেদিন ভালোকে মন্দ থেকে আলাদা করা হবে। প্রতিটি কর্মের প্রকৃত সত্যকে প্রকাশ করা হবে। ভীষণ বিপর্যয়কারী ঘটনা দ্বারা বিচার দিবসকে বুঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 079.035
অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম স্মরণ করবে
The Day when man shall remember what he strove for,
يَوْمَ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ مَا سَعَى
Yawma yatathakkaru al-insanu ma saAAa
YUSUFALI: The Day when man shall remember (all) that he strove for,
PICKTHAL: The day when man will call to mind his (whole) endeavour,
SHAKIR: The day on which man shall recollect what he strove after,
KHALIFA: That is the day when the human will remember everything he did.
৩৫। সেদিন,মানুষ যার জন্য পূর্বে সংগ্রাম করেছে, সব স্মরণ করতে পারবে, ৫৯৪২
৫৯৪২। পৃথিবীর বিচার সভায় ভালো বা মন্দ কর্মকে বিচার করা হয়, কিন্তু কর্মের নিয়তকে ধর্তব্যের মধ্যে আনা হয় না। কিন্তু আল্লাহ্র বিচার সভায় মানুষের প্রতিটি কর্ম এবং কর্মের নিয়তকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করা হবে। যার জন্য সে চেষ্টা করেছে এই চেষ্টা শারীরিক বা মানসিক যাই-ই হোক না কেন। মানুষের স্বভাব ধর্ম হচ্ছে মানুষ তার কুকর্ম ভুলে যেতে ভালোবাসে। কিন্তু শেষ বিচার সভায় মানুষ তার সমগ্র জীবনের খুঁটিনাটি স্মরণ করতে সক্ষম হবে। শুধু যে স্মরণ করতেই সক্ষম হবে তাই-ই নয়, জাহান্নামকেও তার সম্মুখে প্রদর্শিত করা হবে। শুধু যে তার সম্মুখেই জাহান্নামকে উম্মুক্ত করা হবে তা নয়, সকল দর্শক বৃন্দও তা দেখতে পাবে।
আয়াতঃ 079.036
এবং দর্শকদের জন্যে জাহান্নাম প্রকাশ করা হবে,
And Hell-fire shall be made apparent in full view for (every) one who sees,
وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِمَن يَرَى
Waburrizati aljaheemu liman yara
YUSUFALI: And Hell-Fire shall be placed in full view for (all) to see,-
PICKTHAL: And hell will stand forth visible to him who seeth,
SHAKIR: And the hell shall be made manifest to him who sees
KHALIFA: Hell will be brought into existence.
৩৬। এবং [ সকলের ] দর্শনের জন্য জাহান্নামের আগুনকে প্রকাশ করা হবে। ৫৯৪৩
৫৯৪৩। দেখুন সূরা [ ২৬ : ৯১ ] আয়াত।
আয়াতঃ 079.037
তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে;
Then, for him who Taghâ (transgressed all bounds, in disbelief, oppression and evil deeds of disobedience to Allâh).
فَأَمَّا مَن طَغَى
Faamma man tagha
YUSUFALI: Then, for such as had transgressed all bounds,
PICKTHAL: Then, as for him who rebelled
SHAKIR: Then as for him who is inordinate,
KHALIFA: As for the one who transgressed.
৩৭। অতঃপর যারা সকল সীমালংঘন করেছিলো,
৩৮। এবং পৃথিবীর এই জীবনকে অধিকতর পছন্দ করেছিলো, ৫৯৪৪
৩৯। তাদের আবাস হবে জাহান্নাম।
৫৯৪৪। যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে এবং একগুঁয়ে ভাবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং “সীমালংঘন করে ” – তাদের জন্য নির্ধারিত আছে শাস্তি। সীমালংঘনকারীরা পার্থিব জীবনকে ভালোবাসে। এই জীবনের ভোগ বিলাস তাদের পরলোকের জীবনকে ভুলিয়ে দেয় এবং তাদের করে তোলে উদ্ধত, অহংকারী ও গর্বিত। অপরপক্ষে, যারা পার্থিব জীবনের অপেক্ষা পরলোকের জীবনকে অধিক গুরুত্ব দান করে থাকেন,তাঁরা তাদের মানবিক দুর্বলতা ও দোষত্রুটির জন্য, অনুতাপের মাধ্যমে আল্লাহ্র ক্ষমা প্রার্থী হয়। ফলে তাদের দোষত্রুটি পরিশুদ্ধ হয়ে তাদের ভালো কাজের পাল্লা ভারী করে। দেখুন আয়াত [ ১০১ : ৬-৯]। যার ভালো কাজের পাল্লা ভারী সেই তো পরলোকে মুক্তি লাভ করবে।
আয়াতঃ 079.038
এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে,
And preferred the life of this world (by following his evil desires and lusts),
وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا
Waathara alhayata alddunya
YUSUFALI: And had preferred the life of this world,
PICKTHAL: And chose the life of the world,
SHAKIR: And prefers the life of this world,
KHALIFA: Who was preoccupied with this life.
৩৭। অতঃপর যারা সকল সীমালংঘন করেছিলো,
৩৮। এবং পৃথিবীর এই জীবনকে অধিকতর পছন্দ করেছিলো, ৫৯৪৪
৩৯। তাদের আবাস হবে জাহান্নাম।
৫৯৪৪। যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে এবং একগুঁয়ে ভাবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং “সীমালংঘন করে ” – তাদের জন্য নির্ধারিত আছে শাস্তি। সীমালংঘনকারীরা পার্থিব জীবনকে ভালোবাসে। এই জীবনের ভোগ বিলাস তাদের পরলোকের জীবনকে ভুলিয়ে দেয় এবং তাদের করে তোলে উদ্ধত, অহংকারী ও গর্বিত। অপরপক্ষে, যারা পার্থিব জীবনের অপেক্ষা পরলোকের জীবনকে অধিক গুরুত্ব দান করে থাকেন,তাঁরা তাদের মানবিক দুর্বলতা ও দোষত্রুটির জন্য, অনুতাপের মাধ্যমে আল্লাহ্র ক্ষমা প্রার্থী হয়। ফলে তাদের দোষত্রুটি পরিশুদ্ধ হয়ে তাদের ভালো কাজের পাল্লা ভারী করে। দেখুন আয়াত [ ১০১ : ৬-৯]। যার ভালো কাজের পাল্লা ভারী সেই তো পরলোকে মুক্তি লাভ করবে।
আয়াতঃ 079.039
তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
Verily, his abode will be Hell-fire;
فَإِنَّ الْجَحِيمَ هِيَ الْمَأْوَى
Fa-inna aljaheema hiya alma/wa
YUSUFALI: The Abode will be Hell-Fire;
PICKTHAL: Lo! hell will be his home.
SHAKIR: Then surely the hell, that is the abode.
KHALIFA: Hell will be the abode.
৩৭। অতঃপর যারা সকল সীমালংঘন করেছিলো,
৩৮। এবং পৃথিবীর এই জীবনকে অধিকতর পছন্দ করেছিলো, ৫৯৪৪
৩৯। তাদের আবাস হবে জাহান্নাম।
৫৯৪৪। যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে এবং একগুঁয়ে ভাবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং “সীমালংঘন করে ” – তাদের জন্য নির্ধারিত আছে শাস্তি। সীমালংঘনকারীরা পার্থিব জীবনকে ভালোবাসে। এই জীবনের ভোগ বিলাস তাদের পরলোকের জীবনকে ভুলিয়ে দেয় এবং তাদের করে তোলে উদ্ধত, অহংকারী ও গর্বিত। অপরপক্ষে, যারা পার্থিব জীবনের অপেক্ষা পরলোকের জীবনকে অধিক গুরুত্ব দান করে থাকেন,তাঁরা তাদের মানবিক দুর্বলতা ও দোষত্রুটির জন্য, অনুতাপের মাধ্যমে আল্লাহ্র ক্ষমা প্রার্থী হয়। ফলে তাদের দোষত্রুটি পরিশুদ্ধ হয়ে তাদের ভালো কাজের পাল্লা ভারী করে। দেখুন আয়াত [ ১০১ : ৬-৯]। যার ভালো কাজের পাল্লা ভারী সেই তো পরলোকে মুক্তি লাভ করবে।
আয়াতঃ 079.040
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে,
But as for him who feared standing before his Lord, and restrained himself from impure evil desires, and lusts.
وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى
Waama man khafa maqama rabbihi wanaha alnnafsa AAani alhawa
YUSUFALI: And for such as had entertained the fear of standing before their Lord’s (tribunal) and had restrained (their) soul from lower desires,
PICKTHAL: But as for him who feared to stand before his Lord and restrained his soul from lust,
SHAKIR: And as for him who fears to stand in the presence of his Lord and forbids the soul from low desires,
KHALIFA: As for the one who reverenced the majesty of his Lord, and enjoined the self from sinful lusts.
৪০। এবং যারা স্বীয় প্রভুর সম্মুখে [বিচারের ] ভয় করে ৫৯৪৫ ; এবং রীপুর আকাঙ্খা থেকে তাদের আত্মাকে সংযত রাখে,
৪১। তাদের আবাস হবে বেহেশত
৫৯৪৫। এখানে সমান্তরাল ভাবে দুই শ্রেণীর লোকের তুলনা করা হয়েছে। এক শ্রেণীর লোক আছে যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র আইন অমান্য করে এদের বৈশিষ্ট্য হবে,তারা পার্থিব জীবনকে এবং এর ভোগ বিলাসকে অতিরিক্তি ভালোবাসে। এদের জন্যই পরলোকে রয়েছে মহাশাস্তি। অপরপক্ষে অন্য শ্রেণীর লোকেরা পরলোকে প্রতিপালকের বিচারের ভয় করে এবং বিনয়াবনত ভাবে আল্লাহ্র ক্ষমাপ্রার্থী হয় এবং নিজেকে মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখে এবং প্রবৃত্তি বা রীপুসমূহকে সংযত করে। এদের জন্য পরলোকে আছে বেহেশতের বাগান। দেখুন উপরের টিকা।
আয়াতঃ 079.041
তার ঠিকানা হবে জান্নাত।
Verily, Paradise will be his abode.
فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى
Fa-inna aljannata hiya alma/wa
YUSUFALI: Their abode will be the Garden.
PICKTHAL: Lo! the Garden will be his home.
SHAKIR: Then surely the garden– that is the abode.
KHALIFA: Paradise will be the abode.
৪০। এবং যারা স্বীয় প্রভুর সম্মুখে [বিচারের ] ভয় করে ৫৯৪৫ ; এবং রীপুর আকাঙ্খা থেকে তাদের আত্মাকে সংযত রাখে,
৪১। তাদের আবাস হবে বেহেশত
৫৯৪৫। এখানে সমান্তরাল ভাবে দুই শ্রেণীর লোকের তুলনা করা হয়েছে। এক শ্রেণীর লোক আছে যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র আইন অমান্য করে এদের বৈশিষ্ট্য হবে,তারা পার্থিব জীবনকে এবং এর ভোগ বিলাসকে অতিরিক্তি ভালোবাসে। এদের জন্যই পরলোকে রয়েছে মহাশাস্তি। অপরপক্ষে অন্য শ্রেণীর লোকেরা পরলোকে প্রতিপালকের বিচারের ভয় করে এবং বিনয়াবনত ভাবে আল্লাহ্র ক্ষমাপ্রার্থী হয় এবং নিজেকে মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখে এবং প্রবৃত্তি বা রীপুসমূহকে সংযত করে। এদের জন্য পরলোকে আছে বেহেশতের বাগান। দেখুন উপরের টিকা।
আয়াতঃ 079.042
তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে?
They ask you (O Muhammad (Peace be upon him)) about the Hour, – when will be its appointed time?
يَسْأَلُونَكَ عَنِ السَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَاهَا
Yas-aloonaka AAani alssaAAati ayyana mursaha
YUSUFALI: They ask thee about the Hour,-‘When will be its appointed time?
PICKTHAL: They ask thee of the Hour: when will it come to port?
SHAKIR: They ask you about the hour, when it will come.
KHALIFA: They ask you about the Hour, and when it will take place!
৪২। তারা তোমাকে কেয়ামত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে, “কখন আসবে সেই নির্দ্দিষ্ট সময় ? ” ৫৯৪৬
৫৯৪৬। দেখুন [ ৭ : ১৮৭ ] আয়াত এবং টিকা ১১৫৯। কেয়ামতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্র নিকট। যদি মানুষ পূর্বে উহা জ্ঞাত হতো তবে তার ভার তাদের জন্য হতো অসহ্য।
আয়াতঃ 079.043
এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক ?
You have no knowledge to say anything about it,
فِيمَ أَنتَ مِن ذِكْرَاهَا
Feema anta min thikraha
YUSUFALI: Wherein art thou (concerned) with the declaration thereof?
PICKTHAL: Why (ask they)? What hast thou to tell thereof?
SHAKIR: About what! You are one to remind of it.
KHALIFA: It is not you (Muhammad) who is destined to announce its time.
৪৩। এর ঘোষণার সাথে তোমার কি সম্পর্ক ?
৪৪। তোমার প্রভুর নিকটই আছে [ কেয়ামতের জ্ঞানের ] শেষ সীমা ৫৯৪৭
৫৯৪৭। আমাদের সময় সম্বন্ধে যে ধারণা তা কোনও চরম সংখ্যা নয়। সময়ের ধারণা আপেক্ষিক। পরলোকে যে নূতন পৃথিবীর অভ্যূত্থান ঘটবে সেখানে সময় হবে স্থির বা সীমাহীন। সেই নূতন পৃথিবীতে বা হাশরের ময়দানে আমাদের বিচার হবে। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন হবেন আমাদের বিচারক। এ সম্বন্ধে জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্র। আল্লাহ্, যিনি সর্বোচ্চ জ্ঞানের অধিকারী, ন্যায় বিচারক এবং করুণাময় [ ১১ : ১০৭ -১০৮ ]। কিন্তু যদি আমরা সূরা [ ৭৮ : ৪০ ] আয়াতের টিকা ৫৯১৪ এর আলোচনা বিবেচনা করি,তবে কেয়ামত খুব দূরে নয়। কারণ সময়ের আপেক্ষিকতায় তা নিতান্তই নিকটে মনে হবে।
আয়াতঃ 079.044
এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে।
To your Lord belongs (the knowledge of) the term thereof?
إِلَى رَبِّكَ مُنتَهَاهَا
Ila rabbika muntahaha
YUSUFALI: With thy Lord in the Limit fixed therefor.
PICKTHAL: Unto thy Lord belongeth (knowledge of) the term thereof.
SHAKIR: To your Lord is the goal of it.
KHALIFA: Your Lord decides its fate.
৪৩। এর ঘোষণার সাথে তোমার কি সম্পর্ক ?
৪৪। তোমার প্রভুর নিকটই আছে [ কেয়ামতের জ্ঞানের ] শেষ সীমা ৫৯৪৭
৫৯৪৭। আমাদের সময় সম্বন্ধে যে ধারণা তা কোনও চরম সংখ্যা নয়। সময়ের ধারণা আপেক্ষিক। পরলোকে যে নূতন পৃথিবীর অভ্যূত্থান ঘটবে সেখানে সময় হবে স্থির বা সীমাহীন। সেই নূতন পৃথিবীতে বা হাশরের ময়দানে আমাদের বিচার হবে। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন হবেন আমাদের বিচারক। এ সম্বন্ধে জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্র। আল্লাহ্, যিনি সর্বোচ্চ জ্ঞানের অধিকারী, ন্যায় বিচারক এবং করুণাময় [ ১১ : ১০৭ -১০৮ ]। কিন্তু যদি আমরা সূরা [ ৭৮ : ৪০ ] আয়াতের টিকা ৫৯১৪ এর আলোচনা বিবেচনা করি,তবে কেয়ামত খুব দূরে নয়। কারণ সময়ের আপেক্ষিকতায় তা নিতান্তই নিকটে মনে হবে।
আয়াতঃ 079.045
যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন।
You (O Muhammad (Peace be upon him)) are only a warner for those who fear it,
إِنَّمَا أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخْشَاهَا
Innama anta munthiru man yakhshaha
YUSUFALI: Thou art but a Warner for such as fear it.
PICKTHAL: Thou art but a warner unto him who feareth it.
SHAKIR: You are only a warner to him who would fear it.
KHALIFA: Your mission is to warn those who expect it.
৪৫। যে উহার ভয় রাখে তুমি তো কেবল তাহার সতর্ককারী। ৫৯৪৮
৫৯৪৮। শেষ বিচার ও পরলোকের বিপদ সম্বন্ধে তাকেই সাবধান করা সম্ভব যে আল্লাহ্ ও পরলোকের জবাবদিহিতার বিশ্বাসী। এ সব লোক সতর্কবাণী শোনামাত্র অনুতপ্ত হয়। এ সব লোকদের সাহায্য করার জন্যই আল্লাহ্ রসুলদের যুগে যুগে প্রেরণ করে থাকেন।
আয়াতঃ 079.046
যেদিন তারা একে দেখবে, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক সকাল অবস্থান করেছে।
The Day they see it, (it will be) as if they had not tarried (in this world) except an afternoon or a morning.
كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا
Kaannahum yawma yarawnaha lam yalbathoo illa AAashiyyatan aw duhaha
YUSUFALI: The Day they see it, (It will be) as if they had tarried but a single evening, or (at most till) the following morn!
PICKTHAL: On the day when they behold it, it will be as if they had but tarried for an evening or the morn thereof.
SHAKIR: On the day that they see it, it will be as though they had not tarried but the latter part of a day or the early part of it.
KHALIFA: The day they see it, they will feel as if they lasted one evening or half a day.
৪৬। যে দিন তারা তা প্রত্যক্ষ করবে সে দিন তাদের মনে হবে যেনো পৃথিবীতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক প্রভাত অবস্থান করেছে। ৫৯৪৯
৫৯৪৯। দেখুন [ ১০ : ৪৫ ] আয়াত। যেখানে বলা হয়েছে, ” যেনো তারা অবস্থান করে দিনের একদন্ড ব্যতীত। ” এই আয়াতে উপমাটি বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে, ” যেনো উহারা পৃথিবীতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক প্রভাত অবস্থান করেছে।” এই উপমাটিকে এ ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। মৃত্যু হচ্ছে ঘুমেরই অন্যরূপ। ঘুমকে জীবনের সন্ধ্যা হিসেবে কল্পনা করলে মনে হবে জীবন সন্ধ্যায় কালরাত্রির ঘুম তাকে আচ্ছন্ন করে। ঘুমের মাঝে আমরা জানি না কি ভাবে সময় অতিবাহিত হয়। ঠিক সেইরূপ মৃত্যুর মাঝেও আমরা জানি না কিভাবে সময় অতিবাহিত হয়। পুণরুত্থানের মাধ্যমে আমরা যখন জেগে যাব আমরা সময়ের ধারণা বুঝতে পারবো না। আমরা কি একমূহুর্ত না ঘণ্টা না বহু সময় অতিক্রান্ত করেছি। তবে এটা আমাদের চেতনাতে আসবে যে সকাল হয়েছে – কারণ আমাদের চেতনাতে সকল কিছুই তখন ধরা দেবে, ঠিক রাত্রির ঘুম শেষ প্রভাতে,সতেজ চেতনাতে যেমন সব কিছু তীব্র তীক্ষ্ণ ভাবে অনুভূত হয়।