৫৯৮৩। এই আয়াতে এসে পরিসমাপ্তি বা সিদ্ধান্ত টানা হয়েছে। যে অবস্থার বর্ণনা উপরের আয়াত সমূহে করা হয়েছে সেই অবস্থাতে এসে আত্মার পরিপূর্ণ উপলব্ধি ঘটে। সে তখন জানতে পারে ” সে কি প্রেরণ করেছে।” [ ৭৮ : ৪০ ] আয়াত।
আয়াতঃ 081.015
আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো পশ্চাতে সরে যায়।
So verily, I swear by the planets that recede (i.e. disappear during the day and appear during the night).
فَلَا أُقْسِمُ بِالْخُنَّسِ
Fala oqsimu bialkhunnasi
YUSUFALI: So verily I call to witness the planets – that recede,
PICKTHAL: Oh, but I call to witness the planets,
SHAKIR: But nay! I swear by the stars,
KHALIFA: I solemnly swear by the galaxies.
১৫। সুতারাং আমি শপথ করি ৫৯৮৪ অপসৃয়মান নক্ষত্রের ; ৫৯৮৫
১৬। যারা সোজা চলে অথবা লুকিয়ে থাকে ;
৫৯৮৪। দেখুন [ ৫৬ : ৭৫ ] আয়াত ও টিকা ৫২৫৮। শপথ করা হয়েছে আকাশের নক্ষত্রের ও অন্যান্য স্বর্গীয় বস্তুর যা আল্লাহ্র ক্ষমতা, মহত্ব ও সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে। এ সব শপথের সাথে প্রত্যাদেশের আবির্ভাবকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। দেখুন সূরা [ ৭৪ : ৩২ ] আয়াতের টিকা ৫৭৯৮ যেখানে এই সব শপথের অন্তর্নিহিত সত্যকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
৫৯৮৫। এখানে তিনটি বস্তুর প্রতি শপথের আবেদন করা হয়েছে : নক্ষত্র, রাত্রি ও ঊষার লগ্ন। ১) নক্ষত্র যে গতিপথ অনুসরণ করে তার দরুণ কখনও সে আমাদের দৃষ্টিপথে ভাস্বর হয়, কখনও দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়, কখনও স্থির মনে হয়। লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রের জন্য আছে লক্ষ লক্ষ গতিপথ, তবুও তারা সুশৃঙ্খল এবং তারা সর্বদা নির্দ্দিষ্ট আইন মেনে চলে। স্রষ্টার রাজত্বে কোন বিশৃঙ্খলা নাই। এ সবই তো আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর।
আয়াতঃ 081.016
চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়,
And by the planets that move swiftly and hide themselves,
الْجَوَارِ الْكُنَّسِ
Aljawari alkunnasi
YUSUFALI: Go straight, or hide;
PICKTHAL: The stars which rise and set,
SHAKIR: That run their course (and) hide themselves,
KHALIFA: Precisely running in their orbits.
১৫। সুতারাং আমি শপথ করি ৫৯৮৪ অপসৃয়মান নক্ষত্রের ; ৫৯৮৫
১৬। যারা সোজা চলে অথবা লুকিয়ে থাকে ;
৫৯৮৪। দেখুন [ ৫৬ : ৭৫ ] আয়াত ও টিকা ৫২৫৮। শপথ করা হয়েছে আকাশের নক্ষত্রের ও অন্যান্য স্বর্গীয় বস্তুর যা আল্লাহ্র ক্ষমতা, মহত্ব ও সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে। এ সব শপথের সাথে প্রত্যাদেশের আবির্ভাবকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। দেখুন সূরা [ ৭৪ : ৩২ ] আয়াতের টিকা ৫৭৯৮ যেখানে এই সব শপথের অন্তর্নিহিত সত্যকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
৫৯৮৫। এখানে তিনটি বস্তুর প্রতি শপথের আবেদন করা হয়েছে : নক্ষত্র, রাত্রি ও ঊষার লগ্ন। ১) নক্ষত্র যে গতিপথ অনুসরণ করে তার দরুণ কখনও সে আমাদের দৃষ্টিপথে ভাস্বর হয়, কখনও দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়, কখনও স্থির মনে হয়। লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রের জন্য আছে লক্ষ লক্ষ গতিপথ, তবুও তারা সুশৃঙ্খল এবং তারা সর্বদা নির্দ্দিষ্ট আইন মেনে চলে। স্রষ্টার রাজত্বে কোন বিশৃঙ্খলা নাই। এ সবই তো আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর।
আয়াতঃ 081.017
শপথ নিশাবসান ও
And by the night as it departs;
وَاللَّيْلِ إِذَا عَسْعَسَ
Waallayli itha AAasAAasa
YUSUFALI: And the Night as it dissipates;
PICKTHAL: And the close of night,
SHAKIR: And the night when it departs,
KHALIFA: By the night as it falls.
১৭। এবং [ শপথ] নিশার যখন তা ক্রমশঃ অবসান হয় ; ৫৯৮৬
৫৯৮৬। রাত্রির অন্ধকার সর্বোচ্চ গাঢ় হয় রাত্রির মধ্যযামে। এর পরে ধীরে ধীরে অন্ধকার ফিকে হয়ে আসে এবং ঊষালগ্নে প্রত্যুষের আলোর রেখা দেখা দেয়। ঊষা হচ্ছে দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণ। এই ক্ষণের শপথ উচ্চারণ করা হয়েছে। ঊষার লগ্ন ধীরে ধীরে দিনের আলোকে উদ্ভাসিত হয় এবং ঊষা লগ্ন দিনের আলোতে অন্তর্হিত হয়ে পড়ে। ঠিক সেরূপ আধ্যাত্মিক জগতের অবস্থান। আল্লাহ্র হেদায়েত বিহীন আত্মা থাকে অন্ধকারে নিমজ্জিত ঘুমন্ত। প্রত্যাদেশের আলোতে আত্মার জাগরণ ঘটে। এই জাগরণকে তুলনা করা যায় ঊষা লগ্নের সাথে – যে লগ্ন রাত্রির অন্ধকারকে বিদূরিত করে দিনের আলোর সূচনা করে। ঠিক সেরূপ প্রত্যাদেশ আত্মার অন্ধকারকে বিদূরিত করে আত্মাকে হেদায়েতের আলোতে নিয়ে আসে।
আয়াতঃ 081.018
প্রভাত আগমন কালের,
And by the dawn as it brightens;
وَالصُّبْحِ إِذَا تَنَفَّسَ
Waalssubhi itha tanaffasa
YUSUFALI: And the Dawn as it breathes away the darkness;-
PICKTHAL: And the breath of morning
SHAKIR: And the morning when it brightens,
KHALIFA: And the morn as it breathes.
১৮। এবং [শপথ ] ঊষার আবির্ভাবের যখন তা মৃদু বাতাসের নিঃশ্বাসে অন্ধকারকে তাড়িয়ে দেয় ; ৫৯৮৭
৫৯৮৭। এখানে সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে ঊষার আগমনকে প্রকাশ করা হয়েছে। আবির্ভাব শব্দটি দ্বারা বুঝানো হয়েছে অন্ধকার থেকে প্রভাতের প্রথম আলোর ধীরে ধীরে প্রকাশ। ধীরে ধীরে অপঃসৃয়মান অন্ধকারকে সুন্দর রূপকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। রাত্রির অন্ধকার থেকে ঊষার আলোতে প্রবেশ লাভ হচ্ছে আধ্যাত্মিক অন্ধকার থেকে হেদায়েতের আলোতে ধীরে ধীরে প্রবেশ লাভের সমতুল্য, যা শুধুমাত্র আল্লাহ্র করুণা ও সদয় তত্বাবধানেই সম্ভব। আল্লাহ্র হেদায়েতের আলোর সাথে, অশুভ শক্তি, বা যাদুবিদ্যা বা ডাকিনী যোগীনীর কোনও সম্পর্ক নাই। সে সময়ে আরবের মোশরেক অজ্ঞ লোকেরা তিনটি প্রশ্নের উত্থাপন করেছিলো।