আয়াতঃ 075.020
কখনও না, বরং তোমরা পার্থিব জীবনকে ভালবাস
Not [as you think, that you (mankind) will not be resurrected and recompensed for your deeds], but (you men) love the present life of this world,
كَلَّا بَلْ تُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ
Kalla bal tuhibboona alAAajilata
YUSUFALI: Nay, (ye men!) but ye love the fleeting life,
PICKTHAL: Nay, but ye do love the fleeting Now
SHAKIR: Nay! But you love the present life,
KHALIFA: Indeed, you love this fleeting life.
২০। না, [ হে মানুষ ] তোমরা প্রকৃত পক্ষে বহমান [ এই ] জীবনকে ভালোবাস ৫৮২১,
২১। এবং পরলোককে উপেক্ষা কর।
৫৮২১। এই আয়াতটি পূর্ববর্তী ১৫, আয়াতের সাথে সম্পর্কিত। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ২১ : ৩৭]। প্রকৃতিগত ভাবেই মানুষের ধৈর্য্য কম। যে কোন ব্যাপারেই সে তাড়াহুড়ো করতে চায়। সে কারণেই সে পার্থিব অস্থায়ী জিনিষ,যা খুব সহজলভ্য তারই উপরে নিশ্চিতরূপে ভরসা করে, নির্ভর করতে চায়। কারণ সহজলভ্য জিনিষ খুব তাড়াতাড়ি অর্জন করা সম্ভব, তবে পার্থিব সকল কিছুই ক্ষণস্থায়ী। মৃত্যুর সাথে সাথে তার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরলোকের অনন্ত জীবন হচ্ছে স্থায়ী জীবন। যে জীবনের ব্যপ্তি ইহলোকের আধ্যাত্মিক জীবনের ধারাবাহিকতা থেকে অনন্ত পরলোকের জীবন পর্যন্ত পরিব্যপ্ত। কিন্তু পারলৌকিক জীবনের সাফল্য লাভ ঘটে ধীরে ধীরে। এই সাফল্যের শেষ পরিণতি লাভ হবে পরলোকের জীবনে। সুতারাং মানুষ আধ্যাত্মিক জীবনের এই ধীর সাফল্য অপেক্ষা পার্থিব জীবনের দ্রুত সাফল্যের প্রতি অধিক আগ্রহী। পূর্বের আয়াত সমূহে রাসুলকে (সা) উপদেশের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি ধৈর্য ও দৃঢ়তা এই উপদেশকে সার্বজনীন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 075.021
এবং পরকালকে উপেক্ষা কর।
And leave (neglect) the Hereafter.
وَتَذَرُونَ الْآخِرَةَ
Watatharoona al-akhirata
YUSUFALI: And leave alone the Hereafter.
PICKTHAL: And neglect the Hereafter.
SHAKIR: And neglect the hereafter.
KHALIFA: While disregarding the Hereafter.
২০। না, [ হে মানুষ ] তোমরা প্রকৃত পক্ষে বহমান [ এই ] জীবনকে ভালোবাস ৫৮২১,
২১। এবং পরলোককে উপেক্ষা কর।
৫৮২১। এই আয়াতটি পূর্ববর্তী ১৫, আয়াতের সাথে সম্পর্কিত। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ২১ : ৩৭]। প্রকৃতিগত ভাবেই মানুষের ধৈর্য্য কম। যে কোন ব্যাপারেই সে তাড়াহুড়ো করতে চায়। সে কারণেই সে পার্থিব অস্থায়ী জিনিষ,যা খুব সহজলভ্য তারই উপরে নিশ্চিতরূপে ভরসা করে, নির্ভর করতে চায়। কারণ সহজলভ্য জিনিষ খুব তাড়াতাড়ি অর্জন করা সম্ভব, তবে পার্থিব সকল কিছুই ক্ষণস্থায়ী। মৃত্যুর সাথে সাথে তার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরলোকের অনন্ত জীবন হচ্ছে স্থায়ী জীবন। যে জীবনের ব্যপ্তি ইহলোকের আধ্যাত্মিক জীবনের ধারাবাহিকতা থেকে অনন্ত পরলোকের জীবন পর্যন্ত পরিব্যপ্ত। কিন্তু পারলৌকিক জীবনের সাফল্য লাভ ঘটে ধীরে ধীরে। এই সাফল্যের শেষ পরিণতি লাভ হবে পরলোকের জীবনে। সুতারাং মানুষ আধ্যাত্মিক জীবনের এই ধীর সাফল্য অপেক্ষা পার্থিব জীবনের দ্রুত সাফল্যের প্রতি অধিক আগ্রহী। পূর্বের আয়াত সমূহে রাসুলকে (সা) উপদেশের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি ধৈর্য ও দৃঢ়তা এই উপদেশকে সার্বজনীন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 075.022
সেদিন অনেক মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে।
Some faces that Day shall be Nâdirah (shining and radiant).
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ
Wujoohun yawma-ithin nadiratun
YUSUFALI: Some faces, that Day, will beam (in brightness and beauty);-
PICKTHAL: That day will faces be resplendent,
SHAKIR: (Some) faces on that day shall be bright,
KHALIFA: Some faces, on that day, will be happy
২২। কিছু মুখ সেদিন [সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতায় ] দ্যুতি বিকিরণ করবে ; – ৫৮২২
২৩। তাদের প্রভুর দিকে তাকিয়ে থাকবে,
৫৮২২। অধিকাংশ ইসলামিক পন্ডিতগণের মতে এই আয়াতটি দ্বারা শেষ বিচারের দিনের পূর্ববর্তী ছোট বিচারকে বা অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। বিশেষতঃ [ ২৬ – ২৮] নং আয়াতের প্রসঙ্গ থেকে এই ধারণা লাভ করা যুক্তিসঙ্গত। এই ছোট বিচার বা অবস্থা যাকে কবর আযাব নামে আখ্যায়িত করা হয়, সংঘটিত হবে মৃত্যুর পরপরই যা চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত বিচার হবে শেষ বিচারের দিনে, যার বর্ণনা আছে ৫৪ নং সূরাতে। অন্যান্য আরও সূরাতে মৃত্যুর পর পরই পাপীরা যে অবস্থা প্রাপ্ত হবে তাদের বর্ণনা আছে যেমন আছে [ ৭ : ৩৭ ] আয়াতে। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে চূড়ান্ত বিচারের পূর্বে পাপীরা তিন ভাবে শাস্তির সম্মুখীন হবে :
১) তাদের পাপের শাস্তি এই পৃথিবীতেই শুরু হয়ে যেতে পারে অথবা তাদের আল্লাহ্ অবসর দেবেন যেনো তারা অনুতপ্ত হয়ে আত্মসংশোধনের সুযোগ লাভ করে। এটা হলো মৃত্যু পূর্ববর্তী অবস্থা।
২) মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থায় তাদের হবে প্রাপ্ত যন্ত্রণা যা কবর আযাব নামে অভিহিত। চূড়ান্ত বিচারের পূর্বেই এই যন্ত্রণার শুরু হবে। এবং
৩) শেষ বিচারের দিনে। তাদের পুনরুত্থান ঘটবে, যখন এই চেনা পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে। [ ১৪ : ৪৮] আয়াত।