৪। বস্তুত আমি তাদের অঙ্গুলির অগ্রভাগ পর্যন্ত পুণর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম। ৫৮১২
১২। ” অঙ্গুলির অগ্রভাগ পর্যন্ত ” এই বাক্যটি দ্বারা বুঝাতে চাওয়া হয়েছে যে, শরীরের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জটিল অংশেরও পুণঃসৃষ্টি আল্লাহ্র পক্ষে সম্ভব।
আয়াতঃ 075.005
বরং মানুষ তার ভবিষ্যত জীবনেও ধৃষ্টতা করতে চায়
Nay! (Man denies Resurrection and Reckoning. So) he desires to continue committing sins.
بَلْ يُرِيدُ الْإِنسَانُ لِيَفْجُرَ أَمَامَهُ
Bal yureedu al-insanu liyafjura amamahu
YUSUFALI: But man wishes to do wrong (even) in the time in front of him.
PICKTHAL: But man would fain deny what is before him.
SHAKIR: Nay! man desires to give the lie to what is before him.
KHALIFA: But the human being tends to believe only what he sees in front of him.
৫। তবুও মানুষ পাপ করতে চায়, [ এমনকি ] ভবিষ্যতেও ৫৮১৩,
৫৮১৩। “এমন কি ভবিষ্যতেও ” এই বাক্যটি দ্বারা যে মৃত্যু ও কেয়ামতকে বিশ্বাস করে না সে তার অতীত পাপের জন্য অনুতাপ করবে না। যে সব পাপী কেয়ামত দিবসকে অস্বীকার করে, বুঝতে হবে তাদের মাঝে বিবেক অনুপস্থিত, সুতারাং তারা তাদের পাপের পথে চলতে বদ্ধ পরিকর যা তাদের ভবিষ্যতকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করবে।
আয়াতঃ 075.006
সে প্রশ্ন করে-কেয়ামত দিবস কবে?
He asks: ”When will be this Day of Resurrection?”
يَسْأَلُ أَيَّانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ
Yas-alu ayyana yawmu alqiyamati
YUSUFALI: He questions: “When is the Day of Resurrection?”
PICKTHAL: He asketh: When will be this Day of Resurrection?
SHAKIR: He asks: When is the day of resurrection?
KHALIFA: He doubts the Day of Resurrection!
৬। সে জিজ্ঞাসা করে পুণরুত্থানের দিন কবে আসবে ? ” ৫৮১৪
৫৮১৪। প্রশ্নটি হচ্ছে উপহাসমূলক এবং এর মাধ্যমে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। কাফেররা বিশ্বাস করে না পরলোকের জবাবদিহিতায়। প্রকৃত পক্ষে তারা পরলোকের অনন্ত জীবনে বিশ্বাসী নয়। তারা বিশ্বাস করে যে মৃত্যুই জীবনের শেষ পরিসমাপ্তি।
আয়াতঃ 075.007
যখন দৃষ্টি চমকে যাবে,
So, when the sight shall be dazed,
فَإِذَا بَرِقَ الْبَصَرُ
Fa-itha bariqa albasaru
YUSUFALI: At length, when the sight is dazed,
PICKTHAL: But when sight is confounded
SHAKIR: So when the sight becomes dazed,
KHALIFA: Once the vision is sharpened.
৭। অবশেষে, যখন চক্ষু স্থির হয়ে যাবে ৫৮১৫;
৫৮১৫। শেষ বিচারের দিনের ছবি এই আয়াতে আঁকা হয়েছে, সেদিন আল্লাহ্র মহিমা ও নূরের ছটায় সারা বিশ্ব ব্রহ্মান্ড আলোকিত হয়ে পড়বে। সেই অত্যুজ্জ্বল আলোর তীব্রতা এতটাই প্রখর হবে যে, সাধারণ মানুষের চোখ সে আলোতে ধাঁধিয়ে যাবে। বর্তমানের চেনা পৃথিবী ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে। দেখুন সূরা [ ২৪ : ৪৮]।
আয়াতঃ 075.008
চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে।
And the moon will be eclipsed,
وَخَسَفَ الْقَمَرُ
Wakhasafa alqamaru
YUSUFALI: And the moon is buried in darkness.
PICKTHAL: And the moon is eclipsed
SHAKIR: And the moon becomes dark,
KHALIFA: And the moon is eclipsed.
৮। এবং চাঁদ অন্ধকারে ডুবে যাবে ৫৮১৬, –
৫৮১৬। সে দিন সেই আলোতে শুধু যে মানুষের চক্ষু ধাঁধিঁয়ে যাবে তাই-ই নয়, চাঁদের আলোও অন্তর্হিত হয়ে পড়বে। চাঁদ সেদিন তার আলোর উৎস বঞ্চিত হয়ে যাবে ফলে সে পৃথিবীতে আলো প্রতিফলিত করতে অক্ষম হবে। ঠিক সেরূপ অনন্ত সত্য ব্যতীত – যে সত্য ভ্রান্ত, সে সত্য চাঁদের আলোর ন্যায় প্রতিফলিত সত্য অর্থাৎ যার কোন প্রকৃত ভিত্তি নাই তা সব অন্তর্হিত হয়ে পড়বে এবং প্রকৃত বা অনন্ত সত্যের রূপ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে জুড়ে বিরাজ করবে।
আয়াতঃ 075.009
এবং সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে-
And the sun and moon will be joined together (by going one into the other or folded up or deprived of their light, etc.)
وَجُمِعَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ
WajumiAAa alshshamsu waalqamaru
YUSUFALI: And the sun and moon are joined together,-
PICKTHAL: And sun and moon are united,
SHAKIR: And the sun and the moon are brought together,
KHALIFA: And the sun and the moon crash into one another.
৯। সূর্য এবং চন্দ্র একত্রে মিলিত হবে ৫৮১৭,
৫৮১৭। চন্দ্রের নিকট সূর্য হচ্ছে আলোর উৎস। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে যে, সূর্যের আলোকেও সৃষ্টি করা হয়েছে। কেয়ামত দিবসে শুধু যে চাঁদই তার আলো হারিয়ে ফেলবে তাই-ই নয়, সূর্যও তার আলো হারিয়ে ফেলবে। সূর্য চন্দ্র প্রত্যেকেই হবে বৈশিষ্ট্যহীন,নিস্প্রভ, শূন্য, যাদের আলো নিভিয়ে দেয়া হয়েছে, যাদের অত্যুজ্জ্বল আলোর বন্যা শেষ করে দেয়া হয়েছে। কারণ আল্লাহ্র নূরের অত্যুজ্জ্বল বন্যায় সর্বদিক উদ্ভাসিত থাকবে সেই নূতন পৃথিবীতে। দেখুন [ ৩৯ : ৬৯ ] আয়াতের টিকা ৪৩৪৪।