আয়াতঃ 071.012
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।
’And give you increase in wealth and children, and bestow on you gardens and bestow on you rivers.’ ”
وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا
Wayumdidkum bi-amwalin wabaneena wayajAAal lakum jannatin wayajAAal lakum anharan
YUSUFALI: “‘Give you increase in wealth and sons; and bestow on you gardens and bestow on you rivers (of flowing water).
PICKTHAL: And will help you with wealth and sons, and will assign unto you Gardens and will assign unto you rivers.
SHAKIR: And help you with wealth and sons, and make for you gardens, and make for you rivers.
KHALIFA: ” `And provide you with money and children, and orchards, and streams.’
১২। ” তোমাদের সমৃদ্ধ করবেন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে; এবং তোমাদের দান করবেন উদ্যানসমূহ এবং দান করবেন [ স্রোতস্বীনি ] নদীসমূহ। ৫৭১৩
৫৭১৩। আল্লাহ্র নেয়ামতের কয়েকটি ধাপ এখানে উল্লেখ করা হয়েছে বৃষ্টি এবং শষ্য যা পরস্পর সম্পর্কিত, সম্পদ ও জনশক্তি [ সন্তান-সন্ততি], সমৃদ্ধ বাগান, স্থায়ী স্রোতস্বীনি ইত্যাদি হচ্ছে কোনও জাতির জন্য সমৃদ্ধির লক্ষণ। এগুলির উল্লেখ কোরাণে করা হয়েছে শুধুমাত্র পার্থিব উন্নতি বুঝানোর জন্যই নয়। এগুলি হচ্ছে প্রতীক ধর্মী যার সাহায্যে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতিকে বুঝানো হয়। লক্ষ্য করুন, স্রোতস্বীণি নদীসমূহ” বাক্যটি। অর্থাৎ এগুলি এমন নদীনালা যার পানি সারা বৎসর প্রবাহিত হয়, শুকিয়ে যায় না। যে নদী সারা বৎসর নাব্য থাকে তার উভয়পার্শ্বে গড়ে উঠে জনপদ, বাণিজ্য কেন্দ্র, সমৃদ্ধ নগর যার অধিবাসীরা সুখ ও শান্তিতে বসবাস করে। এসব জনপদের অধিবাসীদের পার্থিব সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি পরলোকের সুখশান্তির পূর্বানুমান মাত্র।
আয়াতঃ 071.013
তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্টত্ব আশা করছ না।
What is the matter with you, [that you fear not Allâh (His punishment), and] you hope not for reward (from Allâh or you believe not in His Oneness).
مَّا لَكُمْ لَا تَرْجُونَ لِلَّهِ وَقَارًا
Ma lakum la tarjoona lillahi waqaran
YUSUFALI: “‘What is the matter with you, that ye place not your hope for kindness and long-suffering in Allah,-
PICKTHAL: What aileth you that ye hope not toward Allah for dignity
SHAKIR: What is the matter with you that you fear not the greatness of Allah?
KHALIFA: Why should you not strive to reverence GOD?
১৩। ” তোমাদের কি হয়েছে, যে তোমরা আল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করতে চাচ্ছ না ? –
১৪। ” অথচ তোমরা কি দেখ না তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে ? ৫৭১৪
৫৭১৪। দেখুন [ ২২ : ৫ ] আয়াত ও টিকা ২৭৭৩ – ২৭৭৭। আরও দেখুন [ ২৩ : ১২ – ১৭] এবং টিকা ২৮৭২ – ২৮৭৫। এই আয়াতটির অর্থ গভীর ও ব্যপক। মাতৃগর্ভে মানুষের সৃষ্টি যেমন পর্যায়ক্রমে ঘটে জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্তও তার দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে পর্যায়ক্রমে। জীবনের বিভিন্ন সময়ে মানব সন্তান বিভিন্ন মানসিক ও আধ্যাত্মিক দক্ষতা প্রদর্শন করে থাকে। মানুষের এই মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিন্যাসকে চারিপার্শ্বের পৃথিবীর বিভিন্ন বিন্যাসের সাথে আকাশমন্ডলী সৃষ্টির বিন্যাসের সাথে তুলনা করা যায়। আল্লাহ্র সৃষ্টির নৈপুন্য দর্শনে এবং মনোজগতের ও আধ্যাত্মিক জগতের অনুভূতির মাধ্যমেও কি মানুষের চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করবে না?
আয়াতঃ 071.014
অথচ তিনি তোমাদেরকে বিভিন্ন রকমে সৃষ্টি করেছেন।
While He has created you in (different) stages [i.e. first Nutfah, then ’Alaqah and then Mudghah, see (VV.23:13,14) the Qur’ân].
وَقَدْ خَلَقَكُمْ أَطْوَارًا
Waqad khalaqakum atwaran
YUSUFALI: “‘Seeing that it is He that has created you in diverse stages?
PICKTHAL: When He created you by (divers) stages?
SHAKIR: And indeed He has created you through various grades:
KHALIFA: He is the One who create
১৩। ” তোমাদের কি হয়েছে, যে তোমরা আল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করতে চাচ্ছ না ? –
১৪। ” অথচ তোমরা কি দেখ না তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে ? ৫৭১৪
৫৭১৪। দেখুন [ ২২ : ৫ ] আয়াত ও টিকা ২৭৭৩ – ২৭৭৭। আরও দেখুন [ ২৩ : ১২ – ১৭] এবং টিকা ২৮৭২ – ২৮৭৫। এই আয়াতটির অর্থ গভীর ও ব্যপক। মাতৃগর্ভে মানুষের সৃষ্টি যেমন পর্যায়ক্রমে ঘটে জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্তও তার দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে পর্যায়ক্রমে। জীবনের বিভিন্ন সময়ে মানব সন্তান বিভিন্ন মানসিক ও আধ্যাত্মিক দক্ষতা প্রদর্শন করে থাকে। মানুষের এই মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিন্যাসকে চারিপার্শ্বের পৃথিবীর বিভিন্ন বিন্যাসের সাথে আকাশমন্ডলী সৃষ্টির বিন্যাসের সাথে তুলনা করা যায়। আল্লাহ্র সৃষ্টির নৈপুন্য দর্শনে এবং মনোজগতের ও আধ্যাত্মিক জগতের অনুভূতির মাধ্যমেও কি মানুষের চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করবে না?