الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَّا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِن تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِن فُطُورٍ
Allathee khalaqa sabAAa samawatin tibaqan ma tara fee khalqi alrrahmani min tafawutin fairjiAAi albasara hal tara min futoorin
YUSUFALI: He Who created the seven heavens one above another: No want of proportion wilt thou see in the Creation of (Allah) Most Gracious. So turn thy vision again: seest thou any flaw?
PICKTHAL: Who hath created seven heavens in harmony. Thou (Muhammad) canst see no fault in the Beneficent One’s creation; then look again: Canst thou see any rifts?
SHAKIR: Who created the seven heavens one above another; you see no incongruity in the creation of the Beneficent Allah; then look again, can you see any disorder?
KHALIFA: He created seven universes in layers. You do not see any imperfection in the creation by the Most Gracious. Keep looking; do you see any flaw?
৩। তিনিই স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ ৫৫৫৯। তুমি পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে কোন ত্রুটি দেখতে পাবে না। সুতারাং পুণরায় তোমার দৃষ্টিকে ফেরাও, [ দেখ ] কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি?
৫৫৫৯। দেখুন সূরা [ ৬৫ : ১২ ] আয়াত ও টিকা ৫৫২৬ – ২৭। আকাশকে বর্ণনা করা হয়েছে সপ্তাকাশ হিসেবে। বর্তমান বিজ্ঞান মহাকাশের রহস্যভেদে আত্মনিয়োগ করেছে – তারা স্বীকার করে যে মহাকাশের রহস্য তারা খুব কমই জানে। হয়তো তা হবে সাতটি ছায়াপথের সমষ্টি – ভবিষ্যতের বিজ্ঞানই বলে দেবে এর সমাধান। আমরা অনন্ত নক্ষত্রবীথির মাঝে ক্ষুদ্র মানব সন্তান যার অস্তিত্ব বিশাল ব্রহ্মাণ্ডের তুলনায় অতি নগণ্য। আমাদের দৃষ্টিতে যা ভাস্বর তা হচ্ছে অনন্তের বিশাল ব্যপ্তির মাঝে অপরূপ শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য। যেখানে ছায়াপথে বিরাজমান শত শত নক্ষত্রপুঞ্জ নির্দিষ্ট নিয়মে ছুটে চলেছে যার ক্ষুদ্র অংশই পৃথিবীর মানুষের দৃষ্টি পথে ভাস্বর। মহাশূন্যের এই বিশালত্বের ধারণাই মানুষকে পৌঁছে দিতে পারে স্রষ্টার বিশালত্বের ধারণায়। তবেই উপলব্ধির সিড়ি বেয়ে আমরা অর্ন্তদৃষ্টির মাধ্যমে পরলোকের জীবনের বিশালত্ব অনুভব করতে পারবো।
আয়াতঃ 067.004
অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
Then look again and yet again, your sight will return to you in a state of humiliation and worn out.
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِأً وَهُوَ حَسِيرٌ
Thumma irjiAAi albasara karratayni yanqalib ilayka albasaru khasi-an wahuwa haseerun
YUSUFALI: Again turn thy vision a second time: (thy) vision will come back to thee dull and discomfited, in a state worn out.
PICKTHAL: Then look again and yet again, thy sight will return unto thee weakened and made dim.
SHAKIR: Then turn back the eye again and again; your look shall ‘~ come back to you confused while it is fatigued.
KHALIFA: Look again and again; your eyes will come back stumped and conquered.
৪। পুণরায় বারে বারে তুমি দৃষ্টি ফেরাও, সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে ৫৫৬০।
৫৫৬০। বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে অসীম আকাশের উপমার মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে আল্লাহ্র জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ক্ষমতার ও বিশালত্বের প্রতি। বিশ্ব ব্রহ্মান্ড আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতীক। বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের এই প্রতীকের মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে আল্লাহ্র ক্ষমতার প্রতি যা নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত। আমাদের বলা হয়েছে অনন্ত নীলাকাশ এবং এর মাঝে বিরাজমান নক্ষত্রপুঞ্জ পুনঃপুনঃ গভীর অভিনিবেশ সহকারে পর্যবেক্ষণ করি না কেন আল্লাহ্র সৃষ্টির মাঝে আমরা কোন ত্রুটি বা বিশৃঙ্খলা বের করতে পারবো না। তাঁর সৃষ্টি করার ক্ষমতা, সমন্বিত, নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত। আল্লাহ্র সৃষ্ট সপ্ত আকাশ এত বিশাল যে সে বিশালত্বের ধারণা করা আমাদের মত ক্ষুদ্র মানুষের পক্ষে অসম্ভব। পর্যবেক্ষণ আমাদের দৃষ্টিকে ক্লান্ত করে দেবে তবুও আমরা এর শেষ দেখতে পাব না। এমনকি জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ টেলিস্কোপের সাহাযেও আকাশের শেষ প্রান্ত দেখা সম্ভব নয়। বর্তমানে বিজ্ঞানীগণ হাবেল টেলিস্কোপ স্থাপন করেছেন মহাশূন্যে – যার সাহায্যে প্রতিনিয়ত অনন্ত নক্ষত্র বীথির, নিঃসীম নীল আকাশের ছবি পৃথিবীর মানুষ প্রাপ্ত হচ্ছে। মানুষ আশ্চর্য হয়ে যায় আকাশের সীমাহীন ব্যপ্তি লক্ষ্য করে। যত মানুষের জ্ঞান বৃদ্ধি পাচ্ছে, তত মানুষ মহাকাশের বিশালত্বের ধারণাতে হতবাক হয়ে পড়ছে। মহাকাশের রহস্যের কোন সীমা নাই। এই বিশাল সৃষ্টি কৌশলের মধ্যে কোনও ত্রুটি নাই। যদি সামান্যতম ত্রুটিও থাকতো তবে গ্রহ নক্ষত্র পরস্পর সংঘর্ষে মহাকাশে বিপর্যয় ঘটে যেতো। এ থেকে মানুষকে তার ক্ষুদ্রতা ও অসহায়ত্বের ধারণা করতে বলা হয়েছে।