- সূরার নাম: সূরা তালাক
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা তালাক
আয়াতঃ 065.001
হে নবী, তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে চাও, তখন তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং ইদ্দত গণনা করো। তোমরা তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করো। তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে বহিস্কার করো না এবং তারাও যেন বের না হয় যদি না তারা কোন সুস্পষ্ট নির্লজ্জ কাজে লিপ্ত হয়। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে ব্যক্তি আল্লাহর সীমালংঘন করে, সে নিজেরই অনিষ্ট করে। সে জানে না, হয়তো আল্লাহ এই তালাকের পর কোন নতুন উপায় করে দেবেন।
O Prophet (SAW)! When you divorce women, divorce them at their ’Iddah (prescribed periods), and count (accurately) their ’Iddah (periods ). And fear Allâh your Lord (O Muslims), and turn them not out of their (husband’s) homes, nor shall they (themselves) leave, except in case they are guilty of some open illegal sexual intercourse. And those are the set limits of Allâh. And whosoever transgresses the set limits of Allâh, then indeed he has wronged himself. You (the one who divorces his wife) know not, it may be that Allâh will afterward bring some new thing to pass (i.e. to return her back to you if that was the first or second divorce).
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاء فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَأَحْصُوا الْعِدَّةَ وَاتَّقُوا اللَّهَ رَبَّكُمْ لَا تُخْرِجُوهُنَّ مِن بُيُوتِهِنَّ وَلَا يَخْرُجْنَ إِلَّا أَن يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ لَا تَدْرِي لَعَلَّ اللَّهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَلِكَ أَمْرًا
Ya ayyuha alnnabiyyu itha tallaqtumu alnnisaa fatalliqoohunna liAAiddatihinna waahsoo alAAiddata waittaqoo Allaha rabbakum la tukhrijoohunna min buyootihinna wala yakhrujna illa an ya/teena bifahishatin mubayyinatin watilka hudoodu Allahi waman yataAAadda hudooda Allahi faqad thalama nafsahu la tadree laAAalla Allaha yuhdithu baAAda thalika amran
YUSUFALI: O Prophet! When ye do divorce women, divorce them at their prescribed periods, and count (accurately), their prescribed periods: And fear Allah your Lord: and turn them not out of their houses, nor shall they (themselves) leave, except in case they are guilty of some open lewdness, those are limits set by Allah: and any who transgresses the limits of Allah, does verily wrong his (own) soul: thou knowest not if perchance Allah will bring about thereafter some new situation.
PICKTHAL: O Prophet! When ye (men) put away women, put them away for their (legal) period and reckon the period, and keep your duty to Allah, your Lord. Expel them not from their houses nor let them go forth unless they commit open immorality. Such are the limits (imposed by) Allah; and whoso transgresseth Allah’s limits, he verily wrongeth his soul. Thou knowest not: it may be that Allah will afterward bring some new thing to pass.
SHAKIR: O Prophet! when you divorce women, divorce them for~ their prescribed time, and calculate the number of the days prescribed, and be careful of (your duty to) Allah, your Lord. Do not drive them out of their houses, nor should they themselves go forth, unless they commit an open indecency; and these are the limits of Allah, and whoever goes beyond the limits of Allah, he indeed does injustice to his own soul. You do not know that Allah may after that bring about reunion.
KHALIFA: O you prophet, when you people divorce the women, you shall ensure that a divorce interim is fulfilled. You shall measure such an interim precisely. You shall reverence GOD your Lord. Do not evict them from their homes, nor shall you make life miserable for them, to force them to leave on their own, unless they commit a proven adultery. These are GOD’s laws. Anyone who transgresses GOD’s laws commits an injustice against himself. You never know; maybe GOD wills something good to come out of this.
==============
সূরা তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ – ৬৫
১২ আয়াত, ২ রুকু, মাদানী
[ দমাময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা : এই সূরাটি মাদানী সূরার শ্রেণীর নবম সূরা। এই সূরাতে উম্মার সামাজিক ব্যবস্থার আলোচনা করা হয়েছে। সূরার বিষয়বস্তু হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং এ ব্যাপারে মহিলারা যেনো নির্যাতিত না হয় সে ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করার প্রতি নির্দ্দেশ সম্বলিত। সমাজ জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নারী পুরুষের পারস্পরিক যৌন জীবন। এই সূরা ও পরবর্তী সূরাতে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কোন কোন অংশ আলোচনা করা হয়েছে। রাসুল (সা) বলেছেন; ” আল্লাহ্র চক্ষে তার বিধানের সর্বাপেক্ষা অপছন্দনীয় অংশ হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ।” পারিবারিক জীবনের ভিত্তি হচ্ছে বৈবাহিক জীবনের পবিত্রতা। কিন্তু মানুষের দুর্বলতা ও অক্ষমতা অনেক সময়েই এই জীবনের পবিত্রতাকে নষ্ট করে থাকে। কিন্তু মানুষের জীবনের উর্দ্ধে বৈবাহিক সম্পর্ক নয়। সে কারণেই এই সূরাতে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্নটিকে উদ্ধত ধর্মহীনতার প্রশ্নের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে যা শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
সার সংক্ষেপ : বিবাহ বিচ্ছেদের প্রাক্কালে মহিলাদের অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে, উদ্ধত ধর্মহীনতাকে আল্লাহর নিকট শাস্তির যোগ্য [ ৬৫ : ১ – ১২ ] অপরাধ।
সূরা তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ – ৬৫
১২ আয়াত, ২ রুকু, মাদানী
[ দমাময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। হে নবী ৫৫০৩ ! যখন তোমরা স্ত্রীদের তালাক দিতে চাইবে ৫৫০৪, তখন ইদ্দতকালের প্রতি লক্ষ্য রেখে তালাক দিও ৫৫০৫, এবং [ নির্ভুল ভাবে ] ইদ্দতকাল গণনা করবে এবং তোমার প্রভু আল্লাহকে ভয় করবে ৫৫০৬। তাদেরকে তাদের বাসগৃহ থেকে বের করে দিও না। স্পষ্ট অশ্লীলতার অভিযোগ ব্যতীত তারাও যেনো বের না হয় ৫৫০৭। এগুলিই হচ্ছে আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত সীমারেখা এবং যে আল্লাহ্র এই সীমারেখা লংঘন করে সে [ নিজের ]আত্মার প্রতি অত্যাচার করে। তুমি জান না, হয়তো আল্লাহ্ এর পরে কোন উপায় করে দেবেন ৫৫০৮।
৫৫০৩। লক্ষ্য করুন এই আয়াতে নবীকে প্রথমে ব্যক্তিগতভাবে সম্বোধন করা হয়েছে উম্মতের শিক্ষক ও প্রতিনিধি হিসেবে। এর পরে উম্মতের জন্য নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে। অর্থাৎ, ” হে নবী ! উম্মতকে বলিয়া দাও ” বাক্যটি যার দ্বারা আল্লাহ্ সমগ্র মুসলিম সমাজকে সম্বোধন করেছেন।
৫৫০৪। হাদীসে আছে আল্লাহ্র বিধান সমূহের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ আল্লাহ্র চক্ষে সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য। বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক সম্বন্ধে সাধারণ নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে [ ২ : ২২৮ – ২৩২, ২৩৬ -২৩৭ ; ২৪১ ] আয়াতে এবং [ ৪ : ৩৫ ] আয়াতে। দেখুন এসব আয়াত এবং তাদের টিকা সমূহ।
৫৫০৫। ‘ইদ্দত ‘ মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদের সাথে শব্দটি জড়িত। দেখুন যা ব্যাখ্যা করা হয়েছে [ ২ : ২২৮ ] আয়াতে ও টিকা ২৫৪। সাধারণভাবে এর অর্থ হচেছ এক “নির্দ্দিষ্ট সময়কাল”।
৫৫০৬। ‘ইদ্দত ‘ বা ‘নির্দ্দিষ্ট সময়কাল ” -কে নির্ধারণ করা হয়েছে, স্ত্রীর বা অজাত সন্তানের [ যদি থাকে] এবং প্রকৃতির যৌন বিধানের স্বার্থরক্ষার জন্য। আর এভাবেই সুশীল সমাজের প্রাথমিক বুনিয়াদ সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেক তফসীরকারগণের মতে রজঃস্রাবকালে তালাক দেয়া বৈধ নয়। দেখুন [ ২ : ২২ ] আয়াত, অনুযায়ী বলা চলে যেহেতু সময়টি নারীর এক অপবিত্র অবস্থা এবং পুরুষের জন্য কাম্য নয়। সুতারাং স্বামী স্ত্রীর কোনও মতদ্বৈতকে সে সময়ে উত্থাপন করা উচিত নয়। বিবাহের ভিত্তি-ই হচ্ছে যৌন জীবন। সুতারাং বিবাহ বিচ্ছেদের সময়ে দৃষ্টিদেয়া প্রয়োজন যে এর সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের যেনো অবমাননা না করা হয়। তাড়িত হয়ে যেনো কোনও কাজ করা না হয়। আবেগ তাড়িত অনুভূতি হচ্ছে পশুর অনুভূতি। মানুষ পশু থেকে উন্নত কারণ সে পরিচালিত হয় বিবেক দ্বারা। তালাকের ন্যায় অপছন্দের কাজের সময়ে প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহ্র ভয়ে ভীত হয়ে বিবেকের দ্বারা পরিচালিত হয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
৫৫০৭। বৈবাহিক জীবনে ইসলাম মহিলাদের অধিকারের মূল্যদান করে। স্বামীর সম্পত্তি, বাড়ী প্রতিটি বস্তুতেই তার অধিকার ন্যায়সঙ্গত। বাড়ী অর্থ শুধুমাত্র বাসস্থানই নয়; এর অর্থ সেই বাড়ী পরিচালনার যাবতীয় খরচ, নারীর নিজের ও সন্তানদের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা পুরুষের কর্তব্য। এই খরচ শুধু যে দাম্পত্য জীবন কালেই পুরুষ বহন করবে তা নয়, ‘ইদ্দত’ চলা কালেও তাকে বহন করতে হবে। এখানে নারীকে বলা হয়েছে তারাও যেনো এ সময়কালে বাড়ী থেকে চলে না যায়। কারণ ‘ইদ্দত’ চলা কালেও সমঝোতার সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকে, কিন্তু দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকলে সকল কিছুই ভিন্নরূপ ধারণ করতে পারে।
৫৫০৮। বিবাহ বিচ্ছেদ অপেক্ষা সমঝোতা সকল সময়েই কাম্য এবং উপযুক্ত পরিবেশে তা সম্ভবও হয়। দুপক্ষেরই অভিযোগ একটি পারিবারিক সভাতে উপস্থাপন করতে হবে, যেখানে উভয়দলের পারিবারিক সদস্য উপস্থিত থাকবেন। দেখুন [ ৪ : ৩৫ ] আয়াত। পারস্পরিক দৈহিক আকর্ষণ মন্দার মুখে, বিবাহ বিচ্ছেদের বা তালাকের উচ্চারণ করা উচিত নয় [ টিকা ৩৫০৬ ]। যখন তা উচ্চারণ করা হবে তখন তার জন্য নির্দ্দিষ্ট সময়কাল থাকবে সমঝোতার জন্য। দেনমোহর শোধ করতে হবে, নারীর উপযুক্ত ভরণ পোষণের বন্দোবস্ত থাকবে হবে। সব কিছুই করতে হবে নারীর অধিকার ও সমতার ভিত্তিতে। শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত সমঝোতার চেষ্টা করা প্রয়োজন। আবেগ বা ক্রোধের বশবর্তী হয়ে করা যে কোনও কাজকে বাধা দান করতে হবে, যেনো কেহ ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত না হয়। “হয়তো আল্লাহ্ এর পর কোন উপায় করে দেবেন।”
আয়াতঃ 065.002
অতঃপর তারা যখন তাদের ইদ্দতকালে পৌঁছে, তখন তাদেরকে যথোপযুক্ত পন্থায় রেখে দেবে অথবা যথোপযুক্ত পন্থায় ছেড়ে দেবে এবং তোমাদের মধ্য থেকে দু’জন নির্ভরযোগ্য লোককে সাক্ষী রাখবে। তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য দিবে। এতদ্দ্বারা যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন।
Then when they are about to fulfil their term appointed, either take them back in a good manner or part with them in a good manner. And take for witness two just persons from among you (Muslims). And establish the witness for Allâh. That will be an admonition given to him who believes in Allâh and the Last Day. And whosoever fears Allâh and keeps his duty to Him, He will make a way for him to get out (from every difficulty).
فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمْسِكُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ أَوْ فَارِقُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ وَأَشْهِدُوا ذَوَيْ عَدْلٍ مِّنكُمْ وَأَقِيمُوا الشَّهَادَةَ لِلَّهِ ذَلِكُمْ يُوعَظُ بِهِ مَن كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا
Fa-itha balaghna ajalahunna faamsikoohunna bimaAAroofin aw fariqoohunna bimaAAroofin waashhidoo thaway AAadlin minkum waaqeemoo alshshahadata lillahi thalikum yooAAathu bihi man kana yu/minu biAllahi waalyawmi al-akhiri waman yattaqi Allaha yajAAal lahu makhrajan
YUSUFALI: Thus when they fulfil their term appointed, either take them back on equitable terms or part with them on equitable terms; and take for witness two persons from among you, endued with justice, and establish the evidence (as) before Allah. Such is the admonition given to him who believes in Allah and the Last Day. And for those who fear Allah, He (ever) prepares a way out,
PICKTHAL: Then, when they have reached their term, take them back in kindness or part from them in kindness, and call to witness two just men among you, and keep your testimony upright for Allah. Whoso believeth in Allah and the Last Day is exhorted to act thus. And whosoever keepeth his duty to Allah, Allah will appoint a way out for him,
SHAKIR: So when they have reached their prescribed time, then retain them with kindness or separate them with kindness, and call to witness two men of justice from among you, and give upright testimony for Allah. With that is admonished he who believes in Allah and the latter day; and whoever is careful of (his duty to) Allah, He will make for him an outlet,
KHALIFA: Once the interim is fulfilled, you may reconcile with them equitably, or go through with the separation equitably. You shall have two equitable witnesses witness the divorce before GOD. This is to enlighten those who believe in GOD and the Last Day. Anyone who reverences GOD, He will create an exit for him.
২। এরূপে, যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করে, তোমরা তাদের হয় ন্যায়সঙ্গত ভাবে ফেরত নেবে, ৫৫০৯, অথবা ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচ্ছেদ ঘটাবে। এবং তোমাদের মধ্য থেকে দুজন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী হিসেবে রাখবে। [ যেনো ] আল্লাহ্র সম্মুখে উপস্থিত এভাবে তারা সাক্ষ্য দেবে ৫৫১০। যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে ও শেষ বিচার দিবসকে বিশ্বাস করে, এটা হচ্ছে তার জন্য সর্তকবাণী। যারা আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তাদের জন্য নিষ্কৃতি পাওয়ার পথ করে দেবেন। ৫৫১১
৫৫০৯। দেখুন সূরা [ ২ : ২৩১ ] আয়াত। তালাক প্রক্রিয়ার সকল কিছুই যথাযথ সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে এবং উভয়পক্ষের অধিকার ন্যায়ের ভিত্তিতে বিবেচনা করতে হবে।
৫৫১০। ‘ইদ্দত’ শেষ হওয়ার পূর্বে স্ত্রীকে পুণরায় গ্রহণ করতে পারে। আর যদি ইদ্দত শেষ হয়ে যায়, তবে তাকে সামর্থ্য অনুযায়ী যথাযোগ্য মর্যদার সাথে বিদায় করতে হবে। সকল প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য, দুজন ন্যায়পরায়ণ লোক উভয় পক্ষ থেকে সাক্ষী হিসেবে কাজ করবেন, যেনো সমগ্র ব্যবস্থা স্বার্থপরতা ও অন্যায় দ্বারা সংঘটিত না হয়। প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত যে, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সংঘটিত হবে ন্যায় ও সত্যের উপরে ভিত্তি করে। কারণ বিবাহ ও তালাক হচ্ছে আমাদের সমাজ জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি স্বরূপ যা আমাদের পারিবারিক জীবনকে প্রভাবিত করে। সুতারাং বিবাহ এবং তালাক আমাদের আধ্যাত্মিক জীবনকেও প্রভাবিত করতে সক্ষম।
৫৫১১। বিবাহ বিচ্ছেদের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এতটাই তিক্ততার সৃষ্টি করে যে, খুব বিবেকবান ব্যক্তির মধ্যস্থতাও সব সময়ে অন্যায় করা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয় না। এ ক্ষেত্রেই আল্লাহ্র হুকুম হচ্ছে, ” আল্লাহ্কে ভয় কর” এবং আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের আশায় সঠিক সাক্ষ্য বা কার্যটি গ্রহণ করবে। এরূপ ক্ষেত্রে ” তিনি তাদের জন্য নিস্কৃতি পাওয়ার পথ করে দেবেন।” অচেনা অজানা স্থান থেকে যা সে ধারণাও করে নাই সেখান থেকে সাহায্যের হাত প্রসারিত হবে। চরম,শত্রুতা বন্ধুত্বে রূপান্তরিত হতে পারে। হয়তো বা শিশুর কান্না বা হাসি তিক্ত সম্পর্ককে পুণঃ প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, তিক্ততায় পরিপূর্ণ দুটি হৃদয় তাদের তিক্ততাকে দূর করতে পারে ইত্যাদি। আল্লাহ্র ইচছায় সাধারণ ঘটনার মাধ্যমে অসাধারণ কিছু ঘটে যেতে পারে। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস ও নির্ভরশীলতা আত্মাকে পরিবেশের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়ে শান্তির আলয়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম।
আয়াতঃ 065.003
এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।
And He will provide him from (sources) he never could imagine. And whosoever puts his trust in Allâh, then He will suffice him. Verily, Allâh will accomplish his purpose. Indeed Allâh has set a measure for all things.
وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا
Wayarzuqhu min haythu la yahtasibu waman yatawakkal AAala Allahi fahuwa hasbuhu inna Allaha balighu amrihi qad jaAAala Allahu likulli shay-in qadran
YUSUFALI: And He provides for him from (sources) he never could imagine. And if any one puts his trust in Allah, sufficient is (Allah) for him. For Allah will surely accomplish his purpose: verily, for all things has Allah appointed a due proportion.
PICKTHAL: And will provide for him from (a quarter) whence he hath no expectation. And whosoever putteth his trust in Allah, He will suffice him. Lo! Allah bringeth His command to pass. Allah hath set a measure for all things.
SHAKIR: And give him sustenance from whence he thinks not; and whoever trusts in Allah, He is sufficient for him; surely Allah attains His purpose; Allah indeed has appointed a measure for everything.
KHALIFA: And will provide for him whence he never expected. Anyone who trusts in GOD, He suffices him. GOD’s commands are done. GOD has decreed for everything its fate.
৩। তিনি তাকে ধারণাতীত [ উৎস ] থেকে জীবনোপকরণ দান করবেন। এবং কেউ যদি আল্লাহ্র উপরে বিশ্বাস স্থাপন করে, তার জন্য আল্লাহ্-ই যথেষ্ট। আল্লাহ্ অবশ্যই স্বীয় ইচ্ছা পূর্ণ করবেন ৫৫১২। অবশ্যই, সব কিছুর জন্য আল্লাহ্ স্থির করেছেন নির্দ্দিষ্ট মাত্রা।
৫৫১২। পৃথিবীর কর্মক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশে আমরা মানসিক ভাবে বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ি। ক্রোধ, বিরক্তি, হতাশা আমাদের অধৈর্য্য করে তোলে। মনে হয় সমগ্র পৃথিবী আমাদের জন্য বৈরী। বন্ধু, আত্মীয়, পরিচিত পরিবেশ সব কিছু তখন অসহনীয় ও হৃদয়হীন। এরূপ ক্ষেত্রে আল্লাহ্ তাঁর উপরেই একমাত্র ভরসা করতে বলেছেন। মানুষ তো নিজের সম্বন্ধে অন্ধসম, সেতো তার নিজের দুর্বলতা এবং অক্ষমতা পরিমাপে অক্ষম। কিন্তু বিশ্ব বিধাতা সব জানেন, তিনি সর্বজ্ঞ। তাঁর বিশ্বব্যপী কল্যাণকর পরিকল্পনার আমরা এক ক্ষুদ্র অংশ। এবং সেই পরিকল্পনা কার্যকর হবেই। তাঁর নিয়ম নীতি সব কিছু ন্যায় এবং নির্দ্দিষ্ট মাত্রাতে বর্তমান। সেখানে কোনও অনিয়ম কেহ লক্ষ্য করতে পারবে না।
আয়াতঃ 065.004
তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।
And those of your women as have passed the age of monthly courses, for them the ’Iddah (prescribed period), if you have doubts (about their periods), is three months, and for those who have no courses [(i.e. they are still immature) their ’Iddah (prescribed period) is three months likewise, except in case of death] . And for those who are pregnant (whether they are divorced or their husbands are dead), their ’Iddah (prescribed period) is until they deliver (their burdens), and whosoever fears Allâh and keeps his duty to Him, He will make his matter easy for him.
وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِن نِّسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ وَأُوْلَاتُ الْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَن يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مِنْ أَمْرِهِ يُسْرًا
Waalla-ee ya-isna mina almaheedi min nisa-ikum ini irtabtum faAAiddatuhunna thalathatu ashhurin waalla-ee lam yahidna waolatu al-ahmali ajaluhunna an yadaAAna hamlahunna waman yattaqi Allaha yajAAal lahu min amrihi yusran
YUSUFALI: Such of your women as have passed the age of monthly courses, for them the prescribed period, if ye have any doubts, is three months, and for those who have no courses (it is the same): for those who carry (life within their wombs), their period is until they deliver their burdens: and for those who fear Allah, He will make their path easy.
PICKTHAL: And for such of your women as despair of menstruation, if ye doubt, their period (of waiting) shall be three months, along with those who have it not. And for those with child, their period shall be till they bring forth their burden. And whosoever keepeth his duty to Allah, He maketh his course easy for him.
SHAKIR: And (as for) those of your women who have despaired of menstruation, if you have a doubt, their prescribed time shall be three months, and of those too who have not had their courses; and (as for) the pregnant women, their prescribed time is that they lay down their burden; and whoever is careful of (his duty to) Allah He will make easy for him his affair.
KHALIFA: As for the women who have reached menopause, if you have any doubts, their interim shall be three months. As for those who do not menstruate, and discover that they are pregnant, their interim ends upon giving birth. Anyone who reverences GOD, He makes everything easy for him.
৪। তোমাদের যে সব স্ত্রীদের ঋতুমতী হওয়ার বয়েস অতিক্রম করে গেছে, এবং যাদের ঋতু এখনও হয় নাই, যদি তাদের ইদ্দতকাল সম্বন্ধে কোন সন্দেহ থাকে, তবে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস ৫৫১৩। আর গর্ভবতী নারীদের জন্য ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ্ তার সমস্যার সমাধান সহজ করে দেবেন। ৫৫১৪
৫৫১৩। দেখুন সূরা [ ২ : ২২৮ ] আয়াত। তালাকের পূর্বে স্ত্রীর ‘ইদ্দত’ বা বিচ্ছিন্ন থাকার মেয়াদ কাল বর্ণনা করা হয়েছিলো তিন রজঃস্রাব কাল। কিন্তু যে সব স্ত্রীলোকের ঋতুমতী হওয়ার আশা নাই বা সন্দেহ থাকে তাদের জন্য ক্যালেন্ডারের তিনমাস ধার্য করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাবে যে উক্ত নারীগণ অন্তঃস্বত্তা কি না। যদি তারা অন্তঃস্বত্তা হয় সে ক্ষেত্রে ইদ্দতকাল হবে বাচ্চা প্রসব না করা পর্যন্ত।
৫৫১৪। দেখুন উপরের টিকা নং ৫৫১১। এখানে আল্লাহ্ ঘোষণা করেছেন যে, যদি কেউ প্রকৃতই অন্তর থেকে আল্লাহকে ভয় করে এবং আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের আশায় ন্যায়ের জন্য কাজ করে এবং এ কারণে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে দ্বিধা বোধ করে না, সেরূপ ক্ষেত্রে আল্লাহ্র সাহায্য অবশ্যাম্ভবী। তার জীবনের সকল বাধা বিপত্তি দূর হয়ে যাবে। তার সকল বাধা-বিপত্তি সত্য ও সুন্দরের স্পর্শে বৃহত্তর ও কল্যাণকর রূপে পরিসমাপ্তি লাভ করবে। আমাদের প্রিয় নবীর জীবনের মাধ্যমেও আমরা এই সত্যকে প্রতিভাত দেখি বারে বারে।
আয়াতঃ 065.005
এটা আল্লাহর নির্দেশ, যা তিনি তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার পাপ মোচন করেন এবং তাকে মহাপুরস্কার দেন।
That is the Command of Allâh, which He has sent down to you, and whosoever fears Allâh and keeps his duty to Him, He will remit his sins from him, and will enlarge his reward.
ذَلِكَ أَمْرُ اللَّهِ أَنزَلَهُ إِلَيْكُمْ وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ وَيُعْظِمْ لَهُ أَجْرًا
Thalika amru Allahi anzalahu ilaykum waman yattaqi Allaha yukaffir AAanhu sayyi-atihi wayuAAthim lahu ajran
YUSUFALI: That is the Command of Allah, which He has sent down to you: and if any one fears Allah, He will remove his ills, from him, and will enlarge his reward.
PICKTHAL: That is the commandment of Allah which He revealeth unto you. And whoso keepeth his duty to Allah, He will remit from him his evil deeds and magnify reward for him.
SHAKIR: That is the command of Allah which He has revealed to you, and whoever is careful of (his duty to) Allah, He will remove from him his evil and give him a big reward.
KHALIFA: This is GOD’s command that He sends down to you. Anyone who reverences GOD, He remits his sins, and rewards him generously.
৫। এই হলো আল্লাহ্র বিধান যা তিনি তোমাদের প্রতি প্রেরণ করেছেন। যদি কেউ আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার থেকে দুর্ভাগ্য দূর করে দেবেন ৫৫১৫; এবং পুরষ্কার বৃদ্ধি করে দেবেন।
৫৫১৫। বিশ্ব জুড়ে আল্লাহ্র যে আইন তা কোনও অসংলগ্ন বা অযৌক্তিক কিছু নয়।আল্লাহ্র আইন তাঁর প্রত্যাদেশ কোরাণের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। এই বিধান সমূহ মানুষের জাগতিক ও পারলৌকিক কল্যাণের জন্য নিবেদিত। যদি আমরা একান্তভাবে আল্লাহ্র হুকুম সমূহ মেনে চলতে পারি। আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার নিকট আত্মসর্মপন করতে পারি, তবে অচিরেই আমাদের সকল বাধা বিপত্তির অপসারণ ঘটবে। শুধু তাই-ই নয় আমাদের ব্যক্ত বা অব্যক্ত সকল মানসিক যন্ত্রণা দূরীভূত হয়ে যাবে। সুদক্ষ রাখাল যেরূপ তার মেষপালকে উর্বর শষ্যশ্যামল তৃণভূমির সন্ধান দানে এবং তথায় পরিচালিত করতে সক্ষম – আল্লাহ্ সেরূপ আমাদের মত অজ্ঞদের কল্যাণের পথে, মংগলের পথে পরিচালিত করতে সক্ষম। আল্লাহ্র পথে যত আমরা অগ্রসর হব, তত আমাদের চরিত্রে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, ন্যায়নীতির প্রকাশ ঘটবে, ফলে আত্মার মাঝে জন্ম নেবে অন্তর্দৃষ্টি, বিবেক ও দূরদর্শিতা। আল্লাহ্র এই পুরষ্কার চর্মচক্ষে দৃশ্যমান নয় কিন্তু যে তা লাভ করে সে অনুভব করে এর মূল্যমান। এ আত্মার এক অমূল্য সম্পদ।
আয়াতঃ 065.006
তোমরা তোমাদের সামর্থø অনুযায়ী যেরূপ গৃহে বাস কর, তাদেরকেও বসবাসের জন্যে সেরূপ গৃহ দাও। তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সংকটাপন্ন করো না। যদি তারা গর্ভবতী হয়, তবে সন্তানপ্রসব পর্যন্ত তাদের ব্যয়ভার বহন করবে। যদি তারা তোমাদের সন্তানদেরকে স্তন্যদান করে, তবে তাদেরকে প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেবে এবং এ সম্পর্কে পরস্পর সংযতভাবে পরামর্শ করবে। তোমরা যদি পরস্পর জেদ কর, তবে অন্য নারী স্তন্যদান করবে।
Lodge them (the divorced women) where you dwell, according to your means, and do not treat them in such a harmful way that they be obliged to leave. And if they are pregnant, then spend on them till they deliver. Then if they give suck to the children for you, give them their due payment, and let each of you accept the advice of the other in a just way. But if you make difficulties for one another, then some other woman may give suck for him (the father of the child).
أَسْكِنُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ سَكَنتُم مِّن وُجْدِكُمْ وَلَا تُضَارُّوهُنَّ لِتُضَيِّقُوا عَلَيْهِنَّ وَإِن كُنَّ أُولَاتِ حَمْلٍ فَأَنفِقُوا عَلَيْهِنَّ حَتَّى يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ فَإِنْ أَرْضَعْنَ لَكُمْ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ وَأْتَمِرُوا بَيْنَكُم بِمَعْرُوفٍ وَإِن تَعَاسَرْتُمْ فَسَتُرْضِعُ لَهُ أُخْرَى
Askinoohunna min haythu sakantum min wujdikum wala tudarroohunna litudayyiqoo AAalayhinna wa-in kunna olati hamlin faanfiqoo AAalayhinna hatta yadaAAna hamlahunna fa-in ardaAAna lakum faatoohunna ojoorahunna wa/tamiroo baynakum bimaAAroofin wa-in taAAasartum fasaturdiAAu lahu okhra
YUSUFALI: Let the women live (in ‘iddat) in the same style as ye live, according to your means: Annoy them not, so as to restrict them. And if they carry (life in their wombs), then spend (your substance) on them until they deliver their burden: and if they suckle your (offspring), give them their recompense: and take mutual counsel together, according to what is just and reasonable. And if ye find yourselves in difficulties, let another woman suckle (the child) on the (father’s) behalf.
PICKTHAL: Lodge them where ye dwell, according to your wealth, and harass them not so as to straiten life for them. And if they are with child, then spend for them till they bring forth their burden. Then, if they give suck for you, give them their due payment and consult together in kindness; but if ye make difficulties for one another, then let some other woman give suck for him (the father of the child).
SHAKIR: Lodge them where you lodge according to your means, and do not injure them in order that you may straiten them; and if they are pregnant, spend on them until they lay down their burden; then if they suckle for you, give them their recompense and enjoin one another among you to do good; and if you disagree, another (woman) shall suckle for him.
KHALIFA: You shall allow them to live in the same home in which they lived with you, and do not make life so miserable for them that they leave on their own. If they are pregnant, you shall spend on them until they give birth. If they nurse the infant, you shall pay them for this service. You shall maintain the amicable relations among you. If you disagree, you may hire another woman to nurse the child
৬। তোমরা তোমাদের সামর্থ অনুযায়ী যেরূপ জীবন যাপন কর, তাদেরও [ ইদ্দত কালে ] সেইরূপ জীবন ধারণের মান দিবে। সংকটে ফেলার জন্য তাদের উত্ত্যক্ত করবে না ৫৫১৬। যদি তারা গর্ভবতী হয়ে থাকে, তাহলে ৫৫১৭, সন্তান প্রসব পর্যন্ত তাদের জন্য ব্যয় করবে। এবং যদি তারা তোমাদের [ সন্তানদের ] স্তন্য পান করায়, তবে তাদের পারিশ্রমিক দেবে। [ সন্তানের কল্যাণ সম্পর্কে] তোমরা নিজেদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত ভাবে পরস্পর পরামর্শ করবে। আর যদি তোমরা তা কষ্টকর মনে কর ৫৫১৮ তবে অন্য স্ত্রীলোক [ শিশুকে ] তার [ পিতার ] পক্ষে স্তন্য দান করবে ৫৫১৯।
৫৫১৬। দেখুন টিকা ৫৫০৭। মানুষ জন্মগত ভাবে স্বার্থপর। একজন স্বার্থপর লোক সাধারণভাবে মনে করতে পারে যে, প্রকৃত তালাকের পূর্বে, ইদ্দত পালন করার সময়ে, স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য সঠিক ভাবে পালনের প্রয়োজন নাই। সুতারাং সে ঔদ্ধত্য অহংকারে অসহায় নারীর প্রতি দুর্ব্যবহার করতে পারে এবং তার প্রাপ্য আহার ও বাসস্থানের সুবন্দোবস্ত নাও করতে পারে। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ ঘোষণা করেছেন যে, পুরুষ তার নিজ জীবনযাত্রার মান অনুযায়ী ইদ্দত পালনকারী নারীর ভরণপোষণ করবে, এমন তো হতে পারে যে, আল্লাহ্ হয়তো তাদের পূণর্মিলন ঘটিয়ে দেবেন। আর যদিও বা তাদের পূণর্মিলন নাও ঘটে, তবুও বিচ্ছেদ যেনো তিক্ততার সৃষ্টি না করে, সম্মানজনকভাবে হয় সেটাই আল্লাহ্র কাম্য।
৫৫১৭। ‘ইদ্দত’ পালনের সময় কালে যদি বুঝা যায় যে, নারী গর্ভবতী সে ক্ষেত্রে ‘ইদ্দত ‘ পালনের সময় তিন মাসের পরিবর্তে সন্তানের জন্মদান পর্যন্ত বিলম্বিত হবে। নূতন অতিথির আগমন পিতা মাতার মধ্যে মিলনের বন্ধন গড়ে তুলতে সক্ষম হতেও পারে। মোট কথা সন্তান জন্মগ্রহণের পূর্বে চূড়ান্ত বিবাহ বিচ্ছেদ সম্ভব নয়। আল্লাহ্ চান পুরুষ নারীর মাঝে পবিত্র বন্ধন যা বিবাহের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় তা যেনো হঠকারীতার মাধ্যমে ছিন্ন হয়ে না যায়। যদি সন্তান জন্মের পরও পিতামাতার মাঝে পূনঃ সর্ম্পক স্থাপন সম্ভব না হয়, নবজাতকের শুভ আগমনও যদি তাদের মাঝে তিক্ততা দূর করতে সক্ষম না হয়,তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও সন্তানের কল্যাণের জন্য মাতৃদুগ্ধ পান করার সম্পূর্ণ সময়টি পিতাকে মাতার ভরণপোষণ করার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। এই দায়িত্ব হচ্ছে পিতার প্রতি আরোপিত কর্তব্য। তালাকপ্রাপ্ত নারী সন্তানকে দুগ্ধ পান করাতে বাধ্য নয়, যদি সে পান করায় তবে পারিশ্রমিক নিতে পারে। ব্যাপারটি হবে পরস্পরের সমঝোতার মাধ্যমে। তবে এ ব্যাপারে তাদের উভয়ের মনোভাব এমন হওয়া উচিত নয় যাতে সন্তান মাতৃদুগ্ধ হতে বঞ্চিত হয়।
৫৫১৮। “তোমরা যদি তা কষ্টকর মনে কর।” এই বাক্যটি ইংরেজীতে অনূদিত হয়েছে এ ভাবে, “If ye find yourself in difficulties .” মাতৃদুগ্ধ সন্তানকে না দেবার অনেক কারণই ঘটতে পারে যথাঃ দুগ্ধের অপ্রাচুর্য, বা মাতার অসুস্থতা অথবা পরিবেশ পরিস্থিতি ইত্যাদি।
৫৫১৯। অন্য নারী যদি মাতার পক্ষ থেকে নবজাতককে দুগ্ধ পান করায় সে ক্ষেত্রে, পিতা উক্ত নারীকে সে বাবদ উপযুক্ত পরিতোষক দান করবে -যতটা তাকে দান করতে হতো, শিশুর মাতাকে।
আয়াতঃ 065.007
বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি সীমিত পরিমাণে রিযিকপ্রাপ্ত, সে আল্লাহ যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করবে। আল্লাহ যাকে যা দিয়েছেন, তদপেক্ষা বেশী ব্যয় করার আদেশ কাউকে করেন না। আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দেবেন।
Let the rich man spend according to his means, and the man whose resources are restricted, let him spend according to what Allâh has given him. Allâh puts no burden on any person beyond what He has given him. Allâh will grant after hardship, ease.
لِيُنفِقْ ذُو سَعَةٍ مِّن سَعَتِهِ وَمَن قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّهُ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا سَيَجْعَلُ اللَّهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا
Liyunfiq thoo saAAatin min saAAatihi waman qudira AAalayhi rizquhu falyunfiq mimma atahu Allahu la yukallifu Allahu nafsan illa ma ataha sayajAAalu Allahu baAAda AAusrin yusran
YUSUFALI: Let the man of means spend according to his means: and the man whose resources are restricted, let him spend according to what Allah has given him. Allah puts no burden on any person beyond what He has given him. After a difficulty, Allah will soon grant relief.
PICKTHAL: Let him who hath abundance spend of his abundance, and he whose provision is measured, let him spend of that which Allah hath given him. Allah asketh naught of any soul save that which He hath given it. Allah will vouchsafe, after hardship, ease.
SHAKIR: Let him who has abundance spend out of his abundance and whoever has his means of subsistence straitened to him, let him spend out of that which Allah has given him; Allah does not lay on any soul a burden except to the extent to which He has granted it; Allah brings about ease after difficulty.
KHALIFA: The rich husband shall provide support in accordance with his means, and the poor shall provide according to the means that GOD bestowed upon him. GOD does not impose on any soul more than He has given it. GOD will provide ease after difficulty.
৭। সামর্থবান লোকেরা তাদের সামর্থ অনুযায়ী ব্যয় করবে। যার সম্পদ সীমিত, সে আল্লাহ্ যা দান করেছেন তা থেকে ব্যয় করবে। আল্লাহ্ কোন ব্যক্তিকে যে সামর্থ দিয়েছেন তার অতিরিক্ত কোন দায়িত্ব তার উপরে চাপান না। আল্লাহ্ শীঘ্রই কষ্টের পর দিবেন স্বস্তি। ৫৫২০
৫৫২০। নবজাতকের মঙ্গলের জন্য তার স্বার্থরক্ষার জন্য, সন্তানের পিতা তার সামর্থ অনুযায়ী সন্তানের জন্য খরচ করবে। কারন পৃথিবীতে নূতন জীবনের আগমনের জন্য পিতা মাতা উভয়ই দায়ী। যেহেতু পিতা সংসারের অর্থকরী দায়িত্বের জন্য দায়বদ্ধ। সুতারাং নবজাতকের তত্বাবধানের ও প্রতিপালনের অর্থকরী দায়িত্ব পিতারই একক দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে কারও ভীত হওয়া উচিত নয়। আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস রাখা প্রয়োজন। আল্লাহ্ বলেছেন যে, যদি আমরা আন্তরিক ভাবে আমাদের কর্তব্য কর্মে সততার সাথে নিবেদিত থাকি, তবে আল্লাহ্ আমাদের দায়িত্বের বোঝা হালকা করে দেবেন এবং আমাদের জন্য সমাধানের পথ উম্মুক্ত করে দেবেন। ” আল্লাহ্ কষ্টের পরে দেবেন স্বস্তি ” – জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ্র এই আশ্বাসবাণী কার্যকর হয়, যদি বান্দা তার নিয়তে এবং প্রচেষ্টাতে হয় আন্তরিক ও সৎ। এই-ই হচ্ছে জীবন পথের উপদেশ ও নির্দ্দেশ।
আয়াতঃ 065.008
অনেক জনপদ তাদের পালনকর্তা ও তাঁর রসূলগণের আদেশ অমান্য করেছিল, অতঃপর আমি তাদেরকে কঠোর হিসাবে ধৃত করেছিলাম এবং তাদেরকে ভীষণ শাস্তি দিয়েছিলাম।
And many a town (population) revolted against the Command of its Lord and His Messengers, and We called it to a severe account (i.e. torment in this worldly life), and shall punish it with a horrible torment (in Hell, in the Hereafter).
وَكَأَيِّن مِّن قَرْيَةٍ عَتَتْ عَنْ أَمْرِ رَبِّهَا وَرُسُلِهِ فَحَاسَبْنَاهَا حِسَابًا شَدِيدًا وَعَذَّبْنَاهَا عَذَابًا نُّكْرًا
Wakaayyin min qaryatin AAatat AAan amri rabbiha warusulihi fahasabnaha hisaban shadeedan waAAaththabnaha AAathaban nukran
YUSUFALI: How many populations that insolently opposed the Command of their Lord and of His messengers, did We not then call to account,- to severe account?- and We imposed on them an exemplary Punishment.
PICKTHAL: And how many a community revolted against the ordinance of its Lord and His messengers, and We called it to a stern account and punished it with dire punishment,
SHAKIR: And how many a town which rebelled against the commandment of its Lord and His messengers, so We called it to account severely and We chastised it (with) a stern chastisement.
KHALIFA: Many a community rebelled against the commands of its Lord and against His messengers. Consequently, we held them strictly accountable, and requited them a terrible requital.
রুকু – ২
৮। কত সম্প্রদায় উদ্ধতভাবে আল্লাহ্র আদেশ ও রাসুলদের বিরুদ্ধাচারণ করেছিলো ৫৫২১। আমি কি তাদের নিকট থেকে হিসাব গ্রহণ করি নাই – কঠিন হিসাব ? এবং আমি তাদের উপরে আরোপ করেছিলাম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ৫৫২২।
৫৫২১। যুগে যুগে আল্লাহ্ ও তার রসুলগণকে অস্বীকার করার ফলে বিভিন্ন জাতির ভাগ্যে নেমে এসেছিলো মহা দুর্যোগ। তারা শুধু যে আল্লাহকেই অস্বীকার করতো তাই নয়, তারা আল্লাহ্র যে সব বিধান যা বিশ্ব প্রকৃতির আইন, যা আল্লাহ্ মানুষের কল্যাণের জন্য করেছেন, তাকেও তারা অস্বীকার করে। এসব বিধান সমূহে বর্ণিত আছে, মানুষের সাথে মানুষের আচরণ কিরূপ হওয়া উচিত, আত্মীয়, স্বজন, সামাজিক দায় দায়িত্ব প্রভৃতিতে দয়া, সহানুভূতি ও কর্তব্যের স্থান নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে। পরিবারের প্রতি কর্তব্য, সন্তানের প্রতি দায়িত্ব,সম্বন্ধে বলা হয়েছে পূর্ববর্তী আয়াত সমূহে। ব্যক্তি জীবন পরিবার থেকেই শুরু হয়ে মানুষকে পরিচালিত করে সুখ শান্তি ও আত্মশুদ্ধির পথে। আদম সন্তান পৃথিবীর জীবন যাপনের মাধ্যমেই এই ধূলার ধরণীকে অতিক্রম করে আধ্যাত্মিক জীবনের প্রান্তে উপণীত হতে পারে। আধ্যাত্মিক জীবনের সাফল্য নির্ভর করে পার্থিব জীবনের সাফল্যের উপরে, পবিত্রতার উপরে। এই সাফল্যের মূল কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে বৈবাহিক জীবনের পবিত্রতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য। যে পারিবারিক জীবনে আল্লাহ্র বিধানকে অস্বীকার করে থাকে তার পারিবারিক জীবন ধ্বংস হতে বাধ্য। সে পারিবারিক জীবনের সুখ শান্তি থেকে শুধু যে বঞ্চিত হবে তাই-ই নয়, তার জন্য পরলোকের জীবনের সুখ শান্তিও অন্তর্হিত হবে। কারণ ইহকালের জীবনই হচ্ছে পরলোকের জীবনের শষ্যক্ষেত্র স্বরূপ। ইহকালের কর্মের ফল লাভ ঘটবে মৃত্যু পরপারের জীবনে। সুতারাং যারা বৈবাহিক জীবনে আল্লাহ্র বিধানকে অস্বীকার করে তাদের পরিণাম ভয়াবহ। এ কথা যে শুধুমাত্র ব্যক্তির জন্যই প্রযোজ্য তাই নয়, এ কথা একটি জাতি বা যে কোনও সমাজের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। পাশ্চাত্য সভ্যতা উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করা সত্ত্বেও তাদের আধ্যাত্মিক জীবনে চরম শূণ্যতা লক্ষ্য করা যায় তার কারণ তারা পারিবারিক জীবন সম্বন্ধে যত্নশীল নয়। প্রাচুর্য তাদের আধ্যাত্মিক জীবনে শান্তি আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
৫৫২২। এখানে যে শাস্তির উল্লেখ করা হয়েছে, সে শাস্তি হচ্ছে পৃথিবীর জীবনের শাস্তি। পরলোকের শাস্তির উল্লেখ আছে নীচের ১০নং আয়াতে।
আয়াতঃ 065.009
অতঃপর তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করল এবং তাদের কর্মের পরিণাম ক্ষতিই ছিল।
So it tasted the evil result of its disbelief, and the consequence of its disbelief was loss (destruction in this life and an eternal punishment in the Hereafter).
فَذَاقَتْ وَبَالَ أَمْرِهَا وَكَانَ عَاقِبَةُ أَمْرِهَا خُسْرًا
Fathaqat wabala amriha wakana AAaqibatu amriha khusran
YUSUFALI: Then did they taste the evil result of their conduct, and the End of their conduct was Perdition.
PICKTHAL: So that it tasted the ill-effects of its conduct, and the consequence of its conduct was loss.
SHAKIR: So it tasted the evil result of its conduct, and the end of its affair was perdition.
KHALIFA: They suffered the consequences of their decisions; a profound loss.
৯। অতঃপর তারা তাদের কৃতকর্মের মন্দ পরিণতি আস্বাদন করেছিলো। তাদের কৃতকর্মের শেষ ফলাফল হচ্ছে [ পরলোকের ] শাস্তি।
১০। আল্লাহ্ [ পরলোকে ] তাদের জন্য কঠিন শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন ৫৫২৩। সুতারাং হে বোধশক্তিসম্পন্ন মানবকূল, যারা ঈমান এনেছ তারা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছেন উপদেশ ৫৫২৪
৫৫২৩। দেখুন উপরের টিকা।
৫৫২৪। যুগে যুগে আল্লাহ্ পৃথিবীতে তার হেদায়েতের আলো প্রেরণ করেছেন, সকল সৃষ্টির মাঝে, তার নিদর্শন বিদ্যমান, এর পরেও বিপথে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এর পরে যারা যায়, তাদের ওজর বা আপত্তি হচ্ছে ভ্রান্ত দেখুন পরবর্তী টিকা।
আয়াতঃ 065.010
আল্লাহ তাদের জন্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তত রেখেছেন অতএব, হে বুদ্ধিমানগণ, যারা ঈমান এনেছ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ তোমাদের প্রতি উপদেশ নাযিল করেছেন।
Allâh has prepared for them a severe torment. So fear Allâh and keep your duty to Him, O men of understanding who have believed! – Allâh has indeed sent down to you a Reminder (this Qur’ân).
أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ عَذَابًا شَدِيدًا فَاتَّقُوا اللَّهَ يَا أُوْلِي الْأَلْبَابِ الَّذِينَ آمَنُوا قَدْ أَنزَلَ اللَّهُ إِلَيْكُمْ ذِكْرًا
aAAadda Allahu lahum AAathaban shadeedan faittaqoo Allaha ya olee al-albabi allatheena amanoo qad anzala Allahu ilaykum thikran
YUSUFALI: Allah has prepared for them a severe Punishment (in the Hereafter). Therefore fear Allah, O ye men of understanding – who have believed!- for Allah hath indeed sent down to you a Message,-
PICKTHAL: Allah hath prepared for them stern punishment; so keep your duty to Allah, O men of understanding! O ye who believe! Now Allah hath sent down unto you a reminder,
SHAKIR: Allah has prepared for them severe chastisement, therefore be careful of (your duty to) Allah, O men of understanding who believe! Allah has indeed revealed to you a reminder,
KHALIFA: GOD has prepared for them severe retribution. Therefore, you shall reverence GOD, O you who possess intelligence and believed. GOD has sent down to you a message –
৯। অতঃপর তারা তাদের কৃতকর্মের মন্দ পরিণতি আস্বাদন করেছিলো। তাদের কৃতকর্মের শেষ ফলাফল হচ্ছে [ পরলোকের ] শাস্তি।
১০। আল্লাহ্ [ পরলোকে ] তাদের জন্য কঠিন শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন ৫৫২৩। সুতারাং হে বোধশক্তিসম্পন্ন মানবকূল, যারা ঈমান এনেছ তারা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছেন উপদেশ ৫৫২৪
৫৫২৩। দেখুন উপরের টিকা।
৫৫২৪। যুগে যুগে আল্লাহ্ পৃথিবীতে তার হেদায়েতের আলো প্রেরণ করেছেন, সকল সৃষ্টির মাঝে, তার নিদর্শন বিদ্যমান, এর পরেও বিপথে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এর পরে যারা যায়, তাদের ওজর বা আপত্তি হচ্ছে ভ্রান্ত দেখুন পরবর্তী টিকা।
আয়াতঃ 065.011
একজন রসূল, যিনি তোমাদের কাছে আল্লাহর সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করেন, যাতে বিশ্বাসী ও সৎকর্মপরায়ণদের অন্ধকার থেকে আলোতে আনয়ন করেন। যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, তিনি তাকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তথায় তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাকে উত্তম রিযিক দেবেন।
(And has also sent to you) a Messenger (Muhammad SAW), who recites to you the Verses of Allâh (the Qur’ân) containing clear explanations, that He may take out, those who believe and do righteous good deeds from the darkness (of polytheism and disbelief) to the light (of Monotheism and true Faith). And whosoever believes in Allâh and performs righteous good deeds, He will admit him into Gardens under which rivers flow (Paradise), to dwell therein forever. Allâh has indeed granted for him an excellent provision.
رَّسُولًا يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِ اللَّهِ مُبَيِّنَاتٍ لِّيُخْرِجَ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَمَن يُؤْمِن بِاللَّهِ وَيَعْمَلْ صَالِحًا يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا قَدْ أَحْسَنَ اللَّهُ لَهُ رِزْقًا
Rasoolan yatloo AAalaykum ayati Allahi mubayyinatin liyukhrija allatheena amanoo waAAamiloo alssalihati mina alththulumati ila alnnoori waman yu/min biAllahi wayaAAmal salihan yudkhilhu jannatin tajree min tahtiha al-anharu khalideena feeha abadan qad ahsana Allahu lahu rizqan
YUSUFALI: An Messenger, who rehearses to you the Signs of Allah containing clear explanations, that he may lead forth those who believe and do righteous deeds from the depths of Darkness into Light. And those who believe in Allah and work righteousness, He will admit to Gardens beneath which Rivers flow, to dwell therein for ever: Allah has indeed granted for them a most excellent Provision.
PICKTHAL: A messenger reciting unto you the revelations of Allah made plain, that He may bring forth those who believe and do good works from darkness unto light. And whosoever believeth in Allah and doeth right, He will bring him into Gardens underneath which rivers flow, therein to abide for ever. Allah hath made good provision for him.
SHAKIR: An Messenger who recites to you the clear communications of Allah so that he may bring forth those who believe and do good deeds from darkness into light; and whoever believes in Allah and does good deeds, He will cause him to enter gardens beneath which rivers now, to abide therein forever, Allah has indeed given him a goodly sustenance.
KHALIFA: a messenger who recites to you GOD’s revelations, clearly, to lead those who believe and work righteousness out of the darkness into the light. Anyone who believes in GOD and leads a righteous life, He will admit him into gardens with flowing streams; they abide therein forever. GOD will generously reward him.
১১। একজন রসুল, যে তোমাদের নিকট আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহ আবৃত্তি করে এবং ব্যাখ্যা করে, যেনো সে, যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাদের অন্ধকারের অতল থেকে আলোতে নিয়ে আসতে পারে ৫৫২৫। এবং যে আল্লাহতে বিশ্বাস করে ও সৎ কাজ করে, আল্লাহ্ তাকে বেহেশত দান করবেন, পাদদেশে যার নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে। অবশ্যই আল্লাহ্ তাদের জন্য উত্তম জীবনোপকরণ দান করবেন।
৫৫২৫। অবিশ্বাসী ও পাপে নিমগ্ন আত্মা হচ্ছে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত আত্মা। কারণ এ সব আত্মাতে আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো প্রবেশ লাভ ঘটে নাই। এদের বর্ণনা পবিত্র কোরাণে এভাবে দান করা হয়েছে; “তাহাদের কর্ম গভীর সমুদ্র তলের অন্ধকার সদৃশ, যাহাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যাহার উর্দ্ধে মেঘপুঞ্জ, অন্ধকারপুঞ্জ স্তরের উপরে স্তর, এমনকি সে হাত বের করলে তা আদৌ দেখতে পাবে না। আল্লাহ্ যাকে’ জ্যোতি দান করেন না, তার জন্য কোন জ্যোতি নাই। ” [ ২৪ : ৪০ ]। আবার দেখুন আয়াত [ ২ : ২৫৭ ] যেখানে বলা হয়েছে, ” যারা ঈমান আনে, আল্লাহ্ তাহাদের অভিভাবক তিনি তাদের অন্ধকার থেকে বের করে আলোকে নিয়ে যান।” এই আলো হচ্ছে আত্মার আলো। ব্যক্তি যখন সৎপথে আল্লাহ্ প্রেমে নিবেদিত থাকে তখন সে এক অত্যাচার্য আত্মিক শক্তির অধিকার লাভ করে, যে শক্তি তার অন্তরে আলোর দীপ্তি দান করে। তার জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, অর্ন্তদৃষ্টি, বিচক্ষণতা প্রভৃতি এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, সে ইহলোকে অতিক্রম করে পার্থিব দেহের ব্যবধানকে অতিক্রম করে, অপার্থিব ও অলৌকিক জীবনের সন্ধান লাভ করে। একেই বলা হয়েছে, “জ্যোতি”।
আয়াতঃ 065.012
আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।
It is Allâh Who has created seven heavens and of the earth the like thereof (i.e. seven). His Command descends between them (heavens and earth), that you may know that Allâh has power over all things, and that Allâh surrounds (comprehends) all things in (His) Knowledge.
اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا
Allahu allathee khalaqa sabAAa samawatin wamina al-ardi mithlahunna yatanazzalu al-amru baynahunna litaAAlamoo anna Allaha AAala kulli shay-in qadeerun waanna Allaha qad ahata bikulli shay-in AAilman
YUSUFALI: Allah is He Who created seven Firmaments and of the earth a similar number. Through the midst of them (all) descends His Command: that ye may know that Allah has power over all things, and that Allah comprehends, all things in (His) Knowledge.
PICKTHAL: Allah it is who hath created seven heavens, and of the earth the like thereof. The commandment cometh down among them slowly, that ye may know that Allah is Able to do all things, and that Allah surroundeth all things in knowledge.
SHAKIR: Allah is He Who created seven heavens, and of the earth the like of them; the decree continues to descend among them, that you may know that Allah has power over all things and that Allah indeed encompasses all things in (His) knowledge. GOD created seven universes and the same number of earths. The commands flow among them. This is to let you know that GOD is Omnipotent, and that GOD is fully aware of all things
KHALIFA: GOD created seven universes and the same number of earths. The commands flow among them. This is to let you know that GOD is Omnipotent, and that GOD is fully aware of all things
১২। তিনিই আল্লাহ্ যিনি সপ্ত আকাশ ৫৫২৬ ও উহাদের তুল্য পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ৫৫২৭। উহাদের মধ্য দিয়ে তার [ সকল ] নির্দ্দেশ নেমে আসে ৫৫২৮। তোমরা যেনো বুঝতে পার সকল কিছুর উপরে আল্লাহ্ ক্ষমতাবান। এবং জ্ঞানে আল্লাহ্ সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন।
৫৫২৬। “সপ্ত আকাশ ” – আক্ষরিক অর্থে বোঝানো হয় আমাদের উর্দ্ধ আকাশের স্তর যা গ্রহ নক্ষত্রকে ধারণ করে। অনুরূপ আয়াতের জন্য দেখুন সূরা [ ২৩ : ১৭ ] আয়াত ও টিকা ২৮৭৬ এবং সূরা [ ৩৭ : ৬ ] আয়াতের টিকা ৪০৩৫ – ৩৬ ] প্রকৃত পক্ষে সপ্ত আকাশের ধারণা করা পৃথিবীর মানুষের পক্ষে অসম্ভব। মানুষ মহাশূন্যে হাবেল টেলিস্কোপ স্থাপন করে ও স্পেসশীপ প্রেরণ করে মহাকাশের সন্ধান লাভ করতে ব্যস্ত। এর ফলেই মানুষ বর্তমানে ধারণা করতে সক্ষম হয়েছে যে মহাকাশ সম্বন্ধে তার জ্ঞান কত অকিঞ্চিতকর। এই জ্ঞানের ক্ষেত্রে তার অবস্থান মহাসমুদ্রের বেলাভূমিতে দাড়িয়ে নূড়ি কুড়ানোর সম। ‘সাত’ সংখ্যাটি এখানে অতিন্দ্রীয় এক প্রতীক গুপ্ত সংখ্যা, যার দ্বারা বিশালত্বের ধারণা দেয়া হয়েছে আবার একই সাথে এমন একটি সংখ্যাকে নির্দ্দেশ করা হয়েছে যা একটি সর্বোচ্চ পূর্ণ একক সংখ্যা এবং অবিভাজ্য।
৫৫২৭। এই আয়াতটির পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা করা তখনই সম্ভব হবে যখন মানুষের বিজ্ঞানের জ্ঞানের পরিধি আরও ব্যাপ্তি লাভে সক্ষম হবে। আক্ষরিক অর্থে এর অর্থ হচ্ছে আকাশ ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর উপরিভাগও অনুরূপ স্তরে বিন্যস্ত।
৫৫২৮। “উহাদের মধ্যে দিয়ে নেমে আসে তাঁর নির্দ্দেশ” – অর্থাৎ আকাশ ও পৃথিবীতে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ্র আইন কার্যকর। আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞা সকল কিছুকে বেষ্টন করে থাকে।