৩০। সুবিস্তৃত ছায়া
৩১। সদা প্রবাহমান পানি,
৩২। ও প্রচুর ফল-মূল।
৩৩। যে ফলের সময়কাল সীমাবদ্ধ নয়, অথবা যার সরবরাহ নিষিদ্ধ করা হবে না ৫২৩৯
৫২৩৯। যেহেতু এসব ফল ও ফুল পার্থিব নয়। এ সবের কোন নির্দ্দিষ্ট সীমা,সময় থাকবে না। পৃথিবীর ফল ও ফুল উৎপন্ন হয় ঋতু অনুযায়ী, যা নির্দ্দিষ্ট সময় শেষে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বেহেশতের চিত্ররূপ সম্পূর্ন ভিন্ন। সেখানে কোনও কিছুই শেষ হওয়ার নয় বা কিভাবে তা গ্রহণ করা হবে বা কখন গ্রহণ করা হবে সে সম্বন্ধে কোনও ধরাবাধা নিয়ম নাই। প্রত্যেকেই আপন ইচ্ছা ও তৃপ্তি অনুযায়ী তা গ্রহণ করতে পারে, তা হবে অশেষ। এই বর্ণনাটি রূপক ধর্মী। আধ্যাত্মিক কৃতকর্মের ‘ফল’ কে রূপকের মাধ্যমে এভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। যে ‘ফল’ হবে সহজলভ্য, অশেষ এবং সীমাহীন।
আয়াতঃ 056.034
আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়।
And on couches or thrones, raised high.
وَفُرُشٍ مَّرْفُوعَةٍ
Wafurushin marfooAAatin
YUSUFALI: And on Thrones (of Dignity), raised high.
PICKTHAL: And raised couches;
SHAKIR: And exalted thrones.
KHALIFA: Luxurious furnishings.
৩৪। এবং [ সম্মানের ] সমুচ্চ সিংহাসনে থাকবে।
৩৫। আমি [ তাদের সঙ্গীনিদের ] বিশেষ ভাবে সৃষ্টি করেছি ৫২৪০
৩৬। এবং তাদের করেছি পবিত্র কুমারী
৩৭। সোহাগিনি,সমবয়স্ক, –
৩৮। ডান হাতের [ আমলানামাদের ] জন্য।
৫২৪০। যদিও বর্ণনাটি পার্থিব বর্ণনার ন্যায় স্ত্রী জাতির সৌন্দর্য বর্ণনার সাথে সমন্বিত করা হয়েছে, কিন্তু পরলোকের জীবনকে এবং সেই জীবনের সৌন্দর্য ও সুখানুভূতিকে নশ্বর দেহের অনুভূতির ন্যায় কল্পনা করা হবে মূর্খতার কাজ। তবুও বেহেশতের সুখ শান্তিকে মানুষের অনুভূতি ও উপলব্ধির ধারণার মাঝে সীমাবদ্ধ করার জন্য পার্থিব জীবনের উপলব্ধিকে ব্যবহার করা হয়েছে। বেহেশতের জীবনে পার্থিব জীবনের যৌনতার যে অপবিত্র রূপ তা থাকবে না। কারণ সেখানে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতির কারণে নশ্বর দেহের চাওয়া পাওয়ার বিকৃত রূপ অন্তর্হিত হবে। বেহেশতের এই সঙ্গীরা হবে আল্লাহ্র বিশেষ সৃষ্টি যাদের বলা হয়েছে ; কুমারী, পূত-পবিত্র, স্বর্গীয় সৌন্দর্যের অধিকারী। যারা হবে সোহাগিনী ও সমবয়স্কা। এই বর্ণনাতে সম্পূর্ণটাই স্ত্রীলিঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে তার কারণ আরবীতে Pronoun বা বিশেষণ স্ত্রীলিঙ্গে প্রকাশ করা হয়। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে বেহেশতে সকলেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্বর্গীয় সুখ ও শান্তির অধিকারী হবে যা প্রকাশ করা হয়েছে দৈহিক সৌন্দর্য, আরাম আয়েশ, যৌন অনুভূতি, খাদ্য -পানীয় ইত্যাদি পার্থিব সুখের অনুভূতির মাধ্যমে। যে অনুভূতি হবে দেহাতীত। পরলোকের জীবন হচ্ছে আধ্যাত্মিক জীবন যা হবে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতিতে এক নূতন পৃথিবী।
আয়াতঃ 056.035
আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি।
Verily, We have created them (maidens) of special creation.
إِنَّا أَنشَأْنَاهُنَّ إِنشَاء
Inna ansha/nahunna inshaan
YUSUFALI: We have created (their Companions) of special creation.
PICKTHAL: Lo! We have created them a (new) creation
SHAKIR: Surely We have made them to grow into a (new) growth,
KHALIFA: We create for them mates.
৩৪। এবং [ সম্মানের ] সমুচ্চ সিংহাসনে থাকবে।
৩৫। আমি [ তাদের সঙ্গীনিদের ] বিশেষ ভাবে সৃষ্টি করেছি ৫২৪০
৩৬। এবং তাদের করেছি পবিত্র কুমারী
৩৭। সোহাগিনি,সমবয়স্ক, –
৩৮। ডান হাতের [ আমলানামাদের ] জন্য।
৫২৪০। যদিও বর্ণনাটি পার্থিব বর্ণনার ন্যায় স্ত্রী জাতির সৌন্দর্য বর্ণনার সাথে সমন্বিত করা হয়েছে, কিন্তু পরলোকের জীবনকে এবং সেই জীবনের সৌন্দর্য ও সুখানুভূতিকে নশ্বর দেহের অনুভূতির ন্যায় কল্পনা করা হবে মূর্খতার কাজ। তবুও বেহেশতের সুখ শান্তিকে মানুষের অনুভূতি ও উপলব্ধির ধারণার মাঝে সীমাবদ্ধ করার জন্য পার্থিব জীবনের উপলব্ধিকে ব্যবহার করা হয়েছে। বেহেশতের জীবনে পার্থিব জীবনের যৌনতার যে অপবিত্র রূপ তা থাকবে না। কারণ সেখানে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতির কারণে নশ্বর দেহের চাওয়া পাওয়ার বিকৃত রূপ অন্তর্হিত হবে। বেহেশতের এই সঙ্গীরা হবে আল্লাহ্র বিশেষ সৃষ্টি যাদের বলা হয়েছে ; কুমারী, পূত-পবিত্র, স্বর্গীয় সৌন্দর্যের অধিকারী। যারা হবে সোহাগিনী ও সমবয়স্কা। এই বর্ণনাতে সম্পূর্ণটাই স্ত্রীলিঙ্গ ব্যবহার করা হয়েছে তার কারণ আরবীতে Pronoun বা বিশেষণ স্ত্রীলিঙ্গে প্রকাশ করা হয়। প্রকৃত অবস্থা হচ্ছে বেহেশতে সকলেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্বর্গীয় সুখ ও শান্তির অধিকারী হবে যা প্রকাশ করা হয়েছে দৈহিক সৌন্দর্য, আরাম আয়েশ, যৌন অনুভূতি, খাদ্য -পানীয় ইত্যাদি পার্থিব সুখের অনুভূতির মাধ্যমে। যে অনুভূতি হবে দেহাতীত। পরলোকের জীবন হচ্ছে আধ্যাত্মিক জীবন যা হবে নশ্বর দেহের অনুপস্থিতিতে এক নূতন পৃথিবী।
আয়াতঃ 056.036
অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী।
And made them virgins.
فَجَعَلْنَاهُنَّ أَبْكَارًا
FajaAAalnahunna abkaran
YUSUFALI: And made them virgin – pure (and undefiled), –
PICKTHAL: And made them virgins,
SHAKIR: Then We have made them virgins,
KHALIFA: Never previously touched.