৫২৫৭। আল্লাহ্র এই সব নিদর্শন প্রকৃতির মাঝে প্রত্যক্ষ দ্বারা এবং আধ্যাত্মিক জগতে তাদের প্রতীকধর্মী প্রয়োগ আত্মার মাঝে উপলব্ধির জন্য সকলকে আহ্বান করা হয়েছে। যদি মানুষ আল্লাহ্র মহিমাকে প্রকৃত পক্ষে অনুধাবন করতে চায়, তবে অবশ্যই আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন করে আনুগত্য প্রকাশ করবে।
আয়াতঃ 056.075
অতএব, আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি,
So I swear by Mawâqi (setting or the mansions, etc.) of the stars (they traverse).
فَلَا أُقْسِمُ بِمَوَاقِعِ النُّجُومِ
Fala oqsimu bimawaqiAAi alnnujoomi
YUSUFALI: Furthermore I call to witness the setting of the Stars,-
PICKTHAL: Nay, I swear by the places of the stars –
SHAKIR: But nay! I swear by the falling of stars;
KHALIFA: I swear by the positions of the stars.
রুকু – ৩
৭৫। অধিকন্তু,আমি শপথ করছি অস্তগামী তারকারাজির, ৫২৫৮ –
৫২৫৮। “অস্তগামী তারকারাজির ” – এই বাক্যটির গূঢ় অর্থ অত্যন্ত রহস্যপূর্ণ যা সম্পূর্ণ হৃদয়ঙ্গম করা বর্তমান বিজ্ঞানের সম্পূর্ণ জ্ঞানকে একত্র করেও অনুধাবন করা সম্ভব নয়। তিনটি ব্যাখ্যা এখানে প্রদান করা হলো :
১) দেখুন আয়াত [ ৫০ : ১ ] আয়াত ও টিকা ৫০৮৫। উজ্জ্বল নক্ষত্ররাজির অস্তাচল যাওয়াকে বিনয়ের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই অসীম, সর্বশক্তিমান,সর্বমঙ্গলময় আল্লাহ্র প্রতি নক্ষত্ররাজির বিনয়ে অবনত হওয়াকে অস্ত যাওয়ার প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়েছে।
২) এই বাক্যটি দ্বারা রোজ কেয়ামতের দিনে সমস্ত নক্ষত্ররাজির ধ্বংসকে বোঝানো হয়েছে, যেদিন সকলের জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
৩) পার্থিব সুন্দর ও উজ্জ্বল যে কোন বস্তুই যে কোন মূহুর্তে আমাদের দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে যেতে পারে, যদিও তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় না। যেমন নক্ষত্র রাজি অস্ত চলে যায়।
আয়াতঃ 056.076
নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে।
And verily, that is indeed a great oath, if you but know.
وَإِنَّهُ لَقَسَمٌ لَّوْ تَعْلَمُونَ عَظِيمٌ
Wa-innahu laqasamun law taAAlamoona AAatheemun
YUSUFALI: And that is indeed a mighty adjuration if ye but knew,-
PICKTHAL: And lo! that verily is a tremendous oath, if ye but knew –
SHAKIR: And most surely it is a very great oath if you only knew;
KHALIFA: This is an oath, if you only knew, that is awesome.
৭৬। অবশ্যই ইহা এক মহা শপথ ৫২৫৯, যদি তোমরা জানতে, –
৫২৫৯। রাতের আকাশের নক্ষত্ররাজির সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে আবার রাত্রি শেষে তারা অন্তর্হিত হয়ে যায়। এই বিশাল নক্ষত্রজগত ও তার পরিক্রমা মানুষকে অসীম শক্তিশালী স্রষ্টার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। অবশ্য তাদেরই স্মরণে আসবে যারা স্মরণ করতে চায়।
আয়াতঃ 056.077
নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন,
That (this) is indeed an honourable recital (the Noble Qur’ân).
إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ
Innahu laqur-anun kareemun
YUSUFALI: That this is indeed a qur’an Most Honourable,
PICKTHAL: That (this) is indeed a noble Qur’an
SHAKIR: Most surely it is an honored Quran,
KHALIFA: This is an honorable Quran.
৭৭। ইহা নিশ্চয়ই মহা সম্মানীয় কুর-আন ৫২৬০
৫২৬০। আল্লাহ্র ক্ষমতা ও মাহাত্ম্য বিভিন্নভাবে বর্ণনা করার পরে এবারে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে কুর-আনের প্রতি। কোরাণ হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী যা প্রত্যাদেশের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়। ১) ‘Karim’ বা ইহা মহা সম্মানীত। ২) ‘Makrur’ সুরক্ষিত কিতাব। অর্থাৎ এই কিতাবের পবিত্রতা সুরক্ষিত। [ ১৫ : ৯] আয়াত ও টিকা ১৯৪৪। ৩) যারা পূত পবিত্র তারা ব্যতীত আর কেহ স্পর্শ করবে না। এই পবিত্রতা হবে শারীরিক, মানসিক, চিন্তায়,নিয়ত বা উদ্দেশ্যে অর্থাৎ এক কথায় আত্মার পবিত্রতা। অর্থাৎ যখন মানুষ শারীরিক ও আত্মিক ভাবে পবিত্র থাকে শুধু তখনই মানুষ কুর-আনের বাণীর প্রকৃত অর্থ অনুধাবনে সক্ষম। ৪) এই কিতাব বিশ্ব জাহানের স্রষ্টার নিকট থেকে আগত। সুতারাং এর উপদেশ বিশ্বজনীন। সৃষ্টির সকলের জন্য প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 056.078
যা আছে এক গোপন কিতাবে,
In a Book well-guarded (with Allâh in the heaven i.e. Al-Lauh Al-Mahfûz).
فِي كِتَابٍ مَّكْنُونٍ
Fee kitabin maknoonin
YUSUFALI: In Book well-guarded,
PICKTHAL: In a Book kept hidden
SHAKIR: In a book that is protected
KHALIFA: In a protected book.
৭৮। যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে ৫২৬০-ক
৫২৬০-ক। সুরক্ষিত কিতাব দ্বারা লওহে মাহ্ফুজে বা সংরক্ষিত ফলক বুঝানো হয়েছে।
আয়াতঃ 056.079
যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।
Which (that Book with Allâh) none can touch but the purified (i.e. the angels).
لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ
La yamassuhu illa almutahharoona
YUSUFALI: Which none shall touch but those who are clean:
PICKTHAL: Which none toucheth save the purified,
SHAKIR: None shall touch it save the purified ones.
KHALIFA: None can grasp it except the sincere.