আয়াতঃ 056.072
তোমরা কি এর বৃক্ষ সৃষ্টি করেছ, না আমি সৃষ্টি করেছি ?
Is it you who made the tree thereof to grow, or are We the Grower?
أَأَنتُمْ أَنشَأْتُمْ شَجَرَتَهَا أَمْ نَحْنُ الْمُنشِؤُونَ
Aantum ansha/tum shajarataha am nahnu almunshi-oona
YUSUFALI: Is it ye who grow the tree which feeds the fire, or do We grow it?
PICKTHAL: Was it ye who made the tree thereof to grow, or were We the grower?
SHAKIR: Is it you that produce the trees for it, or are We the producers?
KHALIFA: Did you initiate its tree, or did we?
৭১। চিন্তা করে দেখেছ কি তোমরা যে আগুন জ্বালাও, সে সম্বন্ধে ?
৭২। তোমরা কি আগুনে দাহ্য গাছকে সৃষ্টি করেছ, না আমি তা উৎপন্ন করেছি ? ৫২৫৪
৫২৫৪। আগুনের সাথে বৃক্ষের অঙ্গাগী সম্পর্ক বিদ্যমান। সভ্যতার প্রথম সূচনা ঘটে শুষ্ক কাঠে ঘর্ষনের দ্বারা অগ্নির প্রজ্জ্বলন দ্বারা। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরণের জ্বালানী বিদ্যমান। তবে সাধারণ ভাবে দৈনন্দিক জীবনে আমরা আগুন দ্বারা কাঠকেই জ্বালানী হিসেবে কল্পনা করে থাকি। এমন কি পেট্রোল, কয়লা ইত্যাদি জ্বালানীরও সৃষ্টি হয়েছে বৃক্ষ থেকে। প্রাগ্ঐতিহাসিক যুগে পৃথিবীর ঘন উদ্ভিদ জগত ভূমিকম্পে মাটির অভ্যন্তরে তলিয়ে যায়। সেখানে মাটির প্রচন্ড তাপে ও চাপে এবং অক্সিজেনের অভাবে, তেল, গ্যাস ও কয়লাতে রূপান্তরিত হয়ে পড়ে – বহু বছরের পরিক্রমায়। সবুজ গাছ থেকে অগ্নি উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে [ ৩৬: ৮০ ] ও টিকা নং ৪০২৬।
আয়াতঃ 056.073
আমি সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী।
We have made it a Reminder (for the Hell-fire, in the Hereafter); and an article of use for the travellers (and all the others, in this world).
نَحْنُ جَعَلْنَاهَا تَذْكِرَةً وَمَتَاعًا لِّلْمُقْوِينَ
Nahnu jaAAalnaha tathkiratan wamataAAan lilmuqweena
YUSUFALI: We have made it a memorial (of Our handiwork), and an article of comfort and convenience for the denizens of deserts.
PICKTHAL: We, even We, appointed it a memorial and a comfort for the dwellers in the wilderness.
SHAKIR: We have made it a reminder and an advantage for the wayfarers of the desert.
KHALIFA: We rendered it a reminder, and a useful tool for the users.
৭৩। [ আমার হস্তশিল্পের ] এটা এক স্মরণীয় নিদর্শন ৫২৫৫ এবং মরুভূমির অধিবাসীদের জন্য স্বস্তি ও সুখ স্বচ্ছন্দ্য ৫২৫৬।
৫২৫৫। প্রকৃতিতে ‘আগুন ‘ হচ্ছে আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপুন্যের উপযুক্ত প্রতীক। আগুনের আবিষ্কার হচ্ছে সভ্যতার প্রথম সূচনা লগ্ন। সে ভাবে আগুনকে সভ্যতার প্রতীক চিহ্ন হিসেবে কল্পনা করা হয়। পার্থিব জীবনে আগুন হচ্ছে আরাম -আয়েশ এবং সুযোগ সুবিধার প্রতীক। আধ্যাত্মিক জীবনে পূণ্যাত্মাদের আধ্যাত্মিক আলোর প্রতীক এবং পাপীদের জন্য ধ্বংস ও শাস্তির প্রতীক বা দোযখের প্রতীক।
একই ভাবে ‘বীজের অঙ্কুরোদ্গমকেও ‘ প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বীজকে বিদীর্ণ করে বীজের অন্ধকার থেকে ধরার আলোতে চারাগাছের যেরূপ আগমন ঘটে, আল্লাহ্র বাণীও তদ্রূপ অন্ধকারচ্ছন্ন আত্মার মাঝে আলোর বন্যার সৃষ্টি করে। দেখুন [ ৪৮ : ২৯ ] ও টিকা ৪৯১৭ ঠিক সেই একই রূপ ভাবে বৃষ্টির পানি ও নদীর পানি, যা পৃথিবীর জীবন রক্ষা করে, এদের উত্থাপন করা হয়েছে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে। দেখুন [ ১৮ : ৬০ ] আয়াত ও টিকা ২৪০৪ -৫।
৫২৫৬। দেখুন [ ২০ : ১০ ] আয়াত ও টিকা ২৫৪১ যেখানে হযরত মুসা মরুভুমির মাঝে যে অগ্নির সাক্ষাৎ লাভ করেন তার গুপ্ত রহস্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাধারণ ভাবে দিগন্ত বিস্তৃত মরুভূমির মাঝে রাতের আঁধারে আলোর উপস্থিতি নির্দ্দেশ করে আগুন তথা মানুষের উপস্থিতি। পথভ্রান্ত, দিকভ্রান্ত পথিক তার অনুসরণ করে মানুষের বাসস্থানের সন্ধান লাভ করে প্রাণে রক্ষা পায় ও আরাম আয়েশ লাভ করে। এ ভাবেই আগুন বা আলো বা আলোর সংকেত পথভ্রান্ত পথিকের জীবন রক্ষা করে। বর্তমান যুগে নাবিকদের জন্য সমুদ্রের লাইট হাউজ, এবং এরোড্রামের বাতির সংকেত পাইলটদের জন্য ঠিক ঐ একই উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়।
আগুন সম্বন্ধে রূপক বর্ণনা আছে [ ২ : ১৭- ১৮] আয়াতে ও টিকা নং ৩৮।
আয়াতঃ 056.074
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
Then glorify with praises the Name of your Lord, the Most Great.
فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
Fasabbih biismi rabbika alAAatheemi
YUSUFALI: Then celebrate with praises the name of thy Lord, the Supreme!
PICKTHAL: Therefor (O Muhammad), praise the name of thy Lord, the Tremendous.
SHAKIR: Therefore glorify the name of your Lord, the Great.
KHALIFA: You shall glorify the name of your Lord, the Great.
৭৪। অতএব, তুমি তোমার মহান প্রভুর নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর ৫২৫৭।