১) তাঁর মঙ্গলময় ও কল্যাণকর ভূমিকার প্রতি ও [৫৬ : ৫৭]
২) সন্তান তৈরীতে আমাদের ভূমিকা ও বিশ্ব প্রকৃতিতে আমরা যা উৎপাদন করি ও নিয়ন্ত্রণ করি তাঁর দ্বারা।
[৫৬ : ৫৮-৭৩] এখানে তিনটি উদাহরণ দান করা হয়েছে।
১) যে বীজ আমরা মাটিতে বপন করি সেই বীজের অঙ্কুরোদ্গম থেকে শষ্য ক্ষেত বা মহীরূহতে পরিণত হওয়া সবই আল্লাহ্র সৃষ্টি নৈপুন্যের স্বাক্ষর।
২) জীবন রক্ষাকারী পানি – যা আমরা পান করে থাকি। প্রকৃতিতে পানির সরবরাহ ব্যবস্থা, আল্লাহ্র সৃষ্টিতত্বের এক অপূর্ব কৌশল। যারা বিজ্ঞান পড়েছেন তারা জানেন, “পানি চক্রের ” মাধ্যমে কি অপূর্ব নিয়ন্ত্রণে সারা বিশ্ব ভূবনে পরিষ্কার পানি সরবরাহ করা হয়।
৩) আগুনের প্রতি লক্ষ্য করতে বলা হয়েছে ; যে আগুন পানির মতই জীবন রক্ষাকারী পদার্থ ;যা আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর দান করে।
এই তিনটি উদাহরণের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় মানুষের পৃথিবীতে জীবন রক্ষা ও ধারণ করার জন্য যে তিনটি বস্তু সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তাকেই এখানে উত্থাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 056.066
বলবেঃ আমরা তো ঋণের চাপে পড়ে গেলাম;
(Saying): ”We are indeed Mughramûn (i.e. ruined or lost the money without any profit, or punished by the loss of all that we spend for cultivation, etc.)! [See Tafsir Al-Qurtubî, Vol. 17, Page 219]
إِنَّا لَمُغْرَمُونَ
Inna lamughramoona
YUSUFALI: (Saying), “We are indeed left with debts (for nothing):
PICKTHAL: Lo! we are laden with debt!
SHAKIR: Surely we are burdened with debt:
KHALIFA: “We lost.
৬৬। [ বলবে : ] ” আমরা অবশ্যই [ শুধোশুধি ] ঋণগ্রস্থ হয়েছি ; ৫২৫২
৬৭। ” নিশ্চয়ই আমরা বঞ্চিত হয়ে পড়েছি [ আমাদের পরিশ্রমের ফসল থেকে ]।”
৫২৫২। খাদ্যের জন্য মানুষ, প্রাণী সকলেই উদ্ভিদ জগতের উপরে নির্ভরশীল। কৃষক জমিকে কর্ষণ করে, শষ্য বপন করে, পানি সেচ করে, আগাছা পরিষ্কার করে – তার আশা থাকে সময়ে সে উপযুক্ত পরিমাণে খাদ্য শষ্য লাভ করবে। কৃষকের এই পরিশ্রম ফসল উৎপাদনের পূর্বশর্ত সন্দেহ নাই, কিন্তু গভীর ভাবে চিন্তা করলে উপলব্ধি করা যায় যে বীজের অঙ্কুরোদ্গম ও বীজের মাঝে ডি, এন, এর মাধ্যমে নির্দ্দিষ্ট ফসলের আগমন বার্তা ঘোষণা স্রষ্টার জ্ঞান ও সৃষ্টি নৈপুন্যের প্রকাশ। ধানের বীজ ধান, পাটের বীজ পাটই উৎপন্ন করবে – এতো আল্লাহ্রই জ্ঞান ও প্রজ্ঞারই স্বাক্ষর।
আয়াতঃ 056.067
রং আমরা হূত সর্বস্ব হয়ে পড়লাম।
”Nay, but we are deprived!”
بَلْ نَحْنُ مَحْرُومُونَ
Bal nahnu mahroomoona
YUSUFALI: “Indeed are we shut out (of the fruits of our labour)”
PICKTHAL: Nay, but we are deprived!
SHAKIR: Nay! we are deprived.
KHALIFA: “We are deprived.”
৬৬। [ বলবে : ] ” আমরা অবশ্যই [ শুধোশুধি ] ঋণগ্রস্থ হয়েছি ; ৫২৫২
৬৭। ” নিশ্চয়ই আমরা বঞ্চিত হয়ে পড়েছি [ আমাদের পরিশ্রমের ফসল থেকে ]।”
৫২৫২। খাদ্যের জন্য মানুষ, প্রাণী সকলেই উদ্ভিদ জগতের উপরে নির্ভরশীল। কৃষক জমিকে কর্ষণ করে, শষ্য বপন করে, পানি সেচ করে, আগাছা পরিষ্কার করে – তার আশা থাকে সময়ে সে উপযুক্ত পরিমাণে খাদ্য শষ্য লাভ করবে। কৃষকের এই পরিশ্রম ফসল উৎপাদনের পূর্বশর্ত সন্দেহ নাই, কিন্তু গভীর ভাবে চিন্তা করলে উপলব্ধি করা যায় যে বীজের অঙ্কুরোদ্গম ও বীজের মাঝে ডি, এন, এর মাধ্যমে নির্দ্দিষ্ট ফসলের আগমন বার্তা ঘোষণা স্রষ্টার জ্ঞান ও সৃষ্টি নৈপুন্যের প্রকাশ। ধানের বীজ ধান, পাটের বীজ পাটই উৎপন্ন করবে – এতো আল্লাহ্রই জ্ঞান ও প্রজ্ঞারই স্বাক্ষর।
আয়াতঃ 056.068
তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
Tell Me! The water that you drink.
أَفَرَأَيْتُمُ الْمَاء الَّذِي تَشْرَبُونَ
Afaraaytumu almaa allathee tashraboona
YUSUFALI: See ye the water which ye drink?
PICKTHAL: Have ye observed the water which ye drink?
SHAKIR: Have you considered the water which you drink?
KHALIFA: Have you noted the water you drink?
৬৮। তোমরা যে পানি পান কর সে সম্বন্ধে কি [কখনও ] চিন্তা করেছ ?
৬৯। তোমরা কি তা [ বৃষ্টিরূপে ] মেঘ থেকে পতিত কর না আমি করি ?
৭০। যদি আমি ইচ্ছা করতাম তবে আমি তা লবণাক্ত ও বিস্বাদ করতে পারতাম ৫২৫৩ ; তারপরেও কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর না ?
৫২৫৩। পৃথিবীর বিশাল পানির ভান্ডারের অধিকাংশ লবনাক্ত যা সমুদ্রের পানি যা পানের ও ব্যবহারের অযোগ্য। সুপেয় ও মিষ্টি পানির ভান্ডার স্থলভাগে বিরাজ করে। পানির এই দুই স্রোতধারা পাশাপাশি অবস্থান করে তবুও পরস্পর মিশে যায় না। পৃথিবীর স্থলভাগের পানি সরবরাহ আল্লাহ্ এক বিশেষ কৌশলে করে থাকেন, বিজ্ঞান যার নাম দিয়েছে ” পানি চক্র “। স্থলভাগের মিষ্টি সুপেয় পানি নদীবাহিত হয়ে স্থল ভাগকে সিক্ত করে সমুদ্রে পতিত হয়ে লবনাক্ত হয়ে যায়, আবার সমুদ্রের লবনাক্ত পানি বায়ু শূন্য বাষ্প বা মিষ্টি পানি রূপে বাস্প হয়ে মেঘ আকারে স্থলভাগে প্রবেশ করে, বৃষ্টি আকারে স্থলভাগে ঝরে পড়ে এবং শুষ্ক খাল, বিল, পুকুর, নদী, প্রস্রবণকে সঞ্জিবীত করে, ভরিয়ে তোলে। দেখুন [ ২৫ : ৪৩ ] আয়াতের টিকা ৩১১১ – ২ এবং [৫৫ : ১৯ ] আয়াতের টিকা ৫১৮৫।