১৭। পূণ্যাত্মারা ৫০৪৯ থাকবে [ বেহেশতের ] বাগানে এবং সুখে সন্তুষ্টিতে;
১৮। তাদের প্রভু তাদের যে [ প্রশান্তি ] দান করেছেন তারা তা উপভোগ করতে থাকবে, এবং তাদের প্রভু তাদের আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করবেন।
৫০৪৯। পূণ্যাত্মারা বেহেশতে যে সুখ ও শান্তি লাভ করবেন তা তুলনাহীন, তা তাদের ধারণারও বাইরে। পৃথিবীর জীবনে কেউই সর্ব পাপের উর্দ্ধে নয়। কিন্তু পরম করুণাময় তাঁদের এই ছোটখাট পাপ ও দোষত্রুটি মাপ করে দিয়ে তাদের আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভে ধন্য করবেন। পার্থিব জীবনে তারা পাপমুক্ত জীবন ধারনের যে চেষ্টা করেছেন তারই পুরষ্কার তাঁরা লাভ করবেন পারলৌকিক জীবনে ; দেখুন আয়াত নং ১৯। তবে তাদের পুরষ্কার তাদের যা প্রাপ্য তার থেকে বহু গুণ দেয়া হবে।
আয়াতঃ 052.019
তাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার প্রতিফলস্বরূপ তোমরা তৃপ্ত হয়ে পানাহার কর।
”Eat and drink with happiness because of what you used to do.”
كُلُوا وَاشْرَبُوا هَنِيئًا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
Kuloo waishraboo hanee-an bima kuntum taAAmaloona
YUSUFALI: (To them will be said:) “Eat and drink ye, with profit and health, because of your (good) deeds.”
PICKTHAL: (And it is said unto them): Eat and drink in health (as a reward) for what ye used to do,
SHAKIR: Eat and drink pleasantly for what you did,
KHALIFA: Eat and drink happily, in return for your works.
১৯। [ তাদের বলা হবে ] ৫০৫০, ” তোমাদের [ ভালো ] কাজের বিনিময়ে তোমরা তৃপ্তির সাথে আহার কর, এবং পান কর। ” ৫০৫১
৫০৫০। উপরের আয়াতসমূহের বিপরীতে পূণ্যাত্মাদের সুখ শান্তির বিবরণ তিনটি ধাপে তুলে ধরা হয়েছেঃ
১) তাঁদের ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি ও আর্থিক প্রশান্তি ; দেখুন আয়াত নং [ ১৭- ২০ ] ; ২) তাঁদের সামাজিক সুখ শান্তির প্রকাশ, দেখুন আয়াত নং [ ২১ – ২৪ ] ; এবং ৩) তাঁরা পৃথিবীর জীবনের তুচ্ছ আমোদ প্রমোদ ও সন্তুষ্টির কথা চিন্তা করে পরকালে আল্লাহ্র অনুগ্রহের পরিপূর্ণ রূপকে অনুধাবনে সক্ষম হবে। দেখুন আয়াত নং [ ২৫ – ২৮ ]।
৫০৫১। মোমেন বান্দাদের ব্যক্তিগত পরিতৃপ্তিকে তিনটি বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। ১) পান ও আহার করা ২) সজ্জিত আসন, ৩) সাহচর্যের বিমল অনন্দ। পানাহারকে বলা হয়েছে তৃপ্তির সাথে আহার কর অর্থাৎ অতিভোজন বা পানীয়ের কোনও পরবর্তীতে কুফল থাকবে না। সেখানে রোগ ব্যাধি মুক্ত, দুঃশ্চিন্তাহীন জীবনের নিশ্চয়তা থাকবে। অন্য দুটির জন্য দেখুন পরবর্তী টিকা।
আরও দেখুন বেহেশতের বর্ণনা [ ৩৭ : ৪০- ৪৯ ] আয়াতে।
আয়াতঃ 052.020
তারা শ্রেণীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব।
They will recline (with ease) on thrones arranged in ranks. And We shall marry them to Houris (female, fair ones) with wide lovely eyes.
مُتَّكِئِينَ عَلَى سُرُرٍ مَّصْفُوفَةٍ وَزَوَّجْنَاهُم بِحُورٍ عِينٍ
Muttaki-eena AAala sururin masfoofatin wazawwajnahum bihoorin AAeenin
YUSUFALI: They will recline (with ease) on Thrones (of dignity) arranged in ranks; and We shall join them to Companions, with beautiful big and lustrous eyes.
PICKTHAL: Reclining on ranged couches. And we wed them unto fair ones with wide, lovely eyes.
SHAKIR: Reclining on thrones set in lines, and We will unite them to large-eyed beautiful ones.
KHALIFA: They relax on luxurious furnishings, and we match them with beautiful spouses.
২০। তারা সারি সারি [মর্যাদাপূর্ণ ] সিংহাসনে [ আরামের সাথে ] হেলান দিয়ে বসবে ৫০৫২। সুনয়না পরমা সুন্দরী হুরদের সাথে আমি তাদের মিলন ঘটাবো ৫০৫৩।
৫০৫২। বেহেশতবাসীদের প্রত্যেকের জন্য থাকবে সম্মানীয় আসন। প্রতিটি আসনই থাকবে স্ব-স্ব বৈশিষ্ট্য মন্ডিত যদিও তারা থাকবে “শ্রেণীবদ্ধ”। অর্থাৎ প্রত্যেককে আল্লাহ্ পূত পবিত্র করে নেবেন কিন্তু সকলকে মিশ্রিত না করে প্রত্যেকেই স্ব-স্ব বৈশিষ্ট্যে ভাস্বর থাকবেন।
৫০৫৩। দেখুন [ ৪৪ : ৫৪ ] আয়াত এবং টিকা নং ৪৭২৮ ও ৪৭২৯ যেখানে হুর শব্দটি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মানুষ সুখ -আনন্দ কখনও একা ভোগ করে আনন্দ পায় না। সম অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আনন্দের শিখা আরও উজ্জ্বল ভাবে প্রজ্জ্বলিত হয়। এই সাহচর্যের সঙ্গীকে ‘হুর’ শব্দটির দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 052.021
যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী।
And those who believe and whose offspring follow them in Faith, to them shall We join their offspring, and We shall not decrease the reward of their deeds in anything. Every person is a pledge for that which he has earned.