আয়াতঃ 052.004
কসম বায়তুল-মামুর তথা আবাদ গৃহের,
And by the Bait-ul-Ma’mûr (the house over the heavens parable to the Ka’bah at Makkah, continuously visited by the angels);
وَالْبَيْتِ الْمَعْمُورِ
Waalbayti almaAAmoori
YUSUFALI: By the much-frequented Fane;
PICKTHAL: And the House frequented,
SHAKIR: And the House (Kaaba) that is visited,
KHALIFA: The frequented Shrine.
০৪। শপথ বায়তুল মামুরের,৫০৩৯
৫০৩৯। ৩) উপরের দুটি টিকা দেখুন। বায়তুন মামুরের শাব্দিক অর্থ এমন গৃহ যেখানে সর্বদা জনসমাগম হয়। কেউ কেউ মনে করেন এর দ্বারা ফেরেশতাদের এবাদত করবার স্থানকে বোঝায়। মওলানা ইউসুফ আলীর মতে বায়তুল মামুর দ্বারা কাবা ঘরকে বোঝানো হয়েছে যাকে আমাদের রাসুল (সা) পবিত্র করেন এবং আল্লাহ্র এবাদতের জন্য নিবেদন করেন।
আয়াতঃ 052.005
এবং সমুন্নত ছাদের,
And by the roof raised high (i.e. the heaven).
وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ
Waalssaqfi almarfooAAi
YUSUFALI: By the Canopy Raised High;
PICKTHAL: And the roof exalted,
SHAKIR: And the elevated canopy
KHALIFA: The exalted ceiling.
০৫। শপথ সমুন্নত আকাশের ; ৫০৪০
৫০৪০। “সমুন্নত আকাশ ” – আকাশকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, এর ব্যপ্তি, সীমা মানুষের বর্ণনার বাইরে।
আয়াতঃ 052.006
এবং উত্তাল সমুদ্রের,
And by the sea kept filled (or it will be fire kindled on the Day of Resurrection).
وَالْبَحْرِ الْمَسْجُورِ
Waalbahri almasjoori
YUSUFALI: And by the Ocean filled with Swell;-
PICKTHAL: And the sea kept filled,
SHAKIR: And the swollen sea
KHALIFA: The sea that is set aflame.
০৬। [ আরো ] শপথ উদ্বেলিত সমুদ্রের ; ৫০৪১, ৫০৪২
৫০৪১। “উদ্বেলিত সমুদ্রের ” – অর্থাৎ আদিগন্ত বিস্তৃত, বিশাল, সীমাহীন জলরাশি হচ্ছে সমুদ্র। ‘Masjur’ শব্দটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে ফুলে ফেঁপে ওঠা শক্তিশালী সমুদ্রের বিশাল ঢেউ যা প্রচন্ড বেগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ছে। দেখুন [ ৮১ : ৬ ] আয়াত যা এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর নিশ্চিহ্ন হওয়া এবং শেষ বিচারের দিনের প্রকৃত চিত্রকে তুলে ধরে।
৫০৪২। উপরের বর্ণিত পাঁচটি নিদর্শনের শপথের মাধ্যমে মানুষের জন্য মৃত্যু পরবর্তী শেষ বিচারের দিনের প্রতি ইঙ্গিত দান করা হয়েছে। শেষ বিচারের দিন অবশ্যম্ভাবী সত্য। এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে এই নিদর্শনগুলিকে ক্রম অনুযায়ী ধারাবাহিক ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ নিদর্শন যা মানুষের অনুভূতির সূদূর প্রান্তে থাকে তার উপস্থাপন করা হয়েছে সর্বাগ্রে এবং মানুষের অনুভূতির খুব কাছের জিনিষকে উপস্থাপন করা হয়েছে সর্বশেষে। উপস্থাপনের ধারাটি এরূপ : আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ যা সর্বোচ্চ নিদর্শন মানুষের ভাষাতে প্রকাশ লাভ করে রাসুলদের মাধ্যমে ; ঐশ্বরিক এবাদতের বিশ্বজনীন আবেদন ; উপরে নক্ষত্রশোভিত সমুন্নত আকাশ; নীচে পৃথিবী বেষ্টনকারী সমুদ্র যা জীবন ও গতিতে সমৃদ্ধ। এ সমস্তই নির্দ্দেশ করে আল্লাহ্র অস্তিত্ব সম্বন্ধে এবং আল্লাহ্র নিকট হিসাব – নিকাশের দিনকে। শেষ বিচারের দিনকে কেউই প্রতিহত করতে পারবে না।
আয়াতঃ 052.007
আপনার পালনকর্তার শাস্তি অবশ্যম্ভাবী,
Verily, the Torment of your Lord will surely come to pass,
إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ
Inna AAathaba rabbika lawaqiAAun
YUSUFALI: Verily, the Doom of thy Lord will indeed come to pass;-
PICKTHAL: Lo! the doom of thy Lord will surely come to pass;
SHAKIR: Most surely the punishment of your Lord will come to pass;
KHALIFA: Your Lord’s requital is unavoidable.
০৭। নিশ্চয়ই তোমার প্রভুর শাস্তি অবশ্যই আসবে ; –
০৮। কেহই তা রোধ করতে পারবে না ; –
০৯। যেদিন নভোমন্ডল মহাকম্পনে কাঁপতে থাকবে ৫০৪৩
৫০৪৩। শেষ বিচারের দিনকে দুভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ১) ” নভোমন্ডল মহাকম্পনে কাঁপতে থাকবে।” পার্থিব জীবনে আকাশের এইরূপ কল্পনা করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। কারণ পৃথিবীর জীবনে আমরা আকাশকে দেখি মুক্ত প্রশান্ত, উদার স্থির নীলাকাশ যা মানুষের মনকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে দেয়। রাতের নক্ষত্র খচিত আকাশ মানুষের চেতনাকে সূদূরে মহাবিশ্বে বিলিন করে। প্রতিটি গ্রহ, নক্ষত্র, তারকারাজি সকলেই আল্লাহ্ প্রদত্ত আইন নিভুর্লভাবে মেনে চলেছে বিরামহীন ভাবে। আকাশ মন্ডলীর কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলা দৃষ্টিগোচর হয় না – সর্বত্র বিরাজ করে অপার শান্তি। শেষ বিচারের দিনে নভোমন্ডলের এই শান্তির রূপ পরিবর্তিত হয়ে যাবে ; নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে। দ্বিতীয় বর্ণনার জন্য দেখুন পরবর্তী টিকা।
আয়াতঃ 052.008
তা কেউ প্রতিরোধ করতে পারবে না।
There is none that can avert it;
مَا لَهُ مِن دَافِعٍ
Ma lahu min dafiAAin
YUSUFALI: There is none can avert it;-
PICKTHAL: There is none that can ward it off.
SHAKIR: There shall be none to avert it;
KHALIFA: No force in the universe can stop it.