- সূরার নাম: সূরা তূর
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা তূর
আয়াতঃ 052.001
কসম তূরপর্বতের,
By the Mount;
وَالطُّورِ
Waalttoori
YUSUFALI: By the Mount (of Revelation);
PICKTHAL: By the Mount,
SHAKIR: I swear by the Mountain,
KHALIFA: Mt. Sinai.
০১। শপথ তূর পর্বতের ৫০৩৭।
৫০৩৭। এখানে পাঁচটি জিনিষের শপথ করা হয়েছে। আয়াত ১ – ৬ পর্যন্ত পাঁচটি নিদর্শনের প্রতি আবেদন করা হয়েছে। আয়াত নং ৭ – ২৮ পর্যন্ত মৃত্যু পরবর্তী পারলৌকিক জীবনের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যা তিন ভাগে উপস্থাপন করা হয়েছে। শেষ বিচারের দিনে এই চেনা জানা পৃথিবী অদৃশ্য হয়ে যাবে [ ৭-১০ আয়াত ] ; পাপীরা পাপের শাস্তি ভোগ করবে [ ১১ – ১৬ আয়াত ] ; পূণ্যাত্মারা ভবিষ্যতে আল্লাহ্র ক্ষমা ও ভালোবাসার স্বাদ গ্রহণ করবে অপার শান্তির মাধ্যমে। [ ১৭- ২৮ ] আয়াত ]
আয়াতঃ 052.002
এবং লিখিত কিতাবের,
And by the Book Inscribed.
وَكِتَابٍ مَّسْطُورٍ
Wakitabin mastoorin
YUSUFALI: By a Decree inscribed
PICKTHAL: And a Scripture inscribed
SHAKIR: And the Book written
KHALIFA: The recorded scripture.
০২। শপথ লিখিত বিধানের ৫০৩৮
০৩। যা আছে উম্মুক্ত পত্রে ;
৫০৩৮। দেখুন উপরেরর টিকা, যে পাঁচটি নিদর্শনের শপথ করা হয়েছে সেগুলি হচ্ছে : ১) তূর পর্বতের [ আয়াত ১ ] ; ২) উম্মুক্ত পত্রে লিখিত কিতাবের [ আয়াত ২ – ৩ ] ; ৩) বায়তুল মামূরের [ আয়াত ৪ ] ; ৪) সমুন্নত আকাশের [ আয়াত ৫ ] ; এবং ৫) উদ্বেলিত সমুদ্রের [ আয়াত ৬ ]।
১) এগুলির ব্যাখ্যা নিম্নরূপ : প্রতিটি নিদর্শন আক্ষরিক অর্থের সাথে সংযুক্ত। তূর পর্বতে বা সিনাই পর্বতে হযরত মুসা তাঁর প্রতি আল্লাহ্র প্রেরিত প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত হন ; দেখুন [৯৫ : ২ ] আয়াত, যেখানে পবিত্র মক্কা নগরীর পাশাপাশি এর উল্লেখ আছে [ ৯৫ : ৩ ]। হযরত ঈসার ক্ষেত্রে যায়তুন বা জলপাই পাহাড়ের কথা বলা হয়েছে ; দেখুন [ ৯৫ :১ ] আয়াত। বাইবেলে বলা হয়েছে [ Mar xxiv . 3 – 51 ] যে এখান থেকেই হযরত ঈসা মৃত্যু পরবর্তী জীবনের শেষ বিচারের ঘোষণা দান করেন। হযরত মুহম্মদের (সা ) বেলাতে তিনি প্রথম আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ লাভ করেন হেরা বা আলোর পাহাড়ে। সুতারাং কিতাবধারী জাতিদের জন্য পর্বতের শপথ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২) “উম্মুক্ত পত্রে লিখিত কিতাব ” অর্থাৎ যাতে আল্লাহ্র চিরন্তন বাণীসমূহ লিখিত থাকে। যখন প্রত্যাদেশসমূহ মানুষের জন্য পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়, তখন তাকে বলা হয়েছে লিখিত কিতাব, যেনো তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য রূপে ধরা পড়ে। এই কিতাবের বর্ণনাতে বলা হয়েছে যে তা লিখিত আছে উম্মুক্ত পত্রে। এর আসল অর্থ প্রাচীন কালে লেখার জন্য কাগজের স্থলে ব্যবহৃত হতো, পাতলা চামড়া বা পার্চমেন্ট যা বেলনাকারে পাকিয়ে রাখা হতো। তাই এর অনুবাদ করা হয়েছে পত্র। এই পত্রকে যখন উম্মুক্ত করা হতো বা পাকানো অবস্থা মুক্ত করা হতো তখন যে কেউ তা দেখতে পেতো এবং তা থেকে হেদায়েত গ্রহণ করতে পারতো।
আয়াতঃ 052.003
প্রশস্ত পত্রে,
In parchment unrolled.
فِي رَقٍّ مَّنشُورٍ
Fee raqqin manshoorin
YUSUFALI: In a Scroll unfolded;
PICKTHAL: On fine parchment unrolled,
SHAKIR: In an outstretched fine parchment,
KHALIFA: Published in books.
০২। শপথ লিখিত বিধানের ৫০৩৮
০৩। যা আছে উম্মুক্ত পত্রে ;
৫০৩৮। দেখুন উপরেরর টিকা, যে পাঁচটি নিদর্শনের শপথ করা হয়েছে সেগুলি হচ্ছে : ১) তূর পর্বতের [ আয়াত ১ ] ; ২) উম্মুক্ত পত্রে লিখিত কিতাবের [ আয়াত ২ – ৩ ] ; ৩) বায়তুল মামূরের [ আয়াত ৪ ] ; ৪) সমুন্নত আকাশের [ আয়াত ৫ ] ; এবং ৫) উদ্বেলিত সমুদ্রের [ আয়াত ৬ ]।
১) এগুলির ব্যাখ্যা নিম্নরূপ : প্রতিটি নিদর্শন আক্ষরিক অর্থের সাথে সংযুক্ত। তূর পর্বতে বা সিনাই পর্বতে হযরত মুসা তাঁর প্রতি আল্লাহ্র প্রেরিত প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত হন ; দেখুন [৯৫ : ২ ] আয়াত, যেখানে পবিত্র মক্কা নগরীর পাশাপাশি এর উল্লেখ আছে [ ৯৫ : ৩ ]। হযরত ঈসার ক্ষেত্রে যায়তুন বা জলপাই পাহাড়ের কথা বলা হয়েছে ; দেখুন [ ৯৫ :১ ] আয়াত। বাইবেলে বলা হয়েছে [ Mar xxiv . 3 – 51 ] যে এখান থেকেই হযরত ঈসা মৃত্যু পরবর্তী জীবনের শেষ বিচারের ঘোষণা দান করেন। হযরত মুহম্মদের (সা ) বেলাতে তিনি প্রথম আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ লাভ করেন হেরা বা আলোর পাহাড়ে। সুতারাং কিতাবধারী জাতিদের জন্য পর্বতের শপথ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২) “উম্মুক্ত পত্রে লিখিত কিতাব ” অর্থাৎ যাতে আল্লাহ্র চিরন্তন বাণীসমূহ লিখিত থাকে। যখন প্রত্যাদেশসমূহ মানুষের জন্য পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়, তখন তাকে বলা হয়েছে লিখিত কিতাব, যেনো তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য রূপে ধরা পড়ে। এই কিতাবের বর্ণনাতে বলা হয়েছে যে তা লিখিত আছে উম্মুক্ত পত্রে। এর আসল অর্থ প্রাচীন কালে লেখার জন্য কাগজের স্থলে ব্যবহৃত হতো, পাতলা চামড়া বা পার্চমেন্ট যা বেলনাকারে পাকিয়ে রাখা হতো। তাই এর অনুবাদ করা হয়েছে পত্র। এই পত্রকে যখন উম্মুক্ত করা হতো বা পাকানো অবস্থা মুক্ত করা হতো তখন যে কেউ তা দেখতে পেতো এবং তা থেকে হেদায়েত গ্রহণ করতে পারতো।