আয়াতঃ 051.045
অতঃপর তারা দাঁড়াতে সক্ষম হল না এবং কোন প্রতিকারও করতে পারল না।
Then they were unable to rise up, nor could they help themselves.
فَمَا اسْتَطَاعُوا مِن قِيَامٍ وَمَا كَانُوا مُنتَصِرِينَ
Fama istataAAoo min qiyamin wama kanoo muntasireena
YUSUFALI: Then they could not even stand (on their feet), nor could they help themselves.
PICKTHAL: And they were unable to rise up, nor could they help themselves.
SHAKIR: So they were not able to rise up, nor could they defend themselves-
KHALIFA: They could never get up, nor were they helped.
৪৫। এমনকি তারা [তাদের পায়ের উপরে ] দাঁড়াতে পারছিলো না ৫০২৩, এবং না পারলো নিজেদের সাহায্য করতে।
৫০২৩। ভূমিকম্পের তান্ডবে তারা স্রোতের মুখে তৃণখন্ডের ন্যায় ভেসে গেলো। আল্লাহ্র শাস্তি পৃথিবীতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে সংঘটিত হয় – যা পাপীরা প্রতিরোধ করতে অক্ষম।
আয়াতঃ 051.046
আমি ইতিপূর্বে নূহের সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি। নিশ্চিতই তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়।
(So were) the people of Nûh (Noah) before them. Verily, they were a people who were Fâsiqûn (rebellious, disobedient to Allâh).
وَقَوْمَ نُوحٍ مِّن قَبْلُ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ
Waqawma noohin min qablu innahum kanoo qawman fasiqeena
YUSUFALI: So were the People of Noah before them for they wickedly transgressed.
PICKTHAL: And the folk of Noah aforetime. Lo! they were licentious folk.
SHAKIR: And the people of Nuh before, surely they were a transgressing people.
KHALIFA: And the people of Noah before that; they were wicked people.
৪৬। তাদের পূর্বে নূহ্এর সম্প্রদায়ের অবস্থা সেরূপ হয়েছিলো ৫০২৪ ; তারা ছিলো দুষ্ট ও অবাধ্য।
৫০২৪। নূহ্ এর সম্প্রদায় তাদের পাপের শাস্তি স্বরূপ প্রচন্ড বন্যায় ভেসে যায়। হযরত নূহ যখন তাঁর সম্প্রদায়কে আল্লাহ্র হুকুম সমূহ মানার জন্য অনুরোধ করতেন তখন তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেরা তাঁকে মানসিক দিক থেকে বিভ্রান্ত বলে বিদ্রূপ করতো। কারণ তাদের ধারণায় বন্যা ছিলো এক অসম্ভব ব্যাপার। তারা প্রকৃত সত্য অনুধাবনে অক্ষম ছিলো, কারণ তারা ছিলো সত্যত্যাগী সম্প্রদায়।
উপদেশ : যারা সত্যকে ত্যাগ করে এবং মিথ্যা এবং পাপের স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়, তাদের মাঝে কখনও প্রকৃত সত্যকে অনুভব করার ক্ষমতা জন্মলাভ করবে না।
আয়াতঃ 051.047
আমি স্বীয় ক্ষমতাবলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই ব্যাপক ক্ষমতাশালী।
With power did We construct the heaven. Verily, We are Able to extend the vastness of space thereof.
وَالسَّمَاء بَنَيْنَاهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ
Waalssamaa banaynaha bi-aydin wa-inna lamoosiAAoona
YUSUFALI: With power and skill did We construct the Firmament: for it is We Who create the vastness of pace.
PICKTHAL: We have built the heaven with might, and We it is Who make the vast extent (thereof).
SHAKIR: And the heaven, We raised it high with power, and most surely We are the makers of things ample.
KHALIFA: We constructed the sky with our hands, and we will continue to expand it.
রুকু – ৩
৪৭। নভোমন্ডলকে আমি সৃষ্টি করেছি আমার ক্ষমতা ও দক্ষতাবলে ৫০২৫। নিঃসীম মহাশূন্যকে আমিই সৃষ্টি করেছি।
৪৮। [ বিস্তৃত ] পৃথিবীকে আমি বিছিয়ে দিয়েছি। কি সুন্দরভাবে আমি তা বিছাই !
৪৯। আর প্রতিটি বস্তুকে আমি সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায় ৫০২৬ ; যেনো তোমরা উপদেশ গ্রহণ করতে পার।
৫০২৫। আলোচ্য আয়াত সমূহে আল্লাহ্র শক্তিসমূহ বর্ণিত হয়েছে। যদি কেউ আল্লাহ্র শক্তিতে অবিশ্বাস করে এবং বলে যে, যে সব জাতির উদাহরণ দেয়া হয়েছে সে সব তো অতীতের ইতিহাস। তাদের আহ্বান করা হয়েছে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য মহাবিশ্বের দিকে এবং আল্লাহ্র শক্তিকে উপলব্ধি করার জন্য।
১) প্রথমেই বলা হয়েছে অনন্ত মহাশূন্যের বা সীমাহীন আকাশের কথা। অনন্ত আকাশে গ্রহ-নক্ষত্র, সতত সম্প্রসারণশীল আল্লাহ্র ক্ষমতায়, যা শুধুমাত্র বর্তমান জোর্তিবিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে। এই সত্যকে হৃদয়ে অনুভব করা সত্যিই অসাধারণ। এই বিশাল জগৎ, নক্ষত্র পুঞ্জ, উল্কা, নীহারিকা, ছায়াপথ কোটি কোটি দৃশ্য-অদৃশ্য নক্ষত্র জগৎ নিয়ে এই অনন্ত বিশ্ব – ক্ষুদ্র পৃথিবী এরই একজন অধিবাসী। ঐ গ্রহ,উল্কা, ধূমকেতু – ঐ নিঃসীম নাক্ষত্রিক বিরাট শূন্যের যিনি স্রষ্টা – ক্ষুদ্র মানুষ ঐ বিশাল নক্ষত্র জগত থেকে স্রষ্টার বিরাটত্ব অনুভবে সক্ষম হয় নিজের ক্ষুদ্রতা ও অসহায়ত্ব অনুভবের মাধ্যমে।
২) দ্বিতীয়ত : সূদূর মহাবিশ্ব থেকে দৃষ্টিকে মাটির পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে পরের আয়াতে। সমুদ্রের কি বিশাল অগাধ সুনীল জলরাশি এবং বিস্তৃত মহাদেশ যা সবুজ শ্যামলিমাতে যেনো কার্পেটের মত বিস্তৃত।