১) মুসাকে আল্লাহ্ স্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের নিকট প্রেরণ করেন, তবুও ফেরাউন তাতে সন্দেহ পোষণ করে।
২) ফেরাউনের নির্ভরতা ছিলো জাগতিক বিষয়বস্তুর উপরে। সে নির্ভর করতো তাঁর সভাষদ ও পরিষদবর্গের উপর। কিন্তু যখন ফেরাউনের শেষ সময় ঘনিয়ে এলো, তখন এসব পরিষদবর্গ তার কোন উপকারেই আসে নাই।
৩) ফেরাউনের উদ্ধত অহংকার, একগুয়েমী ও লোকবলের উপরে নির্ভরশীলতা এবং আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসহীনতাই ছিলো তার সর্বনাশের কারণ।
আয়াতঃ 051.039
অতঃপর সে শক্তিবলে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বললঃ সে হয় যাদুকর, না হয় পাগল।
But [Fir’aun (Pharaoh)] turned away (from Belief in might) along with his hosts, and said: ”A sorcerer, or a madman.”
فَتَوَلَّى بِرُكْنِهِ وَقَالَ سَاحِرٌ أَوْ مَجْنُونٌ
Fatawalla biruknihi waqala sahirun aw majnoonun
YUSUFALI: But (Pharaoh) turned back with his Chiefs, and said, “A sorcerer, or one possessed!”
PICKTHAL: But he withdrew (confiding) in his might, and said: A wizard or a madman.
SHAKIR: But he turned away with his forces and said: A magician or a mad man.
KHALIFA: But he turned away, in arrogance, and said, “Magician, or crazy.”
৩৯। কিন্তু [ ফেরাউন ] তাঁর দলবল সহ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো এবং বলেছিলো, ” এই ব্যক্তি হয় এক যাদুকর অথবা উম্মাদ।”
৪০। সুতারাং আমি তাকে ও তার সেনাবাহিনীকে শাস্তি দিলাম, এবং তাদের সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম ; এবং সে তো ছিলো অপরাধ যোগ্য ৫০১৭।
৫০১৭। ফেরাউন ও তার প্রধান উপদেষ্টারা ধ্বংস হয়ে যায় সত্য, কিন্তু তাদের সকলের কৃতকর্মের জন্য প্রধানতঃ দায়ী ছিলো ফেরাউন। কারণ সেই সকলকে বিপথে চালিত করে। সে ভাবে ফেরাউনের শাস্তি ছিলো ন্যায়বিচার। তার আচরণের জন্য সেই একমাত্র দায়ী।
আয়াতঃ 051.040
অতঃপর আমি তাকে ও তার সেনাবাহিনীকে পাকড়াও করলাম এবং তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে ছিল অভিযুক্ত।
So We took him and his hosts, and dumped them into the sea, while he was to be blamed.
فَأَخَذْنَاهُ وَجُنُودَهُ فَنَبَذْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ وَهُوَ مُلِيمٌ
Faakhathnahu wajunoodahu fanabathnahum fee alyammi wahuwa muleemun
YUSUFALI: So We took him and his forces, and threw them into the sea; and his was the blame.
PICKTHAL: So We seized him and his hosts and flung them in the sea, for he was reprobate.
SHAKIR: So We seized him and his hosts and hurled them into the sea and he was blamable.
KHALIFA: Consequently, we punished him and his troops. We threw them into the sea, and he is the one to blame.
৩৯। কিন্তু [ ফেরাউন ] তাঁর দলবল সহ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো এবং বলেছিলো, ” এই ব্যক্তি হয় এক যাদুকর অথবা উম্মাদ।”
৪০। সুতারাং আমি তাকে ও তার সেনাবাহিনীকে শাস্তি দিলাম, এবং তাদের সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম ; এবং সে তো ছিলো অপরাধ যোগ্য ৫০১৭।
৫০১৭। ফেরাউন ও তার প্রধান উপদেষ্টারা ধ্বংস হয়ে যায় সত্য, কিন্তু তাদের সকলের কৃতকর্মের জন্য প্রধানতঃ দায়ী ছিলো ফেরাউন। কারণ সেই সকলকে বিপথে চালিত করে। সে ভাবে ফেরাউনের শাস্তি ছিলো ন্যায়বিচার। তার আচরণের জন্য সেই একমাত্র দায়ী।
আয়াতঃ 051.041
এবং নিদর্শন রয়েছে তাদের কাহিনীতে; যখন আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম অশুভ বায়ু।
And in ’Ad (there is also a sign) when We sent against them the barren wind;
وَفِي عَادٍ إِذْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيحَ الْعَقِيمَ
Wafee AAadin ith arsalna AAalayhimu alrreeha alAAaqeema
YUSUFALI: And in the ‘Ad (people) (was another Sign): Behold, We sent against them the devastating Wind:
PICKTHAL: And in (the tribe of) A’ad (there is a portent) when we sent the fatal wind against them.
SHAKIR: And in Ad: When We sent upon them the destructive wind.
KHALIFA: In `Aad (there is a lesson). We sent upon them disastrous wind.
৪১। এবং আ’দ সম্প্রদায় [ ছিলো আর এক নিদর্শন ] ৫০১৮। দেখো ! আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম এক প্রলয়ঙ্কারী ঝঞা।
৪২। ইহা যা কিছুর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিলো, তাকেই চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছিলো,
৫০১৮। দেখুন [ ৪৬ : ২১ – ২৬ ] আয়াত। আ’দ সম্প্রদায় ছিলো এক অত্যন্ত প্রতিভাবান জাতি। আল্লাহ্ তাদের বিভিন্ন নেয়ামতে ধন্য করেছিলেন। ফলে তারা পার্থিব সম্পদে সম্পদশালী হয়। তাদের সৌভাগ্য তাদের বিপথে চালিত করে এবং তারা আল্লাহ্কে অস্বীকার করে। ফলে রাতের আধাঁরে তাদের উপরে টর্নেডো ঘুর্ণিঝড় নেমে আসে – যা তাদের জাগতিক সম্পদকে ধ্বংস করে দেয়। ঘুর্ণিঝড়ের মেঘকে তারা মনে করেছিলো বৃষ্টির মেঘ – যা তাদের শষ্য ক্ষেত্রকে উর্বর করতে সাহায্য করবে। তারা এই বৃষ্টির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো। কিন্তু তা ছিলো তাদের ধ্বংসের পূর্বাভাষ। এ ভাবেই পাপীরা তাদের ধ্বংসের পূর্বাভাষকে স্বাগত জানায়। এ ভাবেই আল্লাহ্র সদয় তত্বাবধানে “ভালো” পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হয় ও “মন্দ ” ধ্বংস হয়ে যায়।