২০। এবং শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে। উহাই হবে সেই সতর্কিত দিন ৪৯৫৬।
৪৯৫৬। জীবনের ধাপগুলি একের পরে এক প্রত্যেককে অতিক্রম করতে হয়। পৃথিবীর জীবনের পরে আসে মৃত্যু পরবর্তী জীবন। তার পর আসে শেষ বিচারের দিন। সেদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে তখন প্রতিটি আত্মা বিচারের জন্য উপস্থিত হবে।
আয়াতঃ 050.021
প্রত্যেক ব্যক্তি আগমন করবে। তার সাথে থাকবে চালক ও কর্মের সাক্ষী।
And every person will come forth along with an (angel) to drive (him), and an (angel) to bear witness.
وَجَاءتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّعَهَا سَائِقٌ وَشَهِيدٌ
Wajaat kullu nafsin maAAaha sa-iqun washaheedun
YUSUFALI: And there will come forth every soul: with each will be an (angel) to drive, and an (angel) to bear witness.
PICKTHAL: And every soul cometh, along with it a driver and a witness.
SHAKIR: And every soul shall come, with it a driver and a witness.
KHALIFA: Every soul comes with a herder and a witness.
২১। আর প্রত্যেক আত্মাকে উপস্থিত হতে হবে [ কৈফিয়ত দেয়ার জন্য ] ; তার সাথে থাকবে একজন চালক [ ফেরেশতা ] ও একজন সাক্ষী [ ফেরেশতা ] ৪৯৫৭।
৪৯৫৭। এই আয়াতের কয়েক প্রকার তফসীর করা হয়েছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই শেষ বিচারের দিনের প্রতি নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে। শেষ বিচারের দিনে পার্থিব জীবনের সকল প্রকার নথিপত্র উপস্থাপিত করা হবে। সৎ কাজ ও পাপ কাজ প্রত্যেকে সাক্ষ্য দান করবে। প্রত্যেকের প্রতি প্রকৃত ন্যায় বিচার করা হবে – প্রত্যেককে প্রত্যেকের কর্মফল দেয়া হবে।
১) “চালক ” ও ” সাক্ষী” এরা দুজন ফেরেশতা সম্ভবতঃ এর দ্বারা দক্ষিণে ও বামে বসে লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতাদের বোঝানো হয়েছে [ দেখুন এই সূরার ১৭নং আয়াত ] একজন তাকে হাশরের ময়দানে পৌঁছাবে, অপরজন তার কর্মের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেবে।
২) সম্ভবতঃ এর দ্বারা ফেরেশতা বোঝানো হয় নাই ; ভালো কাজ ও মন্দ কাজকে বোঝানো হয়েছে। মন্দ কাজ ‘চালকের ‘ ন্যায় আচরণ করবে এবং ভালো কাজ বিচারের সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকবে। অথবা
৩) আল্লাহ্র দেয়া যে সব অঙ্গ ও মানসিক দক্ষতাকে সে খারাপ কাজে ব্যবহার করেছে তারা শেষ বিচারের দিনে তাকে তার ধ্বংসের দিকে বা শেষ পরিণতির দিকে চালিয়ে নিয়ে যাবে। এখানে এসব অঙ্গ ও মানসিক দক্ষতাকে “চালক” হিসেবে বলা হয়েছে। অপরপক্ষে সৎ কাজে ব্যবহৃত অঙ্গ ও মানসিক দক্ষতা সমূহ তার জন্য সৎকাজের সাক্ষী হবে।
আয়াতঃ 050.022
তুমি তো এই দিন সম্পর্কে উদাসীন ছিলে। এখন তোমার কাছ থেকে যবনিকা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ন।
(It will be said to the sinners): ”Indeed you were heedless of this, now We have removed your covering, and sharp is your sight this Day!”
لَقَدْ كُنتَ فِي غَفْلَةٍ مِّنْ هَذَا فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ
Laqad kunta fee ghaflatin min hatha fakashafna AAanka ghitaaka fabasaruka alyawma hadeedun
YUSUFALI: (It will be said:) “Thou wast heedless of this; now have We removed thy veil, and sharp is thy sight this Day!”
PICKTHAL: (And unto the evil-doer it is said): Thou wast in heedlessness of this. Now We have removed from thee thy covering, and piercing is thy sight this day.
SHAKIR: Certainly you were heedless of it, but now We have removed from you your veil, so your sight today is sharp.
KHALIFA: You used to be oblivious to this. We now remove your veil; today, your vision is (as strong as) steel.
২২। [ বলা হবে : ] ” এ সম্বন্ধে তুমি অমনোযোগী ছিলে, এখন আমি তোমার থেকে আবরণ সরিয়ে নিয়েছি, সুতারাং এখন তোমার দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়েছে ৪৯৫৮।”
৪৯৫৮। মানুষকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন এক নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্যের প্রতি নিবেদিত করে। এখানেই প্রাণী জগতের সাথে মানুষের পার্থক্য। মনুষ্য জীবনের জন্য পরলোকের জীবনই হচ্ছে প্রকৃত সত্য। ইহলোকের জীবন পরলোকের জীবনের জন্য প্রস্তুতি কাল মাত্র। কিন্তু পার্থিব জীবনে মানুষ এই সত্যকে অনুধাবন করে খুব কমই। পার্থিব জীবনের চাকচিক্য তার দৃষ্টিকে করে বিভ্রান্ত ফলে প্রকৃত সত্যকে সে দেখতে হয় অক্ষম। মনের চোখ বা উপলব্ধি ক্ষমতা হয়ে পড়ে অন্ধের ন্যায়। মৃত্যুর পরে, শেষ বিচারের দিনে তাদের সম্মুখ থেকে বিভ্রান্তির পর্দা উম্মোচন করা হবে, ফলে তারা প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধিতে সক্ষম হবে। দেখুন উপরের টিকা নং ৪৯৫৫।
আয়াতঃ 050.023
তার সঙ্গী ফেরেশতা বলবেঃ আমার কাছে যে, আমলনামা ছিল, তা এই।
And his companion (angel) will say: ”Here is (this Record) ready with me!”
وَقَالَ قَرِينُهُ هَذَا مَا لَدَيَّ عَتِيدٌ
Waqala qareenuhu hatha ma ladayya AAateedun
YUSUFALI: And his Companion will say: “Here is (his Record) ready with me!”
PICKTHAL: And (unto the evil-doer) his comrade saith: This is that which I have ready (as testimony).
SHAKIR: And his companions shall say: This is what is ready with me.
KHALIFA: The companion said, “Here is my formidable testimony.”