৪৯৫৩। এরা হচ্ছেন দুই ফেরেশতা, মানুষের সংগে সংগে থাকেন। ডানে যিনি আছেন তিনি পূণ্যের এবং বামে যিনি আছেন তিনি পাপের কর্ম লিপিবদ্ধ করেন। দেখুন [ ৫৬ : ২৭ ; ৪১ ] আয়াতে এদের উল্লেখ করা হয়েছে ” ডান দিকের দল” এবং ” বাম দিকের দল” হিসেবে। এদের আরও উল্লেখ আছে [৮২ : ১০ – ১২ ]।
আয়াতঃ 050.018
সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।
Not a word does he (or she) utter, but there is a watcher by him ready (to record it).
مَا يَلْفِظُ مِن قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
Ma yalfithu min qawlin illa ladayhi raqeebun AAateedun
YUSUFALI: Not a word does he utter but there is a sentinel by him, ready (to note it).
PICKTHAL: He uttereth no word but there is with him an observer ready.
SHAKIR: He utters not a word but there is by him a watcher at hand.
KHALIFA: Not an utterance does he utter without an alert witness.
১৮। মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা [ লিখার ] জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে ৪৯৫৪।
৪৯৫৪। মানুষ যাই উচ্চারণ করুক না কেন তা লিপিবদ্ধ করার জন্য আছে ” তৎপর প্রহরী” [Raqib]। এর থেকে এ কথাই প্রতীয়মান হয় যে এই প্রহরী শুধুমাত্র উচ্চারিত বাক্য সমূহই লিপিবদ্ধ করেন। গুপ্ত চিন্তা, বা যা ভাবা হয়েছে কিন্তু মুখে উচ্চারণ করা হয় নাই এরূপ চিন্তা ভাবনাকে তিনি লিপিবদ্ধ করেন না। যে চিন্তা ভাবনাকে প্রকাশ করা হয় নাই বা কার্যে পরিণত করা হয় নাই, তা হয়তো আল্লাহ্ ক্ষমা করে দেবেন। যখনই আমরা চিন্তাকে ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করি তখনই তা কিছুটা হলেও কার্যে পরিণত করে থাকি। উপরে উল্লেখিত দুজন লিপিবদ্ধকারী এবং এই আয়াতের লিপিবদ্ধকারী এই তিনজনের নথি হচ্ছে মানুষের কর্মপদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ দলিল। এর মাধ্যমে মানুষের কর্ম, চিন্তার জগত, কর্মের নিয়ত সব কিছু সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা লাভ করবে। পার্থিব জগতের সকল কর্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য, চিন্তার ধারা, কৃত কর্মের সকল কিছুরও পূর্ণাঙ্গ বিবরণ থাকবে এই তিনজনের লিপিবদ্ধ বিবরণের মাঝে। এই বিবরণ পরলোকের বিচারের নথি বা দলিল হিসেবে উত্থাপিত হবে। এই তিনজনই হচ্ছেন মানুষের কর্মজীবনের সম্পূর্ণ বিবরণ প্রদানকারী বা “Kiraman Katibin”।
আয়াতঃ 050.019
মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই তুমি টালবাহানা করতে।
And the stupor of death will come in truth: ”This is what you have been avoiding!”
وَجَاءتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ
Wajaat sakratu almawti bialhaqqi thalika ma kunta minhu taheedu
YUSUFALI: And the stupor of death will bring Truth (before his eyes): “This was the thing which thou wast trying to escape!”
PICKTHAL: And the agony of death cometh in truth. (And it is said unto him): This is that which thou wast wont to shun.
SHAKIR: And the stupor of death will come in truth; that is what you were trying to escape.
KHALIFA: Finally, the inevitable coma of death comes; this is what you tried to evade.
১৯। এবং মৃত্যুর হতচেতন অবস্থা [তাদের চোখের সম্মুখে ] সত্যকে তুলে ধরে, ” এটাই তা যা থেকে তোমরা পলায়ন করতে।” ৪৯৫৫
৪৯৫৫। এই পৃথিবীর শিক্ষানবীশ কালে মানুষের মাঝে পরলোকের অনুভূতি থাকে অসাড় ও অচৈতন্য। মৃত্যুর মাধ্যমে তাদের সম্মুখে পরলোকের দ্বার উম্মুক্ত হয়ে যায়। পার্থিব জীবন থেকে পরলোকের জীবনে প্রবেশের দরজা হচ্ছে মৃত্যু। মৃত্যুর মাধ্যমেই একমাত্র ইহলোক থেকে পরলোকে প্রবেশের ক্ষমতা লাভ করা যায়। একবার এই দ্বার অতিক্রম করলে মানুষ বুঝতে পারবে যে পার্থিব জীবন কত তুচ্ছ ও মূল্যহীন। পৃথিবীতে অবস্থানকালে পরলোকের যে জীবনকে মনে হতো অবিশ্বাস্য ও যোজন দূরের কোন সংবাদ মুত্যুর সাথে সাথেই পরলোকের জীবনকেই প্রকৃত সত্য বলে অনুভূত হবে। পৃথিবীর যে জীবনকে মনে হতো গুরুত্বপূর্ণ তা হয়ে যাবে কায়াহীন ছায়ার ন্যায় এবং অস্তিত্ববিহীন ও তুচ্ছ। যে জীবন ও যে জীবনের অস্তিত্বের প্রতি কোন প্রকৃত বিশ্বাস ছিলো না, যে জীবনকে সে অস্বীকার করে এসেছে, মৃত্যুর সাথে সাথে সেই জীবনই হবে প্রকৃত জীবনের পরিধি। পার্থিব জীবনের ভালো ও মন্দ প্রকৃতরূপে ভাস্বর হবে; সত্যকে তীব্র ভাবে অনুভব করা সম্ভব হবে। পৃথিবীতে অবস্থান কালে মানুষ মৃত্যুর সত্য থেকেই অব্যাহতি চায়।
আয়াতঃ 050.020
এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে এটা হবে ভয় প্রদর্শনের দিন।
And the Trumpet will be blown, that will be the Day whereof warning (had been given) (i.e. the Day of Resurrection).
وَنُفِخَ فِي الصُّورِ ذَلِكَ يَوْمُ الْوَعِيدِ
Wanufikha fee alssoori thalika yawmu alwaAAeedi
YUSUFALI: And the Trumpet shall be blown: that will be the Day whereof Warning (had been given).
PICKTHAL: And the trumpet is blown. This is the threatened Day.
SHAKIR: And the trumpet shall be blown; that is the day of the threatening.
KHALIFA: The horn is blown; this is the promised day.