وَكَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُم مِّن قَرْنٍ هُمْ أَشَدُّ مِنْهُم بَطْشًا فَنَقَّبُوا فِي الْبِلَادِ هَلْ مِن مَّحِيصٍ
Wakam ahlakna qablahum min qarnin hum ashaddu minhum batshan fanaqqaboo fee albiladi hal min maheesin
YUSUFALI: But how many generations before them did We destroy (for their sins),- stronger in power than they? Then did they wander through the land: was there any place of escape (for them)?
PICKTHAL: And how many a generation We destroyed before them, who were mightier than these in prowess so that they overran the lands! Had they any place of refuge (when the judgment came)?
SHAKIR: And how many a generation did We destroy before them who were mightier in prowess than they, so they went about and about in the lands. Is there a place of refuge?
KHALIFA: Many a generation before them, who were more powerful, we annihilated. They searched the land; did they find an escape?
৩৬। আমি তাদের পূর্বে আরও কত মানব গোষ্ঠিকে ধ্বংস করেছি [তাদের পাপের জন্য ], – যারা ছিলো তাদের অপেক্ষা অধিক ক্ষমতাবান ৪৯৭৩। তারা দেশে দেশে ঘুরে বেড়াত। তারা পালাবার কোন স্থান পেয়েছিলো কি ?
৪৯৭৩। মুত্তাকী বা পূণ্যাত্মাদের বা গুণসম্পন্ন যারা তাদের পুরষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, দেখুন [২৬ : ৮৯], [ ৩৭ : ৮৪ ], [ ৫০: ৩৩ ] আয়াত সমূহ। অপর পক্ষে যারা পাপী ও শুধুমাত্র পার্থিব জীবনকেই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করে তাদের শেষ পরিণতি কি ? তাদের পরিণতি পৃথিবীর অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে বলা হয়েছে। কবির ভাষায়, ” হে অতীত তুমি কথা কও যুগে যুগে।” কত শক্তিশালী জাতি, জনপদ, সময়ের পরিক্রমায় বিলিন হয়ে যায় – শুধু রয়ে যায় তাদের গল্প কাহিনী। তাদের পতনের ইতিহাস একটাই – আর তা হচ্ছে তাদের পাপ কাজ। পাপের পরিণতিকে বাধা দিতে সক্ষম কেউ নয়। এ কথা পার্থিব জীবনের জন্য যেমন সত্য, ঠিক তদ্রূপ সত্য পারলৌকিক জীবনের জন্য। পরলোকের জীবনে পাপীদের পরিণতি ইহলোক অপেক্ষা আরও নিকৃষ্ট যার বর্ণনা করা হয়েছে ২৪ – ২৫ নং আয়াতে।
আয়াতঃ 050.037
এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্যে, যার অনুধাবন করার মত অন্তর রয়েছে। অথবা সে নিবিষ্ট মনে শ্রবণ করে।
Verily, therein is indeed a reminder for him who has a heart or gives ear while he is heedful.
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَذِكْرَى لِمَن كَانَ لَهُ قَلْبٌ أَوْ أَلْقَى السَّمْعَ وَهُوَ شَهِيدٌ
Inna fee thalika lathikra liman kana lahu qalbun aw alqa alssamAAa wahuwa shaheedun
YUSUFALI: Verily in this is a Message for any that has a heart and understanding or who gives ear and earnestly witnesses (the truth).
PICKTHAL: Lo! therein verily is a reminder for him who hath a heart, or giveth ear with full intelligence.
SHAKIR: Most surely there is a reminder in this for him who has a heart or he gives ear and is a witness.
KHALIFA: This should be a lesson for everyone who possesses a mind, or is able to hear and witness.
৩৭। অবশ্যই এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য যার [আন্তরিক ] হৃদয় এবং বোঝার ক্ষমতা আছে অথবা যে শ্রবণ করে নিবিষ্ট চিত্তে ৪৯৭৪।
৪৯৭৪। “যার আছে আন্তরিক হৃদয় এবং বোঝার ক্ষমতা” – এই বাক্যটি এক অত্যন্ত গূঢ় অর্থবোধক বাক্য, যা অত্যন্ত উচ্চ আধ্যাত্মিক অর্থ বহন করে। যে অন্তঃকরণ বিশুদ্ধ, বিনীত এবং বোধশক্তিসম্পন্ন, একমাত্র সেই অন্তঃকরণ পারে আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহ বিশ্বচরাচরে প্রত্যক্ষ করতে; সেই অন্তঃকরণ পারে আল্লাহ্র বাণীর প্রকৃত মর্ম উপলব্ধি করে শিক্ষা গ্রহণ করতে। একমাত্র সেই পারে আল্লাহ্ তাঁর বাণীর মাধ্যমে যে শিক্ষা বা উপদেশ দিতে চান তা প্রকৃত ভাবে উপলব্ধি করতে ও চিন্তা করতে। এরা অত্যন্ত উচ্চ আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি। আল্লাহ্র দেয়া উপদেশ দ্বারা সাধারণ ব্যক্তিও উপকৃত হতে পারে যদি তারা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্র বাণীর মর্মার্থ উপলব্ধি করার জন্য চেষ্টা করে; নিবিষ্ট চিত্তে তা শ্রবণ করে। শান্ত নির্জন পরিবেশে একা আয়াতসমূহ নিবিষ্ট মনে শ্রবণ করার মাধ্যমে আল্লাহ্র অনুগ্রহ লাভ করা যায়। এই শ্রবণ হতে হবে আন্তরিক – অর্থ বুঝে এবং বোঝার চেষ্টা করে। অন্তরকে অনুপস্থিত রেখে বা না বুঝে কোরাণ তেলওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্র বাণীর প্রকৃত মর্মার্থ আত্মার মাঝে ধারণ করা সম্ভব নয়।
উপদেশ : আরবীতে কোরাণ পড়ার সাথে সাথে মাতৃভাষাতে তার অর্থ বুঝতে চেষ্টা করা আল্লাহ্র হুকুম ও অনুগ্রহ লাভের উপায়। আধ্যাত্মিক জ্ঞানার্জনের এই একমাত্র পন্থা।
আয়াতঃ 050.038
আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি এবং আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।
And indeed We created the heavens and the earth and all between them in six Days and nothing of fatigue touched Us.