২৬। ” যে আল্লাহ্র সাথে শরীক করেছিলো। এখন তাকে কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ কর।”
৪৯৬০। “নিক্ষেপ কর ” শব্দটি দুবার ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক তফসীরকারদের মতে এর দ্বারা বক্তব্যকে জোরালো ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আরবীতে ভাষার এরূপ ব্যবহার বিদ্যমান। অপরপক্ষে, অন্যভাবেও এর ব্যাখ্যা করা যায়। ১৭ নং ও ২১ নং আয়াতে যে দুজন ফেরেশতাদের উল্লেখ আছে তাদের যুগ্মভাবে সম্বোধন করার জন্য দুবার “নিক্ষেপ কর ” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
আয়াতঃ 050.027
তার সঙ্গী শয়তান বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমি তাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করিনি। বস্তুতঃ সে নিজেই ছিল সুদূর পথভ্রান্তিতে লিপ্ত।
His companion (Satan devil)] will say: ”Our Lord! I did not push him to transgress, (in disbelief, oppression, and evil deeds) but he was himself in error far astray.”
قَالَ قَرِينُهُ رَبَّنَا مَا أَطْغَيْتُهُ وَلَكِن كَانَ فِي ضَلَالٍ بَعِيدٍ
Qala qareenuhu rabbana ma atghaytuhu walakin kana fee dalalin baAAeedin
YUSUFALI: His Companion will say: “Our Lord! I did not make him transgress, but he was (himself) far astray.”
PICKTHAL: His comrade saith: Our Lord! I did not cause him to rebel, but he was (himself) far gone in error.
SHAKIR: His companion will say: Our Lord! I did not lead him into inordinacy but he himself was in a great error.
KHALIFA: His companion said, “Our Lord, I did not mislead him; he was far astray.”
২৭। তার সঙ্গী [শয়তান ] বলবে ৪৯৬১ : ” হে আমাদের প্রভু ! ৪৯৬২ আমি তাকে সীমালংঘন করতে বলি নাই ৪৯৬৩। বরং সে নিজেই [নিজেকে ] বিপথে চালিত করেছে।”
৪৯৬১। “সঙ্গী শয়তান” দ্বারা পৃথিবীতে মন্দ সঙ্গীদের বোঝানো হয়েছে, যারা কাফির [ আয়াত নং ২৪ ]; কল্যাণকর কাজে বাধাদানকারী ; সীমালঙ্ঘনকারী; সন্দেহ পোষণকারী [ আয়াত নং ২৫ ] এবং আল্লাহ্র সাথে অন্য ইলাহ্ গ্রহণকারী [ আয়াত নং ২৬ ] এদেরই সহচর শয়তানরূপে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এক কথায় যা কিছু মন্দ যা মানুষকে কুপথে বা পাপের পথে প্ররোচিত করে তাই-ই হচ্ছে শয়তান।
৪৯৬২। শয়তান এখানে ” হে আমাদের প্রভু ” বাক্যটি দ্বারা আল্লাহ্কে সম্বোধন করেছে যার অর্থ এই দাঁড়ায় যে সে স্বীকার করে যে আল্লাহ্ বিচার প্রার্থী সকলের ও বিশ্বজগতের সকল কিছুর প্রতিপালক ও প্রভু এবং শয়তানেরও প্রভু।
৪৯৬৩। প্রতিটি মানুষ তার কৃতকর্মের ফলাফলের জন্য দায়ী। কারণ মানুষের “সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির ” ব্যবহার মানুষের ইচ্ছাধীন। সে ভালোকে গ্রহণ করবে ও মন্দকে প্রত্যাখ্যান করবে, না মন্দকে গ্রহণ করবে ও ভালোকে প্রত্যাখ্যান করবে এটা তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এই স্বাধীনতা আল্লাহ্ তাঁকে দান করেছেন – যার হিসাব তাকে স্রষ্টার নিকট পেশ করতে হবে। কোনও লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতা বা অপব্যবহারকারী অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা বিবেক বা অন্য কিছু কাউকেই সে তার কর্মের জন্য দায়ী করতে পারবে না। প্রত্যেকের প্রতিটি কাজ তার ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব।
আয়াতঃ 050.028
আল্লাহ বলবেনঃ আমার সামনে বাকবিতন্ডা করো না আমি তো পূর্বেই তোমাদেরকে আযাব দ্বারা ভয় প্রদর্শন করেছিলাম।
Allâh will say: ”Dispute not in front of Me, I had already, in advance, sent you the threat.
قَالَ لَا تَخْتَصِمُوا لَدَيَّ وَقَدْ قَدَّمْتُ إِلَيْكُم بِالْوَعِيدِ
Qala la takhtasimoo ladayya waqad qaddamtu ilaykum bialwaAAeedi
YUSUFALI: He will say: “Dispute not with each other in My Presence: I had already in advance sent you Warning.
PICKTHAL: He saith: Contend not in My presence, when I had already proffered unto you the warning.
SHAKIR: He will say: Do not quarrel in My presence, and indeed I gave you the threatening beforehand:
KHALIFA: He said, “Do not feud in front of Me; I have sufficiently warned you.
২৮। আল্লাহ্ বলবেন, ” আমার উপস্থিতিতে তোমরা পরস্পর বাক্ -বিতন্ডা করো না ৪৯৬৪। আমি তো পূর্বেই তোমাদের সর্তক করেছি ৪৯৬৫।
৪৯৬৪। শেষ বিচারের দিনে, যাদের কর্মের রেকর্ড হবে অন্ধকার বা পাপে আচ্ছন্ন, তারা যথারীতি তাদের কর্মের জন্য জাগতিক বহু ব্যাপারকে ‘দায়ী করবে যেমন : লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতা, তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মানসিক দক্ষতা সমূহ অথবা সুযোগ সুবিধা সমূহ, পরিবেশ অথবা সঙ্গী-সাথী ইত্যাদি যা তাদের পার্থিব জগতে বিদ্যমান ছিলো। এরূপ পাল্টা অভিযোগ ও বাক্ -বিতন্ডা সেই বিচার সভায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেয়া হবে।
৪৯৬৫। বাক্-বিতন্ডা নিষিদ্ধ করা ব্যতীত তাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে, তাদের ব্যক্তিগত দায় -দায়িত্বের কথা। প্রত্যেকে তাদের স্ব স্ব কর্ম ফলের জন্য দায়ী থাকবে।
আয়াতঃ 050.029
আমার কাছে কথা রদবদল হয় না এবং আমি বান্দাদের প্রতি জুলুমকারী নই।
The Sentence that comes from Me cannot be changed, and I am not unjust (to the least) to the slaves.”