১৪। এরাই হবে বেহেশতের অধিবাসী ; সেখানে তারা স্থায়ী হবে ; তাদের [ ভালো ] কাজের পুরষ্কার স্বরূপ।
১৫। আমি মানুষকে তার পিতা -মাতার সাথে সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি ৪৭৮৯। তার মা দৈহিক যন্ত্রণার মাধ্যমে তাকে গর্ভে ধারণ করে, দৈহিক যন্ত্রণার সাথে তাকে প্রসব করে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে এবং তার দুধ ছাড়ানোতে ত্রিশ মাস [ সময় ] লাগে ৪৭৯০। অবশেষে, সে যখন পূর্ণ যৌবনে পৌঁছে, ৪৭৯১, এবং চল্লিশ বৎসরে উপণীত হয়, তখন সে বলে, ” হে আমার প্রভু ! তুমি আমাকে এই ক্ষমতা দান কর যেনো আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ দান করেছ, তার জন্য, এবং যেনো আমি সৎকাজ করতে পারি যা তুমি অনুমোদন কর। সন্তান সন্তানাদিদের ব্যাপারে আমার প্রতি অনুগ্রহশীল হও। নিশ্চয়ই আমি তোমার অভিমুখী হলাম এবং নিশ্চয়ই আমি আত্মসমর্পনকারীদের অন্তর্গত। ”
৪৭৮৯। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ২৯ : ৮ ] এবং [ ৩১ : ১৪ ]।
৪৭৯০। সূরা [ ৩১ : ১৪ ] আয়াতে স্তন্যদানের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে দুবৎসর অর্থাৎ ২৪ মাস। সূরা [ ২ : ২৩ ] আয়াতেও দু বৎসর সময়ের উল্লেখ আছে। এই আয়াতে গর্ভধারণ ও স্তন্যদান উভয়ের সময়কাল বর্ণিত হয়েছে ত্রিশ মাস। অতএব স্তন্যদানের দুবছর অর্থাৎ চব্বিশ মাস বাদ দিলে গর্ভধারণের জন্য ছয় মাস অবশিষ্ট থাকে। সুতারাং এটাই হবে গর্ভধারণের সর্বনিম্ন সময়কাল, যে সময় অতিক্রম করলে ভূমিষ্ট শিশু জীবিত থাকতে পারে। বর্তমানে বিজ্ঞান এ কথা স্বীকার করে যে গর্ভধারণের সর্বনিম্ন সময়কাল ছয় মাস হওয়া সম্ভবপর। এর কম সময়ে সন্তান সুস্থ ও পূর্ণাঙ্গ জন্মগ্রহণ করতে পারে না। গর্ভধারণের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২৮০ দিন। অবশ্য সে ক্ষেত্রে স্তন্যদানের সময়সীমা দুবছরের কম হয়ে যাবে। দুবছর নির্ধারিত হয়েছে শিশুর ‘দুধ দাঁত’ ওঠা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে নীচের দুটো দাঁত ওঠে তারপরে ধীরে ধীরে অন্যান্য দাঁত উঠতে শুরু করে যতদিন না সমস্ত ওঠা শেষ হয়। মাড়ির দাঁত ওঠতে শুরু করে দুবছর বয়েসে। এভাবেই দুধ দাঁতের সারি পরিপূর্ণ হয় এবং শিশু মাতৃদুগ্ধ ব্যতীত অন্যন্য খাদ্যে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, কারণ এখন সে চিবুতে সক্ষম। ছয় বৎসর বয়েসে দুধ দাঁত পড়ে যেয়ে স্থায়ী দাঁত ওঠে এবং ১৮- ২০ বৎসর বয়েসে আক্কেল দাঁত ওঠে।
৪৭৯১। “পূর্ণ শক্তি প্রাপ্ত হয় [ ashudd ] ” – এই বয়েস হচ্ছে কৈশর শেষে যৌবনে প্রাপ্ত হওয়ার বয়েস। অর্থাৎ ১৮ থেকে ৩০/৩২ বৎসরের মধ্যে। ৩০ থেকে ৪০ বৎসরের মধ্যে মানুষ পূর্ণ যৌবন প্রাপ্ত হয় – জীবনের সকল ক্ষেত্রে সে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। এর পরে তার ক্ষয় শুরু হয়। ইতিমধ্যে পরবর্তী বংশধরগণ দায়িত্ব নেবার যোগ্যতা অর্জন করে। অপরপক্ষে ৪০ বৎসর পরেই মানুষের আধ্যাত্মিক জগতের দিগন্ত উম্মোচিত হতে শুরু করে।
আয়াতঃ 046.016
আমি এমন লোকদের সুকর্মগুলো কবুল করি এবং মন্দকর্মগুলো মার্জনা করি। তারা জান্নাতীদের তালিকাভুক্ত সেই সত্য ওয়াদার কারণে যা তাদেরকে দেওয়া হত।
They are those from whom We shall accept the best of their deeds and overlook their evil deeds. (They shall be) among the dwellers of Paradise, a promise of truth, which they have been promised.
أُوْلَئِكَ الَّذِينَ نَتَقَبَّلُ عَنْهُمْ أَحْسَنَ مَا عَمِلُوا وَنَتَجاوَزُ عَن سَيِّئَاتِهِمْ فِي أَصْحَابِ الْجَنَّةِ وَعْدَ الصِّدْقِ الَّذِي كَانُوا يُوعَدُونَ
Ola-ika allatheena nataqabbalu AAanhum ahsana ma AAamiloo wanatajawazu AAan sayyi-atihim fee as-habi aljannati waAAda alssidqi allathee kanoo yooAAadoona
YUSUFALI: Such are they from whom We shall accept the best of their deeds and pass by their ill deeds: (They shall be) among the Companions of the Garden: a promise! of truth, which was made to them (in this life).
PICKTHAL: Those are they from whom We accept the best of what they do, and overlook their evil deeds. (They are) among the owners of the Garden. This is the true promise which they were promised (in the world).
SHAKIR: These are they from whom We accept the best of what they have done and pass over their evil deeds, among the dwellers of the garden; the promise of truth which they were promised.
KHALIFA: It is from these that we accept the righteous works, and overlook their sins. They have deserved Paradise. This is the truthful promise that is promised to them.
১৬। আমি ইহাদেরই সৎ কর্মগুলি গ্রহণ করে থাকি ৪৭৯২ এবং মন্দ কর্মগুলি ক্ষমা করি ; তারা হবে বেহেশতবাসীদের অন্তর্ভূক্ত ; [ এই জীবনে ] তাদের যে সত্য প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তার খাতিরে।
৪৭৯২। দেখুন [ ২৯ : ৭ ] আয়াত ও টিকা ৩৪২৯।
আয়াতঃ 046.017
আর যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে বলে, ধিক তোমাদেরকে, তোমরা কি আমাকে খবর দাও যে, আমি পুনরুত্থিত হব, অথচ আমার পূর্বে বহু লোক গত হয়ে গেছে? আর পিতা-মাতা আল্লাহর কাছে ফরিযাদ করে বলে, দুর্ভোগ তোমার তুমি বিশ্বাস স্থাপন কর। নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। তখন সে বলে, এটা তো পূর্ববর্তীদের উপকথা বৈ নয়।
But he who says to his parents: ”Fie upon you both! Do you hold out the promise to me that I shall be raised up (again) when generations before me have passed away (without rising)?” While they (father and mother) invoke Allâh for help (and rebuke their son): ”Woe to you! Believe! Verily, the Promise of Allâh is true.” But he says: ”This is nothing but the tales of the ancient.”