৪৭৮৬। পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থ যা আল্লাহ্র নিকট থেকে প্রেরিত জীবন বিধান স্বরূপ [ Shariat] তা প্রেরিত হয়েছিলো হযরত মুসার নিকট থেকে। হযরত ঈসার নিকট প্রেরিত এরূপ কোন ধর্মগ্রন্থ নাই, ফলে তাঁর প্রচারিত নৈতিক ধর্মানুশাসনে দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটে। প্রকৃত পক্ষে হযরত ঈসার, পূর্ববর্তী প্রত্যাদেশ সম্পর্কে যে মনোভাব ছিলো কোরাণও ঠিক সেই একই মনোভাবের প্রচার করে। হযরত ঈসার বক্তব্য ছিলো, [ Matt. v. 17 ] : “Think not that I am come to destroy the law or the Prophets : I am not come to destroy , but to fulfill”. কিন্তু হযরত ঈসার তিরোধানের পরে সময়ের আবর্তনে খৃষ্টান ধর্মে দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটে, ফলে পৃথিবীতে জীবন বিধানের পুনঃসংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পরে। ইসলামের আবির্ভাব সেই অভাব পূরণে সক্ষম হয়, যা হচ্ছে হযরত মুসার কিতাবের সমর্থক।
আয়াতঃ 046.013
নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ অতঃপর অবিচল থাকে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিত হবে না।
Verily, those who say: ”Our Lord is (only) Allâh,” and thereafter Istaqâmû (i.e. stood firm and straight on the Islâmic Faith of Monotheism by abstaining from all kinds of sins and evil deeds which Allâh has forbidden and by performing all kinds of good deeds which He has ordained), on them shall be no fear, nor shall they grieve.
إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
Inna allatheena qaloo rabbuna Allahu thumma istaqamoo fala khawfun AAalayhim wala hum yahzanoona
YUSUFALI: Verily those who say, “Our Lord is Allah,” and remain firm (on that Path),- on them shall be no fear, nor shall they grieve.
PICKTHAL: Lo! those who say: Our Lord is Allah, and thereafter walk aright, there shall no fear come upon them neither shall they grieve.
SHAKIR: Surely those who say, Our Lord is Allah, then they continue on the right way, they shall have no fear nor shall they grieve.
KHALIFA: Surely, those who say, “Our Lord is GOD,” then lead a righteous life, will have no fear, nor will they grieve.
১৩। নিশ্চয় যারা বলে, ” আল্লাহ্ আমাদের প্রভু ” এবং [ তাতেই ] অটল থাকে ; তাদের কোন ভয় নাই, তারা দুঃখিতও হবে না ৪৭৮৭, ৪৭৮৮।
৪৭৮৭। ” আল্লাহ্ আমাদের প্রভু ” – এই বাক্যটি গভীর ব্যঞ্জনাময় ভাবের প্রকাশ ঘটায়। এর অর্থ আমরা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বিশ্বাস করি যে আমাদের সকল কর্ম শুধুমাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য নিবেদিত। ” এই বিশ্বাসে অবিচলিত থাকার ” প্রধান শর্ত হচ্ছে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রতিটি আচরণে এই বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটানো। কর্মের মাধ্যমে, চরিত্রের মাধ্যমে, আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে,আমরা আল্লাহ্র প্রতি কর্তব্য ও ভালোবাসায় অটল।
৪৭৮৮। দেখুন আয়াত [ ২ : ৩৮]। “তাদের কোন ভয় নাই, এবং তারা দুঃখিতও হবে না।” এই লাইনটি কোরাণ শরীফের বহু সূরার আয়াতে বিদ্যমান, অবশ্য প্রতিটি স্থানে প্রয়োগ ঘটেছে নূতন নূতন ঘটনার পটভূমিতে। এখানের প্রয়োগের পটভূমি হচ্ছে যে, যদি আমরা সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করি যে, “আমাদের প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহ্ ” – তাহলে আমাদের আর ভয় কিসের ? কোনও দুর্যোগই আমাদের আর দুঃখিত বা ভীত করতে পারবে না। কারণ এই বিশ্বাস যে একমাত্র আল্লাহ্ আমাদের প্রতিপালক, রক্ষাকর্তা, সাহায্যকারী। আমাদের আশা ও আকাঙ্খা, যদি অন্তরে দৃঢ়ভাবে থাকে, তবে সে অন্তর জীবনের কোন ক্ষেত্রেই বা মৃত্যুর পরেও কোনও হতাশা বা ভয় বা দুঃখে আক্রান্ত হবে না।
আয়াতঃ 046.014
তারাই জান্নাতের অধিকারী! তারা তথায় চিরকাল থাকবে। তারা যে কর্ম করত, এটা তারই প্রতিফল।
Such shall be the dwellers of Paradise, abiding therein (forever), a reward for what they used to do.
أُوْلَئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ خَالِدِينَ فِيهَا جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
Ola-ika as-habu aljannati khalideena feeha jazaan bima kanoo yaAAmaloona
YUSUFALI: Such shall be Companions of the Gardens, dwelling therein (for aye): a recompense for their (good) deeds.
PICKTHAL: Such are rightful owners of the Garden, immortal therein, as a reward for what they used to do.
SHAKIR: These are the dwellers of the garden, abiding therein: a reward for what they did.
KHALIFA: They have deserved Paradise, where they abide forever; a reward for their works.
১৪। এরাই হবে বেহেশতের অধিবাসী ; সেখানে তারা স্থায়ী হবে ; তাদের [ ভালো ] কাজের পুরষ্কার স্বরূপ।
১৫। আমি মানুষকে তার পিতা -মাতার সাথে সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি ৪৭৮৯। তার মা দৈহিক যন্ত্রণার মাধ্যমে তাকে গর্ভে ধারণ করে, দৈহিক যন্ত্রণার সাথে তাকে প্রসব করে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে এবং তার দুধ ছাড়ানোতে ত্রিশ মাস [ সময় ] লাগে ৪৭৯০। অবশেষে, সে যখন পূর্ণ যৌবনে পৌঁছে, ৪৭৯১, এবং চল্লিশ বৎসরে উপণীত হয়, তখন সে বলে, ” হে আমার প্রভু ! তুমি আমাকে এই ক্ষমতা দান কর যেনো আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ দান করেছ, তার জন্য, এবং যেনো আমি সৎকাজ করতে পারি যা তুমি অনুমোদন কর। সন্তান সন্তানাদিদের ব্যাপারে আমার প্রতি অনুগ্রহশীল হও। নিশ্চয়ই আমি তোমার অভিমুখী হলাম এবং নিশ্চয়ই আমি আত্মসমর্পনকারীদের অন্তর্গত। ”