২৮। এবং তুমি প্রত্যেক দলকে নতজানু দেখতে পাবে, ৪৭ ৬৬। প্রত্যেক দলকে তাদের আমলনামার দিকে ডাকা হবে। ” তোমরা যা কিছু [ দুনিয়াতে ] করতে আজকের দিনে তার উপযুক্ত প্রতিদান তোমাদের দেয়া হবে।
৪৭৬৬। “নতজানু” – সূরাটির শিরোনামের ভাব প্রকাশ করা হয়েছেএই শব্দটির মাধ্যমে। দেখুন [ ১৯: ৭২] আয়াত। মন্দ ও পাপীরা পার্থিব জীবনে আত্ম অহংকারে ও দম্ভে মদমত্ত থাকে। নিজেদের পার্থিব সাফল্যে তারা নিজেদের স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বলে ধারণা করে এবং তাদের ধারণা জন্মে যে তারা স্বতন্ত্র সম্প্রদায় যারা সাধারণ মানুষ অপেক্ষা উন্নত। কিন্তু শেষ বিচারের দিনে তাদের এই ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটবে। প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করে তারা ভয়ে বিস্ময়ে নতজানু হয়ে প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করবে। তারা যখন দেখতে পাবে যে তাদের সারা জীবনে কৃতকর্মের বিবরণ আল্লাহ্র সম্মুখে রক্ষিত তখন ভয়ে বিস্ময়ে তাদের বাক্রোধ হয়ে পড়বে।
আয়াতঃ 045.029
আমার কাছে রক্ষিত এই আমলনামা তোমাদের সম্পর্কে সত্য কথা বলবে। তোমরা যা করতে আমি তা লিপিবদ্ধ করতাম।
This Our Record speaks about you with truth. Verily, We were recording what you used to do (i.e. Our angels used to record your deeds).
هَذَا كِتَابُنَا يَنطِقُ عَلَيْكُم بِالْحَقِّ إِنَّا كُنَّا نَسْتَنسِخُ مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
Hatha kitabuna yantiqu AAalaykum bialhaqqi inna kunna nastansikhu ma kuntum taAAmaloona
YUSUFALI: “This Our Record speaks about you with truth: For We were wont to put on Record all that ye did.”
PICKTHAL: This Our Book pronounceth against you with truth. Lo! We have caused (all) that ye did to be recorded.
SHAKIR: This is Our book that speaks against you with justice; surely We wrote what you did,
KHALIFA: This is our record; it utters the truth about you. We have been recording everything you did.
২৯। ” আমাদের এই নথি আজ তোমাদের সম্বন্ধে সত্য কথা বলবে। তোমরা যা করতে আমি তা নথিতে লিপিবদ্ধ করেছি।” ৪৭৬৭
৪৭৬৭। দেখুন আয়াত [ ৪৩ : ৮০ ] বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে আল্লাহ্র সৃষ্টি কৌশল স্বয়ংসম্পূর্ণ। মানুষের সৃষ্টি ক্ষমতা, প্রযুক্তি নির্ভর বা শ্রম নির্ভর – যার ফলে মানুষের সৃষ্ট পদার্থের ধ্বংস যে কোনও মূহুর্তেই ঘটে যেতে পারে। কিন্তু মহান আল্লাহ্ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের প্রতিটি পদার্থ ও জীবনের মাঝে এমন কলাকৌশল স্থাপন করে দিয়েছেন যে তা স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঠিক সেরূপই হচ্ছে মানুষের আমলনামা, মানুষ যা করে , এমন কি চেতন বা অবচেতন মনে যা চিন্তা করে সবই তার আমলনামাতে তৎক্ষণাত সংগ্রীহিত হয়ে চলেছে। আজকে ই-মেইল ও কম্পিউটারের যুগে এ ধারণা কোনও আলৌকিক ধারণা নয়। কারণ পৃথিবীর এক প্রান্তের সংবাদ মূহুর্তের মধ্যে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে সংগ্রীহিত হচ্ছে। এমন কি সূদূর মঙ্গলগ্রহে পাঠানো যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ যেখানে মূহুর্তের মধ্যে সেখানকার সংবাদ সংগ্রহ করছে। সেখানে আল্লাহ্র স্বয়ংসম্পূর্ণ যন্ত্রে মূহুর্তের মাঝে আমাদের সকল চিন্তা, ভাবনা , কর্ম সব কিছু যে নির্ভুল উপাত্তে সংগ্রীহিত হবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। এই রের্কডে যা কিছু বর্ণিত হবে তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নাই। এই রেকর্ডই হচ্ছে ব্যক্তির আমলনামা।
আয়াতঃ 045.030
যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদেরকে তাদের পালনকর্তা স্বীয় রহমতে দাখিল করবেন। এটাই প্রকাশ্য সাফল্য।
Then, as for those who believed (in the Oneness of Allâh Islâmic Monotheism) and did righteous good deeds, their Lord will admit them to His Mercy. That will be the evident success.
فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَيُدْخِلُهُمْ رَبُّهُمْ فِي رَحْمَتِهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْمُبِينُ
Faamma allatheena amanoo waAAamiloo alssalihati fayudkhiluhum rabbuhum fee rahmatihi thalika huwa alfawzu almubeenu
YUSUFALI: Then, as to those who believed and did righteous deeds, their Lord will admit them to His Mercy that will be the achievement for all to see.
PICKTHAL: Then, as for those who believed and did good works, their Lord will bring them in unto His mercy. That is the evident triumph.
SHAKIR: Then as to those who believed and did good, their Lord will make them enter into His mercy; that is the manifest achievement.
KHALIFA: As for those who believe and work righteousness, their Lord will admit them into His mercy. This is the great triumph.
৩০। অতঃপর যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে , তাদের প্রভু তাদেরকে স্বীয় রহমতে প্রবেশের অধিকার দেবেন। ইহাই হবে সকলের জন্য দ্রষ্টব্য মহাসাফল্য ৪৭৬৮।
৪৭৬৮। ‘মহাসাফল্য ‘ – অর্থাৎ শেষ বিচারের দিনে , যারা মোমেন ও সৎকর্মশীল তারা অপার শান্তির রাজ্যে প্রবেশ করবে। তাদের সকল অতৃপ্তি তৃপ্তিতে ভরে যাবে , সকল আশা আকাঙ্খার পরিসমাপ্তি ঘটবে। আত্মা হবে সকল দুঃখ , কষ্ট , সংগ্রাম , সন্দেহ , নিরাশা , তীব্র আবেগ এবং আকাঙ্খা মুক্ত। আত্মা থাকবে পরিপূর্র্ণ শান্তির মাঝে সমাহিত। এই অপার শান্তির অবস্থাকেই মহাসাফল্য বোঝানো হয়েছে। যা আল্লাহ্র ‘স্বীয় রহমতের’ স্বাক্ষর।