- সূরার নাম: সূরা দুখান বাংলা
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা দুখান বাংলা
আয়াতঃ 044.001
হা-মীম।
Hâ-Mîm. [These letters are one of the miracles of the Qur’ân and none but Allâh (Alone) knows their meanings].
حم
Ha-meem
YUSUFALI: Ha-Mim.
PICKTHAL: Ha. Mim.
SHAKIR: Ha Mim!
KHALIFA: H. M.
০১। হা – মীম
০২। সুস্পষ্টভাবে বর্ণনাকারী কিতাবের শপথ ; – ৪৬৮৯
৪৬৮৯। পূর্বের সূরাতে [ ৪৩:৩ ] গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে কোরাণ সম্পর্কে যেনো প্রত্যেকে বুঝতে পারে। এই সূরাতে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যে, কোরাণ শরীফ আল্লাহ্র তরফ থেকে করুণা ও দয়া যার সাহায্যে মানুষকে পাপের বিরুদ্ধে সর্তক করা হয়েছে।
আয়াতঃ 044.002
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের।
By the manifest Book (this Qur’ân) that makes things clear,
وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ
Waalkitabi almubeeni
YUSUFALI: By the Book that makes things clear;-
PICKTHAL: By the Scripture that maketh plain
SHAKIR: I swear by the Book that makes manifest (the truth).
KHALIFA: And this enlightening scripture.
০১। হা – মীম
০২। সুস্পষ্টভাবে বর্ণনাকারী কিতাবের শপথ ; – ৪৬৮৯
৪৬৮৯। পূর্বের সূরাতে [ ৪৩:৩ ] গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে কোরাণ সম্পর্কে যেনো প্রত্যেকে বুঝতে পারে। এই সূরাতে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে যে, কোরাণ শরীফ আল্লাহ্র তরফ থেকে করুণা ও দয়া যার সাহায্যে মানুষকে পাপের বিরুদ্ধে সর্তক করা হয়েছে।
আয়াতঃ 044.003
আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।
We sent it (this Qur’ân) down on a blessed night [(i.e. night of Qadr, Sûrah No: 97) in the month of Ramadân,, the 9th month of the Islâmic calendar]. Verily, We are ever warning [mankind that Our Torment will reach those who disbelieve in Our Oneness of Lordship and in Our Oneness of worship].
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ
Inna anzalnahu fee laylatin mubarakatin inna kunna munthireena
YUSUFALI: We sent it down during a Blessed Night: for We (ever) wish to warn (against Evil).
PICKTHAL: Lo! We revealed it on a blessed night – Lo! We are ever warning –
SHAKIR: Surely We revealed it on a blessed night surely We are ever warning–
KHALIFA: We have sent it down in a blessed night, for we are to warn.
০৩। নিশ্চয়ই আমি ইহা অবতীর্ণ করেছি এক মঙ্গলময় রাত্রিতে ৪৬৯০। নিশ্চয় আমি [সবসময়ে মন্দের বিরুদ্ধে ]সাবধান করতে চাই।
৪৬৯০। “মঙ্গলময় রাত্রি ” – এই রাত্রি সাধারণতঃ মনে করা হয় রমজান মাসের ২৩ শে বা ২৫ শে বা ২৭ এর রাত্রি। এই রাত্রিকে বলা হয়েছে বরকতময় রাত্রি। সাধারণতঃ ২৭শে রমজানকে ধরা হয় এই বরকতময় রাত্রি। এই রাত্রিতে কুর-আনের বাণী ধরিত্রীতে প্রথম অবতীর্ণ হয়, যা মানুষের জন্য রহমত স্বরূপ , ঠিক বৃষ্টি যেরূপ রৌদ্রদগ্ধ শুষ্ক জমিকে সিক্ত করে সেরূপ। এই রাত্রিকে আয়াত [ ২ : ১৮৫]ও আয়াতে [ ৯৭ : ১ ] বলা হয়েছে মহিমান্বিত রাত্রি। এই রাত্রিতে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে অসংখ্য কল্যাণ ও বরকত নাযিল হয়। পবিত্র এই রজনীকে শবে-কদরের রাত্রি বলে, যে রাতে কোরাণ পৃথিবীতে নাজেল হয়।
আয়াতঃ 044.004
এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।
Therein (that night) is decreed every matter of ordainments .
فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ
Feeha yufraqu kullu amrin hakeemin
YUSUFALI: In the (Night) is made distinct every affair of wisdom,
PICKTHAL: Whereon every wise command is made clear
SHAKIR: Therein every wise affair is made distinct,
KHALIFA: In it (the scripture), every matter of wisdom is clarified.
০৪। এই [ রাত্রিতে ] প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত করা হয় , ৪৬৯১-
৪৬৯১। এই সেই রাত্রি, যে রাত্রিতে ঐশি জ্ঞান ধরার বুকে আগমন করে এবং প্রত্যাদেশের মাধ্যমে আমাদের সম্মুখে উপস্থিত করা হয় যা আধ্যাত্মিক মুক্তির সন্ধান দান করে। মানুষের জন্য যা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
আয়াতঃ 044.005
আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী।
Amran (i.e. a Command or this Qur’an or the Decree of every matter) from Us. Verily, We are ever sending (the Messengers),
أَمْرًا مِّنْ عِندِنَا إِنَّا كُنَّا مُرْسِلِينَ
Amran min AAindina inna kunna mursileena
YUSUFALI: By command, from Our Presence. For We (ever) send (revelations),
PICKTHAL: As a command from Our presence – Lo! We are ever sending –
SHAKIR: A command from Us; surely We are the senders (of messengers),
KHALIFA: It is a predetermined command from us that we send messengers.
০৫। আমার উপস্থিতিতে আমার আদেশ অনুসারে। নিশ্চয়ই আমি [ সর্বদা প্রত্যাদেশ ] প্রেরণ করে থাকি ,
০৬। তোমার প্রভুর অনুগ্রহ স্বরূপ। নিশ্চয়ই তিনি [ সব কিছু ] শোনেন ও জানেন , ৪৬৯২ –
৪৬৯২। মহান আল্লাহ্ বন্ধুহীনের বন্ধু, অসহায়ের সাহায্যকারী। তিনি সকলের আন্তরিক প্রার্থনা শোনেন। তাঁর জ্ঞান সকল কিছুকে পরিবৃত করে থাকে। আমাদের দূরদৃষ্টির অভাবে আমরা অনেক সময়েই আমাদের প্রকৃত মঙ্গলকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হই না। আমাদের জন্য যা কিছু মঙ্গলজনক মহান আল্লাহ্ তা আমাদের প্রদান করেন তাঁর জ্ঞান , প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা অনুযায়ী। আমরা যে ভাবে চাই সে ভাবে তা নাও হতে পারে। কারণ আমাদের জ্ঞান খুবই সীমিত – অপরপক্ষে আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞা নিভুর্ল ও সম্পূর্ণ।
আয়াতঃ 044.006
আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(As) a Mercy from your Lord. Verily! He is the All-Hearer, the All-Knower.
رَحْمَةً مِّن رَّبِّكَ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
Rahmatan min rabbika innahu huwa alssameeAAu alAAaleemu
YUSUFALI: As Mercy from thy Lord: for He hears and knows (all things);
PICKTHAL: A mercy from thy Lord. Lo! He, even He is the Hearer, the Knower,
SHAKIR: A mercy from your Lord, surely He is the Hearing, the Knowing,
KHALIFA: This is a mercy from your Lord. He is the Hearer, the Omniscient.
০৫। আমার উপস্থিতিতে আমার আদেশ অনুসারে। নিশ্চয়ই আমি [ সর্বদা প্রত্যাদেশ ] প্রেরণ করে থাকি ,
০৬। তোমার প্রভুর অনুগ্রহ স্বরূপ। নিশ্চয়ই তিনি [ সব কিছু ] শোনেন ও জানেন , ৪৬৯২ –
৪৬৯২। মহান আল্লাহ্ বন্ধুহীনের বন্ধু, অসহায়ের সাহায্যকারী। তিনি সকলের আন্তরিক প্রার্থনা শোনেন। তাঁর জ্ঞান সকল কিছুকে পরিবৃত করে থাকে। আমাদের দূরদৃষ্টির অভাবে আমরা অনেক সময়েই আমাদের প্রকৃত মঙ্গলকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হই না। আমাদের জন্য যা কিছু মঙ্গলজনক মহান আল্লাহ্ তা আমাদের প্রদান করেন তাঁর জ্ঞান , প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা অনুযায়ী। আমরা যে ভাবে চাই সে ভাবে তা নাও হতে পারে। কারণ আমাদের জ্ঞান খুবই সীমিত – অপরপক্ষে আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞা নিভুর্ল ও সম্পূর্ণ।
আয়াতঃ 044.007
যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে দেখতে পাবে। তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যেবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা।
The Lord of the heavens and the earth and all that is between them, if you (but) have a faith with certainty.
رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ
Rabbi alssamawati waal-ardi wama baynahuma in kuntum mooqineena
YUSUFALI: The Lord of the heavens and the earth and all between them, if ye (but) have an assured faith.
PICKTHAL: Lord of the heavens and the earth and all that is between them, if ye would be sure.
SHAKIR: The Lord of the heavens and the earth and what is between them, if you would be sure.
KHALIFA: Lord of the heavens and the earth, and everything between them. If only you could be certain!
০৭। যিনি আসমান , যমিন এবং এই উভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে সমস্তের প্রভু, অবশ্য যদি তোমরা স্থির বিশ্বাসী হও ৪৬৯৩।
৪৬৯৩। দেখুন আয়াত [ ২ : ৪ ]। আকাশমন্ডলী , পৃথিবী ও উহাদিগের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর প্রতিপালক আল্লাহ্। এই বিশাল বিশ্ব ভূবনের একজনই স্রষ্টা, রক্ষাকর্তা ও পালনকর্তা। এ কথা অনুভবের মাধ্যমে হৃদয় কন্দরে উপলব্ধি করা অসাধারণ এক বিষ্ময়কর ব্যাপার। যে আত্মায় আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসে আছে প্রচন্ডতা, দৃঢ়তায় আছে অতল সমুদ্রের গভীরতা, একমাত্র সেই আত্মার মাঝেই আল্লাহ্র এই বিশালত্বের ধারণা সামান্য হলেও ধারণ করা সম্ভব। বিশ্বাস যখন নিশ্চিত বিশ্বাসে পরিণত হয় শুধু তখনই স্রষ্টাকে অনুভবের মাধ্যমে আত্মার মাঝে উপলব্ধি করা সম্ভব।
আয়াতঃ 044.008
তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু দেন। তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃ-পুরুষদেরও পালনকর্তা।
Lâ ilaha illa Huwa (none has the right to be worshipped but He). It is He Who gives life and causes death, your Lord and the Lord of your fore-fathers.
لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ يُحْيِي وَيُمِيتُ رَبُّكُمْ وَرَبُّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ
La ilaha illa huwa yuhyee wayumeetu rabbukum warabbu aba-ikumu al-awwaleena
YUSUFALI: There is no god but He: It is He Who gives life and gives death,- The Lord and Cherisher to you and your earliest ancestors.
PICKTHAL: There is no Allah save Him. He quickeneth and giveth death; your Lord and Lord of your forefathers.
SHAKIR: There is no god but He; He gives life and causes death, your Lord and the Lord of your fathers of yore.
KHALIFA: There is no other god beside Him. He controls life and death; your Lord and the Lord of your ancestors.
০৮। তিনি ব্যতীত অন্য উপাস্য নাই। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান । তিনি তোমাদের প্রভু এবং প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদেরও।
০৯। তবুও তারা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে [ ধর্মকে নিয়ে ] খেলা করে ৪৬৯৪।
৪৬৯৪। এই আয়াতে কোরাইশদের কথা বলা হয়েছে। হযরতের [ সা ] নবুয়ত পাওয়ার প্রথম দিকে কোরাইশরা হযরতের প্রচারিত ধর্ম সম্বন্ধে হাসি ঠাট্টা করতো; তারা ব্যঙ্গ বিদ্রূপের মাধ্যমে তার গুরুত্ব লাঘব করতে চাইত। প্রথমেই তারা হযরতের [ সা ] উপরে অত্যাচার নির্যাতন আরম্ভ করে নাই। প্রথমে কোরাইশরা হযরতের [ সা ] প্রচারিত ধর্ম সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করে ও হাসি খেলার বস্তুতে পরিণত করতে চেষ্টা করে। অপরপক্ষে রাসুল [ সা ] ছিলেন একান্ত আন্তরিক ভাবে মনপ্রাণ দিয়ে সচেষ্ট। তিনি তাঁর দেশবাসীকে ভালোবাসেন এবং তিনি তাদের পাপের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বদা আপ্রাণ চেষ্টা করতেন।
মন্তব্য : কোরেশদের এই মানসিকতা সর্ব যুগে সত্য বিরোধীদের প্রতি প্রযোজ্য। এই মানসিকতা পূর্বেও ছিলো, বর্তমানেও আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে।
আয়াতঃ 044.009
এতদসত্ত্বেও এরা সন্দেহে পতিত হয়ে ক্রীড়া-কৌতুক করছে।
Nay! They play in doubt.
بَلْ هُمْ فِي شَكٍّ يَلْعَبُونَ
Bal hum fee shakkin yalAAaboona
YUSUFALI: Yet they play about in doubt.
PICKTHAL: Nay, but they play in doubt.
SHAKIR: Nay, they are in doubt, they sport.
KHALIFA: Indeed, they are doubtful, heedless.
০৮। তিনি ব্যতীত অন্য উপাস্য নাই। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান । তিনি তোমাদের প্রভু এবং প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদেরও।
০৯। তবুও তারা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে [ ধর্মকে নিয়ে ] খেলা করে ৪৬৯৪।
৪৬৯৪। এই আয়াতে কোরাইশদের কথা বলা হয়েছে। হযরতের [ সা ] নবুয়ত পাওয়ার প্রথম দিকে কোরাইশরা হযরতের প্রচারিত ধর্ম সম্বন্ধে হাসি ঠাট্টা করতো; তারা ব্যঙ্গ বিদ্রূপের মাধ্যমে তার গুরুত্ব লাঘব করতে চাইত। প্রথমেই তারা হযরতের [ সা ] উপরে অত্যাচার নির্যাতন আরম্ভ করে নাই। প্রথমে কোরাইশরা হযরতের [ সা ] প্রচারিত ধর্ম সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করে ও হাসি খেলার বস্তুতে পরিণত করতে চেষ্টা করে। অপরপক্ষে রাসুল [ সা ] ছিলেন একান্ত আন্তরিক ভাবে মনপ্রাণ দিয়ে সচেষ্ট। তিনি তাঁর দেশবাসীকে ভালোবাসেন এবং তিনি তাদের পাপের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বদা আপ্রাণ চেষ্টা করতেন।
মন্তব্য : কোরেশদের এই মানসিকতা সর্ব যুগে সত্য বিরোধীদের প্রতি প্রযোজ্য। এই মানসিকতা পূর্বেও ছিলো, বর্তমানেও আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে।
আয়াতঃ 044.010
অতএব আপনি সেই দিনের অপেক্ষা করুন, যখন আকাশ ধূয়ায় ছেয়ে যাবে।
Then wait you for the Day when the sky will bring forth a visible smoke.
فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاء بِدُخَانٍ مُّبِينٍ
Fairtaqib yawma ta/tee alssamao bidukhanin mubeenin
YUSUFALI: Then watch thou for the Day that the sky will bring forth a kind of smoke (or mist) plainly visible,
PICKTHAL: But watch thou (O Muhammad) for the day when the sky will produce visible smoke
SHAKIR: Therefore keep waiting for the day when the heaven shall bring an evident smoke,
KHALIFA: Therefore, watch for the day when the sky brings a profound smoke.
১০। অতএব তুমি সেদিনের অপেক্ষা কর ৪৬৯৫ , যেদিন আকাশ ধূঁয়াতে [ বা কুয়াশায় ] আচ্ছন্ন হয়ে যাবে যা সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে ৪৬৯৬
১১। যা মানব সম্প্রদায়কে আবৃত করে ফেলবে। এটা হবে এক ভয়াবহ শাস্তি।
১২। [ তারা বলবে : ] ” হে আমাদের প্রভু ! আমাদের উপর থেকে শাস্তি দূর করে দাও , আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি।”
৪৬৯৫। এখানে যে দিনের উল্লেখ করা হয়েছে সেটা কোন দিন ? অবশ্যই সে দিন হবে বিরাট বিপর্যয়ের দিন। ভাষার বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, সে বিপর্যয়ের দিন হবে ভবিষ্যতে। এই সূরার ১১নং আয়াতের ‘yagsha’ শব্দটি সূরা [ ৮৮ : ১ ] আয়াতের ‘gashiya’ শব্দটির সাথে তুলনাযোগ্য। তবে শব্দটি শেষ বিচারের দিনের জন্য প্রযোজ্য হয়েছে। কিন্তু এই সূরার ১৫ নং আয়াতটিতে বলা হয়েছে , ” শাস্তি কিছু কালের জন্য রহিত করিতেছি।” সুতারাং এই বিপর্যয়ের দিন শেষ বিচারের দিন হবে না। এটি হবে পৃথিবীর জীবনের বিপর্যয় যা ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে। সম্ভবতঃ পরবর্তী মক্কাতে যে দুর্ভিক্ষ হবে তারই পূর্বাভাষ এখানে দেয়া হয়েছে।
৪৬৯৬। তফসীরকারগণ মনে করেন ‘ধোঁয়া’ বা কুয়াশা যাই বলা হোক না কেন তার দ্বারা মক্কার দুর্ভিক্ষের প্রতি ইঙ্গিতকরা হয়েছে। দিনের পরে দিন ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে করতে মানুষ এমন অবস্থায় পৌঁছায় যখন তারা চোখে ঘোর দেখে অর্থাৎ সব কিছু ঝাপসা বলে পরিগণিত হয়। মনে হবে ধোঁয়া সব কিছুকে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে। ইবনে কাফীর মক্কার দুইটি দুর্ভিক্ষের উল্লেখ করেছেন। একটা ছিলো নবুয়ত পাওয়ার ৮ম বর্ষে বা হিজরতের চার বছর পূর্বে , অন্যটি ছিলো হিজরতের ৮ম বর্ষে। যে কোনটি অথবা দুটোই সম্ভবতঃ প্রায় সাত বছরের মত স্থায়ী হয়। এটাও সম্ভব যে দুটো দুর্ভিক্ষই সামান্য ব্যবধানে ধারাবাহিক ভাবে চলে এসেছে বছরের পর বছর। যার প্রচন্ডতা এক এক বর্ষে এক এক রকম ভাবে অনুভূত হয়েছে। বুখারী শরীফে শুধুমাত্র হিজরতের পরবর্তী দুর্ভিক্ষের উল্লেখ আছে। সে দুর্ভিক্ষের বর্ণনায় বলা হয়েছে যে সে দুর্ভিক্ষ এতটাই তীব্র ছিলো যে, মানুষ মৃত প্রাণীর গলিত শব ও হাড় ভক্ষণ করতো। আবু সুফিয়ান অষ্টম হিজরীতে রাসুলের নিকট গমন করেন আল্লাহ্র দরবারে রাসুলকে [ সা ] সুপারিশ করার জন্য; আল্লাহ্ যেনো তাদের দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি দেন। যেহেতু, মোশরেক আরবরা বিশ্বাস করতো যে, দুর্ভিক্ষ রাসুলের [ সা ] অভিশাপের ফল। সূরা [ ২৩ : ৭৫ ] আয়াতে এবং টিকাতে ২৯২১ দুর্ভিক্ষের উল্লেখ আছে, যদিও সে সূরাটি বর্তমান সূরার পরে মক্কাতে অবতীর্ণ হয়। সকল সূরা সম্পূর্ণ এক সাথে অবতীর্ণ হয় নাই। অনেক সূরাই অংশ হিসেবে নাজেল হয়েছে। সুতারাং সম্ভবতঃ সূরার কোন কোন আয়াত সম্পূর্ণ সূরার নাজেল হওয়ার তারিখ থেকে আলাদা হতে পারে।
আয়াতঃ 044.011
যা মানুষকে ঘিরে ফেলবে। এটা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
Covering the people, this is a painful torment.
يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ
Yaghsha alnnasa hatha AAathabun aleemun
YUSUFALI: Enveloping the people: this will be a Penalty Grievous.
PICKTHAL: That will envelop the people. This will be a painful torment.
SHAKIR: That shall overtake men; this is a painful punishment.
KHALIFA: It will envelope the people; this is a painful retribution.
১০। অতএব তুমি সেদিনের অপেক্ষা কর ৪৬৯৫ , যেদিন আকাশ ধূঁয়াতে [ বা কুয়াশায় ] আচ্ছন্ন হয়ে যাবে যা সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে ৪৬৯৬
১১। যা মানব সম্প্রদায়কে আবৃত করে ফেলবে। এটা হবে এক ভয়াবহ শাস্তি।
১২। [ তারা বলবে : ] ” হে আমাদের প্রভু ! আমাদের উপর থেকে শাস্তি দূর করে দাও , আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি।”
৪৬৯৫। এখানে যে দিনের উল্লেখ করা হয়েছে সেটা কোন দিন ? অবশ্যই সে দিন হবে বিরাট বিপর্যয়ের দিন। ভাষার বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, সে বিপর্যয়ের দিন হবে ভবিষ্যতে। এই সূরার ১১নং আয়াতের ‘yagsha’ শব্দটি সূরা [ ৮৮ : ১ ] আয়াতের ‘gashiya’ শব্দটির সাথে তুলনাযোগ্য। তবে শব্দটি শেষ বিচারের দিনের জন্য প্রযোজ্য হয়েছে। কিন্তু এই সূরার ১৫ নং আয়াতটিতে বলা হয়েছে , ” শাস্তি কিছু কালের জন্য রহিত করিতেছি।” সুতারাং এই বিপর্যয়ের দিন শেষ বিচারের দিন হবে না। এটি হবে পৃথিবীর জীবনের বিপর্যয় যা ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে। সম্ভবতঃ পরবর্তী মক্কাতে যে দুর্ভিক্ষ হবে তারই পূর্বাভাষ এখানে দেয়া হয়েছে।
৪৬৯৬। তফসীরকারগণ মনে করেন ‘ধোঁয়া’ বা কুয়াশা যাই বলা হোক না কেন তার দ্বারা মক্কার দুর্ভিক্ষের প্রতি ইঙ্গিতকরা হয়েছে। দিনের পরে দিন ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে করতে মানুষ এমন অবস্থায় পৌঁছায় যখন তারা চোখে ঘোর দেখে অর্থাৎ সব কিছু ঝাপসা বলে পরিগণিত হয়। মনে হবে ধোঁয়া সব কিছুকে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে। ইবনে কাফীর মক্কার দুইটি দুর্ভিক্ষের উল্লেখ করেছেন। একটা ছিলো নবুয়ত পাওয়ার ৮ম বর্ষে বা হিজরতের চার বছর পূর্বে , অন্যটি ছিলো হিজরতের ৮ম বর্ষে। যে কোনটি অথবা দুটোই সম্ভবতঃ প্রায় সাত বছরের মত স্থায়ী হয়। এটাও সম্ভব যে দুটো দুর্ভিক্ষই সামান্য ব্যবধানে ধারাবাহিক ভাবে চলে এসেছে বছরের পর বছর। যার প্রচন্ডতা এক এক বর্ষে এক এক রকম ভাবে অনুভূত হয়েছে। বুখারী শরীফে শুধুমাত্র হিজরতের পরবর্তী দুর্ভিক্ষের উল্লেখ আছে। সে দুর্ভিক্ষের বর্ণনায় বলা হয়েছে যে সে দুর্ভিক্ষ এতটাই তীব্র ছিলো যে, মানুষ মৃত প্রাণীর গলিত শব ও হাড় ভক্ষণ করতো। আবু সুফিয়ান অষ্টম হিজরীতে রাসুলের নিকট গমন করেন আল্লাহ্র দরবারে রাসুলকে [ সা ] সুপারিশ করার জন্য; আল্লাহ্ যেনো তাদের দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি দেন। যেহেতু, মোশরেক আরবরা বিশ্বাস করতো যে, দুর্ভিক্ষ রাসুলের [ সা ] অভিশাপের ফল। সূরা [ ২৩ : ৭৫ ] আয়াতে এবং টিকাতে ২৯২১ দুর্ভিক্ষের উল্লেখ আছে, যদিও সে সূরাটি বর্তমান সূরার পরে মক্কাতে অবতীর্ণ হয়। সকল সূরা সম্পূর্ণ এক সাথে অবতীর্ণ হয় নাই। অনেক সূরাই অংশ হিসেবে নাজেল হয়েছে। সুতারাং সম্ভবতঃ সূরার কোন কোন আয়াত সম্পূর্ণ সূরার নাজেল হওয়ার তারিখ থেকে আলাদা হতে পারে।
আয়াতঃ 044.012
হে আমাদের পালনকর্তা আমাদের উপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।
(They will say): ”Our Lord! Remove the torment from us, really we shall become believers!”
رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ
Rabbana ikshif AAanna alAAathaba inna mu/minoona
YUSUFALI: (They will say:) “Our Lord! remove the Penalty from us, for we do really believe!”
PICKTHAL: (Then they will say): Our Lord relieve us of the torment. Lo! we are believers.
SHAKIR: Our Lord! remove from us the punishment; surely we are believers.
KHALIFA: “Our Lord, relieve this retribution for us; we are believers.”
১০। অতএব তুমি সেদিনের অপেক্ষা কর ৪৬৯৫ , যেদিন আকাশ ধূঁয়াতে [ বা কুয়াশায় ] আচ্ছন্ন হয়ে যাবে যা সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে ৪৬৯৬
১১। যা মানব সম্প্রদায়কে আবৃত করে ফেলবে। এটা হবে এক ভয়াবহ শাস্তি।
১২। [ তারা বলবে : ] ” হে আমাদের প্রভু ! আমাদের উপর থেকে শাস্তি দূর করে দাও , আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি।”
৪৬৯৫। এখানে যে দিনের উল্লেখ করা হয়েছে সেটা কোন দিন ? অবশ্যই সে দিন হবে বিরাট বিপর্যয়ের দিন। ভাষার বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, সে বিপর্যয়ের দিন হবে ভবিষ্যতে। এই সূরার ১১নং আয়াতের ‘yagsha’ শব্দটি সূরা [ ৮৮ : ১ ] আয়াতের ‘gashiya’ শব্দটির সাথে তুলনাযোগ্য। তবে শব্দটি শেষ বিচারের দিনের জন্য প্রযোজ্য হয়েছে। কিন্তু এই সূরার ১৫ নং আয়াতটিতে বলা হয়েছে , ” শাস্তি কিছু কালের জন্য রহিত করিতেছি।” সুতারাং এই বিপর্যয়ের দিন শেষ বিচারের দিন হবে না। এটি হবে পৃথিবীর জীবনের বিপর্যয় যা ভবিষ্যতে সংঘটিত হবে। সম্ভবতঃ পরবর্তী মক্কাতে যে দুর্ভিক্ষ হবে তারই পূর্বাভাষ এখানে দেয়া হয়েছে।
৪৬৯৬। তফসীরকারগণ মনে করেন ‘ধোঁয়া’ বা কুয়াশা যাই বলা হোক না কেন তার দ্বারা মক্কার দুর্ভিক্ষের প্রতি ইঙ্গিতকরা হয়েছে। দিনের পরে দিন ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে করতে মানুষ এমন অবস্থায় পৌঁছায় যখন তারা চোখে ঘোর দেখে অর্থাৎ সব কিছু ঝাপসা বলে পরিগণিত হয়। মনে হবে ধোঁয়া সব কিছুকে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে। ইবনে কাফীর মক্কার দুইটি দুর্ভিক্ষের উল্লেখ করেছেন। একটা ছিলো নবুয়ত পাওয়ার ৮ম বর্ষে বা হিজরতের চার বছর পূর্বে , অন্যটি ছিলো হিজরতের ৮ম বর্ষে। যে কোনটি অথবা দুটোই সম্ভবতঃ প্রায় সাত বছরের মত স্থায়ী হয়। এটাও সম্ভব যে দুটো দুর্ভিক্ষই সামান্য ব্যবধানে ধারাবাহিক ভাবে চলে এসেছে বছরের পর বছর। যার প্রচন্ডতা এক এক বর্ষে এক এক রকম ভাবে অনুভূত হয়েছে। বুখারী শরীফে শুধুমাত্র হিজরতের পরবর্তী দুর্ভিক্ষের উল্লেখ আছে। সে দুর্ভিক্ষের বর্ণনায় বলা হয়েছে যে সে দুর্ভিক্ষ এতটাই তীব্র ছিলো যে, মানুষ মৃত প্রাণীর গলিত শব ও হাড় ভক্ষণ করতো। আবু সুফিয়ান অষ্টম হিজরীতে রাসুলের নিকট গমন করেন আল্লাহ্র দরবারে রাসুলকে [ সা ] সুপারিশ করার জন্য; আল্লাহ্ যেনো তাদের দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি দেন। যেহেতু, মোশরেক আরবরা বিশ্বাস করতো যে, দুর্ভিক্ষ রাসুলের [ সা ] অভিশাপের ফল। সূরা [ ২৩ : ৭৫ ] আয়াতে এবং টিকাতে ২৯২১ দুর্ভিক্ষের উল্লেখ আছে, যদিও সে সূরাটি বর্তমান সূরার পরে মক্কাতে অবতীর্ণ হয়। সকল সূরা সম্পূর্ণ এক সাথে অবতীর্ণ হয় নাই। অনেক সূরাই অংশ হিসেবে নাজেল হয়েছে। সুতারাং সম্ভবতঃ সূরার কোন কোন আয়াত সম্পূর্ণ সূরার নাজেল হওয়ার তারিখ থেকে আলাদা হতে পারে।
আয়াতঃ 044.013
তারা কি করে বুঝবে, অথচ তাদের কাছে এসেছিলেন স্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল।
How can there be for them an admonition (at the time when the torment has reached them), when a Messenger explaining things clearly has already come to them.
أَنَّى لَهُمُ الذِّكْرَى وَقَدْ جَاءهُمْ رَسُولٌ مُّبِينٌ
Anna lahumu alththikra waqad jaahum rasoolun mubeenun
YUSUFALI: How shall the message be (effectual) for them, seeing that an Messenger explaining things clearly has (already) come to them,-
PICKTHAL: How can there be remembrance for them, when a messenger making plain (the Truth) had already come unto them,
SHAKIR: How shall they be reminded, and there came to them an Messenger making clear (the truth),
KHALIFA: Now that it is too late, they remember! An enlightening messenger had come to them.
১৩। তাদের জন্য উপদেশ কি ভাবে [কার্যকর ] হবে, যখন [ ইতিমধ্যে ] তাদের নিকট সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাদানকারী একজন রসুল এসেছে,- ৪৬৯৭
৪৬৯৭। কোরাইশদের সম্মুখে রাসুলের [ সা ] জীবন ছিলো পবিত্রতার প্রতীক যে কারণে তারা তাঁকে আল্-আমীন [ বিশ্বাসী ]উপাধিতে ভূষিত করেছিলো। রাসুল তাদের মাঝে তাদের ভাষাতেই আল্লাহ্র বাণী প্রচার করেন। তাঁর বক্তব্য ছিলো স্বচ্ছ ও মাধুর্য্যপূর্ণ ও যুক্তিপূর্ণ। তবুও সে বাণীর আবেদন কোরেশদের মনোজগতে কোনও আবেদন সৃষ্টি করতে পারে নাই। তাঁরা রাসুলকে প্রত্যাখান করে এই বলে যে তাঁর প্রচারিত বাণী আল্লাহ্র বাণী নয়, তিনি কারও শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন বা তিনি তো একজন উম্মাদ ব্যক্তি যার বক্তব্য সামঞ্জস্যবিহীন। এরূপ কদর্য মানসিকতাপূর্ণ ব্যক্তির অন্তরে কিভাবে আল্লাহ্র বাণী আসন লাভ করতে পারে ? কিভাবে তারা আল্লাহ্র নূরে বিধৌত হতে পারবে ?
আয়াতঃ 044.014
অতঃপর তারা তাকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে এবং বলে, সে তো উম্মাদ-শিখানো কথা বলে।
Then they had turned away from him (Messenger Muhammad SAW) and said: ”One (Muhammad SAW) taught (by a human being), a madman!”
ثُمَّ تَوَلَّوْا عَنْهُ وَقَالُوا مُعَلَّمٌ مَّجْنُونٌ
Thumma tawallaw AAanhu waqaloo muAAallamun majnoonun
YUSUFALI: Yet they turn away from him and say: “Tutored (by others), a man possessed!”
PICKTHAL: And they had turned away from him and said: One taught (by others), a madman?
SHAKIR: Yet they turned their backs on him and said: One taught (by others), a madman.
KHALIFA: But they turned away from him, saying, “Well educated, but crazy!”
১৪। তথাপি তারা [ নবীর ] দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বললো , ” [ অন্যের দ্বারা] শিক্ষাপ্রাপ্ত এক পাগল।” ৪৬৯৮
৪৬৯৮। ” অন্যের দ্বারা শিক্ষাপ্রাপ্ত ” – দেখুন অনুরূপ অভিযোগ [ ১৬ : ১০৩ ] আয়াত ও টিকা ২১৪৩। “সে তো এক পাগল ” – দেখুন অনুরূপ অভিযোগ [ ১৫ : ৬ ] ও টিকা ১৯৪০।
আয়াতঃ 044.015
আমি তোমাদের উপর থেকে আযাব কিছুটা প্রত্যাহার করব, কিন্তু তোমরা পুনরায় পুনর্বস্থায় ফিরে যাবে।
Verily, We shall remove the torment for a while. Verily! You will revert.
إِنَّا كَاشِفُو الْعَذَابِ قَلِيلًا إِنَّكُمْ عَائِدُونَ
Inna kashifoo alAAathabi qaleelan innakum AAa-idoona
YUSUFALI: We shall indeed remove the Penalty for a while, (but) truly ye will revert (to your ways).
PICKTHAL: Lo! We withdraw the torment a little. Lo! ye return (to disbelief).
SHAKIR: Surely We will remove the punishment a little, (but) you will surely return (to evil).
KHALIFA: We will relieve the retribution for awhile; you will soon revert.
১৫। আমি স্বল্পকালের জন্য শাস্তি প্রত্যাহার করে নেবো , [ কিন্তু ] প্রকৃতপক্ষে তোমরা [তোমাদের পথে ] ফিরে যাবে ৪৬৯৯।
৪৬৯৯। দুর্ভিক্ষ যখন তীব্র আকার ধারণ করে, তখন আবু সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ্কে [ সা ] দোয়া করতে অনুরোধ করায় তিনি দু’আ করেছিলেন। ফলে, দুর্ভিক্ষের অবসান হয়। মানুষ যত বিদ্রোহী-ই হোক না কেন আল্লাহ্ তাদের বারে বারে সঠিক পথে ফিরে আসার সুযোগ দান করেন। তারা যাতে সঠিক পথে ফিরে আসে এ কারণে আল্লাহ্ তাদের ব্যক্তিগত বা আর্থিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে সঠিক রাস্তায় ফিরাতে চেষ্টা করেন। চেষ্টা করেন যেনো বিপদ বিপর্যয় তাদের আল্লাহ্র প্রতি অনুগত করে, তারা সঠিক পথের সন্ধান লাভ করে। এর ফলে অনেকেই ফিরে আসে, আবার অনেকেই আসে না। যারা আসে না তাদের সুযোগ দেয়ার জন্য আল্লাহ্ তাদের উপর থেকে বিপদ বিপর্যয়ের কালো মেঘ অপসারিত করেন। এর ফলে কিছু সংখ্যক সঠিক পথে ফিরে আসে। কিছু সংখ্যক এর পরও ফিরে আসে না। এদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। তবুও আল্লাহ্র করুণা ও দয়া বারে বারে তাদের সুপথে আনতে চেষ্টা করে এবং সে চেষ্টা রোজ কেয়ামত পর্যন্ত পাপীদের সুযোগ দান করবে। রোজ কেয়ামতের পরে তারা আর কোন সুযোগ পাবে না সুপথে ফিরে আসার।
আয়াতঃ 044.016
যেদিন আমি প্রবলভাবে ধৃত করব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিশোধ গ্রহণ করবই।
On the Day when We shall seize you with the greatest grasp. Verily, We will exact retribution.
يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنتَقِمُونَ
Yawma nabtishu albatshata alkubra inna muntaqimoona
YUSUFALI: One day We shall seize you with a mighty onslaught: We will indeed (then) exact Retribution!
PICKTHAL: On the day when We shall seize them with the greater seizure, (then) in truth We shall punish.
SHAKIR: On the day when We will seize (them) with the most violent seizing; surely We will inflict retribution.
KHALIFA: The day we strike the big stroke, we will avenge.
১৬। যেদিন আমি তোমাদের ভয়ঙ্কর ভাবে আক্রমণ করবো, নিশ্চয় [সেদিন] আমি প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়বো।
১৭। তাদের পূর্বে আমি তো ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছিলাম ৪৭০০। এবং তাদের নিকটেও এসেছিলো এক সম্মানিত রাসুল ৪৭০১।
৪৭০০। এই আয়াতে ফেরাউন ও মিশরবাসীদের পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুসার কাহিনীর বর্ণনা নয় ফেরাউন ও তার অনুসারীদের গর্ব ও অহংকার এবং তার দরুণ পতনের উল্লেখের মাধ্যমে তাদের বিচারের পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে। ঠিক সেই ভাবে [ ৪৪ : ৩০ -৩৩ ] আয়াতে ইসরাঈলীদের উপরে আল্লাহ্র অনুগ্রহের উল্লেখ করা হয়েছে তাদের গর্ব, অহংকার , অবিশ্বাস ও পতনের বিপরীতে। এবং আয়াত [ ৪৪ : ৩৭ ] উল্লেখ করা হয়েছে ইয়েমেনের প্রাচীন শক্তিশালী ‘হিমাইর’ রাজবংশের যাদেরও পতনও ঘটেছিলো একই ভাবে।
৪৭০১। ‘সম্মানিত রাসুল’ এই সম্ভাষণ হযরত মুসার জন্য প্রয়োগ করা হয়েছে। এখানে হযরত মুসার সত্যসহ অবতীর্ণ হওয়ার বিপরীতে ফেরাউনের মিথ্যা শ্রেষ্ঠত্বের দাবীকে তুলনা করা হয়েছে। দেখুন আয়াত [ ৪৩ :৫২] যেখানে ফেরাউন নিজস্ব মিথ্যা শ্রেষ্ঠত্বের দাবীতে মুসাকে সম্বোধন করেছিলো, ” আমি তো শ্রেষ্ঠ এই ব্যক্তি থেকে , যে হীন এবং স্পষ্ট ভাবে কথা বলতেও অক্ষম।”
উপদেশ : যুগে যুগে যারা অহংকারী ও মিথ্যাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ অলংকার বলে পরিগণিত করে থাকে, তাদের দৃষ্টিতে সত্যের প্রকৃতরূপ কখনও ধরা দেবে না। পৃথিবীর সকল যুগের সকল মানুষের জন্য এই সত্য প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 044.017
তাদের পূর্বে আমি ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি এবং তাদের কাছে আগমন করেছেন একজন সম্মানিত রসূল,
And indeed We tried before them Fir’aun’s (Pharaoh) people, when there came to them a noble Messenger [i.e. Mûsa (Moses) ],
وَلَقَدْ فَتَنَّا قَبْلَهُمْ قَوْمَ فِرْعَوْنَ وَجَاءهُمْ رَسُولٌ كَرِيمٌ
Walaqad fatanna qablahum qawma firAAawna wajaahum rasoolun kareemun
YUSUFALI: We did, before them, try the people of Pharaoh: there came to them a messenger most honourable,
PICKTHAL: And verily We tried before them Pharaoh’s folk, when there came unto them a noble messenger,
SHAKIR: And certainly We tried before them the people of Firon, and there came to them a noble messenger,
KHALIFA: We have tested before them the people of Pharaoh; an honorable messenger went to them.
১৬। যেদিন আমি তোমাদের ভয়ঙ্কর ভাবে আক্রমণ করবো, নিশ্চয় [সেদিন] আমি প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়বো।
১৭। তাদের পূর্বে আমি তো ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছিলাম ৪৭০০। এবং তাদের নিকটেও এসেছিলো এক সম্মানিত রাসুল ৪৭০১।
৪৭০০। এই আয়াতে ফেরাউন ও মিশরবাসীদের পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুসার কাহিনীর বর্ণনা নয় ফেরাউন ও তার অনুসারীদের গর্ব ও অহংকার এবং তার দরুণ পতনের উল্লেখের মাধ্যমে তাদের বিচারের পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে। ঠিক সেই ভাবে [ ৪৪ : ৩০ -৩৩ ] আয়াতে ইসরাঈলীদের উপরে আল্লাহ্র অনুগ্রহের উল্লেখ করা হয়েছে তাদের গর্ব, অহংকার , অবিশ্বাস ও পতনের বিপরীতে। এবং আয়াত [ ৪৪ : ৩৭ ] উল্লেখ করা হয়েছে ইয়েমেনের প্রাচীন শক্তিশালী ‘হিমাইর’ রাজবংশের যাদেরও পতনও ঘটেছিলো একই ভাবে।
৪৭০১। ‘সম্মানিত রাসুল’ এই সম্ভাষণ হযরত মুসার জন্য প্রয়োগ করা হয়েছে। এখানে হযরত মুসার সত্যসহ অবতীর্ণ হওয়ার বিপরীতে ফেরাউনের মিথ্যা শ্রেষ্ঠত্বের দাবীকে তুলনা করা হয়েছে। দেখুন আয়াত [ ৪৩ :৫২] যেখানে ফেরাউন নিজস্ব মিথ্যা শ্রেষ্ঠত্বের দাবীতে মুসাকে সম্বোধন করেছিলো, ” আমি তো শ্রেষ্ঠ এই ব্যক্তি থেকে , যে হীন এবং স্পষ্ট ভাবে কথা বলতেও অক্ষম।”
উপদেশ : যুগে যুগে যারা অহংকারী ও মিথ্যাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ অলংকার বলে পরিগণিত করে থাকে, তাদের দৃষ্টিতে সত্যের প্রকৃতরূপ কখনও ধরা দেবে না। পৃথিবীর সকল যুগের সকল মানুষের জন্য এই সত্য প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 044.018
এই মর্মে যে, আল্লাহর বান্দাদেরকে আমার কাছে অর্পণ কর। আমি তোমাদের জন্য প্রেরীত বিশ্বস্ত রসূল।
Saying: ”Restore to me the slaves of Allâh (i.e. the Children of Israel). Verily! I am to you a Messenger worthy of all trust,
أَنْ أَدُّوا إِلَيَّ عِبَادَ اللَّهِ إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
An addoo ilayya AAibada Allahi innee lakum rasoolun ameenun
YUSUFALI: Saying: “Restore to me the Servants of Allah: I am to you an messenger worthy of all trust;
PICKTHAL: Saying: Give up to me the slaves of Allah. Lo! I am a faithful messenger unto you.
SHAKIR: Saying: Deliver to me the servants of Allah, surely I am a faithful messenger to you,
KHALIFA: Proclaiming: “Listen to me, servants of GOD. I am an honest messenger to you.”
১৮। সে বলেছিলো , ” আল্লাহ্র বান্দাদের আমার নিকট প্রত্যার্পন কর ৪৭০২। আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল ; ৪৭০৩
৪৭০২। ইসরাঈলীদের উপরে হযরত মুসার কাহিনী ও আইনসঙ্গত অধিকার সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে নিম্নলিখিত আয়াত সমূহে [ ৭ : ১০৪ -১০৮, ১২০-১২৬, ১৩০ – ১৩৭ ]। এই আয়াতে হযরত মুসার বক্তব্য থেকে পরিষ্ফুট হয় যে কত পরিপূর্ণভাবে তিনি তাঁর প্রতি অর্পিত দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বক্তব্যকে তিনি উপস্থাপন করেছেন এভাবে, ” আল্লাহ্র বান্দাদিগের ” শব্দটি দ্বারা। এর দ্বারা তিনি বুঝাতে চেয়েছেন , প্রকৃত আল্লাহ্ প্রেমিকদের এরা ইসরাঈলীও হতে পারে আবার মিশরীয় হতে পারে। কারণ তাঁর প্রতি আল্লাহ্ কর্তৃক নির্দ্দিষ্ট দায়িত্ব ইসরাঈলী ও মিশরবাসী উভয়ের জন্য প্রযোজ্য ছিলো। ফেরাউনের ঔদ্ধত্যকে অস্বীকার করে মুসা খোদা প্রেমিকদের তাঁর হস্তে অর্পন করার দাবী জানান।
৪৭০৩। ‘Amin’ বা বিশ্বস্ত – এই উপাধিটি আল্লাহ্র রসুলদের জন্য প্রযোজ্য দেখুন আয়াত [ ২৬ : ১০৭ ]। আমাদের মহান রাসুল [ সা ] ঐতিহাসিক এই উপাধি লাভ করেন তাঁর সম্প্রদায়ের লোকদের নিকট থেকে। এখানে হযরত মুসার কাহিনীর স্মৃতিচারণ করা হয়েছে হযরত রাসুলে করীমের কর্ম জীবনকে কোরেশদের উদ্ধত ও অন্ধ আক্রোশের বিপরীতে তুলে ধরার জন্য।
আয়াতঃ 044.019
আর তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করো না। আমি তোমাদের কাছে প্রকাশ্য প্রমাণ উপস্থিত করছি।
”And exalt not (yourselves) against Allâh. Truly, I have come to you with a manifest authority.
وَأَنْ لَّا تَعْلُوا عَلَى اللَّهِ إِنِّي آتِيكُم بِسُلْطَانٍ مُّبِينٍ
Waan la taAAloo AAala Allahi innee ateekum bisultanin mubeenin
YUSUFALI: “And be not arrogant as against Allah: for I come to you with authority manifest.
PICKTHAL: And saying: Be not proud against Allah. Lo! I bring you a clear warrant.
SHAKIR: And that do not exalt yourselves against Allah, surely I will bring to you a clear authority:
KHALIFA: And, “Do not transgress against GOD. I bring to you powerful proofs.
১৯। ” এবং তোমরা আল্লাহ্র বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করো না ; আমি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট দলিল সহই এসেছি।
২০। ” তোমরা যাতে আমাকে আঘাত করতে না পার সেজন্য আমি আমার প্রভু ও তোমাদের প্রভুর নিকট নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি ৪৭০৪ ,৪৭০৫।
৪৭০৪। “আঘাত” – এই শব্দটি প্রতীক অর্থে এখানে ব্যবহৃত হয়েছে যার অর্থ যে কোনও রূপ শারীরিক আঘাত বা মানহানিকর কার্য।
৪৭০৫। এই আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন যে, মুসাকে হত্যা করার বা মানহানির পরিকল্পনা করে কোনও লাভ নাই। কারণ হযরত মুসার নিরাপত্তার দায়িত্ব আল্লাহ্ গ্রহণ করেছেন। হযরত মুসা সে কারণেই বলেছেন যে, ” আমি আমার প্রতিপালক ও তোমাদিগের প্রতিপালকের নিকট নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।” লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে তিনি বলেছেন সকলেরই প্রতিপালক একজনই। কিন্তু মানুষ বিভ্রান্তির আশ্রয় অবলম্বন করে স্রষ্টার একত্বে অংশীদার কল্পনা করে। আল্লাহ্ শুধু মুসারই নয়, মিশরবাসীদেরও সেই একই আল্লাহ্। সুতারাং এ ব্যাপারে তাদেরও দায়িত্ব বর্তমান।
উপদেশ : হযরত মুসার আল্লাহ্র উপরে যে নির্ভরশীলতা তুলে ধরা হয়েছে, মোমেন ব্যক্তি সেই , যে বিপদ বিপর্যয়ে অনুরূপ নির্ভরশীলতা অবলম্বন করতে পারেন।
আয়াতঃ 044.020
তোমরা যাতে আমাকে প্রস্তরবর্ষণে হত্যা না কর, তজ্জন্যে আমি আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তার শরনাপন্ন হয়েছি।
”And truly, I seek refuge in my Lord and your Lord, lest you stone me (or call me a sorcerer or kill me).
وَإِنِّي عُذْتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُمْ أَن تَرْجُمُونِ
Wa-innee AAuthtu birabbee warabbikum an tarjumooni
YUSUFALI: “For me, I have sought safety with my Lord and your Lord, against your injuring me.
PICKTHAL: And lo! I have sought refuge in my Lord and your Lord lest ye stone me to death.
SHAKIR: And surely I take refuge with my Lord and your Lord that you should stone me to death:
KHALIFA: “I seek refuge in my Lord and your Lord, if you oppose me.
১৯। ” এবং তোমরা আল্লাহ্র বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করো না ; আমি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট দলিল সহই এসেছি।
২০। ” তোমরা যাতে আমাকে আঘাত করতে না পার সেজন্য আমি আমার প্রভু ও তোমাদের প্রভুর নিকট নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি ৪৭০৪ ,৪৭০৫।
৪৭০৪। “আঘাত” – এই শব্দটি প্রতীক অর্থে এখানে ব্যবহৃত হয়েছে যার অর্থ যে কোনও রূপ শারীরিক আঘাত বা মানহানিকর কার্য।
৪৭০৫। এই আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন যে, মুসাকে হত্যা করার বা মানহানির পরিকল্পনা করে কোনও লাভ নাই। কারণ হযরত মুসার নিরাপত্তার দায়িত্ব আল্লাহ্ গ্রহণ করেছেন। হযরত মুসা সে কারণেই বলেছেন যে, ” আমি আমার প্রতিপালক ও তোমাদিগের প্রতিপালকের নিকট নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।” লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে তিনি বলেছেন সকলেরই প্রতিপালক একজনই। কিন্তু মানুষ বিভ্রান্তির আশ্রয় অবলম্বন করে স্রষ্টার একত্বে অংশীদার কল্পনা করে। আল্লাহ্ শুধু মুসারই নয়, মিশরবাসীদেরও সেই একই আল্লাহ্। সুতারাং এ ব্যাপারে তাদেরও দায়িত্ব বর্তমান।
উপদেশ : হযরত মুসার আল্লাহ্র উপরে যে নির্ভরশীলতা তুলে ধরা হয়েছে, মোমেন ব্যক্তি সেই , যে বিপদ বিপর্যয়ে অনুরূপ নির্ভরশীলতা অবলম্বন করতে পারেন।
আয়াতঃ 044.021
তোমরা যদি আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না কর, তবে আমার কাছ থেকে দূরে থাক।
”But if you believe me not, then keep away from me and leave me alone.”
وَإِنْ لَّمْ تُؤْمِنُوا لِي فَاعْتَزِلُونِ
Wa-in lam tu/minoo lee faiAAtazilooni
YUSUFALI: “If ye believe me not, at least keep yourselves away from me.”
PICKTHAL: And if ye put no faith in me, then let me go.
SHAKIR: And if you do not believe in me, then leave me alone.
KHALIFA: “If you do not wish to believe, then simply leave me alone.”
২১। ” যদি তোমরা আমাকে বিশ্বাস না কর ৪৭০৬ , তবে তোমরা আমার থেকে দূরে থাক।”
৪৭০৬। হযরত মুসা অবিশ্বাসীদের বলেছিলেন যে, ” যদি তোমরা বিশ্বাস করতে না পার , সেক্ষেত্রে অন্ততঃপক্ষে তোমরা আমার নিকট থেকে দূরে সরে যাও। আমাকে নির্যাতন করে এবং আল্লাহ্র প্রেরিত সত্যকে অবদমিত করে তোমাদের পাপকে আরও বৃদ্ধি করো না। তোমরা আমার থেকে দূরে থাক।”
আয়াতঃ 044.022
অতঃপর সে তার পালনকর্তার কাছে দোয়া করল যে, এরা অপরাধী সম্প্রদায়।
(But they were aggressive), so he [Mûsa (Moses)] called upon his Lord (saying): ”These are indeed the people who are Mujrimûn (disbelievers, polytheists, sinners, criminals, etc.).”
فَدَعَا رَبَّهُ أَنَّ هَؤُلَاء قَوْمٌ مُّجْرِمُونَ
FadaAAa rabbahu anna haola-i qawmun mujrimoona
YUSUFALI: (But they were aggressive:) then he cried to his Lord: “These are indeed a people given to sin.”
PICKTHAL: And he cried unto his Lord, (saying): These are guilty folk.
SHAKIR: Then he called upon his Lord: These are a guilty people.
KHALIFA: Subsequently, he implored his Lord: “These are wicked people.”
২২। [ কিন্তু তারা ছিলো আক্রমণে উদ্যত ] ৪৭০৭। তখন সে তার প্রভুর নিকট আবদেন করলো , ” এরা বাস্তবিকই মহাপাপী লোক।”
৪৭০৭। এমনকি , ফেরাউনের অনুসারীরা হযরত মুসার সকল কাজেই বাঁধার সৃষ্টি করতো। সুতারাং তিনি আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করেন। রাসুল হিসেবে তিনি জানতেন যে, তাঁকে আল্লাহ্ মানুষকে বিচার করার ক্ষমতা দান করেন নাই। বিচারক একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ্। তিনিই একমাত্র জানেন কাকে তিনি ধ্বংস করবেন বা করবেন না। সুতারাং প্রার্থনার মাধ্যমে মুসা কারও ধ্বংস কামনা করেন নাই। তিনি আল্লাহ্র দরবারে নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করেন মাত্র। তিনি তাঁর কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন , কিন্তু অবিশ্বাসীদের আত্মা পাপে আসক্তির ফলে কঠিন রূপ ধারণ করেছে। সুতারাং অবিশ্বাসীরা আল্লাহ্- বিশ্বাসীদের নির্যাতন ও অবদমিত করতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলো। হযরত মুসার এই প্রার্থনার উত্তরে অগ্রসর হওয়ার হুকুম আসে। তাদের রাতের আঁধারে অগ্রসর হওয়ার হুকুম দান করা হয়। কারণ শত্রুরা অবশ্যই পচাদ্ধাবন করবে। হুকুম হয় সমস্ত বিশ্বাসীদের সহযোগে রাতের আঁধারে অগ্রসর হওয়ার। অনুমান করা হয় অগ্রসরকারী বিশালদলে ইসরাঈলীরা ব্যতীতও কিছু মিশরবাসী ছিলো। আয়াত [ ৭ : ২২ ] দেখুন যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে মিশরবাসীদের কথা যারা অবিশ্বাসী থেকে বিশ্বাসীতে পরিণত হয়। অবশ্য এদের অধিকাংশকেই ফেরাউন হত্যা করে।
আয়াতঃ 044.023
তাহলে তুমি আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিবেলায় বের হয়ে পড়। নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধবন করা হবে।
(Allâh said): ”Depart you with My slaves by night. Surely, you will be pursued.
فَأَسْرِ بِعِبَادِي لَيْلًا إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ
Faasri biAAibadee laylan innakum muttabaAAoona
YUSUFALI: (The reply came:) “March forth with My Servants by night: for ye are sure to be pursued.
PICKTHAL: Then (his Lord commanded): Take away My slaves by night. Lo! ye will be followed,
SHAKIR: So go forth with My servants by night; surely you will be pursued:
KHALIFA: (God said,) “Travel with My servants during the night; you will be pursued.
২৩। [ উত্তর এলো ; ] রাতে তুমি আমার বান্দাদের নিয়ে বের হয়ে পড় , তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
২৪।সমুদ্রকে [ দ্বিধাবিভক্ত ] অবস্থায় স্থির থাকতে দাও ৪৭০৮। তারা এমন এক বাহিনী যারা নিমজ্জিত হবেই।
৪৭০৮। বণী ইসরাঈলীদের সহ হযরত মুসা যখন সমুদ্র অতিক্রম করছিলেন তখন তাঁদের জন্য সমুদ্রকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয় [ ২ : ৫০ ]। তাদের সমুদ্র অতিক্রম করার পর মুসাকে বলা হয়েছিলো যে সমুদ্রকে সেই দ্বিধা বিভক্ত অবস্থায় থাকতে দাও। ফেরাউন ও তার অনুসারীদের প্রলোভিত করার জন্য। যাতে ফেরাউন ও তার বাহিনী উহার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে সমুদ্র পূর্বাস্থাতে ফিরে আসে ও ফেরাউন তার বাহিনীসহ ধ্বংস হয়ে যায়।
আয়াতঃ 044.024
এবং সমুদ্রকে অচল থাকতে দাও। নিশ্চয় ওরা নিমজ্জত বাহিনী।
”And leave the sea as it is (quiet and divided). Verily, They are a host to be drowned.”
وَاتْرُكْ الْبَحْرَ رَهْوًا إِنَّهُمْ جُندٌ مُّغْرَقُونَ
Waotruki albahra rahwan innahum jundun mughraqoona
YUSUFALI: “And leave the sea as a furrow (divided): for they are a host (destined) to be drowned.”
PICKTHAL: And leave the sea behind at rest, for lo! they are a drowned host.
SHAKIR: And leave the sea intervening; surely they are a host that shall be drowned.
KHALIFA: “Cross the sea quickly; their troops will be drowned.”
২৩। [ উত্তর এলো ; ] রাতে তুমি আমার বান্দাদের নিয়ে বের হয়ে পড় , তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
২৪।সমুদ্রকে [ দ্বিধাবিভক্ত ] অবস্থায় স্থির থাকতে দাও ৪৭০৮। তারা এমন এক বাহিনী যারা নিমজ্জিত হবেই।
৪৭০৮। বণী ইসরাঈলীদের সহ হযরত মুসা যখন সমুদ্র অতিক্রম করছিলেন তখন তাঁদের জন্য সমুদ্রকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয় [ ২ : ৫০ ]। তাদের সমুদ্র অতিক্রম করার পর মুসাকে বলা হয়েছিলো যে সমুদ্রকে সেই দ্বিধা বিভক্ত অবস্থায় থাকতে দাও। ফেরাউন ও তার অনুসারীদের প্রলোভিত করার জন্য। যাতে ফেরাউন ও তার বাহিনী উহার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে সমুদ্র পূর্বাস্থাতে ফিরে আসে ও ফেরাউন তার বাহিনীসহ ধ্বংস হয়ে যায়।
আয়াতঃ 044.025
তারা ছেড়ে গিয়েছিল কত উদ্যান ও প্রস্রবন,
How many of gardens and springs do they [Fir’aun’s (Pharaoh) people] left.
كَمْ تَرَكُوا مِن جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
Kam tarakoo min jannatin waAAuyoonin
YUSUFALI: How many were the gardens and springs they left behind,
PICKTHAL: How many were the gardens and the watersprings that they left behind,
SHAKIR: How many of the gardens and fountains have they left!
KHALIFA: Thus, they left behind many gardens and springs.
২৫। তারা পিছনে ফেলে এসেছিলো কত উদ্যান, কত প্রস্রবণ , ৪৭০৯
৪৭০৯। সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে পৃথিবীতে আনন্দদায়ক ও উপভোগের সামগ্রী সমূহের নিখুঁত চিত্র। অত্যাচারী , অবিশ্বাসীরা এ সবের একচেটিয়া অধিকার লাভের জন্য জনসাধারণের উপরে নির্যাতন, নিপীড়ন ও অবিচার অত্যাচার করে থাকে। ফেরাউনের উদাহরণের মাধ্যমে বলা হয়েছে যে, ফেরাউন তার একচ্ছত্র অধিকার ত্যাগ করে সলিল সমাধি লাভ করেছে। এভাবেই অত্যাচারীরা তাদের একচেটিয়া অধিকার ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এবং আল্লাহ্ তাদের ভোগের সামগ্রীসমূহ অন্য লোককে দান করেন।
আয়াতঃ 044.026
কত শস্যক্ষেত্র ও সূরম্য স্থান।
And green crops (fields etc.) and goodly places,
وَزُرُوعٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ
WazurooAAin wamaqamin kareemin
YUSUFALI: And corn-fields and noble buildings,
PICKTHAL: And the cornlands and the goodly sites
SHAKIR: And cornfields and noble places!
KHALIFA: Crops and a luxurious life.
২৬। এবং শষ্যক্ষেত্র ও সুরম্য অট্টালিকা।
২৭। এবং সম্পদ [এবং জীবনের ভোগের সামগ্রী ] , যাতে তারা আনন্দ পেতো !
২৮। এটাই ছিলো [ তাদের শেষ পরিণতি ] ! এবং আমি অন্য সম্প্রদায়কে[ এসব জিনিষের ] উত্তরাধিকারী করলাম।
২৯। না আকাশ না পৃথিবী ৪৭১০ কেহই তাদের জন্য অশ্রুপাত করে নাই। তাদের [পুণরায় ] কোন অবকাশ দেয়া হয় নাই।
৪৭১০। ফেরাউন নিজেকে আল্লাহ্ বলে দাবী করেছিলো এবং অন্যান্যরা তাকে অনুসরণ করেছিলো। সে ছিলো অবিশ্বাসী , অত্যাচারী ও অন্যায়কারী। তার মৃত্যুর বর্ণনাতে বলা হয়েছে তার মৃত্যু ঘটে অশ্রুহীন, অসম্মান ও কুকীর্তির মাধ্যমে,”কেহই তাদের জন্য অশ্রুপাত কর নাই”। কোরাণের বাণী সর্বকালের সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য।ফেরাউনের মৃত্যুর বর্ণনার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন অত্যাচারী অন্যায়কারীর মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থার চিত্র আঁকা হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করবে না বা তাদের কুকীর্তির জন্য সম্মান প্রদর্শন করবে না।
আয়াতঃ 044.027
কত সুখের উপকরণ, যাতে তারা খোশগল্প করত।
And comforts of life wherein they used to take delight!
وَنَعْمَةٍ كَانُوا فِيهَا فَاكِهِينَ
WanaAAmatin kanoo feeha fakiheena
YUSUFALI: And wealth (and conveniences of life), wherein they had taken such delight!
PICKTHAL: And pleasant things wherein they took delight!
SHAKIR: And goodly things wherein they rejoiced;
KHALIFA: Blessings that they enjoyed.
২৬। এবং শষ্যক্ষেত্র ও সুরম্য অট্টালিকা।
২৭। এবং সম্পদ [এবং জীবনের ভোগের সামগ্রী ] , যাতে তারা আনন্দ পেতো !
২৮। এটাই ছিলো [ তাদের শেষ পরিণতি ] ! এবং আমি অন্য সম্প্রদায়কে[ এসব জিনিষের ] উত্তরাধিকারী করলাম।
২৯। না আকাশ না পৃথিবী ৪৭১০ কেহই তাদের জন্য অশ্রুপাত করে নাই। তাদের [পুণরায় ] কোন অবকাশ দেয়া হয় নাই।
৪৭১০। ফেরাউন নিজেকে আল্লাহ্ বলে দাবী করেছিলো এবং অন্যান্যরা তাকে অনুসরণ করেছিলো। সে ছিলো অবিশ্বাসী , অত্যাচারী ও অন্যায়কারী। তার মৃত্যুর বর্ণনাতে বলা হয়েছে তার মৃত্যু ঘটে অশ্রুহীন, অসম্মান ও কুকীর্তির মাধ্যমে,”কেহই তাদের জন্য অশ্রুপাত কর নাই”। কোরাণের বাণী সর্বকালের সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য।ফেরাউনের মৃত্যুর বর্ণনার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন অত্যাচারী অন্যায়কারীর মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থার চিত্র আঁকা হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করবে না বা তাদের কুকীর্তির জন্য সম্মান প্রদর্শন করবে না।
আয়াতঃ 044.028
এমনিই হয়েছিল এবং আমি ওগুলোর মালিক করেছিলাম ভিন্ন সম্প্রদায়কে।
Thus (it was)! And We made other people inherit them (i.e. We made the Children of Israel to inherit the kingdom of Egypt).
كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا قَوْمًا آخَرِينَ
Kathalika waawrathnaha qawman akhareena
YUSUFALI: Thus (was their end)! And We made other people inherit (those things)!
PICKTHAL: Even so (it was), and We made it an inheritance for other folk;
SHAKIR: Thus (it was), and We gave them as a heritage to another people.
KHALIFA: All these we caused to be inherited by other people.
২৬। এবং শষ্যক্ষেত্র ও সুরম্য অট্টালিকা।
২৭। এবং সম্পদ [এবং জীবনের ভোগের সামগ্রী ] , যাতে তারা আনন্দ পেতো !
২৮। এটাই ছিলো [ তাদের শেষ পরিণতি ] ! এবং আমি অন্য সম্প্রদায়কে[ এসব জিনিষের ] উত্তরাধিকারী করলাম।
২৯। না আকাশ না পৃথিবী ৪৭১০ কেহই তাদের জন্য অশ্রুপাত করে নাই। তাদের [পুণরায় ] কোন অবকাশ দেয়া হয় নাই।
৪৭১০। ফেরাউন নিজেকে আল্লাহ্ বলে দাবী করেছিলো এবং অন্যান্যরা তাকে অনুসরণ করেছিলো। সে ছিলো অবিশ্বাসী , অত্যাচারী ও অন্যায়কারী। তার মৃত্যুর বর্ণনাতে বলা হয়েছে তার মৃত্যু ঘটে অশ্রুহীন, অসম্মান ও কুকীর্তির মাধ্যমে,”কেহই তাদের জন্য অশ্রুপাত কর নাই”। কোরাণের বাণী সর্বকালের সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য।ফেরাউনের মৃত্যুর বর্ণনার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন অত্যাচারী অন্যায়কারীর মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থার চিত্র আঁকা হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করবে না বা তাদের কুকীর্তির জন্য সম্মান প্রদর্শন করবে না।
আয়াতঃ 044.029
তাদের জন্যে ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি।
And the heavens and the earth wept not for them , nor were they given a respite.
فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاء وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
Fama bakat AAalayhimu alssamao waal-ardu wama kanoo munthareena
YUSUFALI: And neither heaven nor earth shed a tear over them: nor were they given a respite (again).
PICKTHAL: And the heaven and the earth wept not for them, nor were they reprieved.
SHAKIR: So the heaven and the earth did not weep for them, nor were they respited.
KHALIFA: Neither the heaven, nor the earth wept over them, and they were not respited.
২৬। এবং শষ্যক্ষেত্র ও সুরম্য অট্টালিকা।
২৭। এবং সম্পদ [এবং জীবনের ভোগের সামগ্রী ] , যাতে তারা আনন্দ পেতো !
২৮। এটাই ছিলো [ তাদের শেষ পরিণতি ] ! এবং আমি অন্য সম্প্রদায়কে[ এসব জিনিষের ] উত্তরাধিকারী করলাম।
২৯। না আকাশ না পৃথিবী ৪৭১০ কেহই তাদের জন্য অশ্রুপাত করে নাই। তাদের [পুণরায় ] কোন অবকাশ দেয়া হয় নাই।
৪৭১০। ফেরাউন নিজেকে আল্লাহ্ বলে দাবী করেছিলো এবং অন্যান্যরা তাকে অনুসরণ করেছিলো। সে ছিলো অবিশ্বাসী , অত্যাচারী ও অন্যায়কারী। তার মৃত্যুর বর্ণনাতে বলা হয়েছে তার মৃত্যু ঘটে অশ্রুহীন, অসম্মান ও কুকীর্তির মাধ্যমে,”কেহই তাদের জন্য অশ্রুপাত কর নাই”। কোরাণের বাণী সর্বকালের সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য।ফেরাউনের মৃত্যুর বর্ণনার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন অত্যাচারী অন্যায়কারীর মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থার চিত্র আঁকা হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করবে না বা তাদের কুকীর্তির জন্য সম্মান প্রদর্শন করবে না।
আয়াতঃ 044.030
আমি বনী-ইসরাঈলকে অপমানজনক শাস্তি থেকে উদ্ধার করছি।
And indeed We saved the Children of Israel from the humiliating torment,
وَلَقَدْ نَجَّيْنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنَ الْعَذَابِ الْمُهِينِ
Walaqad najjayna banee isra-eela mina alAAathabi almuheeni
YUSUFALI: We did deliver aforetime the Children of Israel from humiliating Punishment,
PICKTHAL: And We delivered the Children of Israel from the shameful doom;
SHAKIR: And certainly We delivered the children of Israel from the abasing chastisement,
KHALIFA: Meanwhile, we saved the Children of Israel from the humiliating persecution.
রুকু – ২
৩০। আমি তো বণী ইসরাঈলীদের লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি থেকে উদ্ধার করেছিলাম ৪৭১১
৪৭১১। ইসরাঈলীরা ফেরাউনের সময়ে মিশরে দাসত্বের নিগড়ে বাঁধা ছিলো। তাদের প্রভুরা তাদের অসম্মানজনক এবং কঠিন কাজে সর্বদা নিয়োজিত করতো এবং ফেরাউন আইন চালু করেছিলো যে ইসরাঈলীদের পুত্র সন্তানদের হত্যা করা হবে, এবং কন্যা সন্তানদের মিশরবাসীদের মনোরঞ্জনের জন্য জীবিত রাখা হবে। আল্লাহ্ ইসরাঈলীদের এই লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির হাত থেকে উদ্ধার করেন।
আয়াতঃ 044.031
ফেরাউন সে ছিল সীমালংঘনকারীদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়।
From Fir’aun (Pharaoh); Verily! He was arrogant and was of the Musrifûn (those who transgress beyond bound in spending and other things and commit great sins).
مِن فِرْعَوْنَ إِنَّهُ كَانَ عَالِيًا مِّنَ الْمُسْرِفِينَ
Min firAAawna innahu kana AAaliyan mina almusrifeena
YUSUFALI: Inflicted by Pharaoh, for he was arrogant (even) among inordinate transgressors.
PICKTHAL: (We delivered them) from Pharaoh. Lo! he was a tyrant of the wanton ones.
SHAKIR: From Firon; surely he was haughty, (and) one of the extravagant.
KHALIFA: From Pharaoh; he was a tyrant.
৩১। [ যা ] আরোপ করেছিলো ফেরাউন ,সে ছিলো উদ্ধত [ এমনকি ] অতিরিক্ত সীমালংঘনকারীদের অর্ন্তভূক্ত।
৩২। এবং আমি জেনে শুনেই তাদের সকল জাতির উপরে মনোনীত করেছিলাম ৪৭১২।
৪৭১২। ইসরাঈলীদের আল্লাহ্ অপমানজনক ক্রীতদাসত্বের বন্ধন থেকে মুক্তি দেন। তাদের নানা ধরণের বিদ্রোহ ও অবিশ্বাস এবং সৎপথ ত্যাগ করে অসৎপথ অবলম্বন করা সত্বেও আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করে দেন এবং তাদের শেষ পর্যন্ত “দুধ ও মধুর দেশে ” স্থায়ীভাবে বসবাসের বন্দোবস্ত করেন। তারা সেখানে পরবর্তীতে নবী সুলাইমানের অধীনে বিশাল গৌরবময় রাজত্বের পত্তন করে। ইসরাঈলীদের এই উত্থান কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। আল্লাহ্র বৃহত্তর পরিকল্পনার এটা একটা অংশ মাত্র। তাদের আল্লাহ্ মনোনীত করেছিলেন তাঁর বৃহত্তর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে। এই মনোনয়নের অর্থ এই নয় যে, তারা যা খুশী তাই করতে পারবে। যা খুশী তাই করার অধিকার আল্লাহ্ পৃথিবীর কোন জাতিকে দান করেন নাই। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যাবে বিশ্বস্রষ্টা প্রত্যেক ব্যক্তিকে বা জাতিকে সফলতা লাভের সুযোগ দান করেন। যে আল্লাহ্র রাস্তায় থেকে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সেই ব্যক্তি বা জাতি হয় সফলকাম। আর যে ব্যক্তি বা জাতি তা করতে হয় অপারগ তার পতন অবশ্যম্ভাবী। আল্লাহ্ তাদের স্থানে অন্য কাউকে স্থলাভিষিক্ত করবেন। এখানে বিশ্বে অর্থাৎ তৎকালীন বিশ্বে।
আয়াতঃ 044.032
আমি জেনেশুনে তাদেরকে বিশ্ববাসীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।
And We chose them (the Children of Israel) above the ’Alamîn (mankind, and jinns) [during the time of Mûsa (Moses)] with knowledge,
وَلَقَدِ اخْتَرْنَاهُمْ عَلَى عِلْمٍ عَلَى الْعَالَمِينَ
Walaqadi ikhtarnahum AAala AAilmin AAala alAAalameena
YUSUFALI: And We chose them aforetime above the nations, knowingly,
PICKTHAL: And We chose them, purposely, above (all) creatures.
SHAKIR: And certainly We chose them, having knowledge, above the nations.
KHALIFA: We have chosen them from among all the people, knowingly.
৩১। [ যা ] আরোপ করেছিলো ফেরাউন ,সে ছিলো উদ্ধত [ এমনকি ] অতিরিক্ত সীমালংঘনকারীদের অর্ন্তভূক্ত।
৩২। এবং আমি জেনে শুনেই তাদের সকল জাতির উপরে মনোনীত করেছিলাম ৪৭১২।
৪৭১২। ইসরাঈলীদের আল্লাহ্ অপমানজনক ক্রীতদাসত্বের বন্ধন থেকে মুক্তি দেন। তাদের নানা ধরণের বিদ্রোহ ও অবিশ্বাস এবং সৎপথ ত্যাগ করে অসৎপথ অবলম্বন করা সত্বেও আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করে দেন এবং তাদের শেষ পর্যন্ত “দুধ ও মধুর দেশে ” স্থায়ীভাবে বসবাসের বন্দোবস্ত করেন। তারা সেখানে পরবর্তীতে নবী সুলাইমানের অধীনে বিশাল গৌরবময় রাজত্বের পত্তন করে। ইসরাঈলীদের এই উত্থান কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। আল্লাহ্র বৃহত্তর পরিকল্পনার এটা একটা অংশ মাত্র। তাদের আল্লাহ্ মনোনীত করেছিলেন তাঁর বৃহত্তর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে। এই মনোনয়নের অর্থ এই নয় যে, তারা যা খুশী তাই করতে পারবে। যা খুশী তাই করার অধিকার আল্লাহ্ পৃথিবীর কোন জাতিকে দান করেন নাই। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যাবে বিশ্বস্রষ্টা প্রত্যেক ব্যক্তিকে বা জাতিকে সফলতা লাভের সুযোগ দান করেন। যে আল্লাহ্র রাস্তায় থেকে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সেই ব্যক্তি বা জাতি হয় সফলকাম। আর যে ব্যক্তি বা জাতি তা করতে হয় অপারগ তার পতন অবশ্যম্ভাবী। আল্লাহ্ তাদের স্থানে অন্য কাউকে স্থলাভিষিক্ত করবেন। এখানে বিশ্বে অর্থাৎ তৎকালীন বিশ্বে।
আয়াতঃ 044.033
এবং আমি তাদেরকে এমন নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম যাতে ছিল স্পষ্ট সাহায্য।
And granted them signs in which there was a plain trial.
وَآتَيْنَاهُم مِّنَ الْآيَاتِ مَا فِيهِ بَلَاء مُّبِينٌ
Waataynahum mina al-ayati ma feehi balaon mubeenun
YUSUFALI: And granted them Signs in which there was a manifest trial
PICKTHAL: And We gave them portents wherein was a clear trial.
SHAKIR: And We gave them of the communications wherein was clear blessing.
KHALIFA: We showed them so many proofs, which constituted a great test.
৩৩।এবং তাদের জন্য নিদর্শনাবলী দান করেছিলাম , যার মধ্যে ছিলো [ ঈমানের] সুস্পষ্ট পরীক্ষা ৪৭১৩।
৪৭১৩। ইসরাঈলীদের প্রতি আল্লাহ্র দেয়া নিদর্শনাবলীর মধ্যে ছিলো হযরত মুসার প্রতি দেয়া আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ, উর্বর ক্যানন উপত্যকাতে তাদের বসতি স্থাপন , দাউদ নবী ও হযরত সুলাইমানের অধীনে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী রাজত্ব স্থাপন, যারা তাদের আল্লাহ্র সত্য শিক্ষা দিতেন। এবং তাদের সঠিক পথে আনায়ন করার জন্য হযরত ঈসার আগমন – এ সকলই ছিলো আল্লাহ্র তরফ থেকে ইসরাঈলীদের প্রতি দেয়া নিদর্শন সমূহ। তাদের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ। যখন তারা এসব পরীক্ষাতে অকৃতকার্য হলো , আল্লাহ্ তাদের শাস্তি দিলেন পৃথিবীতে নিঃসঙ্গভাবে উদভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়ানো।
আয়াতঃ 044.034
কাফেররা বলেই থাকে,
Verily, these (Quraish) people are saying:
إِنَّ هَؤُلَاء لَيَقُولُونَ
Inna haola-i layaqooloona
YUSUFALI: As to these (Quraish), they say forsooth:
PICKTHAL: Lo! these, forsooth, are saying:
SHAKIR: Most surely these do say:
KHALIFA: The present generations say,
৩৪।যেমন এরা [ কুরাইশরা ] নিশ্চয়ই বলে থাকে ;
৩৫। ” আমাদের প্রথম মৃত্যু ব্যতীত আর কিছু নাই, এবং আমাদের পুণরায় উঠানো হবে না।
৩৬। “তাহলে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ফিরিয়ে আন, যদি তুমি সত্যি বলে থাক।” ৪৭১৪
৪৭১৪। প্রাচীন সভ্যতায়, পৃথিবীর ইতিহাসে মিশর ও ইসরাঈলীদের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। এরা ছিলো সমসাময়িক বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, কিন্তু তাদের অহংকার ও গর্বের দরুণ ও তাদের পাপের পরিণতিতে তাদের পতন ঘটে। এই আয়াতে ‘এরা ‘ দ্বারা রাসুলের সমকালীন কাফিরদিগকে বুঝানো হয়েছে। পৃথিবীর দুই সুসভ্য, ও পরাক্রমশালী জাতির উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে এসব অবিশ্বাসী ও একগুয়ে কোরাইশদের সম্মুখে। তাঁরা নবীর বিরুদ্ধে ছিলো একগুয়ে। অবাধ্যভাবে তারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে প্রত্যাখান করতো। তারা পরলোকের জীবনকে অস্বীকার করতো , যেমন করতো ইহুদীদের মধ্যে যারা নাস্তিক ছিলো। কোরাইশরা আল্লাহ্র রাসুলকে ও যারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে বিশ্বাস করতো তাদের নির্যাতন ও অত্যাচার করতো। শুধু তাই-ই নয়, ব্যঙ্গ ও বিদ্রূপ করে দাবী করতো যে পরলোকে যদি পুণরুত্থান ঘটেই থাকে তবে এখনই তাদের পূর্বপুরুষদের উপস্থিত করা হোক। এদেরই স্মরণ করানো হয়েছে যে, তাদের থেকেও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশালী জাতি যারা আরবেই বাস করতো, তারাও ধ্বংস হয়ে গেছে [ পরবর্তী আয়াত সমূহ ]। কারণ ছিলো তাদের আল্লাহ্র প্রতি অবিশ্বাস ও পাপ কার্য। তারাও যদি অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন না করে তবে তাদেরও শেষ পরিণতি ঐ একই ঘটবে।
আয়াতঃ 044.035
প্রথম মৃত্যুর মাধ্যমেই আমাদের সবকিছুর অবসান হবে এবং আমরা পুনরুত্থিত হব না।
”There is nothing but our first death, and we shall not be resurrected.
إِنْ هِيَ إِلَّا مَوْتَتُنَا الْأُولَى وَمَا نَحْنُ بِمُنشَرِينَ
In hiya illa mawtatuna al-oola wama nahnu bimunshareena
YUSUFALI: “There is nothing beyond our first death, and we shall not be raised again.
PICKTHAL: There is naught but our first death, and we shall not be raised again.
SHAKIR: There is naught but our first death and we shall not be raised again.
KHALIFA: “We only die the first death; we will never be resurrected!
৩৪।যেমন এরা [ কুরাইশরা ] নিশ্চয়ই বলে থাকে ;
৩৫। ” আমাদের প্রথম মৃত্যু ব্যতীত আর কিছু নাই, এবং আমাদের পুণরায় উঠানো হবে না।
৩৬। “তাহলে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ফিরিয়ে আন, যদি তুমি সত্যি বলে থাক।” ৪৭১৪
৪৭১৪। প্রাচীন সভ্যতায়, পৃথিবীর ইতিহাসে মিশর ও ইসরাঈলীদের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। এরা ছিলো সমসাময়িক বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, কিন্তু তাদের অহংকার ও গর্বের দরুণ ও তাদের পাপের পরিণতিতে তাদের পতন ঘটে। এই আয়াতে ‘এরা ‘ দ্বারা রাসুলের সমকালীন কাফিরদিগকে বুঝানো হয়েছে। পৃথিবীর দুই সুসভ্য, ও পরাক্রমশালী জাতির উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে এসব অবিশ্বাসী ও একগুয়ে কোরাইশদের সম্মুখে। তাঁরা নবীর বিরুদ্ধে ছিলো একগুয়ে। অবাধ্যভাবে তারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে প্রত্যাখান করতো। তারা পরলোকের জীবনকে অস্বীকার করতো , যেমন করতো ইহুদীদের মধ্যে যারা নাস্তিক ছিলো। কোরাইশরা আল্লাহ্র রাসুলকে ও যারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে বিশ্বাস করতো তাদের নির্যাতন ও অত্যাচার করতো। শুধু তাই-ই নয়, ব্যঙ্গ ও বিদ্রূপ করে দাবী করতো যে পরলোকে যদি পুণরুত্থান ঘটেই থাকে তবে এখনই তাদের পূর্বপুরুষদের উপস্থিত করা হোক। এদেরই স্মরণ করানো হয়েছে যে, তাদের থেকেও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশালী জাতি যারা আরবেই বাস করতো, তারাও ধ্বংস হয়ে গেছে [ পরবর্তী আয়াত সমূহ ]। কারণ ছিলো তাদের আল্লাহ্র প্রতি অবিশ্বাস ও পাপ কার্য। তারাও যদি অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন না করে তবে তাদেরও শেষ পরিণতি ঐ একই ঘটবে।
আয়াতঃ 044.036
তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে এস।
”Then bring back our fore-fathers, if you speak the truth!”
فَأْتُوا بِآبَائِنَا إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
Fa/too bi-aba-ina in kuntum sadiqeena
YUSUFALI: “Then bring (back) our forefathers, if what ye say is true!”
PICKTHAL: Bring back our fathers, if ye speak the truth!
SHAKIR: So bring our fathers (back), if you are truthful.
KHALIFA: “Bring back our forefathers, if you are truthful.”
৩৪।যেমন এরা [ কুরাইশরা ] নিশ্চয়ই বলে থাকে ;
৩৫। ” আমাদের প্রথম মৃত্যু ব্যতীত আর কিছু নাই, এবং আমাদের পুণরায় উঠানো হবে না।
৩৬। “তাহলে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ফিরিয়ে আন, যদি তুমি সত্যি বলে থাক।” ৪৭১৪
৪৭১৪। প্রাচীন সভ্যতায়, পৃথিবীর ইতিহাসে মিশর ও ইসরাঈলীদের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। এরা ছিলো সমসাময়িক বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, কিন্তু তাদের অহংকার ও গর্বের দরুণ ও তাদের পাপের পরিণতিতে তাদের পতন ঘটে। এই আয়াতে ‘এরা ‘ দ্বারা রাসুলের সমকালীন কাফিরদিগকে বুঝানো হয়েছে। পৃথিবীর দুই সুসভ্য, ও পরাক্রমশালী জাতির উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে এসব অবিশ্বাসী ও একগুয়ে কোরাইশদের সম্মুখে। তাঁরা নবীর বিরুদ্ধে ছিলো একগুয়ে। অবাধ্যভাবে তারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে প্রত্যাখান করতো। তারা পরলোকের জীবনকে অস্বীকার করতো , যেমন করতো ইহুদীদের মধ্যে যারা নাস্তিক ছিলো। কোরাইশরা আল্লাহ্র রাসুলকে ও যারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে বিশ্বাস করতো তাদের নির্যাতন ও অত্যাচার করতো। শুধু তাই-ই নয়, ব্যঙ্গ ও বিদ্রূপ করে দাবী করতো যে পরলোকে যদি পুণরুত্থান ঘটেই থাকে তবে এখনই তাদের পূর্বপুরুষদের উপস্থিত করা হোক। এদেরই স্মরণ করানো হয়েছে যে, তাদের থেকেও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশালী জাতি যারা আরবেই বাস করতো, তারাও ধ্বংস হয়ে গেছে [ পরবর্তী আয়াত সমূহ ]। কারণ ছিলো তাদের আল্লাহ্র প্রতি অবিশ্বাস ও পাপ কার্য। তারাও যদি অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন না করে তবে তাদেরও শেষ পরিণতি ঐ একই ঘটবে।
আয়াতঃ 044.037
ওরা শ্রেষ্ঠ, না তুব্বার সম্প্রদায় ও তাদের পূর্ববর্তীরা? আমি ওদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। ওরা ছিল অপরাধী।
Are they better or the people of Tubba’ and those before them? We destroyed them because they were indeed Mujrimûn (disbelievers, polytheists, sinners, criminals, etc.).
أَهُمْ خَيْرٌ أَمْ قَوْمُ تُبَّعٍ وَالَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ أَهْلَكْنَاهُمْ إِنَّهُمْ كَانُوا مُجْرِمِينَ
Ahum khayrun am qawmu tubbaAAin waallatheena min qablihim ahlaknahum innahum kanoo mujrimeena
YUSUFALI: What! Are they better than the people of Tubba and those who were before them? We destroyed them because they were guilty of sin.
PICKTHAL: Are they better, or the folk of Tubb’a and those before them? We destroyed them, for surely they were guilty.
SHAKIR: Are they better or the people of Tubba and those before them? We destroyed them, for surely they were guilty.
KHALIFA: Are they better than the people of Tubba` and others before them? We annihilated them for their crimes.
৩৭। সে কি ! তারা কি তুবা সম্প্রদায় ৪৭১৫ এবং তাদের পূর্বে যারা ছিলো তাদের থেকেও ভালো ? তাদের আমি ধ্বংস করেছি , কেননা তারা ছিলো পাপাসক্ত ৪৭১৬।
৪৭১৫। ‘তুব্বা ” ছিলো ইয়েমেনের এক শক্তিশালী রাজবংশের উপাধি। এই রাজবংশ ছিলো ইয়েমেনের হিমইয়ারী সম্রাটগণ। হিমইয়ারীরা হচ্ছে এক প্রাচীন জাতি। তারা দীর্ঘকাল ব্যপী ইয়েমেনের পশ্চিমাংশকে রাজধানী করে আরব, শাম , ইরাক ও আফ্রিকার কিছু অংশ শাসন করে। প্রথমে তারা সাবিঈন ধর্মাবলম্বী ছিলো অর্থাৎ তারা নক্ষত্র পূঁজারী ছিলো। পরবর্তীতে তারা ইহুদী ধর্ম ও খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করে। রাসুল [ সা ] ৯-১০ হিজরীতে ইয়েমেনের হিমারী রাজার নিকট ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত প্রেরণ করেন যার ফলে তারা ইসলাম গ্রহণ করে। অবশ্য এই ঘটনাটি ঘটে এই সূরা অবতীর্ণ হওয়ার বহু পরে।
আয়াতঃ 044.038
আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।
And We created not the heavens and the earth, and all that is between them, for mere play,
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَاعِبِينَ
Wama khalaqna alssamawati waal-arda wama baynahuma laAAibeena
YUSUFALI: We created not the heavens, the earth, and all between them, merely in (idle) sport:
PICKTHAL: And We created not the heavens and the earth, and all that is between them, in play.
SHAKIR: And We did not create the heavens and the earth and what is between them in sport.
KHALIFA: We did not create the heavens and the earth, and everything between them, just to play.
৩৮। আমি তো আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে এবং তাদের মধ্যবর্তী সকল কিছুকে [ অলস ] খেলার জন্য সৃষ্টি করি নাই ৪৭১৭।
৩৯। নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্য ব্যতীত তাদের সৃষ্টি করি নাই। কিন্তু তাদের অধিকাংশ তা বুঝতে পারে না।
৪৭১৭। দেখুন আয়াত [ ২১ : ১৬ ] ও টিকা ২৬৭৬। এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি আল্লাহ্র কোন “লীলা খেলা” নয়। সমস্ত বিশ্ব ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করা হয়েছে একটি নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্যের প্রতি নিবেদন করে যা আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞারই স্বাক্ষর। সাধারণতঃ অধিকাংশ মানুষ এই উদ্দেশ্যকে অনুধাবনে অক্ষম হয় কারণ তার আত্ম অহংকার ও একগুয়েমী তাকে এ সব অনুধাবনে বাঁধার সৃষ্টি করে। তাদের অজ্ঞতাই তাদের এরূপ অহংকারী ও একগুয়েতে পরিণত করে; যার ফলে সৃষ্টির মাঝে মানুষের অবস্থান , শেষ পরিণতি উপলব্ধিতে তারা অক্ষম হয়।
আয়াতঃ 044.039
আমি এগুলো যথাযথ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না।
We created them not except with truth (i.e. to examine and test those who are obedient and those who are disobedient and then reward the obedient ones and punish the disobedient ones), but most of them know not.
مَا خَلَقْنَاهُمَا إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ
Ma khalaqnahuma illa bialhaqqi walakinna aktharahum la yaAAlamoona
YUSUFALI: We created them not except for just ends: but most of them do not understand.
PICKTHAL: We created them not save with truth; but most of them know not.
SHAKIR: We did not create them both but with the truth, but most of them do not know.
KHALIFA: We created them for a specific purpose, but most of them do not know.
৩৮। আমি তো আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে এবং তাদের মধ্যবর্তী সকল কিছুকে [ অলস ] খেলার জন্য সৃষ্টি করি নাই ৪৭১৭।
৩৯। নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্য ব্যতীত তাদের সৃষ্টি করি নাই। কিন্তু তাদের অধিকাংশ তা বুঝতে পারে না।
৪৭১৭। দেখুন আয়াত [ ২১ : ১৬ ] ও টিকা ২৬৭৬। এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি আল্লাহ্র কোন “লীলা খেলা” নয়। সমস্ত বিশ্ব ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করা হয়েছে একটি নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্যের প্রতি নিবেদন করে যা আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞারই স্বাক্ষর। সাধারণতঃ অধিকাংশ মানুষ এই উদ্দেশ্যকে অনুধাবনে অক্ষম হয় কারণ তার আত্ম অহংকার ও একগুয়েমী তাকে এ সব অনুধাবনে বাঁধার সৃষ্টি করে। তাদের অজ্ঞতাই তাদের এরূপ অহংকারী ও একগুয়েতে পরিণত করে; যার ফলে সৃষ্টির মাঝে মানুষের অবস্থান , শেষ পরিণতি উপলব্ধিতে তারা অক্ষম হয়।
আয়াতঃ 044.040
নিশ্চয় ফয়সালার দিন তাদের সবারই নির্ধারিত সময়।
Verily, the Day of Judgement (when Allâh will judge between the creatures) is the time appointed for all of them,
إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ مِيقَاتُهُمْ أَجْمَعِينَ
Inna yawma alfasli meeqatuhum ajmaAAeena
YUSUFALI: Verily the Day of sorting out is the time appointed for all of them,-
PICKTHAL: Assuredly the Day of Decision is the term for all of them,
SHAKIR: Surely the day of separation is their appointed term, of all of them
KHALIFA: The Day of Decision awaits them all.
৪০। অবশ্যই তাদের সকলের জন্য বাছাই করার দিনকে ধার্য করা হয়েছে , – ৪৭১৮
৪৭১৮। শেষ বিচারের দিন বা ‘বাছাই করার দিন’। দেখুন [ ৩৭ : ২১ ] আয়াত ও টিকা ৪০৪৭। সাধারণ মানুষের চরিত্রে স্নেহ, ভালোবাসা, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, বিবেক বুদ্ধি, ন্যায়নীতি ও জ্ঞানের পাশাপাশি বিরাজ করে স্বার্থপরতা, কুসংস্কার , অন্ধ আবেগ, ঘৃণা-বিদ্বেষ, অজ্ঞতা , প্রভৃতি পাপ। নিষ্কলুষ পূণ্যাত্মা বা সম্পূর্ণ পূণ্য বিহীন শুধুই পাপে নিমজ্জিত আত্মা সংসারে বিরল। জীবনের এই চরম পর্যায় খুব কমই লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ মানুষের জীবন ভালো ও মন্দের সংমিশ্রণে কেটে যায়। শেষ বিচারের দিনে ভালো ও মন্দকে আলাদাভাবে পৃথক করা হবে। সকলের জন্য এই দিনকে নির্ধারিত করা হয়েছে।
আয়াতঃ 044.041
যেদিন কোন বন্ধুই কোন বন্ধুর উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।
The Day when Maulan (a near relative) cannot avail Maulan (a near relative) in aught, and no help can they receive,
يَوْمَ لَا يُغْنِي مَوْلًى عَن مَّوْلًى شَيْئًا وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ
Yawma la yughnee mawlan AAan mawlan shay-an wala hum yunsaroona
YUSUFALI: The Day when no protector can avail his client in aught, and no help can they receive,
PICKTHAL: A day when friend can in naught avail friend, nor can they be helped,
SHAKIR: The day on which a friend shall not avail (his) friend aught, nor shall they be helped,
KHALIFA: That is the day when no friend can help his friend in any way; no one can be helped.
৪১। সেদিন কোন রক্ষাকর্তা তার মক্কেলের সামান্যতম কাজে লাগবে না, এবং কোন সাহায্যও তারা পাবে না , – ৪৭১৯
৪৭১৯। সেদিন সর্বত্র ন্যায়নীতি প্রতিফলিত হবে। কারও প্রতি অন্যায় করা হবে না। পৃথিবীর সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী বা প্রভাবশালী ব্যক্তিও কারও সাহায্যে আসবে না। বরং তারই সাহায্যের প্রয়োজন হবে। পৃথিবীর জীবন হচ্ছে পরস্পর সহযোগীতার জীবন। উচ্চ , নীচ, ধনী-দরিদ্র সকলেই সকলের উপরে নির্ভরশীল , সকলেই সকলকে সহযোগীতা করে থাকে। শেষ বিচারের দিনে পৃথিবীর এই পরিবেশ বর্তমান থাকবে না। কারও কাউকে সাহায্য সহযোগীতা করার ক্ষমতা থাকবে না। সেদিন যে জিনিষটি মানুষকে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখবে তা হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ্র দয়া ও করুণা।
আয়াতঃ 044.042
তবে আল্লাহ যার প্রতি দয়া করেন, তার কথা ভিন্ন। নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী দয়াময়।
Except him on whom Allâh has Mercy. Verily, He is the All-Mighty, the Most Merciful.
إِلَّا مَن رَّحِمَ اللَّهُ إِنَّهُ هُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
Illa man rahima Allahu innahu huwa alAAazeezu alrraheemu
YUSUFALI: Except such as receive Allah’s Mercy: for He is Exalted in Might, Most Merciful.
PICKTHAL: Save him on whom Allah hath mercy. Lo! He is the Mighty, the Merciful.
SHAKIR: Save those on whom Allah shall have mercy; surely He is the Mighty the Merciful.
KHALIFA: Only those who attain mercy from GOD. He is the Almighty, Most Merciful.
৪২। যারা আল্লাহ্র করুণা লাভ করেছে তারা ব্যতীত। অবশ্যই তিনি মহাশক্তিশালী , পরম করুণাময় ৪৭২০।
৪৭২০। সেদিন মানবাত্মার জন্য আল্লাহ্র করুণা ও দয়াই একমাত্র অভীষ্ট ফলদানে সক্ষম হবে। আল্লাহ্, তিনিই তো একমাত্র সাহায্য দানে সক্ষম [ পরাক্রমশালী ] এবং তিনি সর্বদা পাপীকে ক্ষমা করতে ব্যগ্র [ পরম দয়ালু ]।
আয়াতঃ 044.043
নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ
Verily, the tree of Zaqqûm,
إِنَّ شَجَرَةَ الزَّقُّومِ
Inna shajarata alzzaqqoomi
YUSUFALI: Verily the tree of Zaqqum
PICKTHAL: Lo! the tree of Zaqqum,
SHAKIR: Surely the tree of the Zaqqum,
KHALIFA: Surely, the tree of bitterness –
রুকু – ৩
৪৩।অবশ্যই যাক্কুম বৃক্ষ , ৪৭২১ , ৪৭২২ ,
৪৭২১। পাপীদের শেষ গন্তব্যস্থলের ভয়াবহ কথাচিত্র এখানে আঁকা হয়েছে। এ স্থানের ভয়াবহতা কোন মানবিক ভাষাতে প্রকাশ করা সাধ্যের অতীত।
৪৭২২। সুস্বাদু ফলের বিপরীতে জাকুম বৃক্ষকে বর্ণনা করা হয়েছে ভয়াবহরূপে। এর বর্ণনা আরও আছে আয়াত [ ৩৭: ৬২ – ৬৮ ] ও টিকা ৪০৭৩। আরও দেখুন আয়াত [ ১৭ : ৬০ ] ও টিকা ২২৫০।
আয়াতঃ 044.044
পাপীর খাদ্য হবে;
Will be the food of the sinners,
طَعَامُ الْأَثِيمِ
TaAAamu al-atheemi
YUSUFALI: Will be the food of the Sinful,-
PICKTHAL: The food of the sinner!
SHAKIR: Is the food of the sinful
KHALIFA: will provide the food for the sinful.
৪৪। পাপীদের খাদ্য হবে ; –
৪৫। গলিত তাম্রের মত ; ইহা তাদের উদরে ফুটতে থাকবে ,
৪৬। ঝলসে দেয় এরূপ ফুটন্ত পানির মত ,
৪৭। [ ফেরেশতাদের বলা হবে ] তোমরা ওকে পাকড়াও কর এবং জাহান্নামের মধ্যস্থলে জ্বলন্ত আগুনের মাঝে টেনে নিয়ে যাও।
৪৮। তারপরে তার মাথার উপরে ফুটন্ত পানির শাস্তি ঢেলে দাও।
৪৯।[ এই শাস্তির ] আস্বাদ গ্রহণ কর ! তুমি তো ছিলে ক্ষমতাবান , সম্মানীয় ৪৭২৩
৪৭২৩। এই সূরাতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মানুষের অহংকারকে। যে অহংকার ও গর্বের উৎপত্তি আভিজাত্য ও পার্থিব সম্মান থেকে। আভিজাত্যের ও শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার সচারচর মানুষকে অহংকার ও গর্বের মত পাপে প্রলুব্ধ করে থাকে। এই শ্রেষ্ঠত্ব হতে পারে ক্ষমতার , সম্পদের , সম্মানের , মেধার , মননশীলতা প্রভৃতি। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে এ সব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সন্দেহ নাই , কিন্তু এর থেকে আত্মার মাঝে যদি অহংকারের জন্ম নেয় , বিনয় অন্তর্হিত হয়, তবে তা অত্যন্ত জঘন্য পাপে পরিণত হয়। আল্লাহ্র নেয়ামতকে সে আল্লাহ্র দান হিসেবে আত্মার মাঝে স্বীকার না করে নিজস্ব কৃতিত্বে মেতে ওঠে। এই আত্মনির্ভরশীতাই তাকে অহংকারী করে তোলে।
আয়াতঃ 044.046
যেমন ফুটে পানি।
Like the boiling of scalding water.
كَغَلْيِ الْحَمِيمِ
Kaghalyi alhameemi
YUSUFALI: Like the boiling of scalding water.
PICKTHAL: As the seething of boiling water.
SHAKIR: Like the boiling of hot water.
KHALIFA: Like the boiling of hellish drinks.
৪৪। পাপীদের খাদ্য হবে ; –
৪৫। গলিত তাম্রের মত ; ইহা তাদের উদরে ফুটতে থাকবে ,
৪৬। ঝলসে দেয় এরূপ ফুটন্ত পানির মত ,
৪৭। [ ফেরেশতাদের বলা হবে ] তোমরা ওকে পাকড়াও কর এবং জাহান্নামের মধ্যস্থলে জ্বলন্ত আগুনের মাঝে টেনে নিয়ে যাও।
৪৮। তারপরে তার মাথার উপরে ফুটন্ত পানির শাস্তি ঢেলে দাও।
৪৯।[ এই শাস্তির ] আস্বাদ গ্রহণ কর ! তুমি তো ছিলে ক্ষমতাবান , সম্মানীয় ৪৭২৩
৪৭২৩। এই সূরাতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মানুষের অহংকারকে। যে অহংকার ও গর্বের উৎপত্তি আভিজাত্য ও পার্থিব সম্মান থেকে। আভিজাত্যের ও শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার সচারচর মানুষকে অহংকার ও গর্বের মত পাপে প্রলুব্ধ করে থাকে। এই শ্রেষ্ঠত্ব হতে পারে ক্ষমতার , সম্পদের , সম্মানের , মেধার , মননশীলতা প্রভৃতি। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে এ সব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সন্দেহ নাই , কিন্তু এর থেকে আত্মার মাঝে যদি অহংকারের জন্ম নেয় , বিনয় অন্তর্হিত হয়, তবে তা অত্যন্ত জঘন্য পাপে পরিণত হয়। আল্লাহ্র নেয়ামতকে সে আল্লাহ্র দান হিসেবে আত্মার মাঝে স্বীকার না করে নিজস্ব কৃতিত্বে মেতে ওঠে। এই আত্মনির্ভরশীতাই তাকে অহংকারী করে তোলে।
আয়াতঃ 044.047
একে ধর এবং টেনে নিয়ে যাও জাহান্নামের মধ্যস্থলে,
(It will be said) ”Seize him and drag him into the midst of blazing Fire,
خُذُوهُ فَاعْتِلُوهُ إِلَى سَوَاء الْجَحِيمِ
Khuthoohu faiAAtiloohu ila sawa-i aljaheemi
YUSUFALI: (A voice will cry: “Seize ye him and drag him into the midst of the Blazing Fire!
PICKTHAL: (And it will be said): Take him and drag him to the midst of hell,
SHAKIR: Seize him, then drag him down into the middle of the hell;
KHALIFA: Take him and throw him into the center of Hell.
৪৪। পাপীদের খাদ্য হবে ; –
৪৫। গলিত তাম্রের মত ; ইহা তাদের উদরে ফুটতে থাকবে ,
৪৬। ঝলসে দেয় এরূপ ফুটন্ত পানির মত ,
৪৭। [ ফেরেশতাদের বলা হবে ] তোমরা ওকে পাকড়াও কর এবং জাহান্নামের মধ্যস্থলে জ্বলন্ত আগুনের মাঝে টেনে নিয়ে যাও।
৪৮। তারপরে তার মাথার উপরে ফুটন্ত পানির শাস্তি ঢেলে দাও।
৪৯।[ এই শাস্তির ] আস্বাদ গ্রহণ কর ! তুমি তো ছিলে ক্ষমতাবান , সম্মানীয় ৪৭২৩
৪৭২৩। এই সূরাতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মানুষের অহংকারকে। যে অহংকার ও গর্বের উৎপত্তি আভিজাত্য ও পার্থিব সম্মান থেকে। আভিজাত্যের ও শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার সচারচর মানুষকে অহংকার ও গর্বের মত পাপে প্রলুব্ধ করে থাকে। এই শ্রেষ্ঠত্ব হতে পারে ক্ষমতার , সম্পদের , সম্মানের , মেধার , মননশীলতা প্রভৃতি। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে এ সব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সন্দেহ নাই , কিন্তু এর থেকে আত্মার মাঝে যদি অহংকারের জন্ম নেয় , বিনয় অন্তর্হিত হয়, তবে তা অত্যন্ত জঘন্য পাপে পরিণত হয়। আল্লাহ্র নেয়ামতকে সে আল্লাহ্র দান হিসেবে আত্মার মাঝে স্বীকার না করে নিজস্ব কৃতিত্বে মেতে ওঠে। এই আত্মনির্ভরশীতাই তাকে অহংকারী করে তোলে।
আয়াতঃ 044.048
অতঃপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানির আযাব ঢেলে দাও,
”Then pour over his head the torment of boiling water,
ثُمَّ صُبُّوا فَوْقَ رَأْسِهِ مِنْ عَذَابِ الْحَمِيمِ
Thumma subboo fawqa ra/sihi min AAathabi alhameemi
YUSUFALI: “Then pour over his head the Penalty of Boiling Water,
PICKTHAL: Then pour upon his head the torment of boiling water.
SHAKIR: Then pour above his head of the torment of the boiling water:
KHALIFA: Then pour upon his head the retribution of the Inferno.
৪৪। পাপীদের খাদ্য হবে ; –
৪৫। গলিত তাম্রের মত ; ইহা তাদের উদরে ফুটতে থাকবে ,
৪৬। ঝলসে দেয় এরূপ ফুটন্ত পানির মত ,
৪৭। [ ফেরেশতাদের বলা হবে ] তোমরা ওকে পাকড়াও কর এবং জাহান্নামের মধ্যস্থলে জ্বলন্ত আগুনের মাঝে টেনে নিয়ে যাও।
৪৮। তারপরে তার মাথার উপরে ফুটন্ত পানির শাস্তি ঢেলে দাও।
৪৯।[ এই শাস্তির ] আস্বাদ গ্রহণ কর ! তুমি তো ছিলে ক্ষমতাবান , সম্মানীয় ৪৭২৩
৪৭২৩। এই সূরাতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মানুষের অহংকারকে। যে অহংকার ও গর্বের উৎপত্তি আভিজাত্য ও পার্থিব সম্মান থেকে। আভিজাত্যের ও শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার সচারচর মানুষকে অহংকার ও গর্বের মত পাপে প্রলুব্ধ করে থাকে। এই শ্রেষ্ঠত্ব হতে পারে ক্ষমতার , সম্পদের , সম্মানের , মেধার , মননশীলতা প্রভৃতি। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে এ সব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সন্দেহ নাই , কিন্তু এর থেকে আত্মার মাঝে যদি অহংকারের জন্ম নেয় , বিনয় অন্তর্হিত হয়, তবে তা অত্যন্ত জঘন্য পাপে পরিণত হয়। আল্লাহ্র নেয়ামতকে সে আল্লাহ্র দান হিসেবে আত্মার মাঝে স্বীকার না করে নিজস্ব কৃতিত্বে মেতে ওঠে। এই আত্মনির্ভরশীতাই তাকে অহংকারী করে তোলে।
আয়াতঃ 044.049
স্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত।
”Taste you (this)! Verily, you were (pretending to be) the mighty, the generous!
ذُقْ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْكَرِيمُ
Thuq innaka anta alAAazeezu alkareemu
YUSUFALI: “Taste thou (this)! Truly wast thou mighty, full of honour!
PICKTHAL: (Saying): Taste! Lo! thou wast forsooth the mighty, the noble!
SHAKIR: Taste; you forsooth are the mighty, the honorable:
KHALIFA: “Taste this; you were so powerful, so honorable.”
৪৪। পাপীদের খাদ্য হবে ; –
৪৫। গলিত তাম্রের মত ; ইহা তাদের উদরে ফুটতে থাকবে ,
৪৬। ঝলসে দেয় এরূপ ফুটন্ত পানির মত ,
৪৭। [ ফেরেশতাদের বলা হবে ] তোমরা ওকে পাকড়াও কর এবং জাহান্নামের মধ্যস্থলে জ্বলন্ত আগুনের মাঝে টেনে নিয়ে যাও।
৪৮। তারপরে তার মাথার উপরে ফুটন্ত পানির শাস্তি ঢেলে দাও।
৪৯।[ এই শাস্তির ] আস্বাদ গ্রহণ কর ! তুমি তো ছিলে ক্ষমতাবান , সম্মানীয় ৪৭২৩
৪৭২৩। এই সূরাতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মানুষের অহংকারকে। যে অহংকার ও গর্বের উৎপত্তি আভিজাত্য ও পার্থিব সম্মান থেকে। আভিজাত্যের ও শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার সচারচর মানুষকে অহংকার ও গর্বের মত পাপে প্রলুব্ধ করে থাকে। এই শ্রেষ্ঠত্ব হতে পারে ক্ষমতার , সম্পদের , সম্মানের , মেধার , মননশীলতা প্রভৃতি। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে এ সব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সন্দেহ নাই , কিন্তু এর থেকে আত্মার মাঝে যদি অহংকারের জন্ম নেয় , বিনয় অন্তর্হিত হয়, তবে তা অত্যন্ত জঘন্য পাপে পরিণত হয়। আল্লাহ্র নেয়ামতকে সে আল্লাহ্র দান হিসেবে আত্মার মাঝে স্বীকার না করে নিজস্ব কৃতিত্বে মেতে ওঠে। এই আত্মনির্ভরশীতাই তাকে অহংকারী করে তোলে।
আয়াতঃ 044.050
এ সম্পর্কে তোমরা সন্দেহে পতিত ছিলে।
”Verily! This is that whereof you used to doubt!”
إِنَّ هَذَا مَا كُنتُم بِهِ تَمْتَرُونَ
Inna hatha ma kuntum bihi tamtaroona
YUSUFALI: “Truly this is what ye used to doubt!”
PICKTHAL: Lo! this is that whereof ye used to doubt.
SHAKIR: Surely this is what you disputed about.
KHALIFA: This is what you used to doubt.
৫০। ইহা তো তাই-ই যে বিষয়ে তোমরা সন্দেহ পোষণ করতে ৪৭২৪।
৪৭২৪। যখন এসব অভিজাত লোকেরা তাদের শাস্তিকে প্রত্যক্ষ করবে, তাদের নির্বোধের ন্যায় পরিলক্ষিত হবে। এরাই তারা যারা পরলোক সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করেছিলো।
আয়াতঃ 044.051
নিশ্চয় খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে-
Verily! The Muttaqûn (pious – see V.2:2), will be in place of Security (Paradise).
إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي مَقَامٍ أَمِينٍ
Inna almuttaqeena fee maqamin ameenin
YUSUFALI: As to the Righteous (they will be) in a position of Security,
PICKTHAL: Lo! those who kept their duty will be in a place secured.
SHAKIR: Surely those who guard (against evil) are in a secure place,
KHALIFA: The righteous will be in a secure position.
৫১। [ অপর পক্ষে ] পুণাত্মারা নিরাপদে অবস্থান করবে ৪৭২৫ –
৪৭২৫। পৃথিবীর বহমান জীবনে সম্পদ , ক্ষমতা, প্রভাব , প্রতিপত্তি, কিছুই স্থায়ী নয়। এরা বহমান নদীর ন্যায় – একূলে ভাঙ্গে ও ওকূল গড়ে। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে , পরিবার থেকে পরিবারে, ও জাতি থেকে জাতিতে স্থানান্তরিত হয়। পরলোকের জীবন এরূপ অস্থায়ী নয়।সে জীবনে কোন বিপদ বিপর্যয় মুত্তাকীদের আরাম আয়েশে বাঁধার সৃষ্টির করবে না। সুখ ও শান্তি সেখানে হবে সময়ের গন্ডি পেরিয়ে অসীম ও অবারিত।
আয়াতঃ 044.052
উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিণীসমূহে।
Among Gardens and Springs;
فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
Fee jannatin waAAuyoonin
YUSUFALI: Among Gardens and Springs;
PICKTHAL: Amid gardens and watersprings,
SHAKIR: In gardens and springs;
KHALIFA: Enjoying gardens and springs.
৫২। উদ্যান ও প্রস্রবণের মাঝে ;
৫৩। তারা মিহি রেশম ও মূল্যবান ব্রকেডের বস্ত্র পরিধান করে পরস্পরের মুখোমুখি বসবে ৪৭২৬, ৪৭২৭ ,
৪৭২৬। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ১৮ : ৩১] ও টিকা ২৩৭৩।
৪৭২৭। মুত্তাকীদের বেহেশতের জীবনধারা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, সে জীবন হবে স্বচ্ছ ও পবিত্র। কোন ষড়যন্ত্র বা গোপনীয়তা সে জীবনকে কলুষিত করতে পারবে না। সেখানে সামাজিক জীবনে কোনও গোপনীয়তা বা ঈর্ষা , একচেটিয়া মনোভাব বা স্বাতন্ত্রবোধ সামাজিক জীবনের পবিত্রতা নষ্ট করবে না। কারণ সকলেই এসব মুক্ত থাকবে। ‘মুখোমুখি বসবে ‘ বাক্যটি দ্বারা এই সাম্যের ভাবকেই ধারণ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 044.053
তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে।
Dressed in fine silk and (also) in thick silk, facing each other,
يَلْبَسُونَ مِن سُندُسٍ وَإِسْتَبْرَقٍ مُّتَقَابِلِينَ
Yalbasoona min sundusin wa-istabraqin mutaqabileena
YUSUFALI: Dressed in fine silk and in rich brocade, they will face each other;
PICKTHAL: Attired in silk and silk embroidery, facing one another.
SHAKIR: They shall wear of fine and thick silk, (sitting) face to face;
KHALIFA: Wearing velvet and satin; close to each other.
৫২। উদ্যান ও প্রস্রবণের মাঝে ;
৫৩। তারা মিহি রেশম ও মূল্যবান ব্রকেডের বস্ত্র পরিধান করে পরস্পরের মুখোমুখি বসবে ৪৭২৬, ৪৭২৭ ,
৪৭২৬। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ১৮ : ৩১] ও টিকা ২৩৭৩।
৪৭২৭। মুত্তাকীদের বেহেশতের জীবনধারা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, সে জীবন হবে স্বচ্ছ ও পবিত্র। কোন ষড়যন্ত্র বা গোপনীয়তা সে জীবনকে কলুষিত করতে পারবে না। সেখানে সামাজিক জীবনে কোনও গোপনীয়তা বা ঈর্ষা , একচেটিয়া মনোভাব বা স্বাতন্ত্রবোধ সামাজিক জীবনের পবিত্রতা নষ্ট করবে না। কারণ সকলেই এসব মুক্ত থাকবে। ‘মুখোমুখি বসবে ‘ বাক্যটি দ্বারা এই সাম্যের ভাবকেই ধারণ করা হয়েছে।
আয়াতঃ 044.054
এরূপই হবে এবং আমি তাদেরকে আনতলোচনা স্ত্রী দেব।
So (it will be), and We shall marry them to Houris (female fair ones) with wide, lovely eyes.
كَذَلِكَ وَزَوَّجْنَاهُم بِحُورٍ عِينٍ
Kathalika wazawwajnahum bihoorin AAeenin
YUSUFALI: So; and We shall join them to fair women with beautiful, big, and lustrous eyes.
PICKTHAL: Even so (it will be). And We shall wed them unto fair ones with wide, lovely eyes.
SHAKIR: Thus (shall it be), and We will wed them with Houris pure, beautiful ones.
KHALIFA: We grant them wonderful spouses.
৫৪। অবস্থা এরূপই হবে।আমি তাদের সঙ্গিনী দান করবো আয়তলোচনা হুর ৪৭২৮, ৪৭২৯।
৪৭২৮। সেখানের দৃশ্য, সঙ্গীনী , পোষাক , ফলমূল সবই হবে নয়ানভিরাম। বেহেশত হবে মুত্তাকীদের আবাসস্থল। সে জীবন হবে পূত , পবিত্র , শান্তির জীবন – পৃথিবীর কলুষতা পূর্ণ স্থুল জীবনের মত নয়। মুত্তাকী পুরুষ ও মহিলা সকলেই অবর্ণনীয় সুখ ও শান্তি উপভোগ করবে বেহেশতের জীবনে । যা ভাষায় প্রকাশ করা যে কোনও মানুষের অসাধ্য।
৪৭২৯। ‘Hur’ শব্দটি দ্বারা নিম্নলিখিত ধারণাগুলি প্রকাশ করা হয়েছে :
১) পবিত্রতার প্রতীক ,
২) সৌন্দর্য্যের প্রতীক। একে প্রকাশ করা হয়েছে আয়তলোচনা নয়ন শব্দটি দ্বারা। মুখের সৌন্দর্য্যের এক প্রধান অংশ হচ্ছে চক্ষুর সৌন্দর্য্য ও এর উজ্জ্বলতার প্রকাশ। অপর পক্ষে সুন্দর মুখের সৌন্দর্যও ম্লান হয়ে পড়ে যদি চক্ষু হয় ম্লান , ভাষাহীন ও অনুজ্জ্বল।
৩) সত্য এবং শুভ এর প্রতীক।
আয়াতঃ 044.055
তারা সেখানে শান্ত মনে বিভিন্ন ফল-মূল আনতে বলবে।
They will call therein for every kind of fruit in peace and security;
يَدْعُونَ فِيهَا بِكُلِّ فَاكِهَةٍ آمِنِينَ
YadAAoona feeha bikulli fakihatin amineena
YUSUFALI: There can they call for every kind of fruit in peace and security;
PICKTHAL: They call therein for every fruit in safety.
SHAKIR: They shall call therein for every fruit in security;
KHALIFA: They enjoy in it all kinds of fruits, in perfect peace.
৫৫। সেখানে তারা প্রশান্ত চিত্তে বিবিধ ফলমূল আনতে , বলবে ৪৭৩০।
৪৭৩০। ‘ফল’ শব্দটির মর্মার্থ ব্যাখ্যা করা হয়েছে [ ৪৩ : ৭৩ ] আয়াতের টিকাতে ৪৬৭১।
আয়াতঃ 044.056
তারা সেখানে মৃত্যু আস্বাদন করবে না, প্রথম মৃত্যু ব্যতীত এবং আপনার পালনকর্তা তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।
They will never taste death therein except the first death (of this world), and He will save them from the torment of the blazing Fire,
لَا يَذُوقُونَ فِيهَا الْمَوْتَ إِلَّا الْمَوْتَةَ الْأُولَى وَوَقَاهُمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ
La yathooqoona feeha almawta illa almawtata al-oola wawaqahum AAathaba aljaheemi
YUSUFALI: Nor will they there taste Death, except the first death; and He will preserve them from the Penalty of the Blazing Fire,-
PICKTHAL: They taste not death therein, save the first death. And He hath saved them from the doom of hell,
SHAKIR: They shall not taste therein death except the first death, and He will save them from the punishment of the hell,
KHALIFA: They do not taste death therein – beyond the first death – and He has spared them the retribution of Hell.
৫৬। প্রথম মৃত্যু ব্যতীত তারা সেথায় আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না ৪৭৩১। এবং তিনি তাদের জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করবেন – ৪৭৩২।
৪৭৩১। ‘প্রথম মৃত্যু’ শব্দটি দ্বারা পার্থিব জীবনের সাধারণ মৃত্যুকে বোঝানো হয়েছে। এই দৈহিক মৃত্যুর পরেই মুত্তাকীদের বেহেশতে আনায়ন করা হয়, যেখানে তারা পরম শান্তি লাভ করবে। দেখুন আয়াত [ ৩৭ : ৫৯ ] এবং টিকা ৪০৭১।
৪৭৩২। ইসলামে আধ্যাত্মিক মুক্তির রূপরেখা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে এই মুক্তি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাতে লাভ করা সম্ভব নয়। ব্যক্তিকে সর্বশক্তি দিয়ে আধ্যাত্মিক মুক্তির জন্য চেষ্টা করতে হবে সত্য, এবং এই চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তি লাভের অবধারিত অংশ বিশেষ। কিন্তু সর্বপরি প্রয়োজন হচ্ছে আল্লাহ্র করুণা ও দয়া লাভ করা। একমাত্র আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও করুণাই পারে আমাদের আধ্যাত্মিক মুক্তি দান করে পরলোকের শাস্তি থেকে রক্ষা করতে। আধ্যাত্মিক মুক্তি তথা ধর্মের মূল ভিত্তিকে এই আয়াতের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে সূরাটির শেষে। নিজস্ব চেষ্টা ও সর্বপরি আল্লাহ্র সাহায্য,অনুগ্রহ ও করুণা আমাদের পরলোকের অপার শান্তির ভিত্তি রচনা করে থাকে। আল্লাহ্র অনুগ্রহই হচ্ছে আধ্যাত্মিক শান্তির পথ ইহলোকে ও পরলোকেও।
আয়াতঃ 044.057
আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য।
As a Bounty from your Lord! That will be the supreme success!
فَضْلًا مِّن رَّبِّكَ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
Fadlan min rabbika thalika huwa alfawzu alAAatheemu
YUSUFALI: As a Bounty from thy Lord! that will be the supreme achievement!
PICKTHAL: A bounty from thy Lord. That is the supreme triumph.
SHAKIR: A grace from your Lord; this is the great achievement.
KHALIFA: Such is the blessing from your Lord. Such is the great triumph.
৫৭। তোমার প্রভুর অনুগ্রহ স্বরূপ ! সেটাই তো হবে মহাসাফল্য ৪৭৩৩।
৪৭৩৩। ইসলামে পারলৌকিক মুক্তিকে এভাবেই প্রকাশ করা হয়েছে। আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও দয়া লাভ হচ্ছে পারলৌকিক মুক্তির প্রধান উপায়। একমাত্র আল্লাহ্র অনুগ্রহ-ই পারে মন্দের কুপ্রভাব থেকে আত্মাকে রক্ষা করে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহণ করাতে। আল্লাহ্র অনুগ্রহ আমাদের প্রাপ্যকে অতিক্রম করে যাবে। পৃথিবীতে মানুষের ইন্দ্রিয়গাহ্য সকল চাওয়া পাওয়ার সীমানা, মানুষের সর্বোচ্চ কল্পনাশক্তির সীমানা অতিক্রম করে যাবে আল্লাহ্র অনুগ্রহ। আর এই অনুগ্রহ যে লাভ করে সেই ধন্য , সেই সফলকাম , সেই লাভ করে আধ্যাত্মিক মুক্তি। আধ্যাত্মিক মুক্তির জন্য , আত্মিক পরিশুদ্ধতার জন্য, নিজস্ব চেষ্টা তখনই সফলতা লাভ করে,যখন তা আল্লাহ্র অনুগ্রহে ধন্য হয়।
আয়াতঃ 044.058
আমি আপনার ভাষায় কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা স্মরণ রাখে।
Certainly, We have made this (Qur’ân) easy in your tongue, in order that they may remember.
فَإِنَّمَا يَسَّرْنَاهُ بِلِسَانِكَ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
Fa-innama yassarnahu bilisanika laAAallahum yatathakkaroona
YUSUFALI: Verily, We have made this (Qur’an) easy, in thy tongue, in order that they may give heed.
PICKTHAL: And We have made (this Scripture) easy in thy language only that they may heed.
SHAKIR: So have We made it easy in your tongue that they may be mindful.
KHALIFA: We have thus clarified it in your language, that they may take heed.
৫৮। অবশ্যই ,আমি [ এই কুর-আন ] তোমার ভাষায় সহজ করে প্রকাশ করেছি , যেনো তারা [ এর উপদেশে ] মনোযোগ দিতে পারে৪৭৩৪।
৪৭৩৪। কোরাণ শরীফ আরবী ভাষাতে অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে তা আরবী ভাষাভাষী লোকদের বুঝতে “সহজ” হবে। কোর্আন অবতীর্ণ হয়েছে কবিতার ছন্দে, তা পাঠ করতে হয় সঙ্গীতের ছন্দে। ভাষা, ছন্দ, সুর সব কিছুর মিলিত প্রভাবে মানুষের আধ্যাত্মিক জগতকে পার্থিব থেকে অপার্থিব জগতে টেনে নিয়ে যায়। আবার , এই আয়াতটির বক্তব্যকে এ ভাবেও প্রকাশ করা যায় – কোরাণের মূল বক্তব্য অনুধাবন করতে হলে, নিজস্ব ঐকান্তিক ও নিরলস চেষ্টার প্রয়োজন। সে কারণেই আরবী ভাষীদের মধ্যে আরবী ভাষাতে অবতীর্ণ হয়েছে যেনো ভাষার ব্যবধানকে অতিক্রম করতে না হয়।
আয়াতঃ 044.059
অতএব, আপনি অপেক্ষা করুন, তারাও অপেক্ষা করছে।
Wait then (O Muhammad SAW); Verily, they (too) are waiting.
فَارْتَقِبْ إِنَّهُم مُّرْتَقِبُونَ
Fairtaqib innahum murtaqiboona
YUSUFALI: So wait thou and watch; for they (too) are waiting.
PICKTHAL: Wait then (O Muhammad). Lo! they (too) are waiting.
SHAKIR: Therefore wait; surely they are waiting.
KHALIFA: Therefore, wait; they too will have to wait.
৫৯। সুতারাং তুমি প্রতীক্ষা কর এবং লক্ষ করতে থাক তারাও প্রতীক্ষা করতে থাকুক।