আয়াতঃ 044.023
তাহলে তুমি আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিবেলায় বের হয়ে পড়। নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধবন করা হবে।
(Allâh said): ”Depart you with My slaves by night. Surely, you will be pursued.
فَأَسْرِ بِعِبَادِي لَيْلًا إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ
Faasri biAAibadee laylan innakum muttabaAAoona
YUSUFALI: (The reply came:) “March forth with My Servants by night: for ye are sure to be pursued.
PICKTHAL: Then (his Lord commanded): Take away My slaves by night. Lo! ye will be followed,
SHAKIR: So go forth with My servants by night; surely you will be pursued:
KHALIFA: (God said,) “Travel with My servants during the night; you will be pursued.
২৩। [ উত্তর এলো ; ] রাতে তুমি আমার বান্দাদের নিয়ে বের হয়ে পড় , তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
২৪।সমুদ্রকে [ দ্বিধাবিভক্ত ] অবস্থায় স্থির থাকতে দাও ৪৭০৮। তারা এমন এক বাহিনী যারা নিমজ্জিত হবেই।
৪৭০৮। বণী ইসরাঈলীদের সহ হযরত মুসা যখন সমুদ্র অতিক্রম করছিলেন তখন তাঁদের জন্য সমুদ্রকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয় [ ২ : ৫০ ]। তাদের সমুদ্র অতিক্রম করার পর মুসাকে বলা হয়েছিলো যে সমুদ্রকে সেই দ্বিধা বিভক্ত অবস্থায় থাকতে দাও। ফেরাউন ও তার অনুসারীদের প্রলোভিত করার জন্য। যাতে ফেরাউন ও তার বাহিনী উহার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে সমুদ্র পূর্বাস্থাতে ফিরে আসে ও ফেরাউন তার বাহিনীসহ ধ্বংস হয়ে যায়।
আয়াতঃ 044.024
এবং সমুদ্রকে অচল থাকতে দাও। নিশ্চয় ওরা নিমজ্জত বাহিনী।
”And leave the sea as it is (quiet and divided). Verily, They are a host to be drowned.”
وَاتْرُكْ الْبَحْرَ رَهْوًا إِنَّهُمْ جُندٌ مُّغْرَقُونَ
Waotruki albahra rahwan innahum jundun mughraqoona
YUSUFALI: “And leave the sea as a furrow (divided): for they are a host (destined) to be drowned.”
PICKTHAL: And leave the sea behind at rest, for lo! they are a drowned host.
SHAKIR: And leave the sea intervening; surely they are a host that shall be drowned.
KHALIFA: “Cross the sea quickly; their troops will be drowned.”
২৩। [ উত্তর এলো ; ] রাতে তুমি আমার বান্দাদের নিয়ে বের হয়ে পড় , তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
২৪।সমুদ্রকে [ দ্বিধাবিভক্ত ] অবস্থায় স্থির থাকতে দাও ৪৭০৮। তারা এমন এক বাহিনী যারা নিমজ্জিত হবেই।
৪৭০৮। বণী ইসরাঈলীদের সহ হযরত মুসা যখন সমুদ্র অতিক্রম করছিলেন তখন তাঁদের জন্য সমুদ্রকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয় [ ২ : ৫০ ]। তাদের সমুদ্র অতিক্রম করার পর মুসাকে বলা হয়েছিলো যে সমুদ্রকে সেই দ্বিধা বিভক্ত অবস্থায় থাকতে দাও। ফেরাউন ও তার অনুসারীদের প্রলোভিত করার জন্য। যাতে ফেরাউন ও তার বাহিনী উহার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে সমুদ্র পূর্বাস্থাতে ফিরে আসে ও ফেরাউন তার বাহিনীসহ ধ্বংস হয়ে যায়।
আয়াতঃ 044.025
তারা ছেড়ে গিয়েছিল কত উদ্যান ও প্রস্রবন,
How many of gardens and springs do they [Fir’aun’s (Pharaoh) people] left.
كَمْ تَرَكُوا مِن جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
Kam tarakoo min jannatin waAAuyoonin
YUSUFALI: How many were the gardens and springs they left behind,
PICKTHAL: How many were the gardens and the watersprings that they left behind,
SHAKIR: How many of the gardens and fountains have they left!
KHALIFA: Thus, they left behind many gardens and springs.
২৫। তারা পিছনে ফেলে এসেছিলো কত উদ্যান, কত প্রস্রবণ , ৪৭০৯
৪৭০৯। সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে পৃথিবীতে আনন্দদায়ক ও উপভোগের সামগ্রী সমূহের নিখুঁত চিত্র। অত্যাচারী , অবিশ্বাসীরা এ সবের একচেটিয়া অধিকার লাভের জন্য জনসাধারণের উপরে নির্যাতন, নিপীড়ন ও অবিচার অত্যাচার করে থাকে। ফেরাউনের উদাহরণের মাধ্যমে বলা হয়েছে যে, ফেরাউন তার একচ্ছত্র অধিকার ত্যাগ করে সলিল সমাধি লাভ করেছে। এভাবেই অত্যাচারীরা তাদের একচেটিয়া অধিকার ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এবং আল্লাহ্ তাদের ভোগের সামগ্রীসমূহ অন্য লোককে দান করেন।
আয়াতঃ 044.026
কত শস্যক্ষেত্র ও সূরম্য স্থান।
And green crops (fields etc.) and goodly places,
وَزُرُوعٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ
WazurooAAin wamaqamin kareemin
YUSUFALI: And corn-fields and noble buildings,
PICKTHAL: And the cornlands and the goodly sites
SHAKIR: And cornfields and noble places!
KHALIFA: Crops and a luxurious life.
২৬। এবং শষ্যক্ষেত্র ও সুরম্য অট্টালিকা।
২৭। এবং সম্পদ [এবং জীবনের ভোগের সামগ্রী ] , যাতে তারা আনন্দ পেতো !
২৮। এটাই ছিলো [ তাদের শেষ পরিণতি ] ! এবং আমি অন্য সম্প্রদায়কে[ এসব জিনিষের ] উত্তরাধিকারী করলাম।
২৯। না আকাশ না পৃথিবী ৪৭১০ কেহই তাদের জন্য অশ্রুপাত করে নাই। তাদের [পুণরায় ] কোন অবকাশ দেয়া হয় নাই।
৪৭১০। ফেরাউন নিজেকে আল্লাহ্ বলে দাবী করেছিলো এবং অন্যান্যরা তাকে অনুসরণ করেছিলো। সে ছিলো অবিশ্বাসী , অত্যাচারী ও অন্যায়কারী। তার মৃত্যুর বর্ণনাতে বলা হয়েছে তার মৃত্যু ঘটে অশ্রুহীন, অসম্মান ও কুকীর্তির মাধ্যমে,”কেহই তাদের জন্য অশ্রুপাত কর নাই”। কোরাণের বাণী সর্বকালের সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য।ফেরাউনের মৃত্যুর বর্ণনার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন অত্যাচারী অন্যায়কারীর মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থার চিত্র আঁকা হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীতে কেউই তাদের জন্য অশ্রুপাত করবে না বা তাদের কুকীর্তির জন্য সম্মান প্রদর্শন করবে না।