YUSUFALI: We shall indeed remove the Penalty for a while, (but) truly ye will revert (to your ways).
PICKTHAL: Lo! We withdraw the torment a little. Lo! ye return (to disbelief).
SHAKIR: Surely We will remove the punishment a little, (but) you will surely return (to evil).
KHALIFA: We will relieve the retribution for awhile; you will soon revert.
১৫। আমি স্বল্পকালের জন্য শাস্তি প্রত্যাহার করে নেবো , [ কিন্তু ] প্রকৃতপক্ষে তোমরা [তোমাদের পথে ] ফিরে যাবে ৪৬৯৯।
৪৬৯৯। দুর্ভিক্ষ যখন তীব্র আকার ধারণ করে, তখন আবু সুফিয়ান রাসুলুল্লাহ্কে [ সা ] দোয়া করতে অনুরোধ করায় তিনি দু’আ করেছিলেন। ফলে, দুর্ভিক্ষের অবসান হয়। মানুষ যত বিদ্রোহী-ই হোক না কেন আল্লাহ্ তাদের বারে বারে সঠিক পথে ফিরে আসার সুযোগ দান করেন। তারা যাতে সঠিক পথে ফিরে আসে এ কারণে আল্লাহ্ তাদের ব্যক্তিগত বা আর্থিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে সঠিক রাস্তায় ফিরাতে চেষ্টা করেন। চেষ্টা করেন যেনো বিপদ বিপর্যয় তাদের আল্লাহ্র প্রতি অনুগত করে, তারা সঠিক পথের সন্ধান লাভ করে। এর ফলে অনেকেই ফিরে আসে, আবার অনেকেই আসে না। যারা আসে না তাদের সুযোগ দেয়ার জন্য আল্লাহ্ তাদের উপর থেকে বিপদ বিপর্যয়ের কালো মেঘ অপসারিত করেন। এর ফলে কিছু সংখ্যক সঠিক পথে ফিরে আসে। কিছু সংখ্যক এর পরও ফিরে আসে না। এদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। তবুও আল্লাহ্র করুণা ও দয়া বারে বারে তাদের সুপথে আনতে চেষ্টা করে এবং সে চেষ্টা রোজ কেয়ামত পর্যন্ত পাপীদের সুযোগ দান করবে। রোজ কেয়ামতের পরে তারা আর কোন সুযোগ পাবে না সুপথে ফিরে আসার।
আয়াতঃ 044.016
যেদিন আমি প্রবলভাবে ধৃত করব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিশোধ গ্রহণ করবই।
On the Day when We shall seize you with the greatest grasp. Verily, We will exact retribution.
يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنتَقِمُونَ
Yawma nabtishu albatshata alkubra inna muntaqimoona
YUSUFALI: One day We shall seize you with a mighty onslaught: We will indeed (then) exact Retribution!
PICKTHAL: On the day when We shall seize them with the greater seizure, (then) in truth We shall punish.
SHAKIR: On the day when We will seize (them) with the most violent seizing; surely We will inflict retribution.
KHALIFA: The day we strike the big stroke, we will avenge.
১৬। যেদিন আমি তোমাদের ভয়ঙ্কর ভাবে আক্রমণ করবো, নিশ্চয় [সেদিন] আমি প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়বো।
১৭। তাদের পূর্বে আমি তো ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছিলাম ৪৭০০। এবং তাদের নিকটেও এসেছিলো এক সম্মানিত রাসুল ৪৭০১।
৪৭০০। এই আয়াতে ফেরাউন ও মিশরবাসীদের পরীক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুসার কাহিনীর বর্ণনা নয় ফেরাউন ও তার অনুসারীদের গর্ব ও অহংকার এবং তার দরুণ পতনের উল্লেখের মাধ্যমে তাদের বিচারের পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে। ঠিক সেই ভাবে [ ৪৪ : ৩০ -৩৩ ] আয়াতে ইসরাঈলীদের উপরে আল্লাহ্র অনুগ্রহের উল্লেখ করা হয়েছে তাদের গর্ব, অহংকার , অবিশ্বাস ও পতনের বিপরীতে। এবং আয়াত [ ৪৪ : ৩৭ ] উল্লেখ করা হয়েছে ইয়েমেনের প্রাচীন শক্তিশালী ‘হিমাইর’ রাজবংশের যাদেরও পতনও ঘটেছিলো একই ভাবে।
৪৭০১। ‘সম্মানিত রাসুল’ এই সম্ভাষণ হযরত মুসার জন্য প্রয়োগ করা হয়েছে। এখানে হযরত মুসার সত্যসহ অবতীর্ণ হওয়ার বিপরীতে ফেরাউনের মিথ্যা শ্রেষ্ঠত্বের দাবীকে তুলনা করা হয়েছে। দেখুন আয়াত [ ৪৩ :৫২] যেখানে ফেরাউন নিজস্ব মিথ্যা শ্রেষ্ঠত্বের দাবীতে মুসাকে সম্বোধন করেছিলো, ” আমি তো শ্রেষ্ঠ এই ব্যক্তি থেকে , যে হীন এবং স্পষ্ট ভাবে কথা বলতেও অক্ষম।”
উপদেশ : যুগে যুগে যারা অহংকারী ও মিথ্যাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ অলংকার বলে পরিগণিত করে থাকে, তাদের দৃষ্টিতে সত্যের প্রকৃতরূপ কখনও ধরা দেবে না। পৃথিবীর সকল যুগের সকল মানুষের জন্য এই সত্য প্রযোজ্য।
আয়াতঃ 044.017
তাদের পূর্বে আমি ফেরাউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি এবং তাদের কাছে আগমন করেছেন একজন সম্মানিত রসূল,
And indeed We tried before them Fir’aun’s (Pharaoh) people, when there came to them a noble Messenger [i.e. Mûsa (Moses) ],
وَلَقَدْ فَتَنَّا قَبْلَهُمْ قَوْمَ فِرْعَوْنَ وَجَاءهُمْ رَسُولٌ كَرِيمٌ
Walaqad fatanna qablahum qawma firAAawna wajaahum rasoolun kareemun
YUSUFALI: We did, before them, try the people of Pharaoh: there came to them a messenger most honourable,
PICKTHAL: And verily We tried before them Pharaoh’s folk, when there came unto them a noble messenger,
SHAKIR: And certainly We tried before them the people of Firon, and there came to them a noble messenger,
KHALIFA: We have tested before them the people of Pharaoh; an honorable messenger went to them.
১৬। যেদিন আমি তোমাদের ভয়ঙ্কর ভাবে আক্রমণ করবো, নিশ্চয় [সেদিন] আমি প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়বো।