৪৬৯৬। তফসীরকারগণ মনে করেন ‘ধোঁয়া’ বা কুয়াশা যাই বলা হোক না কেন তার দ্বারা মক্কার দুর্ভিক্ষের প্রতি ইঙ্গিতকরা হয়েছে। দিনের পরে দিন ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে করতে মানুষ এমন অবস্থায় পৌঁছায় যখন তারা চোখে ঘোর দেখে অর্থাৎ সব কিছু ঝাপসা বলে পরিগণিত হয়। মনে হবে ধোঁয়া সব কিছুকে আচ্ছাদিত করে ফেলেছে। ইবনে কাফীর মক্কার দুইটি দুর্ভিক্ষের উল্লেখ করেছেন। একটা ছিলো নবুয়ত পাওয়ার ৮ম বর্ষে বা হিজরতের চার বছর পূর্বে , অন্যটি ছিলো হিজরতের ৮ম বর্ষে। যে কোনটি অথবা দুটোই সম্ভবতঃ প্রায় সাত বছরের মত স্থায়ী হয়। এটাও সম্ভব যে দুটো দুর্ভিক্ষই সামান্য ব্যবধানে ধারাবাহিক ভাবে চলে এসেছে বছরের পর বছর। যার প্রচন্ডতা এক এক বর্ষে এক এক রকম ভাবে অনুভূত হয়েছে। বুখারী শরীফে শুধুমাত্র হিজরতের পরবর্তী দুর্ভিক্ষের উল্লেখ আছে। সে দুর্ভিক্ষের বর্ণনায় বলা হয়েছে যে সে দুর্ভিক্ষ এতটাই তীব্র ছিলো যে, মানুষ মৃত প্রাণীর গলিত শব ও হাড় ভক্ষণ করতো। আবু সুফিয়ান অষ্টম হিজরীতে রাসুলের নিকট গমন করেন আল্লাহ্র দরবারে রাসুলকে [ সা ] সুপারিশ করার জন্য; আল্লাহ্ যেনো তাদের দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি দেন। যেহেতু, মোশরেক আরবরা বিশ্বাস করতো যে, দুর্ভিক্ষ রাসুলের [ সা ] অভিশাপের ফল। সূরা [ ২৩ : ৭৫ ] আয়াতে এবং টিকাতে ২৯২১ দুর্ভিক্ষের উল্লেখ আছে, যদিও সে সূরাটি বর্তমান সূরার পরে মক্কাতে অবতীর্ণ হয়। সকল সূরা সম্পূর্ণ এক সাথে অবতীর্ণ হয় নাই। অনেক সূরাই অংশ হিসেবে নাজেল হয়েছে। সুতারাং সম্ভবতঃ সূরার কোন কোন আয়াত সম্পূর্ণ সূরার নাজেল হওয়ার তারিখ থেকে আলাদা হতে পারে।
আয়াতঃ 044.013
তারা কি করে বুঝবে, অথচ তাদের কাছে এসেছিলেন স্পষ্ট বর্ণনাকারী রসূল।
How can there be for them an admonition (at the time when the torment has reached them), when a Messenger explaining things clearly has already come to them.
أَنَّى لَهُمُ الذِّكْرَى وَقَدْ جَاءهُمْ رَسُولٌ مُّبِينٌ
Anna lahumu alththikra waqad jaahum rasoolun mubeenun
YUSUFALI: How shall the message be (effectual) for them, seeing that an Messenger explaining things clearly has (already) come to them,-
PICKTHAL: How can there be remembrance for them, when a messenger making plain (the Truth) had already come unto them,
SHAKIR: How shall they be reminded, and there came to them an Messenger making clear (the truth),
KHALIFA: Now that it is too late, they remember! An enlightening messenger had come to them.
১৩। তাদের জন্য উপদেশ কি ভাবে [কার্যকর ] হবে, যখন [ ইতিমধ্যে ] তাদের নিকট সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাদানকারী একজন রসুল এসেছে,- ৪৬৯৭
৪৬৯৭। কোরাইশদের সম্মুখে রাসুলের [ সা ] জীবন ছিলো পবিত্রতার প্রতীক যে কারণে তারা তাঁকে আল্-আমীন [ বিশ্বাসী ]উপাধিতে ভূষিত করেছিলো। রাসুল তাদের মাঝে তাদের ভাষাতেই আল্লাহ্র বাণী প্রচার করেন। তাঁর বক্তব্য ছিলো স্বচ্ছ ও মাধুর্য্যপূর্ণ ও যুক্তিপূর্ণ। তবুও সে বাণীর আবেদন কোরেশদের মনোজগতে কোনও আবেদন সৃষ্টি করতে পারে নাই। তাঁরা রাসুলকে প্রত্যাখান করে এই বলে যে তাঁর প্রচারিত বাণী আল্লাহ্র বাণী নয়, তিনি কারও শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন বা তিনি তো একজন উম্মাদ ব্যক্তি যার বক্তব্য সামঞ্জস্যবিহীন। এরূপ কদর্য মানসিকতাপূর্ণ ব্যক্তির অন্তরে কিভাবে আল্লাহ্র বাণী আসন লাভ করতে পারে ? কিভাবে তারা আল্লাহ্র নূরে বিধৌত হতে পারবে ?
আয়াতঃ 044.014
অতঃপর তারা তাকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে এবং বলে, সে তো উম্মাদ-শিখানো কথা বলে।
Then they had turned away from him (Messenger Muhammad SAW) and said: ”One (Muhammad SAW) taught (by a human being), a madman!”
ثُمَّ تَوَلَّوْا عَنْهُ وَقَالُوا مُعَلَّمٌ مَّجْنُونٌ
Thumma tawallaw AAanhu waqaloo muAAallamun majnoonun
YUSUFALI: Yet they turn away from him and say: “Tutored (by others), a man possessed!”
PICKTHAL: And they had turned away from him and said: One taught (by others), a madman?
SHAKIR: Yet they turned their backs on him and said: One taught (by others), a madman.
KHALIFA: But they turned away from him, saying, “Well educated, but crazy!”
১৪। তথাপি তারা [ নবীর ] দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বললো , ” [ অন্যের দ্বারা] শিক্ষাপ্রাপ্ত এক পাগল।” ৪৬৯৮
৪৬৯৮। ” অন্যের দ্বারা শিক্ষাপ্রাপ্ত ” – দেখুন অনুরূপ অভিযোগ [ ১৬ : ১০৩ ] আয়াত ও টিকা ২১৪৩। “সে তো এক পাগল ” – দেখুন অনুরূপ অভিযোগ [ ১৫ : ৬ ] ও টিকা ১৯৪০।
আয়াতঃ 044.015
আমি তোমাদের উপর থেকে আযাব কিছুটা প্রত্যাহার করব, কিন্তু তোমরা পুনরায় পুনর্বস্থায় ফিরে যাবে।
Verily, We shall remove the torment for a while. Verily! You will revert.
إِنَّا كَاشِفُو الْعَذَابِ قَلِيلًا إِنَّكُمْ عَائِدُونَ
Inna kashifoo alAAathabi qaleelan innakum AAa-idoona