৪৭১৯। সেদিন সর্বত্র ন্যায়নীতি প্রতিফলিত হবে। কারও প্রতি অন্যায় করা হবে না। পৃথিবীর সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী বা প্রভাবশালী ব্যক্তিও কারও সাহায্যে আসবে না। বরং তারই সাহায্যের প্রয়োজন হবে। পৃথিবীর জীবন হচ্ছে পরস্পর সহযোগীতার জীবন। উচ্চ , নীচ, ধনী-দরিদ্র সকলেই সকলের উপরে নির্ভরশীল , সকলেই সকলকে সহযোগীতা করে থাকে। শেষ বিচারের দিনে পৃথিবীর এই পরিবেশ বর্তমান থাকবে না। কারও কাউকে সাহায্য সহযোগীতা করার ক্ষমতা থাকবে না। সেদিন যে জিনিষটি মানুষকে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখবে তা হচ্ছে একমাত্র আল্লাহ্র দয়া ও করুণা।
আয়াতঃ 044.042
তবে আল্লাহ যার প্রতি দয়া করেন, তার কথা ভিন্ন। নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী দয়াময়।
Except him on whom Allâh has Mercy. Verily, He is the All-Mighty, the Most Merciful.
إِلَّا مَن رَّحِمَ اللَّهُ إِنَّهُ هُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
Illa man rahima Allahu innahu huwa alAAazeezu alrraheemu
YUSUFALI: Except such as receive Allah’s Mercy: for He is Exalted in Might, Most Merciful.
PICKTHAL: Save him on whom Allah hath mercy. Lo! He is the Mighty, the Merciful.
SHAKIR: Save those on whom Allah shall have mercy; surely He is the Mighty the Merciful.
KHALIFA: Only those who attain mercy from GOD. He is the Almighty, Most Merciful.
৪২। যারা আল্লাহ্র করুণা লাভ করেছে তারা ব্যতীত। অবশ্যই তিনি মহাশক্তিশালী , পরম করুণাময় ৪৭২০।
৪৭২০। সেদিন মানবাত্মার জন্য আল্লাহ্র করুণা ও দয়াই একমাত্র অভীষ্ট ফলদানে সক্ষম হবে। আল্লাহ্, তিনিই তো একমাত্র সাহায্য দানে সক্ষম [ পরাক্রমশালী ] এবং তিনি সর্বদা পাপীকে ক্ষমা করতে ব্যগ্র [ পরম দয়ালু ]।
আয়াতঃ 044.043
নিশ্চয় যাক্কুম বৃক্ষ
Verily, the tree of Zaqqûm,
إِنَّ شَجَرَةَ الزَّقُّومِ
Inna shajarata alzzaqqoomi
YUSUFALI: Verily the tree of Zaqqum
PICKTHAL: Lo! the tree of Zaqqum,
SHAKIR: Surely the tree of the Zaqqum,
KHALIFA: Surely, the tree of bitterness –
রুকু – ৩
৪৩।অবশ্যই যাক্কুম বৃক্ষ , ৪৭২১ , ৪৭২২ ,
৪৭২১। পাপীদের শেষ গন্তব্যস্থলের ভয়াবহ কথাচিত্র এখানে আঁকা হয়েছে। এ স্থানের ভয়াবহতা কোন মানবিক ভাষাতে প্রকাশ করা সাধ্যের অতীত।
৪৭২২। সুস্বাদু ফলের বিপরীতে জাকুম বৃক্ষকে বর্ণনা করা হয়েছে ভয়াবহরূপে। এর বর্ণনা আরও আছে আয়াত [ ৩৭: ৬২ – ৬৮ ] ও টিকা ৪০৭৩। আরও দেখুন আয়াত [ ১৭ : ৬০ ] ও টিকা ২২৫০।
আয়াতঃ 044.044
পাপীর খাদ্য হবে;
Will be the food of the sinners,
طَعَامُ الْأَثِيمِ
TaAAamu al-atheemi
YUSUFALI: Will be the food of the Sinful,-
PICKTHAL: The food of the sinner!
SHAKIR: Is the food of the sinful
KHALIFA: will provide the food for the sinful.
৪৪। পাপীদের খাদ্য হবে ; –
৪৫। গলিত তাম্রের মত ; ইহা তাদের উদরে ফুটতে থাকবে ,
৪৬। ঝলসে দেয় এরূপ ফুটন্ত পানির মত ,
৪৭। [ ফেরেশতাদের বলা হবে ] তোমরা ওকে পাকড়াও কর এবং জাহান্নামের মধ্যস্থলে জ্বলন্ত আগুনের মাঝে টেনে নিয়ে যাও।
৪৮। তারপরে তার মাথার উপরে ফুটন্ত পানির শাস্তি ঢেলে দাও।
৪৯।[ এই শাস্তির ] আস্বাদ গ্রহণ কর ! তুমি তো ছিলে ক্ষমতাবান , সম্মানীয় ৪৭২৩
৪৭২৩। এই সূরাতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মানুষের অহংকারকে। যে অহংকার ও গর্বের উৎপত্তি আভিজাত্য ও পার্থিব সম্মান থেকে। আভিজাত্যের ও শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার সচারচর মানুষকে অহংকার ও গর্বের মত পাপে প্রলুব্ধ করে থাকে। এই শ্রেষ্ঠত্ব হতে পারে ক্ষমতার , সম্পদের , সম্মানের , মেধার , মননশীলতা প্রভৃতি। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে এ সব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সন্দেহ নাই , কিন্তু এর থেকে আত্মার মাঝে যদি অহংকারের জন্ম নেয় , বিনয় অন্তর্হিত হয়, তবে তা অত্যন্ত জঘন্য পাপে পরিণত হয়। আল্লাহ্র নেয়ামতকে সে আল্লাহ্র দান হিসেবে আত্মার মাঝে স্বীকার না করে নিজস্ব কৃতিত্বে মেতে ওঠে। এই আত্মনির্ভরশীতাই তাকে অহংকারী করে তোলে।
আয়াতঃ 044.046
যেমন ফুটে পানি।
Like the boiling of scalding water.
كَغَلْيِ الْحَمِيمِ
Kaghalyi alhameemi
YUSUFALI: Like the boiling of scalding water.
PICKTHAL: As the seething of boiling water.
SHAKIR: Like the boiling of hot water.
KHALIFA: Like the boiling of hellish drinks.
৪৪। পাপীদের খাদ্য হবে ; –
৪৫। গলিত তাম্রের মত ; ইহা তাদের উদরে ফুটতে থাকবে ,
৪৬। ঝলসে দেয় এরূপ ফুটন্ত পানির মত ,
৪৭। [ ফেরেশতাদের বলা হবে ] তোমরা ওকে পাকড়াও কর এবং জাহান্নামের মধ্যস্থলে জ্বলন্ত আগুনের মাঝে টেনে নিয়ে যাও।
৪৮। তারপরে তার মাথার উপরে ফুটন্ত পানির শাস্তি ঢেলে দাও।
৪৯।[ এই শাস্তির ] আস্বাদ গ্রহণ কর ! তুমি তো ছিলে ক্ষমতাবান , সম্মানীয় ৪৭২৩
৪৭২৩। এই সূরাতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মানুষের অহংকারকে। যে অহংকার ও গর্বের উৎপত্তি আভিজাত্য ও পার্থিব সম্মান থেকে। আভিজাত্যের ও শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার সচারচর মানুষকে অহংকার ও গর্বের মত পাপে প্রলুব্ধ করে থাকে। এই শ্রেষ্ঠত্ব হতে পারে ক্ষমতার , সম্পদের , সম্মানের , মেধার , মননশীলতা প্রভৃতি। পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে এ সব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সন্দেহ নাই , কিন্তু এর থেকে আত্মার মাঝে যদি অহংকারের জন্ম নেয় , বিনয় অন্তর্হিত হয়, তবে তা অত্যন্ত জঘন্য পাপে পরিণত হয়। আল্লাহ্র নেয়ামতকে সে আল্লাহ্র দান হিসেবে আত্মার মাঝে স্বীকার না করে নিজস্ব কৃতিত্বে মেতে ওঠে। এই আত্মনির্ভরশীতাই তাকে অহংকারী করে তোলে।