আয়াতঃ 044.033
এবং আমি তাদেরকে এমন নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম যাতে ছিল স্পষ্ট সাহায্য।
And granted them signs in which there was a plain trial.
وَآتَيْنَاهُم مِّنَ الْآيَاتِ مَا فِيهِ بَلَاء مُّبِينٌ
Waataynahum mina al-ayati ma feehi balaon mubeenun
YUSUFALI: And granted them Signs in which there was a manifest trial
PICKTHAL: And We gave them portents wherein was a clear trial.
SHAKIR: And We gave them of the communications wherein was clear blessing.
KHALIFA: We showed them so many proofs, which constituted a great test.
৩৩।এবং তাদের জন্য নিদর্শনাবলী দান করেছিলাম , যার মধ্যে ছিলো [ ঈমানের] সুস্পষ্ট পরীক্ষা ৪৭১৩।
৪৭১৩। ইসরাঈলীদের প্রতি আল্লাহ্র দেয়া নিদর্শনাবলীর মধ্যে ছিলো হযরত মুসার প্রতি দেয়া আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ, উর্বর ক্যানন উপত্যকাতে তাদের বসতি স্থাপন , দাউদ নবী ও হযরত সুলাইমানের অধীনে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী রাজত্ব স্থাপন, যারা তাদের আল্লাহ্র সত্য শিক্ষা দিতেন। এবং তাদের সঠিক পথে আনায়ন করার জন্য হযরত ঈসার আগমন – এ সকলই ছিলো আল্লাহ্র তরফ থেকে ইসরাঈলীদের প্রতি দেয়া নিদর্শন সমূহ। তাদের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ। যখন তারা এসব পরীক্ষাতে অকৃতকার্য হলো , আল্লাহ্ তাদের শাস্তি দিলেন পৃথিবীতে নিঃসঙ্গভাবে উদভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়ানো।
আয়াতঃ 044.034
কাফেররা বলেই থাকে,
Verily, these (Quraish) people are saying:
إِنَّ هَؤُلَاء لَيَقُولُونَ
Inna haola-i layaqooloona
YUSUFALI: As to these (Quraish), they say forsooth:
PICKTHAL: Lo! these, forsooth, are saying:
SHAKIR: Most surely these do say:
KHALIFA: The present generations say,
৩৪।যেমন এরা [ কুরাইশরা ] নিশ্চয়ই বলে থাকে ;
৩৫। ” আমাদের প্রথম মৃত্যু ব্যতীত আর কিছু নাই, এবং আমাদের পুণরায় উঠানো হবে না।
৩৬। “তাহলে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ফিরিয়ে আন, যদি তুমি সত্যি বলে থাক।” ৪৭১৪
৪৭১৪। প্রাচীন সভ্যতায়, পৃথিবীর ইতিহাসে মিশর ও ইসরাঈলীদের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। এরা ছিলো সমসাময়িক বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, কিন্তু তাদের অহংকার ও গর্বের দরুণ ও তাদের পাপের পরিণতিতে তাদের পতন ঘটে। এই আয়াতে ‘এরা ‘ দ্বারা রাসুলের সমকালীন কাফিরদিগকে বুঝানো হয়েছে। পৃথিবীর দুই সুসভ্য, ও পরাক্রমশালী জাতির উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে এসব অবিশ্বাসী ও একগুয়ে কোরাইশদের সম্মুখে। তাঁরা নবীর বিরুদ্ধে ছিলো একগুয়ে। অবাধ্যভাবে তারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে প্রত্যাখান করতো। তারা পরলোকের জীবনকে অস্বীকার করতো , যেমন করতো ইহুদীদের মধ্যে যারা নাস্তিক ছিলো। কোরাইশরা আল্লাহ্র রাসুলকে ও যারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে বিশ্বাস করতো তাদের নির্যাতন ও অত্যাচার করতো। শুধু তাই-ই নয়, ব্যঙ্গ ও বিদ্রূপ করে দাবী করতো যে পরলোকে যদি পুণরুত্থান ঘটেই থাকে তবে এখনই তাদের পূর্বপুরুষদের উপস্থিত করা হোক। এদেরই স্মরণ করানো হয়েছে যে, তাদের থেকেও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশালী জাতি যারা আরবেই বাস করতো, তারাও ধ্বংস হয়ে গেছে [ পরবর্তী আয়াত সমূহ ]। কারণ ছিলো তাদের আল্লাহ্র প্রতি অবিশ্বাস ও পাপ কার্য। তারাও যদি অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন না করে তবে তাদেরও শেষ পরিণতি ঐ একই ঘটবে।
আয়াতঃ 044.035
প্রথম মৃত্যুর মাধ্যমেই আমাদের সবকিছুর অবসান হবে এবং আমরা পুনরুত্থিত হব না।
”There is nothing but our first death, and we shall not be resurrected.
إِنْ هِيَ إِلَّا مَوْتَتُنَا الْأُولَى وَمَا نَحْنُ بِمُنشَرِينَ
In hiya illa mawtatuna al-oola wama nahnu bimunshareena
YUSUFALI: “There is nothing beyond our first death, and we shall not be raised again.
PICKTHAL: There is naught but our first death, and we shall not be raised again.
SHAKIR: There is naught but our first death and we shall not be raised again.
KHALIFA: “We only die the first death; we will never be resurrected!
৩৪।যেমন এরা [ কুরাইশরা ] নিশ্চয়ই বলে থাকে ;
৩৫। ” আমাদের প্রথম মৃত্যু ব্যতীত আর কিছু নাই, এবং আমাদের পুণরায় উঠানো হবে না।
৩৬। “তাহলে আমাদের পূর্ব পুরুষদের ফিরিয়ে আন, যদি তুমি সত্যি বলে থাক।” ৪৭১৪
৪৭১৪। প্রাচীন সভ্যতায়, পৃথিবীর ইতিহাসে মিশর ও ইসরাঈলীদের অবদান সর্বজন স্বীকৃত। এরা ছিলো সমসাময়িক বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, কিন্তু তাদের অহংকার ও গর্বের দরুণ ও তাদের পাপের পরিণতিতে তাদের পতন ঘটে। এই আয়াতে ‘এরা ‘ দ্বারা রাসুলের সমকালীন কাফিরদিগকে বুঝানো হয়েছে। পৃথিবীর দুই সুসভ্য, ও পরাক্রমশালী জাতির উদাহরণ স্থাপন করা হয়েছে এসব অবিশ্বাসী ও একগুয়ে কোরাইশদের সম্মুখে। তাঁরা নবীর বিরুদ্ধে ছিলো একগুয়ে। অবাধ্যভাবে তারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে প্রত্যাখান করতো। তারা পরলোকের জীবনকে অস্বীকার করতো , যেমন করতো ইহুদীদের মধ্যে যারা নাস্তিক ছিলো। কোরাইশরা আল্লাহ্র রাসুলকে ও যারা আল্লাহ্র প্রত্যাদেশে বিশ্বাস করতো তাদের নির্যাতন ও অত্যাচার করতো। শুধু তাই-ই নয়, ব্যঙ্গ ও বিদ্রূপ করে দাবী করতো যে পরলোকে যদি পুণরুত্থান ঘটেই থাকে তবে এখনই তাদের পূর্বপুরুষদের উপস্থিত করা হোক। এদেরই স্মরণ করানো হয়েছে যে, তাদের থেকেও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশালী জাতি যারা আরবেই বাস করতো, তারাও ধ্বংস হয়ে গেছে [ পরবর্তী আয়াত সমূহ ]। কারণ ছিলো তাদের আল্লাহ্র প্রতি অবিশ্বাস ও পাপ কার্য। তারাও যদি অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন না করে তবে তাদেরও শেষ পরিণতি ঐ একই ঘটবে।