যে মতবাদ খৃষ্টানদের মধ্যে চালু আছে যে, ” এক গালে চড় খেলে অন্য গাল বাড়িয়ে দাও” – ক্ষমার এই বাড়াবাড়িমূলক দৃষ্টান্ত ইসলাম গ্রহণ করে না। এই ক্ষমার দৃষ্টান্ত অন্যায়কারীদের অনুতপ্ত হওয়ার পরিবর্তে আরও অন্যায় করার প্রবণতা বৃদ্ধি করবে। এ ব্যবস্থা হতে পারে কাপুরুষদের জন্য অথবা এ ব্যবস্থা তারাই প্রচার করেছে যারা মোনাফেক এবং এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের দাস বানানোর চক্রান্ত বিশেষ। কারণ বাইবেলের চারটি আনুশাসনিক উপদেশ বইয়ের দুটির মধ্যে এই উপদেশ পাওয়া যায় [ MaH. v. 39, and Luke .vi. 29 ]। বাইবেলের বহু অংশ সময়ের ব্যবধানে বিকৃত হয়ে গেছে। সুতারাং এ কথা বিশ্বাস করার কোনও যুক্তি সঙ্গতকারণ নাই যে, যীশুখৃষ্ট এই মতবাদ প্রচার করেছেন।
৪৫৮২। মানব জীবনের সর্বোচ্চ উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ্কে ভালোবাসা ও আল্লাহ্র ভালোবাসা লাভ করা। আল্লাহ্র সৃষ্টিকে ভালোবাসার মাধ্যমেই আল্লাহ্কে ভালোবাসা যায়। কারণ আল্লাহ্ নিরাকার। কিন্তু আল্লাহ্র অস্তিত্ব তাঁর সৃষ্টির মাঝে বর্তমান। আল্লাহ্র কল্যাণকর হস্ত সর্ব সৃষ্টিকে ঘিরে থাকে। যে আল্লাহ্র সৃষ্টিকে ভালোবাসে প্রকারান্তে সে আল্লাহকেই ভালোবাসে। কারণ আল্লাহ্ জালিমদের পছন্দ করেন না। যে আল্লাহ্র অনুমোদন ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারে , তাঁর জীবনে চাওয়া পাওয়ার কিছু থাকে না। পৃথিবীর সর্বোচ্চ মূল্যবান পুরষ্কার আল্লাহ্র ভালোবাসা ও অনুমোদন লাভকারী ব্যক্তির নিকট তুচ্ছ ; কারণ আল্লাহ্র নূর তাঁর সর্ব সত্তাকে পরিব্যপ্ত করে রাখে। যার তৃপ্তি ও সুখ শান্তি অতুলনীয়।
৪৫৮৩। আল্লাহ্ অত্যাচারী জালিমদের পছন্দ করেন না। সুতারাং ক্ষমতা থাকা সত্বেও আমরা যদি অন্যায়কারীকে বাধা দান করে অন্যায়ের প্রতিরোধ না করি তবে আমরা আল্লাহ্র প্রতি আমাদের যে কর্তব্য তা থেকে বিচ্যুত হব। অন্যায়ের প্রতিরোধ করা মুসলমানদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।
আয়াতঃ 042.041
নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
And indeed whosoever takes revenge after he has suffered wrong, for such there is no way (of blame) against them.
وَلَمَنِ انتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِ فَأُوْلَئِكَ مَا عَلَيْهِم مِّن سَبِيلٍ
Walamani intasara baAAda thulmihi faola-ika ma AAalayhim min sabeelin
YUSUFALI: But indeed if any do help and defend themselves after a wrong (done) to them, against such there is no cause of blame.
PICKTHAL: And whoso defendeth himself after he hath suffered wrong – for such, there is no way (of blame) against them.
SHAKIR: And whoever defends himself after his being oppressed, these it is against whom there is no way (to blame).
KHALIFA: Certainly, those who stand up for their rights, when injustice befalls them, are not committing any error.
৪১। কিন্তু কারও প্রতি অন্যায় করা হলে যদি সে নিজেকে সাহায্য করে এবং প্রতিরক্ষা করে , তবে তাদের প্রতি কোন দোষারোপ করা হবে না ৪৫৮৪।
৪৫৮৪। অত্যাচারিত হওয়ার পরে যারা প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের দোষারোপ করে কোন ব্যবস্থা আল্লাহ্ গ্রহণ করবেন না। যদিও তারা ক্ষমার ন্যায় মহৎ পন্থা ত্যাগ করে সাধারণ আইনের আওতায় নিয়োজিত তবুও তাদের কোনও পাপ হবে না। পাপ হবে তাদেরই যারা মানুষের উপরে অন্যায়ভাবে অত্যাচার করে,পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে ; দেখুন পরবর্তী টিকা।
আয়াতঃ 042.042
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
The way (of blame) is only against those who oppress men and wrongly rebel in the earth, for such there will be a painful torment.
إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَظْلِمُونَ النَّاسَ وَيَبْغُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ أُوْلَئِكَ لَهُم عَذَابٌ أَلِيمٌ
Innama alssabeelu AAala allatheena yathlimoona alnnasa wayabghoona fee al-ardi bighayri alhaqqi ola-ika lahum AAathabun aleemun
YUSUFALI: The blame is only against those who oppress men and wrong-doing and insolently transgress beyond bounds through the land, defying right and justice: for such there will be a penalty grievous.
PICKTHAL: The way (of blame) is only against those who oppress mankind, and wrongfully rebel in the earth. For such there is a painful doom.
SHAKIR: The way (to blame) is only against those who oppress men and revolt in the earth unjustly; these shall have a painful punishment.
KHALIFA: The wrong ones are those who treat the people unjustly, and resort to aggression without provocation. These have incurred a painful retribution.