৩৩। তিনি ইচ্ছা করলে বায়ুকে নিশ্চল করে দিতে পারতেন। তখন[ সমুদ্র ] পৃষ্ঠে তারা গতিহীন হয়ে পড়ে। যারা ধৈর্যের সাথে অধ্যাবসায়ী হয় এবং কৃতজ্ঞ হয় অবশ্যই এতে তাদের প্রত্যেকের জন্য বহু নিদর্শন রয়েছে ৪৫৭৩।
৩৪। অথবা, তিনি তাদের অর্জিত [ পাপের ] দরুণ সেগুলি ধবংস করে দিতে পারেন। কিন্তু তিনি অধিকাংশকেই ক্ষমা করেন।
৪৫৭৩। আকাশ ও পৃথিবীতে স্রষ্টার নিদর্শন সমূহ ছড়ানো আছে। যদি আমরা স্রষ্টার নিদর্শন সমূহ সঠিক ভাবে উপলব্ধি করতে পারি , তবে এই অনুভব একদিকে আমাদের ধৈর্য্যশীল অধ্যাবসায়ী এবং আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীল হতে শিক্ষা দান করবে ; অন্যদিকে আমাদের আত্মার মাঝে আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ সৃষ্টি করবে। আত্মার মাঝেও বোধ জন্মাবে যে আমাদের দোষত্রুটি সত্বেও স্রষ্টা আমাদেরশাস্তি দান না করে বারে বারে ক্ষমা করেন।আল্লাহ্ নিরাকার ; বিশ্বের সকল কিছুর মাঝেই তাঁর অস্তিত্ব বিদ্যমান। অন্তর দিয়ে অনুভূতি দিয়ে তা আত্মার মাঝে উপলব্ধির মাধ্যমেই নিরাকার আল্লাহ্র অস্তিত্ব আত্মার মাঝে অনুভব করা সম্ভব। ধ্যানের মাধ্যমে, চিন্তার দ্বারা , আত্মপোলব্ধি ঘটে। বিভিন্ন আয়াতে বিভিন্ন উপমার মাধ্যমে এই আত্মপোলব্ধির প্রতি আহ্বান করা হয়েছে।
আয়াতঃ 042.034
অথবা তাদের কৃতকর্মের জন্যে সেগুলোকে ধ্বংস করে দেন এবং অনেককে ক্ষমাও করে দেন।
Or He may destroy them (by drowning) because of that which their (people) have earned. And He pardons much.
أَوْ يُوبِقْهُنَّ بِمَا كَسَبُوا وَيَعْفُ عَن كَثِيرٍ
Aw yoobiqhunna bima kasaboo wayaAAfu AAan katheerin
YUSUFALI: Or He can cause them to perish because of the (evil) which (the men) have earned; but much doth He forgive.
PICKTHAL: Or He causeth them to perish on account of that which they have earned – And He forgiveth much –
SHAKIR: Or He may make them founder for what they have earned, and (even then) pardon most;
KHALIFA: He can annihilate them, as a consequence of their own works. Instead, He overlooks many (of their sins).
৩৩। তিনি ইচ্ছা করলে বায়ুকে নিশ্চল করে দিতে পারতেন। তখন[ সমুদ্র ] পৃষ্ঠে তারা গতিহীন হয়ে পড়ে। যারা ধৈর্যের সাথে অধ্যাবসায়ী হয় এবং কৃতজ্ঞ হয় অবশ্যই এতে তাদের প্রত্যেকের জন্য বহু নিদর্শন রয়েছে ৪৫৭৩।
৩৪। অথবা, তিনি তাদের অর্জিত [ পাপের ] দরুণ সেগুলি ধবংস করে দিতে পারেন। কিন্তু তিনি অধিকাংশকেই ক্ষমা করেন।
৪৫৭৩। আকাশ ও পৃথিবীতে স্রষ্টার নিদর্শন সমূহ ছড়ানো আছে। যদি আমরা স্রষ্টার নিদর্শন সমূহ সঠিক ভাবে উপলব্ধি করতে পারি , তবে এই অনুভব একদিকে আমাদের ধৈর্য্যশীল অধ্যাবসায়ী এবং আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীল হতে শিক্ষা দান করবে ; অন্যদিকে আমাদের আত্মার মাঝে আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ সৃষ্টি করবে। আত্মার মাঝেও বোধ জন্মাবে যে আমাদের দোষত্রুটি সত্বেও স্রষ্টা আমাদেরশাস্তি দান না করে বারে বারে ক্ষমা করেন।আল্লাহ্ নিরাকার ; বিশ্বের সকল কিছুর মাঝেই তাঁর অস্তিত্ব বিদ্যমান। অন্তর দিয়ে অনুভূতি দিয়ে তা আত্মার মাঝে উপলব্ধির মাধ্যমেই নিরাকার আল্লাহ্র অস্তিত্ব আত্মার মাঝে অনুভব করা সম্ভব। ধ্যানের মাধ্যমে, চিন্তার দ্বারা , আত্মপোলব্ধি ঘটে। বিভিন্ন আয়াতে বিভিন্ন উপমার মাধ্যমে এই আত্মপোলব্ধির প্রতি আহ্বান করা হয়েছে।
আয়াতঃ 042.035
এবং যারা আমার ক্ষমতা সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা যেন জানে যে, তাদের কোন পলায়নের জায়গা নেই।
And those who dispute (polytheists, etc. with Our Messenger Muhammad SAW) as regards Our Ayât (proofs, signs, verses, etc. of Islâmic Monotheism) may know that there is no place of refuge for them (from Allâh’s punishment).
وَيَعْلَمَ الَّذِينَ يُجَادِلُونَ فِي آيَاتِنَا مَا لَهُم مِّن مَّحِيصٍ
WayaAAlama allatheena yujadiloona fee ayatina ma lahum min maheesin
YUSUFALI: But let those know, who dispute about Our Signs, that there is for them no way of escape.
PICKTHAL: And that those who argue concerning Our revelations may know they have no refuge.
SHAKIR: And (that) those who dispute about Our communications may know; there is no place of refuge for them.
KHALIFA: Those who argue against our proofs will find out that they have no basis.
৩৫। যারা আমার নিদর্শন সমূহের সম্বন্ধে বির্তক করে, তদের জানতে দাও যে, তাদের পলায়নের কোন পথ নাই ৪৫৭৪।
৪৫৭৪। আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহ যদি আমরা সঠিক মনোভাবের সাথে গ্রহণ না করি এবং এ সম্বন্ধে শুধু বৃথা তর্কবিতর্কে লিপ্ত হই এবং তা প্রত্যাখান করি, এবং তা বুঝতে ও উপলব্ধি করতে চেষ্টা না করি তবে আমাদের তার পরিণতি সম্বন্ধে সাবধান করা হয়েছে। বলা হয়েছে বিনিময়ে তারা কোনও কিছুই লাভ করবে না বরং তারা এর দ্বারা আল্লাহ্র শাস্তি এড়াতে ব্যর্থ হবে। আল্লাহ্র শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার একামাত্র উপায় হচ্ছে অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধন করা এবং আল্লাহ্র করুণা লাভ করা।