আয়াতঃ 041.051
আমি যখন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করে। আর যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সুদীর্ঘ দোয়া করতে থাকে।
And when We show favour to man, he withdraws and turns away, but when evil touches him, then he has recourse to long supplications.
وَإِذَا أَنْعَمْنَا عَلَى الْإِنسَانِ أَعْرَضَ وَنَأى بِجَانِبِهِ وَإِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ فَذُو دُعَاء عَرِيضٍ
Wa-itha anAAamna AAala al-insani aAArada wanaa bijanibihi wa-itha massahu alshsharru fathoo duAAa-in AAareedin
YUSUFALI: When We bestow favours on man, he turns away, and gets himself remote on his side (instead of coming to Us); and when evil seizes him, (he comes) full of prolonged prayer!
PICKTHAL: When We show favour unto man, he withdraweth and turneth aside, but when ill toucheth him then he aboundeth in prayer.
SHAKIR: And when We show favor to man, he turns aside and withdraws himself; and when evil touches him, he makes lengthy supplications.
KHALIFA: When we bless the human being, he turns away, and drifts farther and farther away, and when he suffers any affliction, he implores loudly.
৫১। যখন আমি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ দান করি , ৪৫২৩ সে মুখ ফিরিয়ে নেয়, এবং[ আমারদিকে আসার পরিবর্তে ] সে দূরে সরে যায় ৪৫২৪। এবং যখন অনিষ্ট তাকে ঘিরে ধরে, সে তখন দীর্ঘ প্রার্থানায় রত হয়।
৪৫২৩। পূর্বের আয়াতে ও টিকাতে বর্ণনা করা হয়েছে মানুষের মূল্যবোধের বিকৃতি সম্বন্ধে। এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে মানুষের অকৃতজ্ঞতা ও মোনাফেকী সম্বন্ধে ।এসব লোক যখন জাগতিক সুখ সমৃদ্ধি লাভ করে থাকে, তখন তাদের মানসিক অবস্থা হচ্ছে, তারা তা ভোগে এত মগ্ন থাকে যে তারা ধীরে ধীরে আল্লাহ্র স্মরণে বিস্মৃত হয়। তারা ভুলে যায় যে, এই জাগতিক নেয়ামত মহান আল্লাহ্র দান। এর জন্য আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পরিবর্তে তারা আল্লাহ্কে ভুলে যায়।অকৃতজ্ঞতার চরম নিদর্শন তারা প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু যখন তারা বিপদ বিপর্যয় , দুঃখ দুর্দ্দশায় নিপতিত হয়, তখন তারা আল্লাহকে গভীর মনোযোগের সাথে ডাকে, বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য। তাদের এই আচরণ মোনাফেকীরই নামান্তর। কারণ তারা আন্তরিক ভাবে আল্লাহ্র প্রতি আত্মনিবেদিত নয়।
৪৫২৪। দেখুন আয়াত [ ১৭ : ৮৩ ] ও টিকা।
আয়াতঃ 041.052
বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, অতঃপর তোমরা একে অমান্য কর, তবে যে ব্যক্তি ঘোর বিরোধিতায় লিপ্ত, তার চাইতে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে?
Say: ”Tell me, if it (the Qur’ân) is from Allâh, and you disbelieve in it, who is more astray than one who is in opposition far away (from Allâh’s Right Path and His obedience).
قُلْ أَرَأَيْتُمْ إِن كَانَ مِنْ عِندِ اللَّهِ ثُمَّ كَفَرْتُم بِهِ مَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ هُوَ فِي شِقَاقٍ بَعِيدٍ
Qul araaytum in kana min AAindi Allahi thumma kafartum bihi man adallu mimman huwa fee shiqaqin baAAeedin
YUSUFALI: Say: “See ye if the (Revelation) is (really) from Allah, and yet do ye reject it? Who is more astray than one who is in a schism far (from any purpose)?”
PICKTHAL: Bethink you: If it is from Allah and ye reject it – Who is further astray than one who is at open feud (with Allah)?
SHAKIR: Say: Tell me if it is from Allah; then you disbelieve in it, who is in greater error than he who is in a prolonged opposition?
KHALIFA: Proclaim: “What if this is truly from GOD, then you decide to reject it? Who are farther astray than those who decide to oppose this?”
৫২। বল, ” তোমরা কি ভেবে দেখেছ ৪৫২৪-ক , যদি [ এই প্রত্যাদেশ প্রকৃতই ] আল্লাহ্র নিকট থেকে অবতীর্ণ হয়ে থাকে, অথচ তোমরা ইহা প্রত্যাখান কর ?তবে তার চেয়ে অধিক পথভ্রান্ত কে আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্র বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচারণে বহুদূরে চলে যায় ? ৪৫২৪-খ।”
৪৫২৪-ক। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ মানুষকে আহ্বান করেছেন আত্ম অনুসন্ধানের জন্য। “কোরাণ পাঠ করে উপলব্ধির চেষ্টা কর; দেখ এর মাঝে অসাধারণ কিছু লক্ষ্য করতে পার কি না।” আন্তরিক ভাবে অর্থ বুঝে কোরাণ পাঠ করলে অবশ্যই আত্মার মাঝে কোরাণের বাণীর তাৎপর্যের উপলব্ধি ঘটবে। আত্মার মাঝে অনুসন্ধানের মাধ্যমে আল্লাহ্র প্রত্যাদেশের সত্যকে উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে। যদি এর পরেও কেউ প্রত্যাদেশের সত্যকে প্রত্যাখান করে, চিন্তা করে দেখ কি ভয়ঙ্কর দায়িত্ব সে নিজ স্কন্ধে বহন করছে। কারণ নভোমন্ডল ও পৃথিবীতে কেউই আল্লাহ্র আইনের চুলমাত্র বিরোধিতা করে না। আল্লাহ্র সৃষ্টির প্রতিটি ধূলিকণা আল্লাহ্র আইনের প্রতি একান্ত আনুগত্য প্রকাশ করে থাকে। একমাত্র মানুষই এর ব্যতিক্রম। আল্লাহ্ তাকে “সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ” দান করেছেন, ভালোকে গ্রহণ ও মন্দকে বর্জন করার জন্য। যদি সে এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করে , তবে সে গুরুদায়িত্ব তার একারই। এই দায়িত্বের বোঝা তার একাই বহন করতে হবে। সৃষ্টির কেউই যখন স্রষ্টার আইন লঙ্ঘন করে না তখন যে মানুষ ইচ্ছাকৃত ভাবে বিপথে গমন করে তার মত নির্বোধ আর কে আছে ?