৪৫২০। কিয়ামত দিবসে প্রতিটি কর্মের মূল্যবোধের , সত্য রূপকে প্রকাশ করা হবে। সমস্ত মিথ্যা প্রচার ও ভান সেদিন তিরোহিত হবে এবং তাদের প্রকৃতরূপকে সর্বসমক্ষে উদ্ঘাটিত করা হবে। সেদিন মিথ্যা উপাস্যদের প্রকৃত রূপ প্রকাশিত হয়ে পড়বে , তারা সব সেদিন অদৃশ্য হয়ে যাবে। মিথ্যা উপাস্যের উপাসনাকারীদের সেদিন বোধদয় ঘটবে। কিন্তু সে চৈতন্যলাভ তাদের কোন উপকারে আসবে না। কারণ তা হয়ে যাবে বহু দূর।
আয়াতঃ 041.048
পূর্বে তারা যাদের পূজা করত, তারা উধাও হয়ে যাবে এবং তারা বুঝে নেবে যে, তাদের কোন নিস্কৃতি নেই।
And those whom they used to invoke before will fail them, and they will perceive that they have no place of refuge (from Allâh’s punishment).
وَضَلَّ عَنْهُم مَّا كَانُوا يَدْعُونَ مِن قَبْلُ وَظَنُّوا مَا لَهُم مِّن مَّحِيصٍ
Wadalla AAanhum ma kanoo yadAAoona min qablu wathannoo ma lahum min maheesin
YUSUFALI: The (deities) they used to invoke aforetime will leave them in the lurch, and they will perceive that they have no way of escape.
PICKTHAL: And those to whom they used to cry of old have failed them, and they perceive they have no place of refuge.
SHAKIR: And away from them shall go what they called upon before, and they shall know for certain that there is no escape for them.
KHALIFA: The idols they had idolized will disown them, and they will realize that there will be no escape.
৪৮। পূর্বে তারা [ যে সব উপাস্যদের ] আহ্বান করতো, তারা তাদের হতাশার মাঝে ত্যাগ করে চলে যাবে। এবং তারা হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে যে, তাদের পালানোর কোন পথ নাই।
৪৯। ভালো [জিনিষ পাওয়ার ] জন্য প্রার্থনা করতে মানুষ কখনও ক্লান্ত বোধ করে না। কিন্তু যদি তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে সকল আশা ত্যাগ করে ও হতাশ হয়ে পড়ে৪৫২১।
৪৫২১। যারা আধ্যাত্মিক জগত সম্বন্ধে উদাসীন, তারা তাদের চেনা, শুনা ও দেখা জগতের বাইরের আর কিছু অনুধাবনে অক্ষম। ফলে তারা তাদের জ্ঞানের সীমার বাইরের জগত সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে থাকে, অথবা মনগড়া কোনও শিরকের উপাসনায় লিপ্ত হয়। কারণ তাদের আত্মার মাঝে আল্লাহ্র হেদায়েতের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে তাদের আধ্যাত্মিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এদেরই বিশেষত্ব এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। এদের সকল চিন্তাভাবনা শুধুমাত্র জাগতিক চাওয়া – পাওয়াকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে থাকে। অর্থ, সম্পদ , ক্ষমতা , নিরাপত্তা প্রভাব, প্রতিপত্তি ইত্যাদি জাগতিক বিষয়বস্তুই এদের একমাত্র কাম্য বিষয়বস্তু। কোনটা তার জন্য ভালো , কোনটা মন্দ সে বোধ বা পার্থক্য করার ক্ষমতা এদের থাকে না। জাগতিক সকল বিষয় তাদের জন্য ভবিষ্যতে কল্যাণ বয়ে আনতে নাও পারে।যতক্ষণ তারা এসব জাগতিক নেয়ামত লাভ করে ততক্ষণ তাতে তারা মগ্ন ও বিভোর হয়ে থাকে ও তাদের অহংকার ও উদাসীনতা আরও বেড়ে যায়। যদি তাদের মঙ্গলার্থে তাদের সামন্যও দুঃখ দৈন্য স্পর্শ করে, তৎক্ষণাত তারা হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। কারণ তাদের চরিত্রে ধৈর্য্যের মাধ্যমে আল্লাহ্র কাছে আত্মসমর্পনের দ্বারা নিজের দোষত্রুটির অনুসন্ধান করার ক্ষমতা জন্মে না। ফলে তারা তাদের চারিত্রিক দোষত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে জীবনের মহত্তর ও উচ্চতর দিকের সন্ধান লাভে অক্ষম হয়, হতাশা তাদের ঘিরে ধরে।
আয়াতঃ 041.049
মানুষ উন্নতি কামনায় ক্লান্ত হয় না; যদি তাকে অমঙ্গল স্পর্শ করে, তবে সে সম্পূর্ণ রূপে নিরাশ হয়ে পড়ে।
Man (the disbeliever) does not get tired of asking good (things from Allâh), but if an evil touches him, then he gives up all hope and is lost in despair.
لَا يَسْأَمُ الْإِنسَانُ مِن دُعَاء الْخَيْرِ وَإِن مَّسَّهُ الشَّرُّ فَيَؤُوسٌ قَنُوطٌ
La yas-amu al-insanu min duAAa-i alkhayri wa-in massahu alshsharru fayaoosun qanootun
YUSUFALI: Man does not weary of asking for good (things), but if ill touches him, he gives up all hope (and) is lost in despair.
PICKTHAL: Man tireth not of praying for good, and if ill toucheth him, then he is disheartened, desperate.
SHAKIR: Man is never tired of praying for good, and if evil touch him, then he is despairing, hopeless.
KHALIFA: The human being never tires of imploring for good things. And when adversity befalls him, he turns despondent, desperate.
৪৮। পূর্বে তারা [ যে সব উপাস্যদের ] আহ্বান করতো, তারা তাদের হতাশার মাঝে ত্যাগ করে চলে যাবে। এবং তারা হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে যে, তাদের পালানোর কোন পথ নাই।
৪৯। ভালো [জিনিষ পাওয়ার ] জন্য প্রার্থনা করতে মানুষ কখনও ক্লান্ত বোধ করে না। কিন্তু যদি তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে সকল আশা ত্যাগ করে ও হতাশ হয়ে পড়ে৪৫২১।
৪৫২১। যারা আধ্যাত্মিক জগত সম্বন্ধে উদাসীন, তারা তাদের চেনা, শুনা ও দেখা জগতের বাইরের আর কিছু অনুধাবনে অক্ষম। ফলে তারা তাদের জ্ঞানের সীমার বাইরের জগত সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে থাকে, অথবা মনগড়া কোনও শিরকের উপাসনায় লিপ্ত হয়। কারণ তাদের আত্মার মাঝে আল্লাহ্র হেদায়েতের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে তাদের আধ্যাত্মিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এদেরই বিশেষত্ব এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। এদের সকল চিন্তাভাবনা শুধুমাত্র জাগতিক চাওয়া – পাওয়াকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে থাকে। অর্থ, সম্পদ , ক্ষমতা , নিরাপত্তা প্রভাব, প্রতিপত্তি ইত্যাদি জাগতিক বিষয়বস্তুই এদের একমাত্র কাম্য বিষয়বস্তু। কোনটা তার জন্য ভালো , কোনটা মন্দ সে বোধ বা পার্থক্য করার ক্ষমতা এদের থাকে না। জাগতিক সকল বিষয় তাদের জন্য ভবিষ্যতে কল্যাণ বয়ে আনতে নাও পারে।যতক্ষণ তারা এসব জাগতিক নেয়ামত লাভ করে ততক্ষণ তাতে তারা মগ্ন ও বিভোর হয়ে থাকে ও তাদের অহংকার ও উদাসীনতা আরও বেড়ে যায়। যদি তাদের মঙ্গলার্থে তাদের সামন্যও দুঃখ দৈন্য স্পর্শ করে, তৎক্ষণাত তারা হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। কারণ তাদের চরিত্রে ধৈর্য্যের মাধ্যমে আল্লাহ্র কাছে আত্মসমর্পনের দ্বারা নিজের দোষত্রুটির অনুসন্ধান করার ক্ষমতা জন্মে না। ফলে তারা তাদের চারিত্রিক দোষত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে জীবনের মহত্তর ও উচ্চতর দিকের সন্ধান লাভে অক্ষম হয়, হতাশা তাদের ঘিরে ধরে।