৬৪। আল্লাহ্-ই ৪৪৩৮ তোমাদের জন্য পৃথিবীকে বিশ্রামস্থল করেছেন ৪৪৩৯ ,এবং আকাশকে করেছেন চাঁদোয়া এবং তোমাদের আকৃতিতে সৌন্দর্য দান করেছেন ৪৪৪০ – এবং তোমাদের পবিত্র ও উৎকৃষ্ট জীবনোপকরণে সমৃদ্ধ করেছেন ৪৪৪১ ; – তিনিই আল্লাহ্ ,তোমাদের প্রভু। সুতারাং পৃথিবীর অধিপতি আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা কর।
৪৪৩৮। পূর্বের আয়াত সমূহে যুক্তির অবতারণা করা হয়েছে , মানুষের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে ; যে অভিজ্ঞতা সে লাভ করে পৃথিবীর প্রতিদিনের জীবনযাত্রা থেকে। এই আয়াত ও পরবর্তী আয়াতে মানুষকে আহ্বান করা হয়েছে উচ্চতর যুক্তির মাধ্যমে। বলা হয়েছে , ” হে মানুষ সামগ্রিকভাবে তাকিয়ে দেখ, নিখিল বিশ্বকে তোমাদের বাসপোযোগী করা হয়েছে। যা সৌরমন্ডলের অন্য কোনও গ্রহকে করা হয় নাই।” যারা বিজ্ঞান পড়েছেন তারা জানেন ; কি অপূর্ব যত্নে পৃথিবীর আবহাওয়া মন্ডল দ্বারা পৃথিবীকে সুরক্ষিত করা হয়েছে। কি অপূর্ব কৌশলে পৃথিবীর সকল সৃষ্ট পর্দাথ সমন্বিত শৃঙ্খলার মাধ্যমে পরস্পরের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছে। এই নিখিল বিশ্বভূবনের মাঝে সকল সৃষ্ট প্রাণী ও জীবকূলের মাঝে মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। মানুষের অবয়বের গঠন, আকৃতি সবই করা হয়েছে সকল প্রাণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। মানুষের সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠত্ব হচ্ছে তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা। মানুষকে আল্লাহ্ দান করেছেন জীবনোপকরণে রুচীশীলতা, জীবন যাপনে সংস্কৃতি , আধ্যাত্মিক জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব এবং সমৃদ্ধির উপায়। এর পরেও মানুষ কেন অনুভব করে না আল্লাহ্র মাহাত্ব্য ও করুণা এবং আল্লাহ্র প্রশংসা দ্বারা আত্মাকে সঞ্জীবিত করে না ?
৪৪৩৯। “বিশ্রামস্থল ” – এই শব্দটি দ্বারা এ কথাই বুঝানো হয়েছে যে, পৃথিবী একটি পান্থশালা বিশেষ। পান্থশালাতে মানুষের অবস্থান যেরূপ অল্পকিছুকালের জন্য, পৃথিবী নামক এই পান্থশালাকেও বাসের উপযোগী করা হয়েছে মানুষের জন্য; মানুষের “শিক্ষানবীশকাল” অতিক্রম করার জন্য ; যেনো পরকালের স্থায়ী ঠিকানাতে সে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
৪৪৪০। দেখুন আয়াত [ ৭ : ১১ ] এবং টিকা ৯৯৬। আকৃতি ও গঠন বলতে শুধুমাত্র দেহসৌষ্ঠবই নয়,মানুষের জন্মগত মানসিক দক্ষতা ও আধ্যাত্মিক ক্ষমতাকেও বুঝানো হয়েছে। আদম ও ইভের দেহসৌষ্ঠব বর্ণনার জন্য কবি মিলটনের ভাষার ব্যবহার করা যায় , “Two of far noble shape, erect and tall” [ Paradise lost iv 288 ] । মানসিক ও নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দক্ষতা সম্বন্ধে বলা চলে, তা হচ্ছে সর্বোচ্চ। কারণ আল্লাহ্ মানুষের মাঝে তাঁর রূহুর কিছু অংশ ফুৎকারে প্রবেশ করিয়েছেন [ ১৫ : ২৯ ]।
৪৪৪১। ‘রিযি্ক ‘ শব্দটি ব্যপক অর্থ বহন করে। সাধারণ মানুষ সঙ্কীর্ণার্থে শব্দটির প্রয়োগ করে থাকে দেহের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে খাদ্যসামগ্রী তাকেই। তবে ব্যপক অর্থে রিযিক হচ্ছে দেহ, মন , আত্মার খোরাক। মানুষের দেহ, মন ও আত্মার বিকাশ ও সমৃদ্ধির জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবই রিযিক। দেখুন আয়াত [ ১৬ : ৭৩ ] ও টিকা ২১০৫।
আয়াতঃ 040.065
তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকে ডাক তাঁর খাঁটি এবাদতের মাধ্যমে। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর।
He is the Living (One): There is no god but He: Call upon Him, giving Him sincere devotion. Praise be to Allah, Lord of the Worlds!
هُوَ الْحَيُّ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
Huwa alhayyu la ilaha illa huwa faodAAoohu mukhliseena lahu alddeena alhamdu lillahi rabbi alAAalameena
YUSUFALI: He is the Living (One): There is no god but He: Call upon Him, giving Him sincere devotion. Praise be to Allah, Lord of the Worlds!
PICKTHAL: He is the Living One. There is no Allah save Him. So pray unto Him, making religion pure for Him (only). Praise be to Allah, the Lord of the Worlds!
SHAKIR: He is the Living, there is no god but He, therefore call on Him, being sincere to Him in obedience; (all) praise is due to Allah, the Lord of the worlds.
KHALIFA: He is the Living; there is no god except He. You shall worship Him alone, devoting your religion absolutely to Him alone. Praise be to GOD, Lord of the universe.
৬৫। তিনিই চিরঞ্জীব ৪৪৪২। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। একান্ত আনুগত্যের সাথে তাঁকে আহ্বান কর। সকল প্রশংসা পৃথিবীর অধিপতির।
৪৪৪২। আল্লাহ্র বিশেষণ ; এ জন্য দেখুন আয়াত [ ২ : ২৫৫ ] ও টিকা ২৯৬।
আয়াতঃ 040.066
বলুন, যখন আমার কাছে আমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণাদি এসে গেছে, তখন আল্লাহ ব্যতীত তোমরা যার পূজা কর, তার এবাদত করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে। আমাকে আদেশ করা হয়েছে বিশ্ব পালনকর্তার অনুগত থাকতে।
Say: “I have been forbidden to invoke those whom ye invoke besides Allah,- seeing that the Clear Sings have come to me from my Lord; and I have been commanded to bow (in Islam) to the Lord of the Worlds.”