৪৭। দেখো তারা আগুনের মাঝে পরস্পরের সাথে বির্তক করবে ৪৪২০। দুর্বল [যারা অনুসরণ করতো ] বলবে উদ্ধতদের ” আমরা তো তোমাদেরই অনুসরণ করতাম , এখন কি তোমরা আমাদের থেকে জাহান্নামের আগুনের কিছু অংশ [তোমাদের উপরে ] নেবে ” ?
৪৪২০। আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যের প্রতি অনুরাগ জন্মে। ফলে আত্মার মাঝে, ব্যক্তির চিন্তা ভাবনার জগতে সমন্বিত শৃঙ্খলা বিরাজ করে। কোনও ব্যাপারই তাকে বিভ্রান্তি ঘটাতে সক্ষম হয় না। আত্মসংযম, আত্মশৃঙ্খলা তার জীবনের চলার পথে হবে সাথী। যার পরিণতিতে তার ঘটে আত্মিক মুক্তি। অর্থাৎ সে পৃথিবীর লোভ লালসার উর্দ্ধে উঠতে সক্ষম হয়। এক কথায় আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাস , সত্যের প্রতি অনুরাগ ও সমন্বিত শৃঙ্খলার মাধ্যমে ব্যক্তির আত্মিক মুক্তি ঘটে যার ফলে তার জীবন স্বর্গীয় সুখে ভরে যায়। অপরপক্ষে ভর্ৎসনা বিবাদ-কলহ, এবং বিশৃঙ্খলা হচ্ছে দোযখের শাস্তির প্রতীক স্বরূপ।
আয়াতঃ 040.048
অহংকারীরা বলবে, আমরা সবাই তো জাহান্নামে আছি। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ফয়সালা করে দিয়েছেন।
Those who had been arrogant will say: “We are all in this (Fire)! Truly, Allah has judged between (his) Servants!”
قَالَ الَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا كُلٌّ فِيهَا إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَكَمَ بَيْنَ الْعِبَادِ
Qala allatheena istakbaroo inna kullun feeha inna Allaha qad hakama bayna alAAibadi
YUSUFALI: Those who had been arrogant will say: “We are all in this (Fire)! Truly, Allah has judged between (his) Servants!”
PICKTHAL: Those who were proud say: Lo! we are all (together) herein. Lo! Allah hath judged between (His) slaves.
SHAKIR: Those who were proud shall say: Surely we are all in it: surely Allah has judged between the servants.
KHALIFA: The leaders will say, “We are all in this together. GOD has judged among the people.”
৪৮। যারা উদ্ধত হয়েছিলো , তারা বলবে, ” আমরা সকলেই এই [আগুনে ] রয়েছি। অবশ্যই আল্লাহ্ বান্দাদের মধ্যে বিচার করে দিয়েছেন। ” ৪৪২১
৪৪২১। যারা পাপ কাজে অন্যকে প্রভাবিত করতে অভ্যস্ত ছিলো তাদের কৌশলপূর্ণ উত্তর এখানে অনুধাবনযোগ্য। তাদের বক্তব্য হবে নিম্নরূপ : ” আমরা কি তোমাদের মত সমপরিমাণ শাস্তি ভোগ করছি না ? আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা কর। তিনি তো বিচারের রায় দিয়ে দিয়েছেন।” দেখুন [ ১৪ : ২১ – ২২ ] আয়াত।
আয়াতঃ 040.049
যারা জাহান্নামে আছে, তারা জাহান্নামের রক্ষীদেরকে বলবে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে বল, তিনি যেন আমাদের থেকে একদিনের আযাব লাঘব করে দেন।
Those in the Fire will say to the Keepers of Hell: “Pray to your Lord to lighten us the Penalty for a day (at least)!”
وَقَالَ الَّذِينَ فِي النَّارِ لِخَزَنَةِ جَهَنَّمَ ادْعُوا رَبَّكُمْ يُخَفِّفْ عَنَّا يَوْمًا مِّنَ الْعَذَابِ
Waqala allatheena fee alnnari likhazanati jahannama odAAoo rabbakum yukhaffif AAanna yawman mina alAAathabi
YUSUFALI: Those in the Fire will say to the Keepers of Hell: “Pray to your Lord to lighten us the Penalty for a day (at least)!”
PICKTHAL: And those in the Fire say unto the guards of hell: Entreat your Lord that He relieve us of a day of the torment.
SHAKIR: And those who are in the fire shall say to the keepers of hell: Call upon your Lord that He may lighten to us one day of the punishment.
KHALIFA: Those in the hellfire will say to the guardians of Hell, “Call upon your Lord to reduce the retribution for us, for even one day.”
৪৯। যারা আগুনের মাঝে রয়েছে , তারা জাহান্নামের দ্বাররক্ষীকে বলবে , ৪৪২২, ” তোমাদের প্রভুর নিকট প্রার্থনা কর, তিনি যেনো [নিদেন পক্ষে ] এক দিনের জন্য শাস্তি হালকা করে দেন। ”
৪৪২২। হতভাগ্য বিপথগামী তারাই যারা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সত্যপথকে ত্যাগ করেছিলো। পরলোকে তারা তাদের প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করতে পারবে। তারা তখন দোযখের প্রহরীকে অনুরোধ করবে তাদের জন্য আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করতে। কিন্তু প্রহরীদের নিযুক্ত করা হয়েছে পাহারার কাজে ; সুপারিশের জন্য নয়। তারা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করবে ; ” তোমাদিগের নিকট কি স্পষ্ট নিদর্শনসহ তোমাদিগের রাসুলগণ আসে নাই ? “
আয়াতঃ 040.050
রক্ষীরা বলবে, তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তোমাদের রসূল আসেননি? তারা বলবে হঁ্যা। রক্ষীরা বলবে, তবে তোমরাই দোয়া কর। বস্তুতঃ কাফেরদের দোয়া নিস্ফলই হয়।
They will say: “Did there not come to you your apostles with Clear Signs?” They will say, “Yes”. They will reply, “Then pray (as ye like)! But the prayer of those without Faith is nothing but (futile wandering) in (mazes of) error!”