مِن دُونِ اللَّهِ فَاهْدُوهُمْ إِلَى صِرَاطِ الْجَحِيمِ
Min dooni Allahi faihdoohum ila sirati aljaheemi
YUSUFALI: “Besides Allah, and lead them to the Way to the (Fierce) Fire!
PICKTHAL: Instead of Allah, and lead them to the path to hell;
SHAKIR: Besides Allah, then lead them to the way to hell.
KHALIFA: beside GOD, and guide them to the path of Hell.
রুকু – ২
২২। বলা হবে, ” নিয়ে এসো পাপীদের এবং তাদের স্ত্রীদের এবং যে জিনিষের তারা পূঁজা করতো ৪০৪৮-
২৩। ” আল্লাহ্র পরিবর্তে , এবং তাদের দোযখের পথে নিয়ে যাও।
৪০৪৮। যদি পাপীদের স্ত্রীরা স্বামীদের সহযোগী হয়, তবে তাদের সকলকে একত্র করা হবে। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব থাকবে। স্বামী বা স্ত্রী কেহই কারও পাপের বোঝা বহন করবে না। কেহ কারও উপরে দোষ চাপাতে পারবে না।
আয়াতঃ 037.024
এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে;
“But stop them, for they must be asked:
وَقِفُوهُمْ إِنَّهُم مَّسْئُولُونَ
Waqifoohum innahum masooloona
YUSUFALI: “But stop them, for they must be asked:
PICKTHAL: And stop them, for they must be questioned.
SHAKIR: And stop them, for they shall be questioned:
KHALIFA: Stop them, and ask them:
২৪। ” কিন্তু তাদের থামাও ৪০৪৯ , কারণ তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে ;
৪০৪৯। এখানের দৃশ্যটি হচ্ছে বিচার শেষের দৃশ্য। পৃথিবীতে বিচার কার্যের সময়ে অপরাধীকে বা অপরাধীর উকিলকে ‘কারণ দর্শাও ‘ মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করা হয় যে কেন তাকে শাস্তি দান করা হবে না। এখানেও শেষ বিচারের দিনে যারা অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবে, তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে যে তারা কারও কাছ থেকে শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সাহায্যের অনুরোধ করতে পারে কি না। যারা পাপের পথকে প্রদর্শন করেছিলো তাদের প্রতি ইঙ্গিত করা হবে।
আয়াতঃ 037.025
তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছ না?
“‘What is the matter with you that ye help not each other?’”
مَا لَكُمْ لَا تَنَاصَرُونَ
Ma lakum la tanasaroona
YUSUFALI: “‘What is the matter with you that ye help not each other?’”
PICKTHAL: What aileth you that ye help not one another?
SHAKIR: What is the matter with you that you do not help each other?
KHALIFA: “Why do you not help one another?”
২৫। ” তোমাদের কি হলো যে, তোমরা একে অপরের সাহায্য করছো না ? ” ৪০৫০
৪০৫০। কেয়ামতের দিন হবে ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্বের দিন। কারও অপরাধের বোঝা অন্য কেহ গ্রহণ করবে না ; সে যত নিকটজন বা প্রিয় হোক না কেন। কেউ কাউকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসবে না। কেউ কারও জন্য মধ্যস্ততা করার সাহস পাবে না। কেউ কাউকে সাহায্য করবে না।
আয়াতঃ 037.026
বরং তারা আজকের দিনে আত্নসমর্পণকারী।
Nay, but that day they shall submit (to Judgment);
بَلْ هُمُ الْيَوْمَ مُسْتَسْلِمُونَ
Bal humu alyawma mustaslimoona
YUSUFALI: Nay, but that day they shall submit (to Judgment);
PICKTHAL: Nay, but this day they make full submission.
SHAKIR: Nay! on that day they shall be submissive.
KHALIFA: They will be, on that day, totally submitting.
২৬। বস্তুত সেদিন তারা [ বিচারের নিকট ] আত্মসমর্পন করবে ৪০৫১।
৪০৫১। পৃথিবীর জীবনে মানুষ অর্থ সম্পদ , ধন – ঐশ্বর্য্য , বিদ্যা-বুদ্ধি, প্রভাব-প্রতিপত্তি , ইত্যাদি বিভিন্ন বস্তুর গর্বে , অহংকারী , দাম্ভিক ও একগুঁয়ে হয়ে ওঠে। ফলে সে স্রষ্টার অস্তিত্ব অস্বীকার করে। কেয়ামত দিবসে যখন সে প্রকৃত সত্যের মুখোমুখি হবে তখন তার সে ঔদ্ধত্যপনা , দাম্ভিকতা ও অহংকার অন্তর্হিত হয়ে যাবে। সে সময়ে , যারা পৃথিবীতে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করেছিলো সেই সব নেতাদের, তাদের অনুসারীরা অভিযুক্ত করবে। এ সব ভুল পথের নেতাদের চিত্র ফেরাউনের উদাহরণের মাধ্যমে আয়াত [ ২০ : ৭৯ ] তুলে ধরা হয়েছে। বস্তুত সেদিন সকলেই আল্লাহ্র শক্তির নিকট আত্মসমর্পন করবে।
আয়াতঃ 037.027
তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
And they will turn to one another, and question one another.
وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ يَتَسَاءلُونَ
Waaqbala baAAduhum AAala baAAdin yatasaaloona
YUSUFALI: And they will turn to one another, and question one another.
PICKTHAL: And some of them draw near unto others, mutually questioning.
SHAKIR: And some of them shall advance towards others, questioning each other.
KHALIFA: They will come to each other, questioning and blaming one another.
২৭। এবং তারা পরস্পরের দিকে ফিরে পরস্পরকে প্রশ্ন করবে ; –
২৮। এবং বলবে ,” তোমরা তো [ ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের ] ডান হাত থেকে আমাদের নিকট আসতে ৪০৫২।
৪০৫২। এখানে আয়াত [ ৩৭ : ২৭ ] পর্যন্ত দুদল লোকের মধ্যে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এরা দুদলই পৃথিবীতে ছিলো অবিশ্বাসী ও পাপী। একদল ছিলো নেতা। অন্যদল ছিলো যারা দুর্বল শ্রেণীর তারা তাদের অনুসরণ করতো। পৃথিবীতে এসব ভ্রান্ত পথের নেতারা তাদের ক্ষমতা ,শক্তি ও প্রভাব প্রতিপত্তি ব্যবহার করতো মানুষকে প্রভাবিত করে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য। আল্লাহ্র দেয়া এসব প্রভাব, প্রতিপত্তি, ক্ষমতাকে তারা সঠিক পথে ব্যবহারের পরিবর্তে মন্দ কাজে , পাপের পথে ব্যবহার করতো। মানুষকে বিপথে পরিচালিত করতো। এটা তারা করতো, কারণ এর দ্বারা তারা জাগতিক ভাবে সুবিধা লাভে সক্ষম হতো। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তারা সাধারণ মানুষকে অমঙ্গলের রাস্তায় , অকল্যাণের পথে পরিচালিত করতো।