فَاسْتَفْتِهِمْ أَهُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَم مَّنْ خَلَقْنَا إِنَّا خَلَقْنَاهُم مِّن طِينٍ لَّازِبٍ
Faistaftihim ahum ashaddu khalqan am man khalaqna inna khalaqnahum min teenin lazibin
YUSUFALI: Just ask their opinion: are they the more difficult to create, or the (other) beings We have created? Them have We created out of a sticky clay!
PICKTHAL: Then ask them (O Muhammad): Are they stronger as a creation, or those (others) whom we have created? Lo! We created them of plastic clay.
SHAKIR: Then ask them whether they are stronger in creation or those (others) whom We have created. Surely We created them of firm clay.
KHALIFA: Ask them, “Are they more difficult to create, or the other creations?” We created them from wet mud.
১১। তাদের মতামত শুধু জিজ্ঞাসা কর ৪০৪০। ওদের সৃষ্টি করা বেশী কঠিন না ; অন্য যা কিছু আমি সৃষ্টি করেছি [ তাদের ] ? ওদের আমি সৃষ্টি করেছি আঠালো মাটি থেকে ৪০৪১।
৪০৪০। “ওদের ” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে কাফেরদের, পাপীদের জন্য এবং যারা আল্লাহ্র করুণা ও অনুগ্রহকে অস্বীকার করে। এবং পরলোকে অবিশ্বাস করে তাদেরকেও বোঝানো হয়েছে ” ওদের ” শব্দটি দ্বারা। এ সব ব্যক্তিরা নিজেদের সর্বদা অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে থাকে – এদের অবস্থা “কলুর বলদের ” মত। নির্দ্দিষ্ট সীমার বাইরে দেখতে অক্ষম। নইলে বিশ্বের সকল সৃষ্ট পর্দাথের সৃষ্টি নৈপুন্য তার অনুভবে রেখাপাত করতো। বিশাল বিশ্ব ভূবনের পটভূমিতে নিজের নগন্যতা অনুভবে সক্ষম হতো। সামান্য মাটি থেকে সৃষ্ট হয়ে সে অহংকার ও দাম্ভিকতা প্রকাশ করতে সাহস পেতো না।
৪০৪১। দেখুন [ ৬ : ২ ] ; [ ৭ : ১২ ] ; [ ৩২ : ৭ ] প্রভৃতি।
আয়াতঃ 037.012
বরং আপনি বিস্ময় বোধ করেন আর তারা বিদ্রুপ করে।
Truly dost thou marvel, while they ridicule,
بَلْ عَجِبْتَ وَيَسْخَرُونَ
Bal AAajibta wayaskharoona
YUSUFALI: Truly dost thou marvel, while they ridicule,
PICKTHAL: Nay, but thou dost marvel when they mock
SHAKIR: Nay! you wonder while they mock,
KHALIFA: While you are awed, they mock.
১২। তুমি [ তাদের কথায় ] আশ্চর্য হচ্ছ। অথচ ওরা [ তোমার কথা নিয়ে ] ঠাট্টা বিদ্রূপ করছে ৪০৪২।
৪০৪২। রসুল [ সা ] এ সব অবিমৃষ্যকারী কাফেরদের আচরণে বিস্ময়বোধ করতেন। প্রকৃত পক্ষে এ সব অবিশ্বাসীদের আচরণ প্রকৃত পক্ষেই বিস্ময়কর কারণ তারা ভুলে যায় তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে নগন্য মৃত্তিকা থেকে। যদিও তাদের সৃষ্টি নগন্য বস্তু থেকে, কিন্তু আল্লাহ্ তাদের শেষ পরিণতির জন্য নির্ধারিত করেছেন মহত্তর উচ্চতর নিয়তি। এই আয়াতে এবং পরবর্তী আয়াতসমূহে এসব অবিশ্বাসী কাফেরদের মানসিক চিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে। এগুলি হচ্ছে :
১) তারা সত্যের শিক্ষাকে গ্রহণের পরিবর্তে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করে থাকে। [ ৩৭ : ১২ ]
২) সর্তকবাণী থেকে তারা শিক্ষালাভের পরিবর্তে , তারা এতে কর্ণপাত করে না। [৩৭ : ১৩ ]
৩) তারা যখন আল্লাহ্র নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে তাদের নিকট তা উপহাসের সামগ্রীতে পরিণত হয়। [ ৩৭ : ১৪
৪) যখন তাদের অপ্রতিরোধ্য সত্যের দিকে অঙ্গলি নির্দ্দেশ করা হয় , এবং তারা তাকে অস্বীকার করতে পারে না ফলে তারা তাকে “যাদু” আখ্যা দিয়ে থাকে। [ ৩৭ : ১৫ ] প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, যে সত্য সম্বন্ধে তারা অবহিত নয়, যা তারা অনুধাবনে অক্ষম তাকেই তারা ‘যাদু ‘ আখ্যা দান করে। যদিও সত্যের শিক্ষা মানুষের আধ্যাত্মিক জগতকে জাগরিত, প্রস্ফুটিত , এবং বিকশিত করে থাকে কিন্তু এ সব লোক তা উপলব্ধিতে অক্ষম।
আয়াতঃ 037.013
যখন তাদেরকে বোঝানো হয়, তখন তারা বোঝে না।
And, when they are admonished, pay no heed,-
وَإِذَا ذُكِّرُوا لَا يَذْكُرُونَ
Wa-itha thukkiroo la yathkuroona
YUSUFALI: And, when they are admonished, pay no heed,-
PICKTHAL: And heed not when they are reminded,
SHAKIR: And when they are reminded, they mind not,
KHALIFA: When reminded, they take no heed.
১৩। এবং যখন তাদের উপদেশ দেয়া হয়, তারা তা গ্রহণ করে না ,-
১৪। এবং যখন তারা কোন নিদর্শন দেখে , তারা তা নিয়ে উপহাস করে।
১৫। এবং বলে, ” এটা তো সুস্পষ্ট যাদু ব্যতীত কিছু নয়।”
১৬। ” কি ! যখন আমরা মরে যাব এবং ধূলি ও অস্থিতে রূপান্তরিত হব, [ তখনও ] কি আমাদের [পুণরায় ] উত্থিত করা হবে ?
১৭। ” এবং আমাদের পূর্বপুরুষদেরও ? ” ৪০৪৩
৪০৪৩। অবিশ্বাসীদের মানসিক অবস্থাকে এই আয়াতগুলির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মানুষকে আল্লাহ্ পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির করে সৃষ্টি করেছেন। দৈহিক উপাদানে যদিও সে অন্যান্য সৃষ্ট পদার্থ থেকে আলাদা নয় , কিন্তু বুদ্ধিমত্তা ও আধ্যাত্মিক জগতে, সে সকল সৃষ্ট পদার্থ থেকে শ্রেষ্ঠ। একমাত্র তাঁর জন্যই মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নির্ধারিত। মানুষের ভিতরে দুটো পরস্পর বিরোধী শক্তি কাজ করে। মাটির তৈরী নশ্বর দেহ পার্থিব বিষয়বস্তু , আরাম আয়েশের কাঙ্গাল। অপরপক্ষে মানুষের আত্মা যা পরমাত্মার অংশ, তা আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য ব্যগ্র। যখন জাগতিক বিষয়বস্তু প্রাধান্য বিস্তার করে, আত্মার বিকাশ ব্যহত হয়। সে কারণেই যারা অত্যন্ত বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন তারা পরলোকের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে থাকে। তারা অনুভবে অক্ষম যে দৈহিক মৃত্যুর পরেও তাদের অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকবে। বহু পূর্বে তাদের যে সব পূর্ব পুরুষ গত হয়েছে তাদের আবার পুণরুজ্জীবিত করা হবে। কি ভাবে তা সম্ভব ?