আয়াতঃ 037.006
নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি।
We have indeed decked the lower heaven with beauty (in) the stars,-
إِنَّا زَيَّنَّا السَّمَاء الدُّنْيَا بِزِينَةٍ الْكَوَاكِبِ
Inna zayyanna alssamaa alddunya bizeenatin alkawakibi
YUSUFALI: We have indeed decked the lower heaven with beauty (in) the stars,-
PICKTHAL: Lo! We have adorned the lowest heaven with an ornament, the planets;
SHAKIR: Surely We have adorned the nearest heaven with an adornment, the stars,
KHALIFA: We have adorned the lowest heaven with adorning planets.
০৬। নিশ্চয় আমি নিম্নতম আকাশকে ৪০৩৫ , নক্ষত্ররাজির সৌন্দর্য দ্বারা সুশোভিত করেছি ৪০৩৬ –
৪০৩৫। অনুরূপ আয়াত দেখুন [ ৬৭ : ৫ ] এবং [ ৭২ : ৮-৯ ]। ” নিম্নতম আকাশ ” – বাক্যটি দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে আকাশের বিভিন্ন স্তরকে। মহাশূন্যে আকাশের সীমানা মানুষের জ্ঞানের সীমার বাইরে। বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ‘হাবেল’ টেলিস্কোপ স্থাপন করেছেন পৃথিবীর বাইরে,যার সাহায্যে তারা নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন সপ্ত আকাশের সীমা রেখা নির্ধারণের। অসীম আকাশের পৃথিবীর নিকটবর্তী যে অংশ তারই বর্ণনা দেয়া হয়েছে এই আয়াতে।
এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে কোরাণ অবতীর্ণ হয়েছে আজ থেকে চৌদ্দশত বৎসর পূর্বে যখন মহাশূন্য সম্বন্ধে মানুষের ধারণা ছিলো খুবই সীমাবদ্ধ। এমন কি সৌর মন্ডল সম্বন্ধেও মানুষের প্রকৃত ধারণা ছিলো না।
৪০৩৬। তারকাশোভিত রাতের অনন্ত আকাশ প্রতিটি মানুষকে মুগ্ধ করে। এই তারকারাজির মধ্যে শ্রেণীবিভাগ বর্তমান। নক্ষত্ররাজি শব্দটি দ্বারা গ্রহ, নক্ষত্র , ধূমকেতু , উল্কাপিন্ড, ইত্যাদি , রাতের আকাশের সকল বস্তুকে নির্দ্দেশ করা হয়েছে। নির্মেঘ রাতের আকাশের এ সব বস্তুর সৌন্দর্য্য প্রবাদতুল্য। এই আয়াতে দুইটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে :
১) নক্ষত্র রাজির অপূর্ব সৌন্দর্য এবং তাদের সমষ্টিগত ভাবে ছায়াপথে অবস্থান ও পৃথিবী থেকে দ্রষ্টব্য তাদের চলমান গতি প্রভৃতি সব কিছুই নির্দ্দেশ করে স্রষ্টা এক এবং এসব বস্তু তাঁর প্রণীত একই আইনের আওতায় সমন্বিত শৃঙ্খলার সাথে অনন্ত আকাশে অবস্থান করছে।
এখানে শুধু এটুকুই বলা উদ্দেশ্য যে, এই তারকাশোভিত আকাশ সাক্ষ্য দেয় যে , এগুলি আপনা আপনি অস্তিত্ব লাভ করে নাই , বরং একজন স্রষ্টা এগুলি সৃষ্টি করেছেন ; যে সত্ত্বা এ সব বস্তুকে অস্তিত্ব দান করতে সক্ষম তার কোন শরীক বা অংশীদার প্রয়োজন নাই। অর্থাৎ নভোমন্ডলের সকল কিছু স্রষ্টার একত্ব ঘোষণা করে তাঁর সমন্বিত আইন দ্বারা শৃঙ্খলার দ্বারা পরিচালিত হয়ে। এবং এ সকল নক্ষত্ররাজির অলক্ষ্যে যে শক্তি ও মহিমা কাজ করে তা শয়তানের প্রবল আক্রমণ থেকে প্রহরী স্বরূপ পৃথিবীকে রক্ষা করে। [দেখুন পরবর্তী আয়াত নং ৭ ]।
আয়াতঃ 037.007
এবং তাকে সংরক্ষিত করেছি প্রত্যেক অবাধ্য শয়তান থেকে।
(For beauty) and for guard against all obstinate rebellious evil spirits,
وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَانٍ مَّارِدٍ
Wahifthan min kulli shaytanin maridin
YUSUFALI: (For beauty) and for guard against all obstinate rebellious evil spirits,
PICKTHAL: With security from every froward devil.
SHAKIR: And (there is) a safeguard against every rebellious Shaitan.
KHALIFA: We guarded it from every evil devil.
০৭। এবং প্রত্যেক অবাধ্য , বিদ্রোহী শয়তান থেকে রক্ষা করেছি , ৪০৩৭
৪০৩৭। [ ৭ – ১১ ] আয়াত সমূহ জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের নির্দ্দেশ দান করে। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ১৭ – ১৮ ] এবং টিকা ১৯৫১- ৫৩। অনন্ত নভোমন্ডল যে শুধুমাত্র আল্লাহ্র ক্ষমতা ও শিল্পসত্ত্বার সাক্ষর বহন করে তাই নয় ; পৃথিবীকে শয়তানের প্রবল আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য সকল দিক থেকে তাকে সুরক্ষিত করেছেন নভোমন্ডল সৃষ্টির মাধ্যমে। শয়তান কোনও স্বর্গীয় বস্তু নয়। সে আইন অমান্যকারী , অবাধ্য, বিদ্রোহী – সুতারাং আল্লাহ্র বলেছেন, ” রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান থেকে” এবং ” তাদের বিতারণের জন্য আছে চিরস্থায়ী শাস্তি।” [ আয়াত ৭-৯ ]
আকাশ মন্ডলী , তারকারাজি ও উল্কাপিন্ডের আলোচনার উদ্দেশ্য আল্লাহ্র একত্ববাদ প্রমাণ করা। যে সত্ত্বা এই সুবিশাল নক্ষত্ররাজি প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনিই এবাদত ও উপাসনার যোগ্য। দ্বিতীয়ত : শয়তানের শক্তিকে উপাস্য ধারণা করার কোনও কারণ নাই , কারণ শয়তান বিতাড়িত ও পরাভূত সৃষ্ট জীব।
আয়াতঃ 037.008
ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষেপ করা হয়।
(So) they should not strain their ears in the direction of the Exalted Assembly but be cast away from every side,
لَا يَسَّمَّعُونَ إِلَى الْمَلَإِ الْأَعْلَى وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ
La yassammaAAoona ila almala-i al-aAAla wayuqthafoona min kulli janibin