আয়াতঃ 037.035
তাদের যখন বলা হত, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য েনই, তখন তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করত।
For they, when they were told that there is no god except Allah, would puff themselves up with Pride,
إِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا قِيلَ لَهُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَسْتَكْبِرُونَ
Innahum kanoo itha qeela lahum la ilaha illa Allahu yastakbiroona
YUSUFALI: For they, when they were told that there is no god except Allah, would puff themselves up with Pride,
PICKTHAL: For when it was said unto them, There is no Allah save Allah, they were scornful
SHAKIR: Surely they used to behave proudly when it was said to them: There is no god but Allah;
KHALIFA: When they were told, “Laa Elaaha Ella Allah [There is no other god beside GOD],” they turned arrogant.
৩৩। ওরা সকলেই সে দিন শাস্তির শরীক হবে।
৩৪। পাপীদের সাথে আমি এভাবেই ব্যবহার করবো।
৩৫। কারণ,তাদের যখন বলা হয়েছিলো , আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই , তখন তারা অহংকারে স্ফীত হয়ে পড়েছিলো ৪০৫৬।
৪০৫৬। স্বার্থপরতা ও অহংকার এই দুটো অত্যন্ত খারাপ দোষ যা মানুষকে পথভ্রান্ত করে ও শেষ পরিণতিতে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। স্বার্থপরতা ও অহংকার সকল পাপের ও খোদাদ্রোহীতার মূল বা উৎপত্তিস্থল। শয়তান [ ২ : ৩৪ ] ও ফেরাউন [ ২৮ : ৩৯ ] প্রভৃতির উদাহরণের মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের এই পৃথিবীর জীবনেও সাধারণ মানুষ পাপের অতলে নিজজ্জিত হয় শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থের কারণে। আর অহংকার থেকে উৎপন্ন হয় উদ্ধত-গর্বিত আচরণ , যা মানুষকে চারিত্রিক দোষত্রুটি অনুধাবনে বাঁধার সৃষ্টি করে ; ফলে সে নিজেকে সংশোধনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকে।
মানুষের এই অহংকারের প্রকাশ বিভিন্নভাবে ঘটে থাকে। যেমন : বংশগৌরব বা পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য সম্বন্ধে গর্ব ; বা নিজেকে জনগণের নেতা মনে করা, জাতিগত অহংকার অথবা নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবার প্রবণতা ইত্যাদি। নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবার প্রবণতার অনেক প্রকারভেদ আছে – কিন্তু বাংলাদেশীদের জাতীয় জীবনে সাধারণ ভাবে যে অহংবোধ কাজ করে থাকে তা হচ্ছে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবার প্রবণতা। বুদ্ধিমান ভাবার মধ্যে দোষের কিছু নাই, কিন্তু তখনই তা পাপে পরিণত হয় ,যখন সে কৌশলের মাধ্যমে অন্যের প্রতি অবিচার করে এবং সে সম্বন্ধে গর্ব ও আত্মতৃপ্তি প্রকাশ করে থাকে। অহংকারের এই বিকৃত প্রকাশ মানুষকে উদ্ধত ও গর্বিত করে ফেলে এবং চরিত্র থেকে ‘বিনয়’ অপসারিত হয়। যার ফলে আল্লাহ্র ও ব্যক্তির আত্মার মাঝে দুস্তর ব্যবধান রচিত হয়। যদি মানুষ আল্লাহ্র একত্ব আত্মার মাঝে অনুভব করতো , এবং উপলব্ধি করতো যে সকল সফলতা আল্লাহ্র দান, সেখানে নিজস্ব কৃতিত্বের কোনও স্থান নাই, এই অনুভব তাকে অহংকার ও স্বার্থপরতা থেকে বিরত রাখতো। ক্ষণস্থায়ী এই পার্থিব জীবনে আল্লাহ্-ই একমাত্র সত্য, এই অনুধাবন পাপ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম। কিন্তু যখন মানুষ আল্লাহ্র একত্ব থেকে বিচ্যুত হয়ে ,বিভিন্ন উপাস্য যেমন – রত্ন পাথর , পীর , মাজার , রাশি চক্র ইত্যাদির সাহায্য গ্রহণ করে, তখন তার আধ্যাত্মিক জীবন পাপের অন্ধকারে ঢেকে যায়। কারণ এ সব মিথ্যা উপাস্য পাপের প্রতিনিধি স্বরূপ, যা ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাদের পক্ষে তখন এসব উপাস্য ত্যাগ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। আল্লাহ্র একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করা এদের পক্ষে সম্ভব হয় না এবং তা নিয়ে তারা গর্ব প্রকাশ করে থাকে, এরূপ ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ্র করুণা ও দয়া তাদের রক্ষা করতে পারে , আর কেউ না।
আয়াতঃ 037.036
এবং বলত, আমরা কি এক উম্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব।
And say: “What! shall we give up our gods for the sake of a Poet possessed?”
وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُوا آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُونٍ
Wayaqooloona a-inna latarikoo alihatina lishaAAirin majnoonin
YUSUFALI: And say: “What! shall we give up our gods for the sake of a Poet possessed?”
PICKTHAL: And said: Shall we forsake our gods for a mad poet?
SHAKIR: And to say: What! shall we indeed give up our gods for the sake of a mad poet?
KHALIFA: They said, “Shall we leave our gods for the sake of a crazy poet?”
৩৬। এবং বলে, ” কি ! আমরা কি একজন উন্মাদ কবির কথায় আমাদের উপাস্যদের ত্যাগ করবো ? ” ৪০৫৭
৪০৫৭। রাসুলের [ সা ] জীবনের মাধ্যমে এ সব উদ্ধত অহংকারী লোকেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরা হয়েছে। ইসলাম প্রচারের প্রথম যুগে, বহু উপাস্যের উপাসনাকারী এ সব পাপিষ্ঠরা রসুলকে [ সা] উম্মাদ কবিরূপে আখ্যায়িত করতো। সত্যের আবেদন তাদের নিকট ছিলো অরুচিকর , কারণ তা ছিলো তাদের ব্যক্তি স্বার্থের বিরোধী। আজও এত যুগ পরে , স্বার্থপর ও অহংকারী ব্যক্তিদের এই মানসিকতার কোনও পরিবর্তন ঘটে নাই।