১৪। যদি [নগরীর ] চতুর্দ্দিক থেকে তাদের বিরুদ্ধে শত্রুদের প্রবেশ ঘটতো, অতঃপর তাদের বিদ্রোহের জন্য প্ররোচিত করা হতো, তবে তারা কিছুমাত্র বিলম্ব না করেই তা [ বিদ্রোহ ] করতো ৩৬৮৫।
৩৬৮৫। যুদ্ধের আসল ধাক্কা ছিলো নগরীর উত্তর প্রান্তে। কিন্তু সম্পূর্ণ পরিখাকে প্রহরী দ্বারা সুরক্ষিত করে রাখা হয়। দুই এক স্থানে শত্রুপক্ষ মুসলমানদের বুহ্য ভেদ করে নগরীতে ঢোকার চেষ্টা করে , কিন্তু তাদের প্রতিহত করা হয়। হযরত আলী বহু যুদ্ধে নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করেন। আল্লাহ্র নবীর বর্ম ও তরবারী নিয়ে হযরত আলী এই যুদ্ধে অবতরণ করেন। সিংহের ন্যায় তিনি নগরীকে রক্ষা করেন, এই আয়াতে মোনাফেকদের ; অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। যদিও তারা পরিখা অবরোধের দ্বারা কোনও রূপ ক্ষতিগ্রস্থ হয় নাই, তবুও শত্রুরা যদি মুসলমানদের বুহ্য ভেদ করে নগরীতে ঢুকতে সক্ষম হতো , তবে তারাই হতো প্রথম ব্যক্তি যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাত অস্ত্র ধারণ করতো। এমন কি বর্ম পরিধান করতে যেটুকু সময়ের প্রয়োজন, সেটুকুও তারা নষ্ট করতো না।
আয়াতঃ 033.015
অথচ তারা পূর্বে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছিল যে, তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে না। আল্লাহর অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।
And indeed they had already made a covenant with Allâh not to turn their backs, and a covenant with Allâh must be answered for.
وَلَقَدْ كَانُوا عَاهَدُوا اللَّهَ مِن قَبْلُ لَا يُوَلُّونَ الْأَدْبَارَ وَكَانَ عَهْدُ اللَّهِ مَسْؤُولًا
Walaqad kanoo AAahadoo Allaha min qablu la yuwalloona al-adbara wakana AAahdu Allahi mas-oolan
YUSUFALI: And yet they had already covenanted with Allah not to turn their backs, and a covenant with Allah must (surely) be answered for.
PICKTHAL: And verily they had already sworn unto Allah that they would not turn their backs (to the foe). An oath to Allah must be answered for.
SHAKIR: And certainly they had made a covenant with Allah before, that) they would not turn (their) backs; and Allah’s covenant shall be inquired of.
KHALIFA: They had pledged to GOD in the past that they would not turn around and flee; making a pledge with GOD involves a great responsibility.
১৫। অথচ, উহারা পূর্বেই আল্লাহ্র সাথে অংগীকার করেছিলো যে, উহারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে না। আল্লাহ্র সাথে কৃত অংগীকার সম্বন্ধে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হবে ৩৬৮৬।
৩৬৮৬। ওহদের যুদ্ধের সময়ে যারা যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করেছিলো , যুদ্ধের পরে তাদের শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা করা হয়। তারা প্রতিজ্ঞা করে যে পরবর্তীতে তার অবশ্যই ভালো কাজ প্রদর্শন করবে। তাদের এই প্রতিজ্ঞা ছিলো আল্লাহ্র নবীর সাথে , যা আল্লাহ্র সাথে প্রতিজ্ঞার নামান্তর। এই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করা শাস্তি ব্যতিরেকে অব্যহতি পাওয়া সম্ভব নয়।
আয়াতঃ 033.016
বলুন! তোমরা যদি মৃত্যু অথবা হত্যা থেকে পলায়ন কর, তবে এ পলায়ন তোমাদের কাজে আসবে না। তখন তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে।
Say (O Muhammad SAW to these hypocrites who ask your permission to run away from you): ”Flight will not avail you if you flee from death or killing, and then you will enjoy no more than a little while!”
قُل لَّن يَنفَعَكُمُ الْفِرَارُ إِن فَرَرْتُم مِّنَ الْمَوْتِ أَوِ الْقَتْلِ وَإِذًا لَّا تُمَتَّعُونَ إِلَّا قَلِيلًا
Qul lan yanfaAAakumu alfiraru in farartum mina almawti awi alqatli wa-ithan la tumattaAAoona illa qaleelan
YUSUFALI: Say: “Running away will not profit you if ye are running away from death or slaughter; and even if (ye do escape), no more than a brief (respite) will ye be allowed to enjoy!”
PICKTHAL: Say: Flight will not avail you if ye flee from death or killing, and then ye dwell in comfort but a little while.
SHAKIR: Say: Flight shall not do you any good if you fly from death or slaughter, and in that case you will not be allowed to enjoy yourselves but a little.
KHALIFA: Say, “If you flee, you can never flee from death or from being killed. No matter what happens, you only live a short while longer.”
১৬। বল, ” যদি তোমরা মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে পলায়ন কর, তবে [ পলায়ন ] তোমাদের কোন উপকারে আসবে না। [সেক্ষেত্রে ] অতি অল্প সময়ের [ অবকাশ ] তোমাদের উপভোগ করতে দেয়া হবে ৩৬৮৭।
৩৬৮৭। কাপুরুষতা কখনও মৃত্যুকে প্রতিহত বা এড়াতে পারে না। যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়নের ফলে সে মিত্র ও শত্রু উভয়েরই রোষের পাত্রে পরিণতত হয়। মিত্ররা তার উপরে হয় ক্রুদ্ধ ও বিরক্ত , শত্রুরা তাকে বিশ্বাস করে না। যদি সে মনে করে যে, কাপুরুষতা ও পলায়ন তাকে মৃত্যু থেকে রেহাই দেবে, তবে সে মহা মূর্খ। কারণ মৃত্যুকে কেহই এড়াতে পারে না। বরং তার জীবনে কাপুরুষতার উপাধি স্থায়ীভাবে আসন লাভ করে এবং সে স্বজনদের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়। কাপুরুষের জীবনের পরিণতি হচ্ছে কলঙ্ক। জীবনে সে কলঙ্ক মোচন করা অসাধ্য।