হাদিস নম্বরঃ ৬২১৪ | 6214 | ٦۲۱٤
পরিচ্ছদঃ ২৭৬৩. কসম করে ভুলবশত যখন কসম ভঙ্গ করে। এবং আল্লাহর বাণীঃ এ ব্যাপারে তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই (৩৩ঃ ৫) এবং আল্লাহর বাণীঃ আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না (১৮ঃ ৭৩)
৬২১৪। ইউসুফ ইবনু মূসা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে সায়িম ভুলক্রমে কিছু আহার করে সে যেন তার সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পূর্ন করে। কেননা, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৬২১৫ | 6215 | ٦۲۱۵
পরিচ্ছদঃ ২৭৬৩. কসম করে ভুলবশত যখন কসম ভঙ্গ করে। এবং আল্লাহর বাণীঃ এ ব্যাপারে তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই (৩৩ঃ ৫) এবং আল্লাহর বাণীঃ আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না (১৮ঃ ৭৩)
৬২১৫। আদম ইবনু আবু ইয়াস (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু বুহায়না (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। প্রথম দু’রাকাআতের পর না বসে তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। এভাবেই সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে থাকলেন। সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করলে লোকেরা তার সালামের অপেক্ষা করছিল। তিনি আল্লাহু আকবার বলে সালামের পূর্বে সিজদা করলেন। এরপর মাথা উত্তলোন করলেন। আবার আল্লাহু আকবার বলে সিজদা করলেন। এরপর আবার মাথা উত্তোলন করলেন এবং সালাম ফিরালেন।
হাদিস নম্বরঃ ৬২১৬ | 6216 | ٦۲۱٦
পরিচ্ছদঃ ২৭৬৩. কসম করে ভুলবশত যখন কসম ভঙ্গ করে। এবং আল্লাহর বাণীঃ এ ব্যাপারে তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই (৩৩ঃ ৫) এবং আল্লাহর বাণীঃ আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না (১৮ঃ ৭৩)
৬২১৬। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা তাদের নিয়ে যোহরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তিনি সালাতে কিছু অধিক করলেন অথবা কিছু কম করলেন। মানসুর বলেন, এই কম-বেশির ব্যাপারে সন্দেহ ইবরাহীমের না আলকামার তা আমার জানা নেই। রাবী বলেন আরয করা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সালাত (নামায/নামাজ) এর মাঝে কি কিছু কমিয়ে দেয়া হয়েছে না আপনি ভুলে গিয়েছেন? তিনি বললেনঃ কি হয়েছে? সাহাবাগণ বললেনঃ আপনি এভাবে এভাবে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। রাবী বলেন, তখন তিনি তাদেরকে নিয়ে দুটি সিজদা করেন। এরপর বললেন, এ দুটি সিজদা ঐ ব্যাক্তির জন্য যার স্মরণ নেই যে, সালাতে সে কি বেশি কিছু করেছে, না কম করেছে। এমন অবস্থায় সে চিন্তা করবে (প্রবল ধারণার ভিত্তিতে আমল করবে)। আর যা বাকি থাকবে তা পুরা করে নেবে! এরপর দু টি সিজদা আদায় করবে।
হাদিস নম্বরঃ ৬২১৭ | 6217 | ٦۲۱۷
পরিচ্ছদঃ ২৭৬৩. কসম করে ভুলবশত যখন কসম ভঙ্গ করে। এবং আল্লাহর বাণীঃ এ ব্যাপারে তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই (৩৩ঃ ৫) এবং আল্লাহর বাণীঃ আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না (১৮ঃ ৭৩)
৬২১৭। আল হুমায়দী (রহঃ) … উবাই ইবনু কাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আল্লাহর বাণীঃ لاَ تُؤَاخِذْنِي بِمَا نَسِيتُ وَلاَ تُرْهِقْنِي مِنْ أَمْرِي عُسْرًا (মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না ও আমার ব্যাপারে অত্যাধিক কঠোরতা অবলম্বন করবেন না।) সম্পর্কে শুনেছেন। তিনি বলেছেনঃ মূসা (আলাইহিস সালাম) এর প্রথমবারের (প্রশ্ন উত্থাপনটা) ভুলবশত হয়েছিল।
আবূ আবদুল্লাহ ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কাছে মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার … শাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন যে, বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) এর নিকট কয়েকজন অতিথি ছিল। তিনি তাঁর পরিবার-পরিজনকে তাদের জন্য সালাত (নামায/নামাজ) থেকে প্রত্যাবর্তন করার পুর্বে কিছু যবেহ করতে হুকুম করলেন, যেন ফিরে এসেই তাঁরা আহার করতে পারেন। তখন পরিবারের লোকেরা সালাত (নামায/নামাজ) থেকে প্রত্যাবর্তনের পুর্বেই (কুরবানীর পশু) যবেহ করলেন।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে লোকেরা এ সম্পর্কে বর্ণনা করল। তিনি পুনরায় যবেহ করার জন্য হুকুম করলেন। বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার কাছে এমন একটি বকরীর বাচ্চা আছে যা দুটি বড় বকরীর গোশতের চেয়েও উত্তম।
ইবনু আউন শাবীর মাধ্যমে বর্ণনা করতে গিয়ে এ স্থানটিতে থেমে যেতেন। তিনি মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে এর অনুরূপ বর্ণনা করতেন এবং এ স্থানে থেমে যেতেন। আর বলতেন, আমার জানা নেই তিনি ছাড়া অন্য কারও জন্য তদ্রূপ অনুমতি আছে কিনা? আইউব (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৬২১৮ | 6218 | ٦۲۱۸
পরিচ্ছদঃ ২৭৬৩. কসম করে ভুলবশত যখন কসম ভঙ্গ করে। এবং আল্লাহর বাণীঃ এ ব্যাপারে তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই (৩৩ঃ ৫) এবং আল্লাহর বাণীঃ আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না (১৮ঃ ৭৩)
৬২১৮। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) … জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি (এক ঈদের দিন) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি (সালাত (নামায/নামাজ) শেষে) খুতবা প্রদান করলেন। এরপর বললেনঃ যে ব্যাক্তি (সালাত (নামায/নামাজ) এর পূর্বেই) যবেহ করে ফেলেছে তার উচিত যেন তার পরিবর্তে আরেকটি যবেহ করে নেয়। আর যে এখনও যবেহ করেনি সে যেন আল্লাহর নাম নিয়ে যবেহ করে।