হাদিস নম্বরঃ ৬১৬৩ | 6163 | ٦۱٦۳
পরিচ্ছদঃ ২৭৪৬. যে ব্যক্তি হতভাগ্যের গহীন গর্ত ও মন্দ তাকদীর থেকে আল্লাহ তা’আলার কাছে আশ্রয় চায়। এবং (মহান আল্লাহর) বাণীঃ বল, আমি শরণ লইতেছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে।
৬১৬৩। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ তোমরা ভয়াবহ বিপদ, হতভাগ্যের অতল গহবর, মন্দ তাকদীর এবং শত্রুর আনন্দ প্রকাশ থেকে আল্লাহ তা’আলার কাছে আশ্রয় প্রর্থনা কর।
হাদিস নম্বরঃ ৬১৬৪ | 6164 | ٦۱٦٤
পরিচ্ছদঃ ২৭৪৭. (আল্লাহ তা’আলা) মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে যান
৬১৬৪। মুহাম্মাদ ইবনু মুকাতিল আবুল হাসান (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ সময় এইরূপ শপথ করতেনঃ শপথ অন্তর সমূহের পরিবর্তনকারী (আল্লাহর)।
হাদিস নম্বরঃ ৬১৬৫ | 6165 | ٦۱٦۵
পরিচ্ছদঃ ২৭৪৭. (আল্লাহ তা’আলা) মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে যান
৬১৬৫। আলী ইবনু হাফস ও বিশর ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সইয়্যাদকে একদা বললেনঃ আমি (একটি কথা আমার অন্তকরণে) তোমার জন্য গোপন রেখেছি। সে বললো, তা হচ্ছে (কল্পনার) ধুম্রজাল মাত্র। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ চুপ কর, তুমি তো তোমার তাকদীরকে কখনও অতিক্রম করতে পারবে না। এতদশ্রবণে উমর (রাঃ) বললেন, আমাকে অনুমতি দিন আমি তার মুণ্ডপাত করে দেই। তিনি বললেনঃ রাখ একে, এ যদি তাই হয় তবে তুমি তার ওপর (এ কাজে) সক্ষম হবে না। আর যদি তা না হয় তাহলে তাকে হত্যা করার মাঝে তোমার জন্য কোন কল্যাণ নেই।
হাদিস নম্বরঃ ৬১৬৬ | 6166 | ٦۱٦٦
পরিচ্ছদঃ ২৭৪৮. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) বল, আমাদের জন্য আল্লাহ যা নির্দিষ্ট করেছেন তা ছাড়া আমাদের কিছুই হবে না। كَتَبَ নির্দিষ্ট করেছেন। মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন, بِفَاتِنِينَ যারা পথভ্রষ্ট হয়, হ্যাঁ যার সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা লিখে দিয়েছেন যে, সে জাহান্নামে যাবে। قَدَّرَ فَهَدَى বদবখ্তি এবং নেকবখ্তি নির্দিষ্ট করেছেন। জন্তুকে চারণভূমি পর্যন্ত পৌঁছানো।
৬১৬৬। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল হানযালী (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্লেগ রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেনঃ এটা হচ্ছে আল্লাহর এক আযাব। আল্লাহ তা’আলা যাকে ইচ্ছা তার ওপরই প্রেরণ করেন। আল্লাহ তাআলা এটা মুসলমানের জন্য রহমাতে পরিণত করেছেন। প্লেগাক্রান্ত শহরে কোন বান্দা যদি ধৈর্যধারণ করে এ বিশ্বাস নিয়ে সেখানেই অবস্থান করে, তা থেকে বের না হয়। আল্লাহ তাআলা তার জন্য যা ভাগ্যে লিখেছেন তা ব্যতীত কিছুই তাকে স্পর্শ করবে না, তাহলে সে শহীদের সাওয়াব লাভ করবে।
হাদিস নম্বরঃ ৬১৬৭ | 6167 | ٦۱٦۷
পরিচ্ছদঃ ২৭৪৯. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আল্লাহ আমাদের পথ না দেখালে আমরা কখনও পথ পেতাম না (৭ঃ ৪৩) (আরও ইরশাদ হল) আল্লাহ আমাকে পথ প্রদর্শন করলে আমি তো অবশ্যই মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম (৪৯ঃ ৫৭)
৬১৬৭। আবূ নু’মান (রহঃ) … বারআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি খন্দকের যুদ্ধের দিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখেছি, তিনি আমাদের সঙ্গে মাটি বহন করেছেন এবং বলছেনঃ আল্লাহর কসম! তিনি যদি আমাদেরকে হেদায়েত না করতেন তবে আমরা হেদায়েত পেতাম না। সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতাম না আর সালাত (নামায/নামাজ)ও আদায় করতাম না। সুতরাং (প্রভু হে) আমাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করুন আর শত্রুর মুকাবিলায় আমাদেরকে সুদৃঢ় রাখুন। মুশরিকরা আমাদের উপর অত্যাচার করেছে। তারাই আমাদের উপর ফিতনা (যুদ্ধ) চাপিয়ে দিতে চেয়েছে কিন্তু আমরা তা চাইনি।
হাদিস নম্বরঃ ৬১৬৮ | 6168 | ٦۱٦۸
পরিচ্ছদঃ আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে দায়ী করবেন না, কিন্তু যে সব শপথ তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে দৃঢ় কর … তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা পর্যন্ত
৬১৬৮। মুহাম্মাদ ইবনু মূকাতিল আবূল হাসান (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ বকর (রাঃ) কখনও কসম ভঙ্গ করেননি, যতক্ষন না আল্লাহ তা’আলা কসমের কাফফারা সংক্রান্ত আয়াত নাযিল করেন। তিনি বলতেন আমি যেকোন ব্যাপারে কসম করি। এরপর যদি এর চেয়ে উত্তমটি দেখতে পাই তবে উত্তমটিই করি এবং আমার কসম ভজের জন্য কাফফারা আদায় করে দেই।
হাদিস নম্বরঃ ৬১৬৯ | 6169 | ٦۱٦۹
পরিচ্ছদঃ আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে দায়ী করবেন না, কিন্তু যে সব শপথ তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে দৃঢ় কর … তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা পর্যন্ত
৬১৬৯। আবূ নুমান মুহাম্মাদ ইবনু ফাযল (রহঃ) … আবদুর রহমান ইবনু সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবদুর রহমান ইবনু সামুরা! তুমি নেতৃত্ব চেয়ো না। কেননা, চাওয়ার পর যদি নেতৃত্ব পাও তবে এর দিকে তোমাকে সোপর্দ করে দেয়া হবে। আর যদি না চেয়ে তা পাও তবে তোমাকে এর জন্য সাহায্য করা হবে। কোন কিছুর ব্যাপারে যদি কসম কর আর তা ব্যতীত অন্য কিছুর মাঝে কল্যাণ দেখতে পাও তবে স্বীয় কসমের কাফফারা আদায় করে তার চেযে উত্তমটি অবলম্বন কর।