হাদিস নম্বরঃ ৬১৫৮ | 6158 | ٦۱۵۸
পরিচ্ছদঃ ২৭৪১. নিষ্পাপ সে-ই আল্লাহ যাকে রক্ষা করেন। عَاصِمٌ অর্থ প্রতিরোধকারী। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, سُدًا عَنِ الْحَقِّ গোমরাহীতে বিমত্ত হওয়া, دَسَّاهَا তাকে গোমরাহ করেছে।
৬১৫৮। আবদান (রহঃ) … আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে কোন লোককেই খলীফা বানানো হয় তার জন্য দুটি গুপ্তচর থাকে। একটা তো তাকে সৎকর্মের আদেশ করে এবং এর প্রতি তাকে উৎসাহিত করে। আরেকটা তাকে মন্দ কর্মের আদেশ করে এবং এর প্রতি তাকে প্ররোচিত করে। আর নিস্পাপ সেই ব্যাক্তি যাকে আল্লাহ তা’আলা রক্ষা করেন।
হাদিস নম্বরঃ ৬১৫৯ | 6159 | ٦۱۵۹
পরিচ্ছদঃ ২৭৪২. আল্লাহর বাণীঃ যে জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি তার সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তার অধিবাসীবৃন্দ ফিরে আসবে না (২১ঃ ৯৫)। আল্লাহর বাণীঃ যারা ঈমান এনেছে তারা ছাড়া তোমার সম্প্রদায়ের অন্য কেউ কখনও ঈমান আনবে না (১১ঃ ৩৬)। আল্লাহর বাণীঃ তারা জন্ম দিতে থাকবে কেবল দুষ্কৃতিকারী ও কাফের (৭১ঃ ২৭)। মানসুর ইবন নো’মান … ইবন আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাবশী ভাষায় حرم অর্থ জরুরী হওয়া
৬১৫৯। মাহমুদ ইবনু গায়লান (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ছোট গুনাহ সম্পর্কে যা বলেছেন তার চেয়ে যথাযথ উপমা আমি দেখি না। (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ) আল্লাহ আদম সন্তানের উপর যিনার কোন না কোন হিসসা লিখে দিয়েছেন; তা সে অবশ্যই পাবে। সুতরাং চোখের যিনা হল (নিষিদ্ধদের প্রতি) নযর করা এবং জিহ্বার যিনা হল (যিনা সম্পর্কে) বলা। মন তার আকাঙ্ক্ষা ও কামনা করে, লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবায়িত করে অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। শাবাবা (রহঃ)ও … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৬১৬০ | 6160 | ٦۱٦۰
পরিচ্ছদঃ ২৭৪৩. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আমি যে দৃশ্য তোমাকে দেখাচ্ছি তা কেবল মানুষের পরিক্ষার জন্য (১৭ঃ ৬০)
৬১৬০। হুমাইদী (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلاَّ فِتْنَةً لِلنَّاسِ (আয়াতের ব্যাখ্যায়) তিনি বলেনঃ তা হচ্ছে চোখের দেখা। যে রজনীতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণ করানো হয়েছিল, সে রজনীতে তাকে যা দেখানো হয়েছিল। তিনি বলেন, কুরআন মজীদে উল্লিখিত وَالشَّجَرَةَ الْمَلْعُونَةَ দ্বারা যাককুম (যাক্কুম) বৃক্ষকে বোঝানো হয়েছে।
হাদিস নম্বরঃ ৬১৬১ | 6161 | ٦۱٦۱
পরিচ্ছদঃ ২৭৪৪. আদাম (রাঃ) ও মূসা (রাঃ) আল্লাহ তা’আলার সামনে কথা কাটাকাটি করেন
৬১৬১। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আদম ও মূসা (আলাইহিমা সালাম) (পরস্পরে) কথা কাটাকাটি করেন। মূসা (আলাইহিস সালাম) বলেনঃ হে আদম, আপনি তো আমাদের পিতা। আপনি আমাদেরকে বঞ্চিত করেছেন এবং আমাদেরকে জান্নাত থেকে বের করেছেন। আদম (আলাইহিস সালাম) মূসা (আলাইহিস সালাম) কে বললেনঃ হে মূসা! আপনাকে তো আল্লাহ তা’আলা স্বীয় কালামের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন এবং আপনার জন্য স্বীয় হাত দ্বারা লিখেছেন। অতএব আপনি কি আমাকে এমন একটি ব্যাপার নিয়ে তিরস্কার করছেন? যা আমার সৃষ্টির চল্লিশ বছর পূর্বেই আল্লাহ নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। তখন আদম (আলাইহিস সালাম) মূসা (আলাইহিস সালাম) এর উপর এই বিতর্কে জয়ী হলেন। উক্ত কথাটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার বলেছেন। সুফিয়ানও … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৬১৬২ | 6162 | ٦۱٦۲
পরিচ্ছদঃ ২৭৪৫. আল্লাহ তা’আলা যা দান করেন তা রোধ করার কেউ নেই
৬১৬২। মুহাম্মাদ ইবনু সিনান (রহঃ) … মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম ওয়াররাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা মুআবিয়া (রাঃ) মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) এর নিকট এই মর্মে চিঠি লিখলেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (নামায/নামাজ)-এর পর যা পাঠ করতেন এ সম্পর্কে তুমি যা শুনেছ আমার কাছে লিখে পাঠাও। তখন মুগীরা (রাঃ) আমাকে তা লিখে দেওয়ার দায়িত্ব দিলেন। তিনি বললেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাত (নামায/নামাজ)-এর পরে বলতে শুনেছি اَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি অদ্বিতীয়, অংশীদারবিহীন। হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা রদকারী কেউ নেই। আর তুমি যা রদ কর তার কোন দানকারীও নেই। তুমি ব্যতীত প্রচেষ্টাকারীর প্রচেষ্টাও কোন ফল বয়ে আনবে না।
ইবনু জুরায়জ আবদা থেকে বর্ণনা করেন যে, ওয়াররাদ তাকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। এরপর আমি মুআবিয়া (রাঃ) এর নিকট গিয়েছি। তখন আমি তাঁকে শুনেছি তিনি মানুষকে এ দোয়া পড়তে হুকুম দিতেন।