মুতামির (রহঃ) বলেন, আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি, তিনি আনাস (রাঃ) থেকে শুনেছেন, তিনি আবূ হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি তাঁর প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৭০৩০ | 7030 | ۷۰۳۰
পরিচ্ছদঃ ৩১৫২. নবী (সাঃ) কর্তৃক তাঁর প্রতিপালক থেকে রিওয়ায়াতের বর্ণনা
৭০৩০। আদম (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি আমলের কাফফারা রয়েছে, কিন্তু রোযা আমার জন্যই, আমি নিজেই এর প্রতিদান প্রদান করব। রোযা পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিসকের চাইতেও অধিক সুগন্ধময়।
হাদিস নম্বরঃ ৭০৩১ | 7031 | ۷۰۳۱
পরিচ্ছদঃ ৩১৫২. নবী (সাঃ) কর্তৃক তাঁর প্রতিপালক থেকে রিওয়ায়াতের বর্ণনা
৭০৩১। হাফস ইবনু উমর ও খালীফা (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রতিপালকের কাছ থেকে বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ বলেনঃ কোন বান্দার জন্য এ দাবি করা সঙ্গত নয় যে, সে ইউনুস ইবনু মাত্তার চাইতে উত্তম। এখানে ইউনুস (আলাইহিস সালাম) কে তাঁর পিতার দিকে সম্পর্ক যুক্ত করা হয়েছে।
হাদিস নম্বরঃ ৭০৩২ | 7032 | ۷۰۳۲
পরিচ্ছদঃ ৩১৫২. নবী (সাঃ) কর্তৃক তাঁর প্রতিপালক থেকে রিওয়ায়াতের বর্ণনা
৭০৩২। আহমদ ইবনু আবূ সুরায়জ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল আল মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাঁর উটনীর উপর উপবিষ্ট অবস্থায় সূরা ফাতহ কিংবা সুরা ফাতহের কিছু অংশ পড়তে দেখেছি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তারজীসহ তা পাঠ করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, মুআবিয়া (রাঃ) ইবনুল মুগাফফালের কিরাআত নকল করে পড়ছিলেন। তিনি বললেন, যদি তোমাদের কাছে লোকজন ভিড় জমানোর আশংকা না হত, তবে আমিও তারজী করে ঠিক সেভাবে পাঠ করতাম, যেভাবে ইবনুুূল মুগাফফাল (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিরাআত নকল করে তারজী সহকারে পাঠ করেছিলেন। তারপর আমি মুআবিয়া (রাঃ) কে বললাম, তার তারজী কিরূপ ছিল? তিনি বললেনঃ আ, আ, আ, তিনবার।
হাদিস নম্বরঃ ৭০৩৩ | 7033 | ۷۰۳۳
পরিচ্ছদঃ ৩১৫৩. তাওরাত ও অপরাপর আসমানী কিতাব আরবী ইত্যাদি ভাষায় ব্যাখ্যা করা বৈধ। কেননা, আল্লাহ্র বাণীঃ যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে তাওরাত আন এবং পাঠ কর (৩ঃ ৯৩) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, আবূ সুফিয়ান ইবন হারব (রাঃ) আমাকে এ খবর দিয়েছেন, হিরাক্লিয়াস তাঁর দোভাষীকে ডাকলেন। তারপর তিনি নবী (সাঃ) এর পত্রখানা আনার জন্য হুকুম করলেন এবং তা পড়লেন। (তাতে লিপিবদ্ধ ছিল) বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম- আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) এর পক্ষ থেকে হিরাক্লিয়াসের প্রতি এ পত্র প্রেরিত। তাতে আরও লেখা ছিল يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ (হে কিতাবীগণ এস সে কথায়, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই)
৭০৩৩। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহলে কিতাব তাওরাত হিব্রু ভাষায় পাঠ করত, আর মুসলমানদের জন্য আরবী ভাষায় এর ব্যাখা করত। এ প্রেক্ষিতে তিনি বললেনঃ কিতাবধারীদেরকে তোমরা বিশ্বাস করো না আবার তাদেরকে মিথ্যারোপও করো না বরং তোমরা আল্লাহর এ বাণীটি آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ} الآيَةَ (আমরা আল্লাহতে এবং আমাদের ও তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছি) বল।
হাদিস নম্বরঃ ৭০৩৪ | 7034 | ۷۰۳٤
পরিচ্ছদঃ ৩১৫৩. তাওরাত ও অপরাপর আসমানী কিতাব আরবী ইত্যাদি ভাষায় ব্যাখ্যা করা বৈধ। কেননা, আল্লাহ্র বাণীঃ যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে তাওরাত আন এবং পাঠ কর (৩ঃ ৯৩) ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, আবূ সুফিয়ান ইবন হারব (রাঃ) আমাকে এ খবর দিয়েছেন, হিরাক্লিয়াস তাঁর দোভাষীকে ডাকলেন। তারপর তিনি নবী (সাঃ) এর পত্রখানা আনার জন্য হুকুম করলেন এবং তা পড়লেন। (তাতে লিপিবদ্ধ ছিল) বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম- আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) এর পক্ষ থেকে হিরাক্লিয়াসের প্রতি এ পত্র প্রেরিত। তাতে আরও লেখা ছিল يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ (হে কিতাবীগণ এস সে কথায়, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই)
৭০৩৪। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দুজন ইহুদী নারী-পুরুষকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আনা হলো। তারা যিনা করেছিল। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা ইহুদীগণ এ যিনাকারী ও যিনাকারিনাদের সাথে কি আচরণ করে থাক? তারা বলল, আমরা এদেরকে (এক পদ্ধতিতে) মুখ কালো ও লাঞ্ছিত করে থাকি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তাওরাত এনে তা তিলাওয়াত কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তারা তাওরাত নিয়ে আসল এবং তাদেরই খুশিমত এক ব্যাক্তিকে ডেকে বলল, হে আওয়ার! তুমি পাঠ কর। সে পাঠ করতে লাগল। পরিশেষে এক স্থানে এসে সে তাতে আপন হাত রেখে দিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার হাতটি উঠাও। সে হাত উঠাল। হঠাৎ যিনার শাস্তি পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা (রজম) এর আয়াতটি স্পষ্টত দেখা যাচ্ছিল। তিলাওয়াতকারী বলল, হে মুহাম্মাদ! এদের (দু’জনের) মধ্যখানে শাস্তি পক্ষান্তরে রজমই, কিন্তু আমরা পরস্পর তা গোপন করছিলাম। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে রজম করার নির্দেশ দিলে তাদেরকে রজমই করা হয়। বর্ণনাকারী বলেন, যিনাকারী পুরুষটিকে মেয়ে লোকটির উপর ঝুকে পড়ে তাকে পাথর থেকে রক্ষার চেষ্টা করতে দেখেছি।