হাদিস নম্বরঃ ৭০২৫ | 7025 | ۷۰۲۵
পরিচ্ছদঃ ৩১৪৯. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ বল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে তাওরাত আন এবং পাঠ কর (৩ঃ ৯৩)। নবী (সাঃ) এর বাণীঃ তাওরাতের ধারকদেরকে তাওরাত দেওয়া হলে তারা সে অনুযায়ী আমল করল। ইনজীলের ধারকদেরকে ইনজীল দেওয়া হলে তারাও সে আনুযায়ি আমল করল। তোমাদেরকে দেওয়া হলো কুরআন, সুতরাং তোমরা এ অনুযায়ী আমল কর আবূ রাযীন (র) বলেন, يَتْلُونَهُ এর অর্থ তাঁর নির্দেশকে যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে অনুসরণ করা। আবূ আবদুল্লাহ্ (রহঃ) বলেন, يُتْلَى অর্থ يُقْرَأُ পাঠ করা হয়। حَسَنُ التِّلاَوَةِ অর্থ কুরআন সুন্দরভাবে পাঠ করা। لاَ يَمَسُّهُ এর অর্থ কুরআনের স্বাদ ও উপকারিতা কুরআনের প্রতি বিশ্বাসীদের ব্যতীত না পাওয়া। কুরআনের উপর সঠিক আস্থা স্থাপনকারী ছাড়া কেউই তা যথাযথভাবে বহন করতে সক্ষমম হবে না। কেননা, মহান আল্লাহ্ বলেনঃ যাদেরকে তাওরাতের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছিল এরা তা বহন করেনি। তাদের দৃষ্টান্ত পুস্তক বহনকারী গর্দভ। কত নিকৃষ্ট সে সম্প্রদায়ের দৃষ্টান্ত! যারা আল্লাহ্র আয়াতকে মিথ্যা বলে। আল্লাহ্ যালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না (৬২ঃ ৫)
৭০২৫। আবদান (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অতীত উম্মাতদের তুলনায় তোমাদের অবস্থানকালের উদাহরণ হচ্ছে, আসরের সালাত (নামায/নামাজ) এবং সূর্যাস্তের মাঝখানের সময়। তাওরাতধারীদেরকে তাওরাত প্রদান করা হলে তারা সে অনুযায়ী আমল করল। এভাবে দুপুর হয়ে গেল এবং তারাও দুর্বল হয়ে পড়ল। তাদেরকে এক কীরাত করে পারিশ্রমিক দেওয়া হল। তারপর ইনজীলের ধারকদেরকে ইনজীল দেওয়া হলে তারা সে অনুযায়ী আমল করল। এমনিতে আসরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা হল। তারাও ক্লান্ত হয়ে পড়ল। তারপর তাদেরকেও এক কীরাত করে দেওয়া হল। পরিশেষে তোমাদেরকে কুরআন প্রদান করা হয়। তোমরা তদনুযায়ী আমল করেছ। এমনিতে সূর্যাস্ত হয়ে গেল। আর তোমাদেরকে দেওয়া হল দু’কীরাত করে। ফলে কিতাবীগণ বলল, এরা তো আমাদের তুলনায় কাজ করল কম, অথচ পারিশ্রমিক পেল বেশি। এতে আল্লাহ বললেনঃ তোমাদের হক থেকে তোমাদের কিছু জুলম করা হয়েছে কি? এরা বলবে, না। আল্লাহ বললেনঃ এটই আমার অনুগ্রহ, তা আমি যাকে চাই তাকে প্রদান করে থাকি।
হাদিস নম্বরঃ ৭০২৬ | 7026 | ۷۰۲٦
পরিচ্ছদঃ ৩১৫০. নবী (সাঃ) নামাযকে আমল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা নামাযে পাঠ করল না, তার নামায আদায় হল না
৭০২৬। সুলায়মান (রহঃ) ও আব্বাদ ইবনু ইয়াকুব আসাদী (রহঃ) … ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জনৈক ব্যাক্তি (সাহাবী) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেন, কোন আমলটি সর্বোত্তম? তিনি বললেনঃ যথাসময়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা, মাতাপিতার সাথে সদ্ব্যবহার করা। অতঃপর আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।
হাদিস নম্বরঃ ৭০২৭ | 7027 | ۷۰۲۷
পরিচ্ছদঃ ৩১৫১. মহান আল্লাহ্র বাণীঃ মানুষ তো সৃজিত হয়েছে অতিশয় অস্থির চিত্তরূপে। যখন বিপদ তাকে স্পর্শ করে সে হয় হা-হুতাশকারী আর যখন কল্যাণ স্পর্শ করে, সে হয় অতি কৃপণ (৭০ঃ ১৯, ২০, ২১)
৭০২৭। আবু নুমান (রহঃ) … আমর ইবনু তাগলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু মাল এল। এর থেকে তিনি এক দলকে দিলেন। আর একটি দলকে দিলেন না। অতঃপর তার কাছে এ খবর পৌছল যে, যারা পেলো না তারা অন্তুষ্ট হয়েছে। এতে তিনি বললেনঃ আমি একজনকে দিয়ে আবার আরেক জনকে দেই না। পক্ষান্তরে যাকে আমি দেই না, সেই আমার কাছে তুলনামূলক বেশি প্রিয়। কিছু সম্প্রদায়কে আমি দিয়ে থাকি, যাদের অন্তরে রয়েছে অস্থিরতা ও দ্বন্দ। আর কিছু সম্প্রদায়কে আমি মাল না দিয়ে তাদের অন্তরে আল্লাহ যে স্বচ্ছতা ও কল্যাণ রেখেছেন তার উপর সোপর্দ করি। এদেরই একজন হলেন, আমর ইবনু তাগলিব (রাঃ)। আমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই উক্তিটির বিনিময়ে আমি একপাল লাল বর্ণের উটের মালিক হওয়াও পছন্দ করি না।
হাদিস নম্বরঃ ৭০২৮ | 7028 | ۷۰۲۸
পরিচ্ছদঃ ৩১৫২. নবী (সাঃ) কর্তৃক তাঁর প্রতিপালক থেকে রিওয়ায়াতের বর্ণনা
৭০২৮। মুহাম্মদ ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আমার বান্দা যখন আমার দিকে এক বিঘত পরিমাণ নিকটবর্তী হয় আমি তখন তার দিকে এক হাত পরিমাণ নিকটবর্তী হই। আর সে যখন আমার দিকে এক হাত পরিমাণ নিকটবর্তী হয়, আমি তখন তার দিকে দু’হাত নিকটবর্তী হই। সে যদি আমার দিকে হেঁটে আসে আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।
হাদিস নম্বরঃ ৭০২৯ | 7029 | ۷۰۲۹
পরিচ্ছদঃ ৩১৫২. নবী (সাঃ) কর্তৃক তাঁর প্রতিপালক থেকে রিওয়ায়াতের বর্ণনা
৭০২৯। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি একাধিকবার বর্ণনা করেছেন যে, (আল্লাহ বলেন) আমার বান্দা যদি আমার কাছে এক বিঘত পরিমাণ এগিয়ে আসে আমি তার দিকে এক হাত পরিমাণ এগিয়ে যাই। আর সে যদি আমার কাছে এক হাত পরিমাণ এগিয়ে মাসে, আমি তায় দিকে দুই হাত পরিমাণ এগিয়ে যাই। বর্ণনাকারী এখানে بَاعًا কিংবা بُوعًا বলেছেন।